গ্রাম বাংলার কিছু চমৎকার ফটোগ্রাফি
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আপনাদের সঙ্গে গ্রামের কিছু চমৎকার ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো। গ্রামে যেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। বিশেষ করে শহরের পরিবেশ থেকে কিছুটা মুক্তি পাওয়া যায়। গ্রামে গেলে সবুজের মাঝে প্রাণভরে নিঃশ্বাস নেওয়া যায়। ছোটবেলায় গ্রাম বলতে শুধু দাদু বাড়ি আর নানু বাড়িতে যাওয়া বুঝতাম। যে কোন ছুটির সময় সবাই মিলে দাদু বাড়িতে চলে যেতাম। তখন খুবই মজা হতো। দাদু বাড়িতে আমাদের অনেকগুলো চাচতো বোন ছিল তাদের সঙ্গে খুব ভালো সময় কাটতো। বিশেষ করে ধানের মৌসুমে, আমের মৌসুমে এবং শীতকালে বেশি যাওয়া হতো। আস্তে আস্তে বড় হতে থাকলাম চাচতো বোনদের সবার বিয়ে হয়ে যেতে লাগলো। তখন দাদু বাড়িতে গেলে তেমন একটা মজা পাওয়া যেত না। কারণ ফাঁকা হয়ে গিয়েছিল বাড়ি। পরবর্তীতে অনেক কমে গিয়েছিল দাদু বাড়িতে যাওয়া। তাছাড়া বিভিন্ন সিজনে আর সে রকম ভাবে যাওয়া হতো না।
আমার শ্বশুরবাড়ি গ্রামে। এজন্য বিয়ের পর গ্রামে যাওয়ার ইচ্ছা অনেকটাই পূরণ হয়ে গিয়েছে। এখন বিভিন্ন অকেশনে আমার শ্বশুরবাড়িতে যাওয়া হয়। গ্রামে গিয়ে আমার কাছে ৮-১০ দিন থাকতেই বেশি ভালো লাগে। এর থেকে বেশি দিন হলে তখন আর ভালো লাগে না। তখন শহরকে আবার খুব বেশি মিস করতে থাকি। অবশ্য শশুর বাড়িতে গিয়ে খুব কম সময়ে থাকা হয়। এজন্য খুব একটা খারাপ লাগে না। বিভিন্ন সিজনে গেলে গ্রামের প্রকৃতি বিভিন্ন রকম দেখা যায়। কখনো ধানের মৌসুম, কখনো পাটের মৌসুম, আবার কখনো আলুর মৌসুম চোখে পড়ে। চারপাশে বিভিন্ন ধরনের ফসলের চাষ হয়। তাছাড়া আমার শ্বশুর বাড়িতে এবং আশেপাশের বেশ কয়েকটি পুকুর রয়েছে। এই পুকুরগুলো থেকে মাছ ধরা হয় আমরা যখন গ্রামে যাই।
আজকে যে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করেছি এগুলো পাটের সিজনে তোলা। তখন কিন্তু শরৎকাল ছিল না। কিন্তু আকাশ দেখে মনে হচ্ছে যে শরৎ কালের আকাশ। এত সুন্দর নীল এবং সাদা মেঘের ভেলা। পুকুর পাড়ে বসে দেখতেই চমৎকার লাগছিল।
উপরের ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন যে দূরে কারেন্টের তারের উপরে দুটো পাখি বসে আছে। জুম করে পাখি দুটিকে ক্যাপচার করার চেষ্টা করেছিলাম। তাছাড়া ওই সময় কিছু জমিতে কচি ধানের চারা লাগিয়েছিল। বড় হলে জমিতে আবার লাগানো হয়। আমার কাছে অবশ্য পাকা ধানের থেকে কচি ধানের মৌসুমটাতেই বেশি ভালো লাগে। তখন চারপাশে সবুজ আর সবুজ দেখা যায়।
হঠাৎ মোবাইলের গ্যালারিতে ছবি দেখতে গিয়ে এই ছবিগুলো পেয়ে গেলাম। তাই ভাবলাম যে আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করি। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | oppo reno5 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা,আর্ট করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে এবং ব্লগিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
বিভিন্ন মৌসুমে গ্রামে গেলে বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখার সুযোগ হয়। আমিও যখন গ্রামে যাই, এই জিনিসটা আমাকে মুগ্ধ করে। তাছাড়া গ্রাম বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখলে কিছু সময়ের জন্য তার মধ্যে হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করে। আপনার শেয়ার করা আজকের এই ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো আপু আমার। গ্রাম বাংলার এত সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। এরকম ধানের ক্ষেত, পাটের ক্ষেত সামনাসামনি অনেক দিন দেখিনি। গ্রামের এই জিনিস গুলো অনেক মিস করি এখন।
পাটের সিজন খুব একটা পাইনা। ওদিকে পাট তেমন লাগায় না। সেইবার গিয়ে পেয়ে গিয়েছিলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্যের জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি এতদিন মোবাইলের গ্যালারিতে রেখে দিয়েছিলেন। প্রত্যেকটা প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আসলেই শহর থেকে গ্রামে যেতে বেশ ভালো লাগে। শহরের কোলাহল পরিবেশ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে আবার বেশিদিন থাকতে ভালো লাগে না। আমারও এমনটা হয়। নানুরবাড়িতে গিয়ে কয়েকদিন থাকতে ভালো লাগে তবে অনেকদিন হয়ে গেলে তখন আবার শহরে চলে আসতে মন চায়। এত সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
ঠিক বলেছেন আপু গ্রামের বাড়িতে বেশি দিন থাকতে কেন যেন ভালোই লাগে না। অল্প কিছুদিন খুব মজা হয়। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আপু আজ আপনার মোবাইলের গ্যালারিতে থাকা গ্রাম বাংলার কিছু চমৎকার ফটোগ্রাফিগুলো দেখে গ্রামে যেতে খুব ইচ্ছা করছে। আজ আপনার প্রতিটি ফটোগ্রাফি অসাধারণ। কি সুন্দর সবুজের উপরে নীল আকাশ ভেসে বেড়াচ্ছে। খুব সুন্দর করে ফটোগ্রাফি গুলো আপনার মোবাইলে ক্যাপচার করেছেন। অপূর্ব প্রকৃতির ছবিগুলো দেখতেও ভালো লাগে।
ছবিগুলো দেখে আমার নিজেরই আবার যেতে ইচ্ছা করছিল। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে সবাই অনেক পছন্দ করে। আপনিও দেখছি অনেক বেশি পছন্দ করেন। আগে দাদুর বাড়িতে আসা হতো, আর এখন তাহলে শ্বশুর বাড়িতে আসা হয়। গ্রামের মুক্ত পরিবেশ দেখলে একেবারেই মুগ্ধ হয়ে যাই। আপনি গ্রামের এত সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন দেখতে তো আমি তো সেই দৃশ্য গুলোর মাঝে হারিয়ে গিয়েছিলাম। সবুজ শ্যামল ধান ক্ষেত দেখতে অনেক সুন্দর লাগতেছে। পাট ক্ষেত দেখে তো আরো বেশি ভালো লাগলো। সবগুলো ফটোগ্রাফি সুন্দর করে তুলেছেন।
গ্রামের কোলাহলমুক্ত পরিবেশে সময় কাটাতে বেশ ভালোই লাগে। ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।
আমার দাদা-দাদু,নানা-নানু মারা যাওয়ার পর থেকে আর গ্রামে বেশী যাওয়া হয়না।তাছাড়া চাচারা,ফুপু,মামা,খালা সবাই ঢাকায় থাকাতে তেমন আর যাওয়া হয় না বাড়িতে।আপনার মতো আমার ও শ্বশুরবাড়ি মফস্বল শহরে সেখানে নানান সময়ে যাওয়া হয়। আর গেলে ভালো ই লাগে।আপনি আপনার শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে ফটোগ্রাফি করেছিলেন।তাই আজ শেয়ার করলেন।এ ধরনের গ্রামীণ প্রকৃতির মাঝে সময় কাটাতে সত্যি ই খুব ভালো লাগে। শরৎ কালের আকাশের মতো দেখতে আকাশটি সত্যি ই দারুন লাগলো।
শ্বশুর বাড়িতে গেলে তারা খুবই খুশি হয়। এজন্য আরো বেশি ভালো লাগে সময় কাটাতে। ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।
খুবই সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন । আসলে ফটোগ্রাফি অনেক যত্ন করে করতে হয়। আমি নিজেও সব সময় ফটোগ্রাফি করতে অনেক বেশি ভালোবাসি। আপনার প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি। অনেক ধন্যবাদ চমৎকার ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া ফটোগ্রাফি অনেক যত্ন সহকারে করলেই ভালো লাগে দেখতে। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
গ্রামে যাওয়ার মজাই আলাদা আপু। যেহেতু আপনি দাদুর বাড়িতে যেতেন ছোটবেলায় স্মৃতিগুলো শেয়ার করলেন অনেক ভালো লাগলো। এখন তো আর আপনার আফসোস করতে হয় না যেহেতু শশুর বাড়িতে সবসময় যাওয়া আসা করেন। আপনি একটা কথা ঠিক বলছেন ৭/১০ দিনের চেয়ে বেশ ভালো লাগে না গ্রামে থাকতে। আপনি গ্রামের খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন। গ্রামের পরিবেশের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লেগেছে।
পোস্টটি করার সময় ছোটবেলার কথা আমারও বেশ মনে পড়ছিল। ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।
বাহ গ্রাম বাংলার প্রাকৃতিক ফটোগ্রাফি গুলো দারুন হয়েছে। অপো মোবাইল দিয়ে এত সুন্দর ছবি হয়। চার পাশের সবুজু প্রকৃতিটা খুব সুন্দর ভাবেই ফুটে উঠেছে। পাট খেতের ছবি গুলো দারুন ছিল। ধন্যবাদ।
জ্বী ভাইয়া সুন্দর প্রকৃতি হলে যে কোন মোবাইল দিয়ে ভালো ছবি আসে। ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্যের জন্য।