কারফিউ এর মধ্যে বাচ্চাদের নিয়ে বাইরে যাওয়া
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। কিছুদিন আগে যখন কারফিউ ছিল তখন চারপাশে তাকিয়ে মনে হচ্ছিল যে করোনাকালীন সময়ে চলে গিয়েছে। করোনাকালীন সময় এক রকম আতঙ্ক কাজ করতো এখন অন্যরকম কাজ করছিল। ওই সময়ে অন্তত নেট ছিল নেটে অনেক কিছু করা যেত। বিশেষ করে কোন কিছু অর্ডার করতে চাইলে খুব সহজেই অর্ডার করা যেত। কিন্তু কারফিউ চলাকালীন অবস্থায় নেট না থাকার কারণে মনে হচ্ছিল কয়েক বছর পিছনে পৌঁছে গিয়েছে। কিছু করতে গেলে হঠাৎ মনে হতো যে নেটে সার্চ করে দেখি। পরক্ষণেই মনে হতো নেটইতো নেই। অন্যান্য সব জায়গায় কারফিউতে লোকজন একদমই রাস্তাঘাটে বের হয়নি। কিন্তু আমাদের বসুন্ধরা আবাসিকে কারফিউয়ের অবস্থা একেবারেই ভিন্ন ছিল। বিকাল বেলায় বাইরে বের হলে মনে হতো যেন কোন অনুষ্ঠানে সবাই বাইরে বের হয়েছে। এত লোকজন বাইরে দেখা যেত। আবাসিক এলাকা হওয়ার কারণেই একটা সুবিধা ছিল। ভিতরে কোন ঝামেলাই হয়নি। সবাই যার যার মতো ঘোরাফেরা করতে পেরেছে। বিশেষ করে দু-একটি যে সুপার শপ ছিল তাতে তো মানুষের উপচে পরা ভিড় দেখা যেত। সন্ধ্যা নাগাদ সুপার শপগুলো একদমই খালি হয়ে যেত। কোন কিছুই পাওয়া যেত না সেখানে। কোন কিছু কিনতে গেলে সকালবেলা যেতে হতো। বাচ্চারা তো কয়েকদিন পর পর বাইরের খাবার খেয়ে অভ্যস্ত। নেট না থাকার কারনে খাবার অর্ডার দেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। তাই একদিন সন্ধ্যার সময় বাসার পাশের রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলাম বাচ্চাদেরকে নিয়ে। যাওয়ার সময় রাস্তায় অলি গলিগুলোতে একেবারে শুনশান নিরবতা দেখছিলাম। কিন্তু মেইন রোড গুলোতে আবার মানুষজনের সমাগম অনেক ছিল।
যদিও এ সময় যে রেস্টুরেন্টগুলো খোলা ছিল কিন্তু মানুষের এত পরিমাণে ভিড় যে তারা খাবার সার্ভ করে শেষ করতে পারছিল না। খাবার অর্ডার দিলে ৩০ থেকে ১ ঘন্টা পর খাবার দিচ্ছিল। তাছাড়া কিছু কিছু জায়গায় তো বসার মতই কোন জায়গা ছিল না এত লোকজনের ভিড়। এখানে একই বিল্ডিং এ তিনটি রেস্টুরেন্ট রয়েছে। কোনো জায়গায় মনের মত খাবার না পেয়ে শেষে এই রেস্টুরেন্টে ঢুকেছিলাম।
খাবার মেন্যু দেখে তেমন একটা পছন্দ হয়নি। একবার ভেবেছিলাম চলে আসবো। কিন্তু বাচ্চাদেরকে না খাইয়া আসা সম্ভব ছিল না। তাই তাদের পছন্দের চিকেন গ্রেভি, নান রুটি এবং মাটন কাবাব অর্ডার দিয়েছিলাম। খাবারের এত বেশি দাম রাখে যে দ্বিতীয়বার যেতে ইচ্ছা করেনা। খাবারের মান থেকে দামের পরিমাণ হাজার গুণ বেশি। আমরা এইটুকুন খাবার খেয়েছিলাম তাতেই প্রায় ১২০০ টাকার মতো বিল এসেছিল। রেস্টুরেন্টগুলোতে খাবারের দাম এত বাড়িয়ে দিয়েছে তার জন্য এইসব রেস্টুরেন্টের তেমন একটা যেতাম না এখন। আগে অনেক গিয়েছি এই রেস্টুরেন্টগুলোতে। কিন্তু এবার বাধ্য হয়ে আবারো যেতে হয়েছে।
খাবার খেয়ে বাচ্চারা খুশি হয়েছে তাই অনেক। তাছাড়া এই মুহূর্তে যে রেস্টুরেন্ট খোলা পেয়েছি তাই তো কত। যদিও খাওয়া শেষ করে চা খেতে চেয়েছিলাম কিন্তু ততক্ষণে চা শেষ হয়ে গিয়েছে। তাই আর চা খাওয়া হয়নি। বাসায় এসে আবার চা বানিয়ে খেতে হয়েছে।
এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | oppo reno5 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা,আর্ট করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে এবং ব্লগিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বর্তমানে ঢাকার সব রেস্টুরেন্টে খাবারের দাম অনেক বেশি বাড়িয়ে দিয়েছে আর এই কারণেই খাবার খাইতে গেলে অনেক অর্থ খরচ করতে হয়। এটা সত্যি বলেছেন আপু এবারে কারফিউয়ের ভেতর মনে হচ্ছিল যে, পুরনো কোন দিনে ফিরে গেছি। আবাসিক এলাকা গুলোতে থাকা সত্যিই মজা। কারফিউ এর ভেতর বাচ্চাদেরকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছিলেন জেনে বেশ ভালো লাগলো আপু। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে বিস্তারিতভাবে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপু।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া ঢাকার সব রেস্টুরেন্টের খাবারের দাম অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আসলেই তাই আপু, কারফিউর এই কয়েকটা দিন মনে হয়েছে অনেক বছর পিছনে চলে গিয়েছি। নেট এর উপর আমরা কতটা নির্ভরশীল সেটা এই সময়ে সবাই ভালোভাবেই টের পেয়েছে। এখনো পুরোপুরি ঠিক হয়নি যদিও। যাই হোক কারফিউর সময়ে বাচ্চাদের নিয়ে একটু বের হয়েছেন। বাচ্চারাও এ সময়টাতে বিরক্ত হয়ে গিয়েছিল। খাবারের দামটা আমার কাছেও একটু বেশি মনে হয়েছে। মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
কারফিউ এর এই কয়টা দিন অনেক বেশি টেনশন কেটেছে। যাই হোক আপু ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
সত্যিই আপু বাচ্চারা খাবার ঘরে বসে অর্ডার দিতে না পারায় ঝামেলাই মনে হয়েছে।আবাসিকের ভেতর ঝামেলা আসলে বোঝা যায় না।আমার ছোট বোন ও এই আবাসিকে থাকে।যাই হোক বাচ্চাদের নিয়ে কিছু একটা খাইয়ে ভালো ই করেছেন। এখন তো সবকিছুর দাম ই বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। রেস্টুরেন্ট গুলো পিছিয়ে থাকবে কেন বলেন তো।পোস্টের মাধ্যমে আপনার অনুভূতি গুলো জেনে ভালো লাগলো আপু।
ঘরে বসে অর্ডার করা খাবার খেতে খেতে ঘরের খাবার আর তেমন একটা খেতে চায় না। ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।
আপনাদের এলাকায় তো আপনারা ভালই কত সুন্দর ঘোরাফেরা করে এবং রেস্টুরেন্টে গিয়েও সময় কাটাতে পেরেছেন । আর আমাদের এদিক এলে বুঝতে পারতেন কারফিউ কাকে বলে এবং গোলাগুলি কি জিনিস । আমরা অনেক কাছ থেকে এগুলো দেখেছি ঘরের বাইরে যাওয়া তো দূরের কথা । যাই হোক রেস্টুরেন্টে গেলে একটু বেশি পরিমাণে টাকা সব সময় গুনতে হয় সে খাবারের পরিমাণ যতই কম হোক না কেন । তারপরও সবকিছু মিলিয়ে ভালোই খেয়েছেন ও সময় কাটিয়েছেন ।
আমাদের এলাকায় প্রথম দিকে খুব একটা ঝামেলা ছিল না। পরের দিকে অবশ্য বেশ ঝামেলা করেছে। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
এটা অবশ্য ঠিক আপু আবাসিক এলাকায় থাকার অনেক সুবিধা যা ঝামেলা বাহিরে থাকে। তবে খাবারের দাম এত নিয়েছে জেনে অনেকটাই অবাক হলাম। যাইহোক এমন পরিস্থিতিতে বাচ্চাদেরকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়ার মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আবাসিক এলাকায় শেষের দিকে অনেক বেশি সমস্যা করেছে। ধন্যবাদ আপু।