বাচ্চাদের নিয়ে চিড়িয়াখানায় ঘুরাঘুরি পর্ব-১
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। বাচ্চাদেরকে অনেকদিন থেকেই বলছিলাম যে চিড়িয়াখানায় নিয়ে যাব। কিন্তু সময় সুযোগ করে উঠতে পারছিলাম না। প্রতিবারই চাচ্ছিলাম যে ঠান্ডার সময় যাব। কিন্তু ঠান্ডার সময় বিভিন্ন কারণে যাওয়া হয়ে ওঠেনা। আবার গরমের সময় গিয়ে ঘুরতে খুব কষ্ট হয়। সব থেকে বড় সমস্যা আমার হাসবেন্ড ছুটির দিনে এসব জায়গায় যেতে একদমই রাজি না। কারণ ছুটির দিনে এসব জায়গায় একেবারে উপচে পড়া ভিড় থাকে। এজন্য আরামে ঘোরাও যায় না। এজন্য আমরা চাচ্ছিলাম যে বাচ্চাদের কোন একদিন স্কুল বন্ধ থাকলে সেদিন যাব। বাচ্চাদের অনেক সময় স্কুল বন্ধ কিন্তু অফিস খোলা থাকে। ঐসব দিন ভিড় কিছুটা কম হয়। ওই রকমের দিন খুঁজে আমার হাজবেন্ড ছুটি নিয়ে নিয়েছিলো। কিন্তু যাওয়ার পরে মনে হল যে আমাদের মত সবাই এরকম প্ল্যান করে এসেছে। প্রচুর পরিমাণে লোকজনের সমাগম ছিল চিড়িয়াখানায়।
আমরা সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করে রেডি হয়ে গিয়েছিলাম। ইচ্ছা ছিল দুপুরের মধ্যে ঘোরাঘুরি শেষ করে বাইরে লাঞ্চ করবো। সাড়ে এগারোটা বেজে গিয়েছিল যেতে যেতে। গিয়েইতো মাথায় হাত এত লোকজন দেখে। তারপর লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কেটে নিলাম। এখন ভিতরে ঢোকার পালা।
ভিতরে ঢুকে আমরা শুরুতে ম্যাপ এক নজরে দেখে নিলাম। তাহলে কোন জিনিস কোথায় আছে বুঝতে সুবিধা হয়। যদিও বিভিন্ন জায়গায় ইন্ডিকেটর দেওয়া রয়েছে কোন দিকে কোন প্রাণী রয়েছে। এর আগে যতবার চিড়িয়াখানায় গিয়েছি আমরা বাম দিক থেকে ঘোরা শুরু করেছি। তাই এবার সিদ্ধান্ত নিলাম যে ডান দিক থেকে ঘোরা শুরু করব। প্রথমে বানর দিয়ে শুরু করলাম। বাচ্চারা খুব খুশি হয়েছে বানর দেখে।
চিড়িয়াখানার ভিতরের এত বেশি গাছ গাছালি রয়েছে জন্য খুব ভালো লাগে। হাঁটতে হাঁটতে এরকম একটি রেস্টুরেন্ট দেখতে পেলাম। খুব একটা খাবার ছিল না এই রেস্টুরেন্টে। তাছাড়া আরো কিছু দূর হাঁটার পর পরিচালকের কার্যালয় দেখতে পেলাম।
আরো কিছুদূর হাঁটার পর আমরা সারসক্রেন দেখতে পেলাম। এই প্রাণী আগে কখনো বাইরে দেখা হয়নি। অনেক বড় লম্বা লম্বা পা রয়েছে। তাছাড়া প্রাণী সম্পর্কে বিস্তারিত পাশে লেখা রয়েছে।
আজ এ পর্যন্তই। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। পরবর্তী পর্বে নতুন কিছু প্রাণী নিয়ে হাজির হব। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | i phone11 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা,আর্ট করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে এবং ব্লগিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ব্যক্তিগতভাবে আমারও এটাই মনে হয় যে সপ্তাহের অন্যান্য দিনের তুলনায় যেদিন ছুটি থাকে সেদিন চিড়িয়াখানাগুলোতে অনেক বেশি ভিড় থাকে। কারণ সেই দিনেই সকলের প্লান করে চিড়িয়াখানায় ঘুরতে যাওয়ার আপনারাই দিচ্ছি ঘুরতে গিয়ে অনেকটাই বিপাকে পড়ে গিয়েছিলেন কারণ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কাটতে হয়েছিল। এরপরও ভেতরে গিয়ে দারুন কিছু মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন ভেতরকার কিছু প্রানীর ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছে। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
ছুটির দিনগুলোতে চিড়িয়াখানা না সব জায়গায় প্রচন্ড রকম ভিড় থাকে। যাওয়া যায় না। যাই হোক ভাইয়া ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
গত বছর ঈদের পর একবার চিড়িয়াখানায় গিয়েছিলাম। ছুটির দিনে আসলেই এসব জায়গায় অনেক ভিড় থাকে। চিড়িয়াখানার পরিবেশটা আমার ভীষণ ভালো লেগেছিল। আর এরিয়াটাও অনেক বড়। আমরা অনেক ঘুরাঘুরি করেও পুরোটা শেষ করতে পারিনি। পরবর্তী পর্বগুলো দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
সেদিন সরকারি ছুটির দিন ছিল না। শুধু বাচ্চাদের স্কুল কলেজ বন্ধ ছিল তাতেই এরকম অবস্থা। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
এই গরমে ঘোরাঘুরি করা সত্যিই অনেক মুশকিল। আর ছুটির দিনগুলোতে সত্যি অনেক ভিড় থাকে। তাই অন্য দিনগুলোতে ঘুরতে গেলে বেশি ভালো হয়। আপু আপনি পরিবারের সবাইকে নিয়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো।
গরমের সময় যায়নি আপু। শীতের শেষের দিকে গিয়েছিলাম। শেয়ার করা হয়নি। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
বাচ্চাদের নিয়ে জাতীয় চিড়িয়াখানায় ঘুরতে গিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। মাঝেমধ্যে পার্ক অথবা ঢাকা পরিবেশে ঘুরতে যাওয়ার মধ্য দিয়ে অনেক কিছু ধারণা পাওয়া যায় এবং বাচ্চাদের মন ভালো থাকে। অনেক অনেক ভালো লাগলো আপু আপনার এই সুন্দর একটি পোস্ট দেখতে পেরে। যেখানে প্রমাণ করতে গিয়ে বেশ কিছু দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন আপনি।
ঠিক বলেছেন আপু এরকম পরিবেশে গেলে বাচ্চারা বেশ মজা পায়। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আপনারা যেমন বুদ্ধি করে ছুটির দিনে প্লান করেননি অন্যরাও আপনাদের মত বুদ্ধি করেছিল দেখে মনে হয় এতটা ভিড় হয়েছে । আর সকাল সকাল গেলে সুন্দরভাবে ঘোরাফেরা করে আসা যায় । এটা ঠিক বলেছেন গরমের দিনে ওখানে গিয়ে হাঁটতেও ভালো লাগবে না । বানর দিয়ে দেখাটা শুরু করেছেন ভালোই করেছেন কারণ বাচ্চারা তো বানর পছন্দ করেই ।
একদম ঠিক বলেছেন আপু অন্যরাও আমাদের মতো প্লান করেছিল একটু ফাঁকা পাওয়ার আশায়। যাইহোক তারপরও ভালোই লেগেছিল।
এত প্ল্যান প্রোগ্রাম করে বাচ্চাদের নিয়ে চিড়িয়াখানায় গেলেন তার পরেও লোকজনের ভিড় আসলে মন খারাপ হওয়ার মতই বিষয় ।যাইহোক কি আর করার চলে যখন গিয়েছেন ওভাবেই উপভোগ করতে হবে। চিড়িয়াখানার ভেতরে বেশ জায়গা লোকজন বেশি হলেও সমস্যা হবে না ।আমিও বেশ কিছুদিন আগে গিয়েছিলাম হাঁটতে হাঁটতে অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। যাই হোক বেশ ভালো লাগলো আপনাদের চিড়িয়াখানায় ঘোরার অনুভূতি পড়ে ।ধন্যবাদ।
ভিতরের দিকে যাওয়ার পর কিছুটা ভিড় কমেছিল। তখন বাচ্চারাও বেশ ভালোই মজা করেছিল। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আপু আপনার মত সবাই তো একই বুদ্ধি করেই গিয়েছিল 😅। আমি দুইবার গেছিলাম চিড়িয়াখানায়। কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করার পর যখন হাপিয়ে উঠছিলাম তখন মনে হচ্ছিলো যে সত্যিই বড় হয়ে গেছি এখন। হাহাহাহা,, এত বড় এরিয়া,, এক চক্কর দিতে জীবন একদম পেরেশান হয়ে যায়। তবে বাচ্চারা ঠিকই ছুটে বেড়ায়। ওদের ক্লান্তি নেই একদম। আর ভেতরের গাছপালা দেখে মনে হয় এটা যেন ঢাকার বাইরে অন্য এক গ্রহ। বেশ ঠান্ডা আছে ভেতরটা।
আমরা অবশ্য এইবার এক চক্কর দিতে পেরেছিলাম। এর আগে যতবার গিয়েছি পুরোটা আর ঘোরা হয়নি। বাচ্চারাও বেশ সাপোর্ট দিয়েছিল এর জন্যই পেরেছিলাম। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
এরকম ঘটনা সবার সাথেই হয় আপু। আমরা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাই এই চিন্তা ধারা নিয়ে যে, এখন গেলে হয়তো কিছুটা ফাঁকা পাওয়া যাবে। কিন্তু দেখা যায়, আমাদের মত সবাই একই রকম চিন্তা নিয়ে সেখানে ঘুরতে গেছে। হা হা হা... তবে আপু, প্রথমেই বানরের মুখ দেখে চিড়িয়াখানা ঘোরা শুরু করলেন...? যাইহোক, আশা করি পরবর্তী পর্বগুলোতে ভালো ভালো জিনিস দেখতে পাবো।
কি করব ভাইয়া চিড়িয়াখানায় ঢোকার শুরুতেই বানরের খাচাগুলো ছিল। না দেখে উপায় ছিলো না। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
চিড়িয়াখানায় ঢোকার শুরুতেই যেহেতু বানরের খাঁচাগুলো ছিল, সে ক্ষেত্রে এই গুলো প্রথমেই আপনাদের অনেকটা বাধ্য হয়েই দেখতে হয়েছে যা বুজলাম।