আমড়ার আচারের রেসিপি
আসসালামুআলাইকুম,
বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
আজকে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি মজাদার আমড়ার আচারের রেসিপি নিয়ে। আসলে এই রেসিপিটি আমার করার ইচ্ছে ছিল না।অনেকদিন ধরে জলপাইয়ের আচার খেতে ইচ্ছে করছিল তাই হাজবেন্ড বাজার থেকে জলপাই কিনে এনেছিল। কিন্তু রান্নার আগে বুঝতে পারিনি যে এটি আমড়া। আসলে জলপাই এবং আমড়া দুটি আমার কাছে দেখতে প্রায় একই রকমের লাগে,তাই বুঝতে পারিনি। এরপর যখন সিদ্ধ হয়ে যায় তখন দেখি এটি জলপাই নয়, তখন মনটা খারাপ হয়ে গেল। কিন্তু তখন আর কি করা? আমড়াগুলো তো আর ফেলে দেওয়া যায় না। তাই জলপাইয়ের মত করেই আমড়ার আচার বানিয়ে ফেললাম। ভেবেছিলাম মোটেও ভালো লাগবে না খেতে। কিন্তু খেয়ে তো অবাক! খেতে দারুন ছিল।আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।একটি কাঁচের জারে রেখে অনেকদিন খেয়েছিলাম। যাইহোক চলুন কথা না বাড়িয়ে চলে যাওয়া যাক তাহলে মূল পর্বে।
চলুন দেখে নেয়া যাক রেসিপিটি তৈরি করতে আমাদের কি কি উপকরণ এবং কতটুকু পরিমান লাগবেঃ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
আমড়া | ১ কেজি |
চিনি | হাফ কাপ |
লাল মরিচ | ৮/১০ টি |
ধনিয়া, জিরা, পাঁচফোড়ন, | ১ টেবিল চামচ করে |
সাদা সরিষার গুড়া | ৪ টেবিল চামচ |
হলুদ গুঁড়া | হাফ চা চামচ |
লবন | স্বাদমতো |
সিরকা | ২ টেবিল চামচ |
সরিষার তেল | ৩ টেবিল চামচ |
রসুন কুচি | ২ টেবিল চামচ |
তেজপাতা | ২ টি |
কার্যপদ্ধতিঃ
প্রথমেই আমড়াগুলোর দুই সাইড কেটে ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছি। এরপর একটি হাঁড়িতে পানি গরম করে আমড়াগুলো ছেড়ে দিয়েছি।
এরপর ১০ মিনিট সিদ্ধ করে নিয়েছি।লাল মরিচ সহ মশলাগুলো রেডি করেছি।
এরপর সব উপকরণ একটি ফ্রাই পেনে হালকা টেলে নিয়েছি। এরপর ঠান্ডা হলে ব্লেন্ডারে গুঁড়া করে নিয়েছি।
এরপর ব্লেন্ডারে সরিষা গুঁড়া করে নিয়েছি।এরপর হাঁড়িতে তেল গরম করে রসুন কুচি ও তেজপাতা দিয়ে দিয়েছি।
এরপর রসুন হালকা বাদামী বর্ণের হলে তাতে এক চা চামচ পাঁচফোড়ন দিয়ে দিয়েছি। এরপর ভালোভাবে নেড়ে চেড়ে সরিষার গুঁড়া দিয়ে দিয়েছি।
এরপর ভালোভাবে নেড়ে চেড়ে সিদ্ধ করা আমড়াগুলো দিয়ে দিয়েছি।
এরপর লবণ ও চিনি দিয়ে দিয়েছি।এরপর হলুদ দিয়ে সবকিছু মাখিয়ে নিয়েছি।
এরপর গুড়া করা মসলাগুলো দিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে ৫-৬ মিনিট অল্প আঁচে রেখে দিয়েছি।এরপর সিরকা দিয়ে আরও ৩/৪ মিনিট রেখে দিয়েছি।
ব্যাস হয়ে গেল আমার মজাদার আমড়ার রেসিপি।
কাঁচের জারে ভরে রেখেছি।
Photographer | @tangera |
---|---|
Device | I phone 13 Pro Max |
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে।
পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
শেষ কবে আমড়ার আচার খেয়েছি সেটা মনে নেই তবে আজকে আপনার এই রেসিপি দেখে আবার আমড়ার আচার খাওয়ার প্রতি লোভ জেগেছে। অনেক লোভনীয় ছিল আপু তাছাড়া কিভাবে তৈরি করেছেন সেটাও পর্যায়ক্রমে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন।
কি বলেন আপু। জলপাই আর আমড়া তো দেখতে আলাদা আলাদা। মানে আকারেও তো ছোট বড় হয়। প্রথমে আমড়ার আচার শুনে তো অবাকই হয়েছি। কারণ আমি আজ পর্যন্ত আমড়ার আচার খাইনি। বা বানানো যায় যে এটাও জানতাম না। যাক ভুল হলেও নতুন এক রেসিপি হয়ে গেলো।
হায় হায় এটা কি হলো...!! খেতে চাইলেন জল পাই আর বাজার থেকে জলপাই ভেবেই নিয়ে আসলো কিন্তু অবশেষে দেখলেন আমড়া। মাঝে মাঝে আমার কাছেও এটাই মনে হয় যখন আমরা গুলো বাজারে ছোট ছোট অবস্থাতেই বিক্রি করা হয় তখন বুঝতেই পারি না কোনটা জলপাই আর কোনটা আমরা দেখতে প্রায় একই রকমেরই। যাইহোক অবশেষে আমড়া জলপাইয়ের মত করেই আচার তৈরি করেছেন যিনি ভালো লাগলো দেখেই তো বোঝা যাচ্ছে অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছিল। তবে আপনার মত করে এরকম ভাবে কখনো আমড়ার আচার তৈরি করে খাওয়া হয়নি। মজাদার এই আচার রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আমরা করে দেখছি অনেক ছোট, আসলেই বুঝা ভার জলপাই আর আমড়া কোনটা। যাইহোক ভালোই হলো জলপাই এর পরিবর্তে আমরা ছিল এগুলো। কারণ এভাবেও আমড়া করা যায় হয়তো বা জানতামই না। আমরা ছাল ছাড়িয়ে রোদে শুকিয়ে তারপর পাকানো হতো। ভালোই হলো নতুন রেসিপি শিখে নিলাম।
আমড়ার সাইজগুলো জলপাইয়ের মতোই লাগছে আপু৷জলপাই ভেবে সিদ্ধ করে দেখলেন এগুলো আমড়া ছিল । খুবই লোভনীয় লাগছে আমড়ার আচারগুলো। আপনি বললেন খেতেও অনেক টেস্টি হয়েছে। আমি আপনার রেসিপি ফলো করে বাসায় একদিন বানিয়ে দেখব।। কারণ যেকোনো ধরনের আচার খেতে আমার খুবই ভালো লাগে।
বুঝবেন কি করে আপু এখন তো জলপাই গুলোও সেম আমড়ার মতো বড়ো বড়ো তাই বোঝা বড়ো দায়।তবে আমড়ার আচারের ফটোগ্রাফি দেখে আমি সিওর হয়েছি যে অনেক টেষ্টি হয়েছে। আমি কোনদিন আমড়ার আচার করিনি।ধাপে ধাপে সুন্দর করে উপস্থাপনা গুলো খুব সুন্দর হয়েছে।
আমড়ার আচার কিছুদিন আগে কাচ্চি বিরিয়ানির সাথে খেয়েছিলাম একটি রেস্টুরেন্টে। যদিও ততোটা ভালো লাগেনি আচারটা। যাইহোক ইদানীং নার্সারিতেও ছোট ছোট আমড়া দেখা যায়, দেখতে অনেকটা জলপাই এর মতো লাগে। যাইহোক জলপাই মনে করে আমড়ার আচার তৈরি করে ফেললেন আপু। কাচের জারের মধ্যে রাখা আমড়ার আচার দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে আপু। কালার দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে খুব ইয়াম্মি লেগেছে। যাইহোক এতো মজাদার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
কিছুদিন আগে জলপাইয়ের আচার দেখছিলাম। কমিউনিটিতে আজকে আবার আমড়ার আচার দেখতে পেলাম। সত্যি অনেক ভালো লাগতেছে যে আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে আমরা অনেক রেসিপি শিখতে পারি। আপনি বানাবেন আর ভালো হবে না। তা কোন কথা! আমিও তো দেখতে পারতেছি অনেক সুন্দর কালার এসেছে আমড়ার।প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন। প্রয়োজনীয় উপকরণগুলি সঠিক মাত্রায় তুলে ধরেছেন। আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগলো। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
আমাদের এখানে আমড়া এখন অনেক বড় বড় হয়।কিন্তু এই আমড়াগুলো ছোট ছোট জলপাইয়ের মতো। তাই হয়তো বুঝতে ভুল হয়েছে।বুঝতে ভুল হলেও আচার কিন্তু খেতে মন্দ হয়নি।তাইতো কাঁচের জারে রেখে অনেক দিন খেয়েছেন।আচার দেখতে ও কিন্তু খুব লোভনীয় হয়েছে।আমার তো দেখেই এখন খেতে ইচ্ছে করছে।আপনার উপস্থাপনা দারুন ছিল।ধন্যবাদ আপু মজার এই আমড়া রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
আমড়া গুলো দেখতে সত্যিই জলপাইয়ের মত লাগছে। তাই তো আপনারও ভুল হয়েছে আপু। তবে যাই হোক সেই সুযোগে অন্য রকমের একটি খাবার খেতে পেরেছেন। আমড়ার আচার খেতেও কিন্তু বেশ ভালো লাগে। দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।