হঠাৎ রংপুর আসা
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে মনটা খুব খারাপ। দুপুরে দাদার বাবার মৃত্যুর খবরটা শুনে চমকে উঠেছিলাম। হঠাৎ কিভাবে কি হয়ে গেলো। গত রাতেও দাদাকে অনেক হাসিখুশি দেখলাম। তখন ও তো অসুস্থতার কোনো খবর শুনি নাই। নিশ্চয়ই হঠাৎ এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ অবস্থা দাদা এবং তার পরিবারের জন্য খুব কষ্ট হচ্ছে। বাবা একটি পরিবারের মাথা। তার এভাবে চলে যাওয়া মেনে নেয়া খুব কষ্টের। আঙ্কেল এর মৃত্যুর খবরটি শোনার পর থেকে আমার আব্বুর কথা বারবার মনে হচ্ছে। এভাবেই হঠাৎ চলে গেলেন। তার জন্য দাদার কষ্টটা আরো বেশি উপলব্ধি করতে পারছি। এ অবস্থায় কোনো সান্তনাই যেন কাজ করে না। শুধু দাদা এবং তার পরিবারের জন্য দোয়া করা ছাড়া আমাদের আর কিছুই করার নেই। আমরা সবাই নিজেদের মত করে দাদা এবং তার পরিবারের জন্য দোয়া করি। আর আঙ্কেল এর আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।
গতকাল আমিও হঠাৎ রংপুরে এসেছি। আমার শশুর বেশ কিছুদিন থেকে অসুস্থ ছিলেন। বয়স হয়েছে। জ্বর কাশি হওয়াতে শরীর অনেক বেশি দুর্বল হয়ে গিয়েছে। ডাক্তার দেখানো হয়েছে। জ্বর নেই কিন্তু শরীর এত দুর্বল হয়েছে যে বারবার তার মনে হচ্ছে তার সময় শেষ। সকালে বেশি খারাপ লাগার কারণে আমার হাসবেন্ডকে ফোন দিয়ে এসব কথা বলায় হাসবেন্ড রংপুর যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। যদিও আমাদের ১৭ তারিখ যাওয়ার কথা ছিলো। তাই ভাবলাম যে আমরাও সাথে যাই। গেলে আমার শশুর খুব খুশি হবে।
সকালে আমি রান্নার প্রিপারেশন নিচ্ছিলাম। রান্না চুলায় বসিয়েছি আর তখন হাসবেন্ড এসে বলে যাওয়ার কথা। কোনোরকম রান্না শেষ করে ফ্রিজে রেখে ব্যাগ গুছিয়ে নেই। দুপুর ১ টায় একটা ভালো বাস আছে। ওই বাস ধরার জন্য এত তাড়াহুড়া। তখন অলরেডি ১০:৩০ বাজে। আমি ব্যাগ বের করে বাচ্চাদের ড্রয়ার খুলে সামনে যা কাপড় পেয়েছি নিয়ে নিয়েছি। তাড়াহুড়ো করে ব্যাগ গুছিয়েছি। না জানি কি প্রয়োজনীয় জিনিস ফেলে এসেছি কে জানে।
১১:৪৫ এ বাসা থেকে বের হই বাসস্ট্যান্ড এর উদ্দেশ্য। গিয়ে দেখি সামনের টিকিট শেষ। পিছনের টিকিট আছে। পিছনের টিকিট কেটেই উঠে পড়লাম বাসে। পিছনে কেটে অবশ্য ভালো হয়েছে পিছনের সিটগুলো সব ফাঁকা। তাই আরাম করে আসতে পেরেছি। বাইরের ওয়েদারও খুব সুন্দর ছিলো।
খুব ভালোভাবে ৫ টায় ফুড ভিলেজ পৌঁছে যাই। সেখানে খাওয়া দাওয়া করে নিলাম। আমি ভাত, ডাল আর মাংস খেলাম। আর বাকিরা পরোটা, মাংস, সবজি খেলো। খাওয়া দাওয়া শেষ করে আবারো রওনা দিলাম।
৭:৪৫ এর দিকে রংপুর পৌঁছে গিয়েছি। আগে থেকে অটো ঠিক করে রেখেছিলাম। বাস থেকে নেমেই অটোতে উঠে বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা দিলাম। রাস্তায় তখন গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে মাঝে মাঝে। তাছাড়া বিভিন্ন জায়গায় দাঁড়িয়ে প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস কিনে সুস্থমত বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছি।
এই ছিলো আমার আজকের আয়োজন। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | i phone 15 pro max |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা,আর্ট করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে এবং ব্লগিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
সত্যি আপু দাদার বাবার মৃত্যুর কথাটা শুনে অনেক খারাপ লেগেছে। দাদার পুরো ফ্যামিলির জন্যই দোয়া করি। আর আঙ্কেলের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। আপনার শ্বশুরের অসুস্থতার কথা শুনে অনেক খারাপ লেগেছে। ওনার জন্যও দোয়া করি। যেন তিনি খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন। বাবা হচ্ছে আমাদের সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ একজন মানুষ। যিনি বটগাছের মত আমাদের আগলে রাখেন। আগে থেকে প্রিপারেশন নিয়ে যেকোনো জায়গায় গেলে যেমন ভালোভাবে যাওয়া যায়, তার উল্টোটাই হয় তাড়াহুড়া করে গেলে। সুস্থভাবে বাড়িতে পৌঁছেছেন শুনে খুব ভালো লাগলো। নিশ্চয়ই শ্বশুরবাড়িতে এখন ভালো সময় কাটাচ্ছেন। আর আপনার শ্বশুরও মনে হয় অনেক খুশি হয়েছিল।
ঠিক বলেছেন আপু হঠাৎ করে যাওয়ার কারণে এলোমেলোভাবে কাপড়চোপড় গুছিয়ে নিয়ে গিয়েছিলাম। তারপরও কোন কিছুতে সমস্যা হয়নি। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সত্যি আপু হঠাৎ করে দাদার বাবার মৃত্যুর খবর শুনে চমকে উঠেছিলাম। গতকালকেউ দাদাকে বেশ হাসিখুশি দেখেছিলাম। আসলে কখন কার জীবনে কোন বিপদ নেমে আসে আমরা সহজে বুঝতেই পারি না। আপু আপনি অনেক তাড়াহুড়ো করে রংপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন বুঝতে পারছি। আপু আপনার শ্বশুরের অসুস্থতার কথা শুনে খারাপ লাগছে। আংকেলের সুস্থতা কামনা করছি আপু।
ঠিক বলেছেন আপু বিপদ কখন কার জীবনে আসে বোঝা মুশকিল। যাইহোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আসলে যার শূন্যস্থান তৈরি হয়ে যায় সেই বুঝে শূন্যস্থানের ক্ষত কেমন হয়। দাদার বাবার এভাবে চলে যাওয়ার বিষয়টি আমাকে খুব বেশি শোকাহত করেছে। কারণ কিছুদিন আগে মাকে হারালাম সেই ব্যথাটা আমার কাছে আবারও আজকে অনেক বেশি অনুভব করলাম। বেশ ভালো করলেন আপনিও রংপুরে গেলেন। যেহেতু আপনার শ্বশুর অনেক অসুস্থ তাই দেখে আসলে ভালো হয়।
বাবা না থাকলে যে শূন্যস্থান তৈরি হয় আসলে এই শূন্যস্থান কোন কিছু দিয়ে পূরণ হবার নয়। জীবনে সবসময় একটা কষ্ট থেকেই যায়। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
বাবা হচ্ছেন বাড়ির প্রধান, আর বাবা না থাকলে বোঝা যায়,বাবা থাকা কত বড় নেয়ামত।আমি মনে প্রাণে আনকেলের জন্য দোয়া করি।আর আপনি আপনার শশুর অসুস্থ হওয়ার জন্য বাসায় চলে এসেছেন। আপনার শশুরের জন্য দোয়া রইল। আশা করছি খুবই তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবে।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া বাড়ির প্রধান না থাকলে বাড়িটাই কেমন শূন্য হয়ে যায়। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
চারিদিকে অসুস্থতার খবর শুনে কিছুই যেনো ভালো লাগছে না।এরপর আবার শ্রদ্ধেয় দাদার বাবা এভাবে চলে যাওয়া সত্যিই কষ্টের কারন।হ্যাং আউটে ও তেমন কিছু বুঝলাম না দাদার কথা শুনে।সত্যি দোয়া করা ছাড়া আর কি ই বা করার আছে।বাবা যার হারায় সেই ই বোঝে। এই ক্ষতি পূরণ করার কিছু থাকে না।আপনার শ্বশুর অসুস্থ শুনে আপনি পরিবারের সবাই মিলে হঠাৎ করে রংপুর গেলেন।দোয়া করি আল্লাহ আপনার শ্বশুরের নেক হায়াত দান করুন,আমিন।সুস্থ ভাবে ও সুন্দর ভাবে পৌঁছে গেলেন জেনে ভালো লাগলো।
ইদানিং কেন যেন চারিদিকে অসুস্থতার খবর গুলো বেশি শোনা হচ্ছে। যাই হোক আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই যেন সুস্থ থাকি।
আসলে দাদার সাথে এই ঘটে যাওয়া ঘটনাটি শুনে খুবই খারাপ লাগলো। তবে আমরা কেউ বলতে পারবো না কার কখন মৃত্যু হবে। এমনকি অসুস্থতা তার কথাও আমরা বলতে পারবো না।আমাদের সবাইকে এই পৃথিবী থেকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। এইদিকে আপনার শ্বশুর অসুস্থ হয়েছে এটা জেনে খুবই খারাপ লাগলো।দোয়া করি আল্লাহ তায়ালা যেন অতি শীঘ্রই আপনার শ্বশুরকে সুস্থতা দান করেন। ধন্যবাদ আপু পোস্ট টি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
মৃত্যু আমাদের খুবই কাছে রয়েছে আমরা তাও অবহেলা করি। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আসলে আমার নিজেরও মনটা অনেক বেশি খারাপ হয়ে গিয়েছে দাদার বাবার মৃত্যুর খবরটা যখন থেকে পেয়েছিলাম। খুব খারাপ লাগতেছে যখন এই বিষয়গুলো মনে করতেছি। এখন কি অবস্থা দাদার ফ্যামিলির এগুলো ভাবতে অনেক খারাপ লাগতেছে। দাদার বাবার স্বর্গীয় আত্মার শান্তি কামনা করছি। আপনার শ্বশুরের কথাটা শুনেও খারাপ লাগলো। দোয়া করি যেন তিনি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠেন। সব সময় উনার খেয়াল রাখবেন। উনার অসুস্থতার কথা শুনে আপনারা ওনাকে দেখতে গিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। নিশ্চয়ই তিনি আপনাদের সবাইকে দেখে অনেক খুশি হয়ে গিয়েছিলেন।
দাদার বাবার আকস্মিক মৃত্যুর খবর শুনে সবারই মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল। যাইহোক ভাইয়া ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
ঠিকই বলেছেন হঠাৎ করে দাদার বাবার মারা যাওয়ার কথা শুনে খুবই খারাপ লেগেছে। আমারও বারবার আব্বুর কথাই মনে পড়েছিল। বাবা চলে যাওয়া মানে জীবন থেকে বিরাট একটা কিছু হারিয়ে ফেলা । যাই হোক আপনিও তো হুট করে রংপুর চলে গেলেন আপনার শ্বশুরের অসুস্থতার জন্য । দোয়া করছি আঙ্কেল যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠেন । আর জার্নি পথে আবহাওয়াটা ভালো হলে চলাফেরা করে আরাম আছে ।
জ্বী আপু হঠাৎ করেই রংপুরে যেতে হয়েছিল। যাই হোক ভালোমতো ফেরত আসতে পেরেছি। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।