ফরিদপুরে গিয়ে সবাই মিলে রেস্টুরেন্টে খাওয়াদাওয়া
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। কিছুদিন আগে ফরিদপুরে বাবার বাসায় গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছিলাম। সময় যে কখন পার হয়ে গেল বুঝতেই পারিনি। সেখানেই একদিন আমরা সবাই মিলে রেস্টুরেন্টে ঘুরতে গিয়েছিলাম। যদিও ইচ্ছা ছিল প্রথমে রিক্সায় বা অটোতে করে কিছুক্ষণ ঘুরবো। তারপরে সেখান থেকে রেস্টুরেন্টে যাব। আগে বিভিন্ন অকেশন হলে আমরা সবাই রিক্সায় করে ঘুরতাম। অন্যরকম একটা মজা হতো রিক্সায় ঘোরার সময়। ঘন্টা হিসেবে রিকশায় না ঘুরলেতো ঈদই মনে হত না। সেই পুরনো স্মৃতিগুলো মনে করার জন্য মূলত ঘুরতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বের হবো করতে করতে সন্ধ্যা পার হয়ে গেল। সন্ধ্যার পরে রেডি হতে হতে দেখলাম আটটা বেজে গিয়েছে। তখন ভাবলাম যে এত রাতে যদি একঘন্টা ঘুরতে যাই তাহলে অনেক রাত হয়ে যাবে। তখন রেস্টুরেন্টে গিয়ে ফিরতে ফিরতে আরও বেশি দেরি হয়ে যাবে। তাই ভাবলাম যে আজকে শুধু রেস্টুরেন্ট থেকে ঘুরে আসি। অন্য একদিন ঘুরতে যাওয়া যাবে। আমরা তিন বোন, বাচ্চারা, আম্মা আর ছোট ভাই ছিল। সবাই রেডি হয়ে বের হতে হতে প্রায় সাড়ে আটটা বেজে গিয়েছিল।
যেহেতু ওয়াহিদা আপু ফরিদপুরে থাকে ও এখানকার রেস্টুরেন্টগুলো সম্পর্কে ভালো জানে। এজন্য ওর কাছ থেকে শুনছিলাম কোন রেস্টুরেন্টে যাওয়া যায়। ও rivera রেস্টুরেন্টের কথা বললো। এখানকার খাবার নাকি বেশ মজা। একটু দূরে হলেও আমরা সেখানে যাওয়ার জন্য রাজি হয়ে গেলাম। ছোট ভাই গিয়ে একটি অটো ভাড়া করে নিয়ে আসলো। কারণ আমরা লোক বেশি ছিলাম। রিকশায় নিলে অনেকগুলো রিক্সা নিতে হতো। এর জন্য অটোতে যাওয়া ঠিক মনে হল।
রেস্টুরেন্টে গিয়ে আমরা মেন্যু দেখে খাবার অর্ডার করে দিলাম। রেস্টুরেন্টটি বেশ সাজানো গোছানো মনে হল। আমাদের ফরিদপুরে নদীর পাশে। সেজন্য এরা বাইরের দিকেও বসার একটি ব্যবস্থা করেছে। বাইরে থেকে নদীর উপরের ব্রিজটি খুব সুন্দর দেখা যাচ্ছিলো। যদিও অনেক গরম ছিল আমরা ভেতরেই বসেছিলাম। বাইরে গিয়ে শুধু একটু ঘুরে দেখে এসেছিলাম।
কি খাবো ঠিক করতে একটু সময় লাগছিল। সেজন্য আমরা শুরুতেই বারবিকিউ চিকেন নাচোস এবং নরমাল চিকেন নাচস দিয়েছিলাম। এই খাবার দুটি খেতে বেশ মজার ছিল। নাচোস অর্ডার দেয়ার পর কিছুক্ষণ পর চিন্তাভাবনা করে বাকি খাবার গুলো অর্ডার দিলাম।
তারপরে আমরা এরকম একটি সেট মেন্যু অর্ডার দিয়েছিলাম সবার জন্য একটি করে। যদিও সব বাচ্চাদের জন্য দিয়েছিলাম না। কারণ এত খাবার খাওয়া সম্ভব ছিল না। খাওয়া শেষ হওয়ার পরে মনে হলো যে ঠান্ডা কিছু খাই। যেহেতু অনেক গরম ছিল বাইরে। তাই সবাই মিলে লাচ্ছি অর্ডার দিলাম। তারপর খাওয়া দাওয়া শেষ করে আমরা সাড়ে দশটার দিকে বাসার দিকে রওনা দিলাম।
অনেকদিন পর ভাই বোনেরা মিলে বেশ মজা করেছিলাম। এরকম সব সময় সুযোগ হয়ে ওঠেনা। এবার সুযোগ হয়েছিল তাই মিস করিনি।
এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | i phone 15 pro max |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা,আর্ট করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে এবং ব্লগিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
পরিবারের সবাই কে নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার কথা থাকলেও অবশেষে রেস্টুরেন্টে খেতে গেলেন। আসলে সবাই মিলে এমন সুন্দর সময় কাটাতে পারলে বেশ ভালো লাগে। বিশেষ করে ছেলেবেলার কথা মনে পড়ে যায়। ধন্যবাদ এমন সুন্দর একটি আনন্দময় সময় আমাদের সাথে মেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
সবাইকে নিয়ে ঘুরতে পারলে আরো বেশি মজা হত আপু। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আসলেই সেদিনের মুহূর্তটা অনেক ভালো ছিল । সবাই মিলে এরকম ঘুরতে পারলে ভালই লাগে । অনেকদিন পরে পরিবারের কয়েকজন মিলে ঘুরে ফিরে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছিলাম । রিক্সায় করে ঘুরতে পারলে হয়তো আরো বেশি ভালো লাগতো । এখন অবশ্য রিক্সায় ঘুরার থেকে অটোতে ঘোরা হয় বেশি । রিকশায় করে দুজন বসা যায় আর অটোতে সবাই মিলে একসাথে বসা হয় । কিন্তু আমার কাছে রিক্সায় ঘুরতেই বেশি ভালো লাগে ।অনেকদিন পরে সেই মুহূর্তটা চোখের সামনে দেখতে পেয়ে আবার ভালো লাগলো ।
অনেক বছর পর সবাই মিলে এভাবেই কোথাও ঘুরতে গেছিলাম। আসলেই খুব ভালো সময় কেটেছিল। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
পরিবার, বন্ধু, পরিজন নিয়ে সময় কাটানো, ঘুরতে যাওয়া খুবই আনন্দদায়ক। পরিবেশটা বেশ সুন্দর। আপনার লেখার পরিবেশনাও সুন্দর।
ঠিক বলেছেন সবাই মিলে সময় কাটাতে আসলেই অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।
ফরিদপুরে গিয়ে মা,ভাই-বোন ও বাচ্চাদের নিয়ে রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়ার অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু। সবাই এক সাথে অনেক দিন পর আনন্দে সময় কাটিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য।
এরকম একসঙ্গে খুব একটা হওয়া হয় না। তাই বেশ ভালো লেগেছিল তখন। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
পরিবারের সবাই মিলে বেড়াতে যাওয়ার আনন্দই অন্য রকম।এই আনন্দ আপনার অনেকদিন মনে থাকবে।ফটোগ্রাফিগুলো দেখে মনে হচ্ছে রেস্টুরেন্টটা বেশ ছিমছাম। পরিবারের সবাইকে নিয়ে বাহিরে খেতে যাওয়ার মুহূর্ত শেয়ার করার জনয ধনযবাদ আপু।
ঠিক বলেছেন আপু পরিবারের সবাই মিলে ঘুরতে যাওয়ার মজাই আলাদা। ধন্যবাদ মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
ইন্ডিয়া যাওয়ার সময় বোধ হয় ফরিদপুরের কাছে কোন এক রেস্টুরেন্টে ব্রেক দেয়। সেই সুবাদে দুই বার একটু ফরিদপুরের হাওয়া বাতাস গায়ে লেগেছিল। যাই হোক পরিবারের সবাইকে নিয়ে সময় কাটালে যে কতটা ভালো লাগে সেই ব্যাপারটা এখন খুব ভালোভাবে বুঝি। ছোট ভাগিনাকে খুব মিষ্টি লাগছিল দেখতে আপু। আর ব্রিজের ওপর যে বসে ছিল সে কি আমার মত তাঁর কাটা নাকি! ওভাবে রিস্ক নিয়ে বসে থাকার কি মানে আছে এটাই বুঝলাম না। ওটা কি কোন নদী ছিল আপু?
ইন্ডিয়া যাওয়ার সময় ফরিদপুরে বিরতি দেয় জানা ছিল না। কোন দিক দিয়ে গিয়েছিলেন। যাইহোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
পরিবারের সবাই মিলে ঘুরতে যাওয়ার কথা ছিল অবশেষে রেস্টুরেন্টে খেতে গেলেন।ভালো লাগলো আপনাদের খাওয়া দাওয়ার মুহূর্তের পোস্টটি দেখে।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
দেরি হয়ে গিয়েছিল তাই আর ঘুরতে যাওয়া হয়নি। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।