নার্সারিতে ঘুরাঘুরির কিছু মুহূর্ত
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। বেশ কিছুদিন ধরে ভাবছি কিছু গাছ কিনবো। কিন্তু যে পরিমাণ গরম পড়েছিল এই গরমে গাছ লাগালে বাঁচতো কিনা সন্দেহ। এমনিতেই যে কোন গাছ নার্সারি থেকে অনেক ভালো দেখে কিনে নিয়ে আসলেও বাসায় নিয়ে আসলে খুব বেশি দিন টিকে থাকে না। তাছাড়া ফুল গাছগুলো নার্সারিতে যত সুন্দর ফুল ধরে বাসায় নিয়ে আসার পর কেন যেন ফুল ধরতেই চায় না। বেশ কিছু গোলাপ গাছ কিনেছিলাম। প্রথমদিকে কিছু ফুল ফোটার পর এখন আর ফুল ফোটেই না। আমার কাছে অবশ্য ইনডোরের গাছগুলো বেশি ভালো লাগে। কিন্তু ইনডোরের গাছেরও একটা মেয়াদ থাকে। এই গাছগুলো ছয় মাস এক বছরের বেশি কোন রকম ভাবেই ঘরে টিকে থাকে না। এজন্য প্রতি বছর বছর কিনতে হয় এই গাছগুলো। গত বছর যে গাছগুলো কিনেছিলাম সবগুলোই প্রায় মরে গিয়েছে। টবগুলো ফাঁকা ছিলো। তাই ভাবলাম যে আরো কিছু গাছ কিনে নিয়ে আসি।
কিছুদিন বৃষ্টি হওয়াতে পরিবেশটা বেশ ঠান্ডা হয়েছে। তাছাড়া ছুটির দিনগুলোতে বিভিন্ন কাজ থাকে। সময় করে ওঠা যায় না। সেদিন সকাল বেলায় হঠাৎ সময় পেয়েছিলাম। তাই ভাবলাম যে গাছ কিনে নিয়ে আসি। কিন্তু বসুন্ধরা আবাসিকের ভিতরে যে নার্সারি ছিলো গিয়ে দেখলাম নার্সারি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তাই ১০০ ফিটের দিকে চলে গেলাম। ওইখানে বেশ কয়েকটি নার্সারি ছিল। সেখানে একটি নার্সারি দেখে থামলাম।
ভিতরে যাওয়ার পর দেখলাম এদের ইনডোরের গাছের খুব একটা কালেকশন নেই। অল্প কিছু ইনডোরের গাছ রয়েছে। তাই তিনটি ইনডোরের কাজ কিনলাম। যেই গাছগুলো কেনার ইচ্ছা ছিল সেই গাছগুলো এখানে পেলাম না। আর কিছু ফুলের গাছ দেখে খুব ভালো লেগেছিল। সেই ফুলের গাছগুলো নিয়ে এসেছিলাম। তাছাড়া আমার হাজবেন্ডের দুটি মরিচ গাছ নিলো। মরিচ গাছ এখন তেমন একটা ভালো পাওয়া যাচ্ছিল না। দুটি গাছ দেখলাম মোটামুটি ভালো। তাই নিয়ে নিলাম। পুদিনা পাতার গাছ খুব সুন্দর লাগছিল দেখতে। এখন গরমের সময়। এই সময় বিভিন্ন ধরনের শরবত খেতে ভালো লাগে। তাই একটি পুদিনা পাতার গাছ কিনেছিলাম।
গাছ কিনতে কিনতে দেখলাম যে টব কম হয়ে গিয়েছে। পরে কিছু টব কিনলাম গাছের জন্য। এখানকার গাছের দাম গুলো তুলনামূলকভাবে আমার কাছে কম মনে হয়েছে। বেশ অনেকগুলো গাছ কিনেছিলাম আমরা। কি কি গাছ কিনেছিলাম পরবর্তীতে আপনাদের সামনে শেয়ার করবো।
এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | i phone11 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা,আর্ট করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে এবং ব্লগিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
নার্সারি বাগানে গেলে এমনিতে অনেক ভালো লাগে। আপনি দেখতেছি নার্সারি বাগানে ভালই ঘুরাঘুরি করেছেন। তবে এটি একদম ঠিক বলেছেন নার্সারি বাগানে যেভাবে ফুল ফুটে বাসায় নিয়ে আসলে গাছ গুলো তেমন আর ফুল ফোটে না। তবে আমি নিজেও মাঝেমধ্যে নার্সারি বাগানে গেলে বিভিন্ন ধরনের ফুল গাছ কিনে। যাইহোক গাছের জন্য টপও কিনেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলে আপু নার্সারিতে এত গাছ দেখা যায় যে মন ভালো হয়ে যায়। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
নার্সারি বাগানের পরিবেশ সবসময় অন্যরকম লাগে। নার্সারি বাগানে ফুল কিনতে এবং ঘুরতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। তবে আপনার পোস্ট দেখে বোঝা যাচ্ছে আপনি অনেক ভালোভাবে সময় কাটিয়েছেন। আপনার মত আমি নিজে অনেকগুলো ফুল গাছ কিনেছি। তবে ফুল গাছগুলো বেশিদিন টিকে না নষ্ট হয়ে যায়। খুব সুন্দর করে নার্সারি বাগানে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন। তাই আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া ফুল গাছগুলো কেন যেনো জন্য বেশি দিন বাঁচতে চায় না। যাইহোক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপু আমি তো নার্সারিতে গেলে আমার মনে হয় সবগুলো গাছ একটা একটা করে বাসায় নিয়ে যাই।এটা ঠিক বলেছেন আপু ইনডোরের গাছগুলো খুব বেশি দিন বাঁচে না। গাছ কিনতে গিয়ে অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। বেশ ভালো লাগলো দেখে।
আসলে বিভিন্ন ধরনের ফুল গাছ দেখলে কিনে নিয়ে আসতে মন চায়। যাই হোক ধন্যবাদ আপু।