ছেলের স্কুল থেকে ঘুরতে যাওয়া
Tania Toma:
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। ছোট ছেলেকে নিয়ে স্কুলে গিয়ে দুই ঘন্টা বসে থাকতে হয়। এই সময় একদিন পার করি ড্রাইভিং করে। অন্য একদিন ফাঁকা বসে থাকতে হয়। সবাই মিলে গল্প করতে করতে সময় যায়। আমার ছেলের ক্লাসের বাচ্চাদের মায়েদের সঙ্গে বসে গল্প করি। কিন্তু তারা এক দিন ড্রাইভিংয়ে যায় আর আমি অন্যদিন যাই। সেজন্য তাদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়ার খুব একটা সুযোগ হয় না। সেইদিন ড্রাইভার চাচা অসুস্থ থাকার কারণে ড্রাইভিং শেখাতে আসেনি। তাই সবাই মিলে বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম। এক ভাবীর ক্ষুধা লেগেছিল জন্য পাশের বাজারে যাওয়ার কথা বললো। সেখানে নাকি কিছু দোকান রয়েছে এবং সকালের নাস্তাও বেশ ভালো পাওয়া যায়। তাই আমরা একটি অটো নিয়ে চলে গেলাম ওই বাজারের দিকে। ভিতর দিয়ে যাওয়ার কারণে খুব ভাঙ্গা রাস্তা ছিল। ওটোতে বেশ কষ্টই হয়েছে।
শুরুতে গিয়ে আমরা একটি দোকানে ঢুকে পড়লাম। দোকান দেখে খাবার খুব একটা আগ্রহ হলো না। কিন্তু তারপরও সবাই খাচ্ছিলো জন্য বসতে হলো। কিন্তু দেখে যেমন মনে হয়েছে খাবার সেরকম ছিল না। বেশ মজাদার ছিল। সবজিটা তো খুব মজা লেগেছিল। আমরা সবজি,ডাল, পরোটা, ডিম আর চা খেয়েছিলাম। চা খুব একটা ভালো ছিল না। বাকি খাবার গুলো বেশ মজাই ছিল।
দোকানগুলো বাজারের ভিতরে ছিল। পাশেই বেশ টাটকা সবজি, মাছ মাংস বিক্রি করছিল। এখানে সবজিগুলো তুলনামূলকভাবে দাম কম ছিল। তাই অন্যান্য ভাবীরা কিছু কিছু করে সবজি কিনলো। মাছ গুলো একদমই টাটকা। পানির মধ্যে নাড়াচাড়া করছিল। দেখে মনে হলো এখান থেকে বাজার করে নিয়ে গেলে টাটকা সবজি, মাছ মাংস খাওয়া যাবে। কিন্তু এত দূর থেকে বাজার করে নিয়ে যাওয়া বেশ কষ্টকর। তাই আর আমি কিছু কিনলাম না।
ট্রাকে করে পেঁয়াজ এসেছে বাজারের জন্য। তখনো পেঁয়াজগুলো নামানো হয়নি। তাই একটি ছবি তুলে নিলাম। খাওয়া দাওয়া শেষ করে বাজার করে আমরা আবারো আরো একটি অটো নিয়ে স্কুলে চলে আসলাম। ছুটির আগে আমরা ফিরে এসেছিলাম যাতে বাচ্চারা ছুটির পরেই আমাদের দেখতে পায়।
এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | oppo reno5 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা,আর্ট করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে এবং ব্লগিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ছেলের স্কুল থেকে মাছ সবজির বাজার গুলোতে ঘুরতে গেছেন এবং সেখান থেকে অনেক সুন্দর সুন্দর ফটো ধারণ করেছেন আপনি। অনেক অনেক ভালো লাগলো আপনার এই অসাধারণ ফটো ধারণ করা দেখে। বেশ অনেক কিছু তথ্য শেয়ার করেছেন আপনি।
জি আপু বাচ্চাকে স্কুলে রেখে মাঝে মাঝে বিভিন্ন জায়গায় যাওয়া হয়। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
সবাই মিলে আড্ডা দেওয়ার পর খাওয়া দাওয়া এবং ঘুরাঘুরি করলেন। খাবার গুলো দেখেই তো মনে হচ্ছে অনেক মজার ছিল। আর বাজারের ফটোগ্রাফি গুলোও সুন্দর ছিল। এরকম ফ্রেশ জিনিসগুলো দেখতে ভালই লাগে। খুব সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন সবাই মিলে।
দুই ঘন্টা সময় কাটানোর জন্য সবাই মিলে আড্ডা দিয়ে ঘোরাঘুরি করা হয়। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
বাহ বাচ্চা কে স্কুলে রেখে বেশ ভালোই সময় উপভোগ করেছেন দেখছি। ভাবীরা সবাই মিলে গল্প গুজব করে খাওয়া দাওয়া করেছেন আবার মাছ ও সবজি বাজারেও গিয়েছেন ।আসলে এ ধরনের টাটকা সবজি মাছ কিনতে পারলে খেতে বেশ মজার হয়। যদিও আপনি কেনেন নি তারপরেও মাছ গুলো দেখে ভালো লাগলো ।ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
কি করবো সময় তো কাটাতে হয় তাই বিভিন্নভাবে কাটানোর চেষ্টা করি। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।