ভাইকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে খেতে যাওয়া
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। বেশ কিছুদিন আগে আমার ভাই এসেছিল আমাদের বাসায়। যেহেতু বাসায় আম্মা আর ও একা থাকে সেজন্য খুব একটা আসতে পারে না আম্মাকে একা রেখে। আম্মা আবার কোথাও যেতেও চায় না বাসা ছেড়ে। এখন যেহেতু ওয়াহিদা আপু বাসায় আছে সেজন্য আমরা যখন ফরিদপুরে গিয়েছিলাম ও এসেছিল আমাদের সাথে। তৌহিদা আপুর বাসা থেকে পরে আমার বাসায় বেড়াতে এসেছিল। ওকে নিয়ে একদিন রাতে বাইরে খেতে গিয়েছিলাম। ও বাইরের খাবার খুব পছন্দ করে। সেজন্যই মূলত যাওয়া। হাজবেন্ড যাবে তার জন্য একটু রাত করে গিয়েছিলাম। আমরা বেশি দূর না গিয়ে বসুন্ধরার গেটের এখানে ম্যাগপাই রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলাম। এই রেস্টুরেন্টের খাবার গুলো বেশ ভালো। শুরুতে আমরা ঢুকে দেখি যে নিচ তলায় কোন জায়গায় নেই বসার। এত ভিড় ছিল রাতের বেলাতেও। তাই আমরা দোতলায় চলে গেলাম বসার জন্য। সেখানে গিয়েও খুব একটা জায়গা পেলাম না। প্রথমে এক জায়গায় বসলাম কিন্তু সেটি ওয়াশরুমের পাশে হওয়ায় কেমন যেন লাগছিল। পরে সেখান থেকে অন্য টেবিলে চলে যাই। বসেই আমরা খাবার অর্ডার দিলাম।
নিচ তলায় বসার জায়গা গুলোতে নরমাল চেয়ার টেবিল দেওয়া, কিন্তু উপরে বসার জায়গায় দেখলাম ডেকোরেশন বেশ ভালোই। কিন্তু অন্যান্য রেস্টুরেন্ট গুলোর মত অত বেশি ডেকোরেশন করা নাই। এই সব রেস্টুরেন্টে ডেকোরেশন লাগে না। এগুলো নামেই চলে। অনেক পুরোনো রেস্টুরেন্ট। পরে আমরা একেবারে রাস্তার সাইডে বসে ছিলাম। এই পাশটায় সম্পূর্ণ গ্লাস দেয়া। তার জন্য রাস্তার পরিবেশ একদম পরিষ্কার দেখা যাচ্ছিলো। বেশ ভালোই লাগছিল এখানে বসে থাকতে।
আমরা নান রুটি, পরোটা, মাটন কাবাব, চিকেন গ্রিল অর্ডার দিয়েছিলাম। বেশ কিছুক্ষণ বসে থাকার পর আমাদের খাবার চলে আসলো। এই ফাঁকে আমি আবার হ্যাংআউটের জয়েন হয়েছিলাম। কানে হেডফোন লাগিয়ে শুনছিলাম কথা। হ্যাংআউটে জয়েন না হলে মনে হয় যেন কি মিস হয়ে গেল। সেজন্য হ্যাংআউট মিস করতে চাইনি।
প্রথমে ভেবেছিলাম যে বাসায় খাবার অর্ডার দিয়ে খাব। পরে ভাবলাম বাসায় খাবার নিয়ে আসতে আসতে ঠান্ডা হয়ে যায়। দোকানে বসে গরম গরম খেতে যে মজা বাসায় আনলে সেই মজাটা পাওয়া যায় ন। এ জন্য রাত হলেও চলে গিয়েছিলাম বাইরে। আসলে খাবারগুলো গরম গরম খুব মজা লেগেছিল। এদের এখান থেকে চিকেন গ্রিল বেশ কয়েকবার বাসায় অর্ডার করে খেয়েছিলাম। তখন এতটা ভালো লাগেনি যতটা ভালো লেগেছে রেস্টুরেন্টে বসে খেতে।
খাওয়া-দাওয়া শেষ হওয়ার পর আমার হাসবেন্ড আবার ডেজার্ট খাওয়ার জন্য ফালুদা অর্ডার দিয়েছিল। যদিও ফালুদা আমার কাছে তেমন একটা ভালো লাগে না। তাই আমি আর খাইনি। বাচ্চারা কোল্ড ড্রিংকস খেলো। আর আমার ভাই আর হাজবেন্ড এই ফালুদা খেলো। আমি এক চামচ মুখে দিয়েছিলাম। মজাই ছিলো। কিন্তু মিস্টি জাতীয় খাবার তার জন্য আমি আর খাইনি।
খাওয়া-দাওয়া শেষ করে পরে বাসায় চলে গেলাম। এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | oppo reno5 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা,আর্ট করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে এবং ব্লগিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার ভাই এবং সবাই মিলে খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন। রেস্টুরেন্টের ইনডোর টা খুবই সুন্দর। এটা ঠিক বাসায় অর্ডার দিয়ে খাওয়ার চেয়ে রেস্টুরেন্টে বসে খেলে ভালো লাগে। গরম গরম সার্ভ করে তারা। ভালোই খাওয়া দাওয়া করেছেন সবাই মিলে। মুহূর্তগুলো দেখে বেশ ভালো লাগলো।
রেস্টুরেন্টের ইনডোরটা বেশ ভালোই ছিল। ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।
ভাইকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে খেতে যাওয়ার কিছু মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করলেন দেখে খুব ভালো লাগলো। আসলে মাঝে মাঝে বাইরে ঘুরতে গিয়ে খেতে কিন্তু ভালই লাগে। আবার এই খাবারগুলো বাসায় বসে অর্ডার করলে খেতে ভালো লাগেনা। সবাই মিলে বাইরে খাওয়ার মজাই আলাদা। রেস্টুরেন্টের গ্লাস দিয়ে রাতের বাইরের দৃশ্যটি ভালই লাগছে।
ঠিক বলেছেন আপু মাঝেমধ্যে বাইরে ঘুরতে গেলে বেশ ভালোই লাগে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপনার ভাই যেহেতু বাইরের খাবার খেতে পছন্দ করে, তাই আপনি ওনাকে নিয়ে বাহিরের খাবার খেতে গিয়েছিলেন শুনে খুব ভালো লাগলো। গরম গরম খাবার রেস্টুরেন্টে বসে খেতে যেরকম মজা লাগে। এমনিতে বাসায় আনলে অতটা মজা লাগে না আমার নিজের কাছেও। মাঝেমধ্যে কিন্তু এভাবে বাইরে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করতে অনেক ভালোই লাগে। আপনাদের খাওয়া দাওয়া করার মুহূর্তটা এত সুন্দর করে শেয়ার করলেন দেখে খুব ভালো লাগলো। খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে তো এখন অনেক লোভ লেগে গিয়েছে।
জি আপু ও বাইরের খাবার পছন্দ করে এজন্যই ওকে নিয়ে গিয়েছিলাম। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
সবাই মিলে সেদিন বেশ ভালোই খাওয়া দাওয়া করেছিলেন দেখছি। তবে যে কোন খাবার রেস্টুরেন্টে বসে খেতেই কিন্তু বেশি ভালো লাগে ।বাসায় অর্ডার করলে সেই খাবারগুলো অতটা টেস্ট লাগেনা। তবে খাবার গুলো দেখে বেশ লোভনীয় লাগছে। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু বাসায় অর্ডার দিলে রেস্টুরেন্টের মত অতটা মজা লাগে না। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
পরিবারের সবাই মিলে রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করতে খুব ভালো লাগে আমার।আপনার রেস্টুরেন্টের এই পোস্টটি দেখে আমার অনেক ভালো লেগেছে।এত সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপু।
আপনারও রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করতে ভালো লাগে জেনে খুশি হলাম আপু। ধন্যবাদ আপনাকে।