উত্তরা ঘুরাঘুরি ও কেনাকাটা শেষ পর্ব

in আমার বাংলা ব্লগ9 hours ago

Tania Toma:

আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।



আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।


আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আপনাদের সঙ্গে উত্তরা ঘোরাঘুরির আরেকটি পর্ব শেয়ার করবো। সেদিন বালিশের কাভারগুলো বানাতে দিয়ে উত্তরা রাজলক্ষী শপিং কমপ্লেক্স গিয়েছিলাম। যেহেতু দুই ঘন্টা সময় কাটাতে হবে তাই একটু দূরেই গিয়েছিলাম। এখন সমস্যা হচ্ছিলো আমরা তিনজন মিলে কিভাবে যাব। বড় বড় তিনজন রিক্সায় উঠতে ঝামেলা। তার পরও কষ্ট করে উঠে পড়লাম রিক্সায়। অনেকদিন পর এরকম রিক্সায় ঘুরে আগেকার দিনের কথা মনে পড়ে গিয়েছিল। আগে বান্ধবীরা মিলে কত রিক্সার করে ঘুরেছি। গরম থাকলেও রিকশায় ঘুরতে বেশ ভালোই লাগছিল। খুব সুন্দর বাতাস লাগছিল গায়ে।


IMG20240517183646.jpg


রিকশায় করে কিছু দূর যাওয়ার পরে দেখলাম যে রাস্তার সাইডে তালের শাঁস বিক্রি করছে। তাই খাওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে গেলাম। তালের শাঁস শরীরের জন্য খুবই উপকারী। বিশেষ করে গরমের মধ্যে পানির সল্পতা দূর করে। যেহেতু আমরা অনেক গরমের মধ্যে ঘুরাঘুরি করছিলাম তাই ভাবলাম যে তাহলে শাঁস খেলে কিছুটা আরাম লাগবে এবং শরীরে পানির ঘাটতিও পূরণ হবে। তালের শাঁস কিনে আবার রিক্সায় উঠে পড়লাম।


IMG20240517183649.jpg


IMG20240517193520.jpg


রিকশা থেকে নামার পরেই দেখলাম যে পুলিশ একজন মহিলাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। সে নাকি মোবাইল চুরি করেছে। মহিলাকে দেখে বেশ ভালো মনে হলো। কিন্তু কেন এমন কাজ করেছে বুঝতে পারলাম না। হয়তো ভালো সেজে এই কাজ করে বেড়ায়। মার্কেটে এসেছি ঘোরাঘুরি করে টুকটাক না কিনলে কি হয়। আমরা আরো প্রয়োজনীয় কিছু কাপড় কিনলাম রাজলক্ষ্মী শপিং কমপ্লেক্সে গিয়ে। আমার একটি ননস্টিকের কড়াই কেনার ইচ্ছা ছিল কিন্তু সাইজ না পাওয়ার কারণে আর কিনতে পারলাম না।


IMG20240517192308.jpg


IMG20240517193604.jpg


এভাবে ঘোরাঘুরি করতে করতে প্রায় দেড় ঘন্টা পার হয়ে গেল। সেদিন সময় যেন কিছুতেই যাচ্ছিল না। তাছাড়া গরমের মধ্যে খুব খারাপ লাগছিল ঘুরতে। এজন্য লাচ্ছি খাওয়ার জন্য একটি দোকানে গেলাম। এখানে লাচ্ছির পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের জুস বিক্রি করছিল। যদিও রাস্তার সাইডের এই খাবারগুলো আমার কখনোই খাওয়া হয়না। সেদিন খেয়েছিলাম বেশ ভালোই লেগেছিল লাচ্ছি। গরমের মধ্যে মনে হলো যে একদম শরীর ঠান্ডা হয়ে গেলো লাচ্ছি খেয়ে। আরো কিচ্ছুক্ষন পর আমরা সেখান থেকে রওনা দিলাম আবারো চাদরের দোকানের উদ্দেশ্যে। যেতে যেতে সব মিলিয়ে ২ ঘন্টা হয়ে গিয়েছিল। গিয়ে দেখি আমাদের বালিশের কাভার বানানো প্রায় শে। ১/২ পিস বাকি ছিল বসার পর সেগুলো বানিয়ে দিল। দোকানদার কথা রেখেছে। ঠিক দুই ঘন্টাই লেগেছে সবগুলো বালিশের কাভার বানাতে। তারপর আবার একটি সিএনজি নিয়ে বাসায় চলে আসলাম।


IMG20240517193611.jpg


সেদিন গরমে খুব কষ্ট হলেও সবাই মিলে ঘুরতে খুব ভালো লেগেছিল। এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।


ধন্যবাদ

@tania

Photographer@tania
Phoneoppo reno5
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা,আর্ট করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে এবং ব্লগিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি।

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

IMG_20220106_113311.png

7258xSVeJbKkzXhyseBP4PYz11eBDT8sW2oR1a4vfVFS6JTrGU8e1FPUaNdHG5vjXyg2xthV78bDEmEVvKCQpyzX1kq8gAVzGsPp9GqJVRWxb6T9y35PZmQehnLjELdKKmnhdxQjDuny4.png


VOTE @bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png OR SET @rme as your proxy

witness_vote.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 8 hours ago 

যতই গরম থাকুক এভাবে রিকশায় করে ঘোরাঘুরি করতে বেশ ভালো লাগে। বালিশের কভার বানাতে দিয়েছেন আর দিতে দুই ঘণ্টা সময় লাগবে বলে সেখানে বসে না থেকে আশেপাশে ঘোরাঘুরি করে খুব ভালো করেছেন। একসাথে আপনাদের দু'টো কাজ হয়ে গেলো। হালকা ঘোরাঘুরি আর বালিশের কভার বানানো। রাস্তায় বের হলে তালের শাঁস খেতে আমিও খুব পছন্দ করি। তাছাড়া এই গরমে বাহিরে যাবো আর লাচ্ছি খাবো না তা তো হতে পারে না। পৃথিবীতে কত ধরনের মানুষ রয়েছে। কেউ অভাবে চুরি করে আর কেউ স্বভাবে। যাক দুই ঘণ্টা বাহিরে ঘোরাঘুরি করে বালিশের কভার সেলাই করে নিয়ে এসেছেন দেখে ভালো লাগলো। সব মানুষ খারাপ নয় কিছু ভালো মানুষের জন্যই পৃথিবী এখনও টিকে রয়েছে।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.14
JST 0.030
BTC 64821.33
ETH 3466.08
USDT 1.00
SBD 2.51