খাসির মগজ ভুনার রেসিপি
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আপনাদের সঙ্গে মগজ ভুনার রেসিপি শেয়ার করবো। মগজ ভুনা খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। বাচ্চারা খুবই পছন্দ করে মগজ ভুনা। যদিও এই মগজ ভুনা খুব একটা বেশি খাওয়া ঠিক না যাদের পেশারের সমস্যা আছে তাদের। আমার হাসবেন্ড এর প্রেশারের সমস্যা রয়েছে । এজন্য বাসায় খুব একটা খাওয়া হয়না এই মগজ। আমি মাঝে মাঝে বাচ্চাদের জন্য নিয়ে আসি। সেই সাথে আমিও খাই। এখানে দুইটি খাসির মগজ রান্না করেছিলাম। দুইটি খাসির মগজ পরিমাণে খুবই কম হয়েছিল। আমি প্রথমে বুঝতে পারিনি যে এত কম হবে। রান্না করার পর দেখলাম যে খুবই অল্প হয়েছিল। মগজগুলোকে আগে ভালোমতো পরিষ্কার করে নিতে হয়। তা নাহলে ভিতরে রক্ত থেকে যায়। উপরে পাতলা একটি আবরণ থাকে সেই আবরণটি তুলে ফেললে ভিতরে রক্ত গুলো খুব সুন্দর পরিষ্কার হয়ে যায়। নিজের হাতে পরিষ্কার করলে তো আরো বেশি ভালো লাগে। আমি মগজ নিজেই পরিষ্কার করে নেই। কাজের খালারা অত ভালো পরিষ্কার করতে পারে না। যাই হোক আজকের রেসিপিটি কিন্তু খেতে বেশ মজা হয়েছিল। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
পিঁয়াজ
কাঁচামরিচ
পিঁয়াজ বেরেস্তা
আদা বাটা
রসুন বাটা
হলুদের গুঁড়া
মরিচের গুঁড়া
ধনিয়া গুড়া
জিরা গুড়া
গরম মসলার গুঁড়া
তেল
লবণ
লং, এলাচ, দারচিনি
প্রথমে চুলায় একটি ফ্রাইপ্যান বসিয়ে তার মধ্যে পরিমাণ মতো তেল দিয়েছি। তেল গরম হলে গরম মসলা গুলো দিয়ে দিয়েছি। গরম মসলাগুলো নেড়েচেড়ে পিঁয়াজ এবং কাঁচামরিচ দিয়েছি।
সবগুলো মসলা সামান্য একটু পানি দিয়ে বেশ কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রেখেছিলাম। এতে মশলাগুলো থেকে পাটায় বাটা মসলার স্বাদ পাওয়া যায়।
পিঁয়াজ মরিচগুলো একটু ভাঁজা হলে উপরের মসলাগুলো দিয়ে দিয়েছি।মসলাগুলো ভালোমতো বেশ কিছুক্ষণ কষিয়ে নিয়ে মগজগুলো দিয়ে দিয়েছি। মগজগুলো আগে থেকে চটকে নিয়েছিলাম।
মগজ মসলার সঙ্গে ভালো মতো মিশিয়ে নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ কষিয়ে নিয়েছি। তারপর সামান্য একটু পানি দিয়ে আবারও বেশ কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে নিয়েছি।
পানি আবারও শুকিয়ে গেলে পরিমান মত পানি দিয়ে দিয়েছি পুরোপুরি রান্না হওয়ার জন্য।
রান্না প্রায় হয়ে গিয়েছে। এ পর্যায়ে পিঁয়াজ বেরেস্তা দিয়ে আবারও বেশ কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে ভেঁজে নিয়েছি। তারপর চুলা বন্ধ করে দিয়েছি।
এখন একটি বাটিতে পরিবেশনের জন্য উঠিয়ে নিয়েছি। আশা করি আমার আজকের রেসিপিটি আপনাদের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | oppo reno5 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা,আর্ট করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে এবং ব্লগিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
খাসির মগজ এরকম ভাবে ভুনা করলে অনেক বেশি মজাদার হয়ে থাকে। যা খেতে খুবই ভালো লাগে আমার কাছে। আপনার তৈরি করা রেসিপিটা দেখেই তো এই দুপুর বেলায় লোভ লেগে গিয়েছে একেবারে। দুপুরবেলা কিন্তু বেশ মজা করেই খাওয়া যাবে এটা দিয়ে। আপনি রেসিপিটা তো শেয়ার করেছেন, আমি তো দুপুর বেলায় দেখেছি তাই অনেক বেশি লোভ লেগে গিয়েছে। এই খাবারটা কিন্তু বাচ্চাদের জন্য অনেক বেশি ভালো হবে। অনেক ধন্যবাদ আপু মজাদার রেসিপিটা ভাগ করে নেওয়ার জন্য।
একদম ঠিক বলেছেন আপু এভাবে ভুনা করলে খেতে খুব মজা লাগে। এজন্য এভাবেই ভুনা করার চেষ্টা করি। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু।
এটা যেমন পুষ্টিকর তেমনি লোভনীয় খাবার। তবে যাদের প্রেসারের সমস্যা রয়েছে তাদের সত্যিই এটা খাওয়া ঠিক নয়। যাইহোক আপনার রান্নার ধাপগুলো বেশ সুন্দর ছিল। ধন্যবাদ আপু চমৎকার রেসিপি পোষ্ট শেয়ার করার জন্য।
এই রেসিপিটি আমার এবং আমার বাচ্চাদের খুবই পছন্দের। এজন্যই মাঝে মধ্যে বাসায় রান্না করা হয়। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
পিঁয়াজ বেরেস্তা দিয়ে আবারও বেশ কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে ভেজে নিয়েছেন যেটা লোভনীয়তা দ্বিগুণ বাড়িয়ে তুলেছে। অনেক লোভনীয় এই রেসিপিটি কিভাবে তৈরি করতে হয় সেটা পর্যায়ক্রমে আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
পিয়াজ বেরেস্তা দেওয়ার কারণে অন্যরকম একটা ঘ্রান হয়। যার জন্য খেতে আরো বেশি ভালো লাগে। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
রেসিপিটি দেখতে ভীষণ সুন্দর হয়েছে। মগজ ভুনা ছোট বড় সকলেরই কম বেশি খুব পছন্দের। সত্যি কথা আপু দুইটা মগজ পরিমাণে কমই। দেখতে মাশাল্লাহ খুবই সুন্দর হয়েছে আশা করি খেতেও খুব ভালো হয়েছিল। মগজ ভুনা এমনিতেই খেতে খুব মজা হয়। খুব সুন্দর ভাবে উপকরণ এবং ধাপগুলো উপস্থাপনা করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমি বুঝতে পারিনি যে পরিমাণে এত কম হবে। রান্না করার পর দেখে বুঝলাম খুবই কম হয়েছিল। তারপরও একবার ভালোমতোই খেতে পেরেছিলাম। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
মগজ ভুনা অনেক সুস্বাদু ও পুষ্টিকর একটি খাবার।বড়োদের জন্য ক্ষতিকর হলেও বাচ্চাদের জন্য খুব উপকারী। আপনি চমৎকার সুন্দর করে মগজ ভুনা করেছেন যা ভীষণ লোভনীয় হয়েছে। মগজ ভুনা রেসিপি ধাপে ধাপে চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুস্বাদু মগজ ভুনা রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
বাচ্চাদের জন্যই মাঝে মধ্যে বাসায় রান্না করি। সেই ফাঁকে আমি একটু খেয়ে নেই। যাইহোক আপু ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
বাহ্ আপু খাসির মগজ পরিষ্কার থেকে শুরু করে একদম রেসিপি সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত করা শেয়ার করেছেন এটা দেখে অনেক ভালো লাগলো। খাসির মগজ ভুনা রেসিপি অবশ্য কখনো খাওয়া হয়নি তবে আপনার রেসিপিটি দেখে অনেক লোভনীয় লাগছে আপু। অনেক সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপু।
খাসির মগজ পরিষ্কার করা একটু ঝামেলার। এজন্যই পরিষ্কার করার কথা বলেছি। ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্যের জন্য।
খাসির মগজ ভুনা অনেকদিন খাওয়া হয়না। আপনার রেসিপি টা দেখে খুবই ভালো লাগলো আপু। খুব সুন্দরভাবে পুরো রেসিপিটা উপস্থাপন করেছেন আমাদের মাঝে। বেশ লোভনীয় লাগছে রেসিপি টা দেখতে। অনেক ধন্যবাদ আপু সুস্বাদু একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
তাহলে দেরি কেন আপু বাসায় এনে রান্না করে খেয়ে ফেলুন। খুব মজা লাগবে আশা করি। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
খাসির এরকম মগজ ভুনা আমার কয়েকবার খাওয়া হয়েছে। এটা আমার অনেক বেশি পছন্দের একটা রেসিপি। যেটা দেখলেই আমার অনেক বেশি লোভ লেগে যায়। আপনি খুবই মজাদার ভাবে আজকে খাসির মগজ ভুনা করার রেসিপিটা শেয়ার করেছেন সবার মাঝে। যেটা দেখে ইচ্ছে করছে এখন খেয়ে ফেলতে। গরম গরম ভাতের সাথে কিন্তু এই ভুলা রেসিপি টা বেশ জমিয়ে খাওয়া যাবে। আপনার তৈরি করা আজকের রেসিপিটা সবার কাছেই খুব ভালো লাগবে বলে আমার মনে হয়।
খাসির মগজ ভুনা আপনার পছন্দ জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া। ধন্যবাদ মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।