আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির দেখলাম নতুন একটি রেসিপি নিয়ে। আজকে আপনাদের সঙ্গে খাসির মাংসের রেজালা শেয়ার করবো। খাসির মাংস খেতে এমনিতেই খুবই ভালো লাগে। তাছাড়া এভাবে যদি রেজালা রান্না করা যায় তাহলে স্বাদ আরও বেড়ে যায়। এই রেজালা পোলাও এবং পরোটা দিয়ে খেতে অসম্ভব ভালো লাগে। অনেকেই খাসির মাংস খেতে চায় না কেমন একটা গন্ধ লাগে। কিন্তু খাসির মাংস রান্না শেষে যদি এরকম গোলাপজল এবং কেওড়াজল দেয়া যায় তাহলে গন্ধ একেবারে থাকে না। টক দই, বাদাম বাটা এবং দুধ দেয়ার কারণে মাংসের গ্রেভিটা অনেক ঘন হয়। এই রেসিপিটা অনেকদিন আগে রান্না করেছিলাম আজকের রেসিপি শেয়ার করতে গিয়ে আমারই তো লোভ লেগে যাচ্ছে। জানিনা আপনাদের কি অবস্থা হবে। আশা করি আপনাদের কাছেও রেসিপিটি ভালো লাগবে। সময় পেলে অবশ্যই এভাবে একবার রান্না করে খেয়ে দেখবেন।
![IMG20230121125320.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmYByyjctzdWugh8VoRzLhxrFu9ErzSuBquRa7bJ97p4rf/IMG20230121125320.jpg)
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmU9Wh1pdD8XACk5CTGKq2t5JvXPGXWC9nAw5Q6zUZaavh/PicsArt_21-12-17_17-47-48-634.png)
খাসির মাংস--১ কেজি
টক দই--৩ টেবিল চামচ
পিঁয়াজ--৬ টি
মরিচ--৭/৮ টি
টমেটো পেস্ট--১টি
আদা বাটা--১.৫ টেবিল চামচ
রসুন বাটা--১ টেবিল চামচ
মরিচের গুঁড়া--২ চা চামচ
ধনিয়া গুড়া--১.৫ চা চামচ
হলুদের গুঁড়া--১ চা চামচ
গরম মসলার গুড়া--২ চা চামচ
দুধ--১ কাপ
বাদাম--৮/১০ টি
পিঁয়াজ বেরেস্তা--১ কাপ
কেওড়াজল--১ চা চামচ
গোলাপজল--১ চা চামচ
লবণ-- পরিমাণমতো
চিনি--১ টেবিল চামচ
ঘি--২ টেবিল চামচ
তেল-- পরিমাণমতো
![PhotoCollageMaker_20230507_000952693.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmXNku7EsBpadYqhN2fwmYE81QGSipLT6cjeqrX1gD638w/PhotoCollageMaker_20230507_000952693.jpg)
প্রথমে বেরেস্তা এবং বাদাম ব্লেন্ডারে পেস্ট করে নিয়েছি। তারপর টক দই সামান্য একটু চিনি দিয়ে ভালোমতো ফেটে নিয়েছি ।
![IMG20230121104024.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmT7AeW22Z4GqDj9ir5XPhp2CZ7KyRyCjxJmvh4tSAJoyB/IMG20230121104024.jpg)
চুলায় একটি ফ্রাইপ্যান বসিয়ে দিয়ে তার মধ্যে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে দিয়েছি। তেল গরম হলে পিঁয়াজ এবং মরিচ কুচি দিয়েছি। পিঁয়াজ মরিচ কুচিগুলো একটু ভেঁজে নিয়ে বাটা মশলা দিয়েছি।
বাটা মসলাগুলো ভালোমতো কষিয়ে নিয়ে গুড়া মশলা গুলো দিয়ে দিয়েছি। গুঁড়া মশলাগুলো দিয়ে সবকিছু ভালোমতো কষিয়ে নিব যতক্ষণ না তেল উপরে ভেসে ওঠে।
তারপর টমেটো পেস্ট দিয়ে আবার একটু কষিয়ে নিয়ে মাংসগুলো দিয়ে মসলার সঙ্গে ভালো মতো মিশিয়ে নিয়েছি।
মাংসগুলো কিছুক্ষণ কষিয়ে নিয়ে ফেটিয়ে রাখা টক দইগুলো দিয়ে দিয়েছি। তারপর আবারও ঢাকনা দিয়ে বেশ কিছুক্ষণ ভালো মতো কষিয়ে নিব সবকিছু।
কিছুক্ষণ পর দুধ দিয়ে আবার ঢাকনা দিয়ে রান্না করবো। আবারো তেল উপরে ভেসে উঠলে বাদাম বাটা দিয়ে ভালোমতো মিশিয়ে নিয়ে পরিমাণ মত পানি দিয়ে দিবো সিদ্ধ হওয়ার জন্য ।
রান্না প্রায় হয়ে গিয়েছে এ পর্যায়ে প্রথমে ঘি তারপর গোলাপজল এবং কেওড়াজল দিয়ে দিবো ।
আস্ত কিছু কাঁচা মরিচ দিয়ে আরও কিছুক্ষণ রান্না করে চুলা বন্ধ করে দিবো।
![IMG20230121125320.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmYByyjctzdWugh8VoRzLhxrFu9ErzSuBquRa7bJ97p4rf/IMG20230121125320.jpg)
এখন একটি বাটিতে পরিবেশনের জন্য উঠিয়ে নিয়েছি আর উপর দিয়ে কিছু পিঁয়াজ বেরেস্তা ছিটিয়ে দিয়েছি । এভাবে আমার আজকের রেসিপি তৈরি হয়ে গেলো। আশা করি আপনাদের সকলের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন নিয়ে।
ধন্যবাদ
Photographer | @tania |
Phone | oppo reno5 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
![animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmeNW8WGqB2SscxBbm243ErNeLe1aTY8yLYdZGXGZgGfeS/animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif)
![IMG_20220106_113311.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmdS5DBPsJTbELJCixdhp55beNMYV7W8EWVFUMKM5Zm8w1/IMG_20220106_113311.png)
![7258xSVeJbKkzXhyseBP4PYz11eBDT8sW2oR1a4vfVFS6JTrGU8e1FPUaNdHG5vjXyg2xthV78bDEmEVvKCQpyzX1kq8gAVzGsPp9GqJVRWxb6T9y35PZmQehnLjELdKKmnhdxQjDuny4.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmemnBAFBqMayoUfifSq2nFqusbqJNzEazGwnUTcswdsWk/7258xSVeJbKkzXhyseBP4PYz11eBDT8sW2oR1a4vfVFS6JTrGU8e1FPUaNdHG5vjXyg2xthV78bDEmEVvKCQpyzX1kq8gAVzGsPp9GqJVRWxb6T9y35PZmQehnLjELdKKmnhdxQjDuny4.png)
VOTE @bangla.witness as witness
OR SET @rme as your proxy
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন খাসির রেজালার রেসিপি। আপনার তৈরি রেসিপি দেখে সত্যি জীবের জল আর সামলে রাখতে পারছি না আপু। দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ সুস্বাদু হবে। এমনিতে আমি খাসির মাংস খেতে অনেক বেশি পছন্দ করি। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরি করে ধাপে ধাপে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
শুধু দেখতে নয় ভাইয়া খেতেও খুবই মজাদার হয়েছিল। ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপু অনেকদিন আগে রান্না করেছিলেন আজকে সেই রেসিপি শেয়ার করতে গিয়ে আপনারাই লোভ লেগে যাচ্ছে। তাহলে আমাদের কি অবস্থা হচ্ছে বলেন। এত রাতে এমন লোভনীয় রেসিপি শেয়ার করে খিদা লাগিয়ে দিলেন। এভাবে কখনো খাসির মাংসের রেসিপি তৈরি করা হয়নি। আপনার রেসিপি দেখে বুঝতে পারছি খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ছবি দেখেই মনে হচ্ছে যে এখনই আবার রান্না করতে বসে যাই। এত মজাদার হয় এই রেজালাটা। আপনি তৈরি করে খেয়ে দেখতে পারেন ভালো লাগবে আশা করি। ধন্যবাদ আপনাকে।
খাসির মাংস আমার কাছে এমনিতেই খুবই প্রিয়। আর আপনি যেভাবে রান্না করছেন এই রেসিপিটি যদি খেতে পারতাম তাহলে প্রাণটা শান্তি পেত। খুব সুন্দর ভাবে আমাদের সাথে রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
খাসির মাংস আমারও খুবই পছন্দের। আর এভাবে রান্না করলে তো কথাই নেই। ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য করার জন্য।
আমার মন্তব্যের সুন্দর ফিডব্যাক দেয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
খাসির মাংসর এরকম রেজালা খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। ঠিকই বলেছেন খাসির মাংসের ভিতরে গোলাপ জল দিলে গন্ধটা আসে না । আবার দুধ এবং বাদাম আর বেরেস্তা যদি ব্লেন্ডার করে দেওয়া হয় তাহলে তো মাংসের টেস্ট আরো বেড়ে যায়। আপনার মাংস দেখে তো আমার খেতে মন চায়ছে।
গোলাপ জলের সঙ্গে কেওড়া জলটা মিশাতে হয়। তাহলে গন্ধটা একেবারেই চলে গিয়ে অন্যরকম একটা ঘ্রান হয় । ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করার জন্য।
ছোটবেলায় গন্ধের জন্য খাসির মাংস আমার ভালো লাগত না আসলে তখন গ্রামে গোলাপ জল বা কেওড়া জল এর তেমন ব্যাবহার ছিল না। তবে এখন খেতে পারি কারণ বেড স্মেল টা পাওয়া যায় না। আপনি খাসির মাংসের রেজালা রান্না করে সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। মাংসের রেজালা পোলাওয়ের সাথেই বেশি ভালো লাগে। পরিবেশন দারুন লেগেছে আমার কাছে এবং অনেক লোভনীয় লাগছে। ধন্যবাদ আপু।
খাসির মাংসটা খুব ভালোভাবে রান্না করতে পারলে গন্ধটা একদমই থাকে না। খুব ভালো লাগে খেতে। ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য করার জন্য।
বেশ লোভনীয় রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু।
খাসির মাংস একটু গন্ধ থাকায় অনেকেই খেতে চায় না কিন্তু আমি বেশ পছন্দ করি। আসলে মসলার গুনাগুণ আর বিশেষ কিছু উপকরণ ব্যাবহার করলে ভীষণ স্বাদের হয়ে ওঠে এই খাবারটি। অনেক ধন্যবাদ আপু চমৎকার রেসিপি উপস্থাপন করার জন্য।
খাসির মাংসের গন্ধটা আসলে রান্নার উপরে নির্ভর করে। আপনি যত বেশি উপকরণ দিয়ে রান্না করবেন তত বেশি স্বাদ হয় এই মাংস। ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য করার জন্য।
খাসির রেজালার রেসিপি দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। আপনার রেসিপি পরিবেশন আমার খুবি ভালো লেগেছে। এতো মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ভাইয়া এভাবে বাসায় রান্না করে খেয়ে দেখবেন খুব মজা লাগবে। ধন্যবাদ গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।
আহ্ দেখেই একেবারে জিহ্বায় জল চলে আসলো আপু। অনেক লোভনীয় লাগছে বিশেষ করে বাটিতে পরিবেশন করার পরে বেশি লোভনীয় লাগছে।
যে কোন খাবারে পরিবেশনের জন্য খাবারের মান আরো বেড়ে যায়। ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
সকাল সকাল ঘুম ভেঙে এত মজাদার রেসিপি দেখে এমন ভাবে লোভে পড়ে যাবো আসলে ভাবতে পারিনি।।
রেসিপিটি দেখেই জিভে জল চলে আসলো ইচ্ছে করছে তুলে খেতে শুরু করি।।
খাসির রেজালা আমারও খুব ফেভারিট মাঝে মাঝেই খাওয়া হয়। তবে আমার মনে হয় না এত মজাদার ভাবে প্রস্তুত করে রেসিপি আমি কখনো খেয়েছি আপনার মত।।
রেসিপি প্রস্তুত প্রণালী খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।।
আপনার কথা কি বলব রেসিপি পোস্ট করতে গিয়ে আমার নিজেরই লোভ লেগে গিয়েছিল অনেকদিন আগে তৈরি করেছিলাম জন্য। যাই হোক ভাইয়া সময় পেলে এভাবে রান্না করে দেখবেন খুব ভালো লাগবে আশা করি। ধন্যবাদ।
পরবর্তীতে এমন মজার রেসিপি প্রস্তুত করলে আমারে দাওয়াত থাকলো।।