মিরপুর আবেশ হোটেলে খাওয়া দাওয়া

in আমার বাংলা ব্লগ24 days ago

আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।



আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।


আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। গত কয়েকদিনে আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করেছিলাম চিড়িয়াখানায় ঘোরাঘুরির বেশ কিছু পর্ব। সেখান থেকে বের হতে হতে প্রায় দুপুর হয়ে গিয়েছিলো। যদিও মাঝে আমরা কিছু নাস্তা খেয়ে নিয়েছিলাম। তারপরও প্রচন্ড রকম ক্ষুধা লেগেছিল সবার। কোথায় খাবো চিন্তা করতে করতে হাজবেন্ড বলল যে মিরপুরে এই আবেশ হোটেল নাকি খাবারের জন্য বেশ বিখ্যাত। যেহেতু আমরা নরমাল ভাত খাবো সে জন্য এরকম হোটেলে গিয়েছিলাম। চাইনিজ বা ফার্স্ট ফুড জাতীয় খাবার খাওয়ার ইচ্ছা ছিল জন্য কোন রেস্টুরেন্টে যায়নি। চিড়িয়াখানা থেকে রিক্সা করে এখানে গিয়েছিলাম। কিন্তু হোটেলে ঢোকার পরে অবস্থা খারাপ। একেবারে উপচে পড়া ভিড়। কোন একটি বসার টেবিলে জায়গা নেই। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পরে একটা টেবিল খালি হওয়াতে সেখানে বসে পরি।


IMG_9032.jpeg


IMG_9034.jpeg


শুরুতেই ভাত এবং বিভিন্ন রকম ভর্তার অর্ডার দিলাম। বাচ্চরা ভাত খাবে না জন্য বাচ্চাদের জন্য এক প্লেট পোলাও অর্ডার দিয়েছিলাম। বাইরে কোথাও গিয়ে ভাত খাওয়াটা বাচ্চারা কেন যেন একদমই পছন্দ করে না। বাইরের খাবার মানেই ভারী কোন খাবার হতে হবে। কিন্তু আমার মাঝে মাঝে বাইরের হোটেল গুলোতে গিয়ে এরকম ভর্তা দিয়ে খেতে খুবই ভালো লাগে। সময় সুযোগ হলে আমি এরকম ভর্তাগুলো খাওয়ার চেষ্টা করি। এখানে বিভিন্ন রকমের ভর্তা একসঙ্গে খাওয়া যায়। এই হোটেলের সবগুলো ভর্তাই খুব মজা ছিল।


IMG_9036.jpeg


IMG_9037.jpeg


IMG_9038.jpeg


IMG_9039.jpeg


পূর্বাচলে গিয়ে একবার হাঁসের মাংস খেয়ে আমার বড় ছেলের খুব পছন্দ হয়েছে। এজন্য যে কোন জায়গায় গেলেই হাঁসের মাংস খাওয়ার জন্য বায়না করে। তাই তার জন্য হাঁসের মাংস অর্ডার দিলাম এবং আমাদের জন্য অন্যান্য মাংস অর্ডার করলাম। সবগুলো খাবার আসলেই খুব মজার ছিল।


IMG_9040.jpeg


IMG_9041.jpeg


IMG_9042.jpeg


এই হোটেলের বিশেষত্ব হলো এরকম মাটির বড় বড় হাড়িতে রান্না করে। এজন্য খাবারের স্বাদও অনেক বেশি থাকে। সব খাবারই খুব ভালো লেগেছিলাল আমার কাছে। যদিও প্রচন্ড রকম ভিড়ের মধ্যে তাড়াহুড়া করে খেতে হয়েছে। তারপর ভালোই লেগেছিলো।
যাই হোক এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।


ধন্যবাদ

@tania

Photographer@tania
Phonei phone11
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা,আর্ট করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে এবং ব্লগিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি।

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

IMG_20220106_113311.png

7258xSVeJbKkzXhyseBP4PYz11eBDT8sW2oR1a4vfVFS6JTrGU8e1FPUaNdHG5vjXyg2xthV78bDEmEVvKCQpyzX1kq8gAVzGsPp9GqJVRWxb6T9y35PZmQehnLjELdKKmnhdxQjDuny4.png


VOTE @bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png OR SET @rme as your proxy

witness_vote.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 24 days ago 

যদি কোনদিন চিড়িয়াখানাতে যাই তাহলে আপনাদের মত আবেশ হোটেলে খাওয়া দাওয়া করব। যেখানকার খাবার অনেক বিখ্যাত আসলে প্রচন্ড গরমে কোথাও যাওয়ার পরিবেশ নেই । যাইহোক, হবে হোটেলে গিয়ে সবাই দেখছি ভিন্ন ভিন্ন খাবার খেয়েছেন। মাটির হাঁড়িতে খাবার রান্না করা যেটা অনেকদিন হলো খাওয়া হয় না। দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করছে। অনেক মানুষের ভিড় কারণ সেখানকার খাবার বিখ্যাত বলে। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

 17 days ago 

জি ভাইয়া এই হোটেলে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করতে পারেন। এখানকার খাবার খুবই মজার। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

 24 days ago 

আপনাদের এলাকার মধ্যে বর্তমান অবস্থান করছি আপু। বেশ সুন্দর একটি খাওয়া দাওয়ার মুহূর্ত আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন দেখে বেশ অনেক ভালো লাগলো। মাঝেমধ্যে বাইরে এমন পরিবেশে খাওয়া-দাওয়া করতে আসা ঘুরতে আসার মধ্যে অন্যরকম প্রশান্তি রয়েছে।

 17 days ago 

আমাদের এলাকা মানে বুঝলাম না ভাইয়া? যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

 24 days ago 

আপনাদের চিড়িয়াখানার পোস্টগুলো আমিও দেখেছিলাম আপু। তবে আজকে খাবার খেতে হোটেলে গিয়েছেন আমি দেখে ভালো লাগলো। আমি নিজেও কিন্তু বিভিন্ন ধরনের ভর্তা দিয়ে খেতে বেশি পছন্দ করি। তবে বাচ্চারা আসলে এমনিতেই ভাত খেতে কম পছন্দ করে। ভালোই করেছেন আপনার বাচ্চাদের জন্য পোলাও নিয়েছেন। তবে এই রেস্টুরেন্টের সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে মাটির হাড়িতে রান্না। আমি শুনেছি মাটির হাড়িতে রান্না করলে অনেক মজা হয়।

 17 days ago 

বিভিন্ন ধরনের ভর্তা হলে খেতে বেশ মজা লাগে। যাইহোক ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

 24 days ago 

হোটেলের বিশেষত্ব দেখে খুবই ভালো লাগলো। মাটির হাঁড়িতে রান্না করা খাবারের স্বাদই আলাদা। এই ব্যাপারটা দেখে বেশ ভালো লাগলো। আপনারা ভাত এবং কয়েক ধরনের ভর্তা অর্ডার দিয়েছেন। ভর্তাগুলো দেখে খুবই লোভনীয় লাগছে। আর আপনিও বলেছেন এগুলো খেতে ভীষণ ভালো লেগেছে। খাওয়া-দাওয়ার এই মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।

 17 days ago 

মাটির হাড়ির খাবার জন্যই খাবার গুলো অনেক বেশি মজাদার। যাই হোক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

 24 days ago 

সব বাচ্চারা বাইরে গেলেই একটু আলাদা কিছুরই আবদার করে।কারন ভাত তো বাসায় সবসময় খাওয়া হয়।তবে আপনারা যে নানা পদের ভর্তা রেসিপি অর্ডার করেছিলেন এটা দেখতে বেশ লোভনীয় ছিল।মাংসের কালারটিও সুন্দর ছিল ,আপনার ছেলের কাছে এটা ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।দারুণ সময় কাটিয়েছেন পরিবারের সবাই মিলে,ধন্যবাদ আপু।

 17 days ago 

আমার বড় ছেলেরতো ভাত একদমই পছন্দ না। সবসময় এরকম খাবার খেতে চায়। যাই হোক ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.23
TRX 0.12
JST 0.029
BTC 66161.45
ETH 3566.85
USDT 1.00
SBD 3.11