চিড়িয়াখানায় ঘোরাঘুরি পর্ব-৪
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। এর আগে চিড়িয়াখানায় ঘুরতে গিয়েছিলাম। সেখানকার বেশ কিছু ঘোরাঘুরির ফটোগ্রাফি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করেছি। যেহেতু চিড়িয়াখানা বিশাল বড় এড়িয়া নিয়ে তৈরি তাই এর সম্পূর্ণ অংশের ঘোরাঘুরি এক পর্বে শেষ করা সম্ভব নয়। তাই কয়েকটি পর্ব আকারে আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করছি। প্রথমে ভেবেছিলাম বাচ্চারা পুরো চিড়িয়াখানার ঘুরতে চাইবে না। কিন্তু বিভিন্ন পশুপাখি দেখে বেশ উৎসাহ নিয়েই ঘুরছিলো। গত দিন আপনাদের সঙ্গে কুমির এবং অন্যান্য কয়েকটি পশু পাখি শেয়ার করেছিলাম। আজকে শেয়ার করবো আরো বেশ কয়েকটি পশুপাখি। তার মধ্যে সবথেকে বেশি ভালো লেগেছে আমার কাছে ময়ূর।
খাঁচার গায়ে লেখা নীল ময়ূর। কিন্তু ময়ূর খুঁজে পাচ্ছিলাম না। পরে উপরের দিকে তাকিয়ে দেখি ময়ূর গুলো সব উপরে উঠে বসে আছে। আরো একটু সামনে যাওয়ার পর কিছু ময়ূর দেখলাম নীচে ঘোরাঘুরি করছে অসম্ভব সুন্দর লাগছিল। অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলাম ময়ূরের খাঁচার সামনে। যদি পেখম খুলে। কিন্তু আমাদের কে হতাশ করে দিয়ে ময়ূর পেখম মেললো না। ওভাবে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকলো। এর আগের বার যখন গিয়েছিলাম তখন ময়ূরের পেখম মেলা দেখেছিলাম। খুব চমৎকার লাগে ময়ূর পেখম মেললে।
কিছুদূর যাওয়ার পর দেখলাম একটি মাদ্রাসার ছোট ছোট বাচ্চারা চিড়িয়াখানায় এসেছে। খুব ভালো লাগলো দেখে। তাদেরকে দেখে মনে হলো তারা খুব মজা পাচ্ছে এরকম পশুপাখি গুলো দেখে। দল বেঁধে ছোট ছোট বাচ্চাদের এরকম দেখতেই ভালো লাগছিলো। তাছাড়া আরো বিভিন্ন বাচ্চাদেরকে দেখলাম এরকম দল বেঁধে স্কুল মাদ্রাসা থেকে এসেছে।
এর মাঝে আরো বেশ কয়েকটি প্রাণী দেখে আমরা আসলাম জল হস্তি দেখতে। এর খাঁচার সামনে খুবই বাজে গন্ধ ছিল। তাছাড়া জলহস্তি দেখতে এমন নোংরা যে সেখানে দাঁড়ানোর মত অবস্থা ছিল না। এদেরকে দেখলাম বাঁধাকপি খেতে দিয়েছে। তারা সব খাওয়া দাওয়ায় ব্যস্ত। নিচের জল হস্তিটি কাদার মধ্যে থাকে। সামনে শুধু কাঁদা দেখলাম। এজন্য আরো বেশি নোংরা লাগছিল দেখতে।
আরো কিছুদূর যাওয়ার পর বেশ কিছু গাধা এবং অন্যান্য প্রাণী দেখতে পেলাম। প্রাণীগুলো অনেক বেশি দূরে ছিল জন্য ছবি তোলা হয়নি।
আজ এ পর্যন্তই। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আরো বেশ কিছু প্রাণীর ফটোগ্রাফি নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | i phone 11 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা,আর্ট করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে এবং ব্লগিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ময়ূর পেখম মেললে দেখতে অনেক সুন্দর লাগে। কিছুদিন আগে একটা চিড়িয়াখানায় গিয়ে ময়ূরের পেখম মেলা দেখেছিলাম। ময়ূর টি দেখতে অতটা সুন্দর ছিল না তারপরও পেখম মেলার পর দেখতে সুন্দর লাগছিল। আর হ্যাঁ কোথায় ঘুরতে গেলে এরকম মাদ্রাসা বা স্কুল থেকে বেশ কিছু বাচ্চাদের আসতে দেখা যায়। জলহস্তী আমি অনেক আগে একবার দেখেছিলাম। তবে জলহস্তীর খাঁচার কাছে গেলে গন্ধ লাগে যেটা আপনিও ফিল করেছিলেন। আর লাস্টে জলহস্তিটা তো দেখি পুরা শরীরে কাঁদা মেখে গিয়েছে। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে বেশ কিছু পশুপাখির ফটো সহ চিড়িয়াখানা ভ্রমন করার পোস্টি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমিও আগেরবার যখন ময়ূর দেখেছিলাম তখন একেবারে পেখম মেলা অবস্থায় দেখেছিলাম। খুব ভালো লাগছিল দেখতে। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
হ্যাঁ আপু আপনি ধারাবাহিকভাবে চিড়িয়াখানার বিভিন্ন দৃশ্যপট ঘুরাঘুরির পাশাপাশি আমাদের সাথে পর্ব আকারে শেয়ার করে চলেছেন । যেটা আমরা উপভোগ করছি। আজকের পর্বে ময়ূর জলহস্তি দেখতে পেলাম। আসলে জলহস্তী নোংরা একটা প্রাণী দুর্গন্ধ ছড়ায়। আমাদের সাথে সেই চিড়িয়াখানার ঘুরাঘুরি মুহূর্তে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া জলহস্তীর গা দিয়ে খুব দুর্গন্ধ আসছিল তাই বেশিক্ষণ দাড়াতে পারিনি ওখানে। ধন্যবাদ মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আমি গতবছর গিয়েছিলাম ছেলেকে নিয়ে কিন্তু দুঃখের বিষয় সেই ফটোগ্রাফি গুলো সব ডিলেট হয়ে গিয়েছে। চিড়িয়াখানার এক মাথা থেকে আরেক মাথা একদিনে যেনো ঘুরে শেষ করা যায় না। তারপরও সেদিন কষ্ট করে ছেলেকে সব প্রাণী দেখানোর চেষ্টা করেছি। সেখানে পশু পাখির পাশাপাশি খুব সুন্দর ট্রেনে চড়ার ব্যবস্থাও রয়েছে। আপু পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
আমরাও সেদিন কষ্ট করে প্রায় সবগুলো জায়গায় ঘুরেছিলাম। বাচ্চারাও খুব ইনজয় করেছিল। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
জলহস্তির খাঁচার সামনে যেতে এমনিতেই অনেক অস্বস্তি লাগে আপু। কারণ প্রচন্ড গন্ধ বেরোয় ওদের গা থেকে। তবে ময়ূর গুলো দেখে কিন্তু মন ভরে গেল। তাছাড়া, আজ অনেক বছর পর মনে হয় গাধা দেখলাম। যাইহোক, আপনি আমাদের চিড়িয়াখানা ভ্রমণ করাতে থাকেন, আর আমরা দেখতে থাকি। হা হা হা...
আপনাদের তো কষ্ট ছাড়াই চিড়িয়াখানার ভ্রমণ হয়ে যাচ্ছে ভাইয়া। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
হ্যাঁ আপু, এটা আপনি ঠিক কথা বলেছেন। আমরা কিন্তু কোন প্রকার কষ্ট ছাড়াই চিড়িয়াখানা ভ্রমণ করে নিচ্ছি। 🐅🐆🐘🐃
বাচ্চারা এসব জায়গায় গেলে খুব মজা করে হাঁটাহাঁটি করে ওদের কিছু হয় না নিজেদেরই টায়ার্ড লাগে । আর রংবেরঙের পশু পাখি দেখতে ওরা খুব পছন্দ করে আমরাই বরঞ্চ বিরক্ত হয়ে যাই । ময়ূরের সামনে যতই দাঁড়িয়ে থাকেন না কেন ময়ূর পেখম মেলবেই না । আমরা চলে যাওয়ার পরে ওরা মেলে । আমিও এভাবে অনেকবার দেখার ট্রাই করেছি দেখতে পারি নাই ।