মজাদার একটি মাছের রেসিপি
আসসালামুআলাইকুম,
বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজকে আমি মজাদার একটি মাছের রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। যদিও এই মাছটির নাম আমি জানিনা, তবে সিলেট অঞ্চলে এই মাছটিকে কাংলা মাছ বলে। মাছটির গা ভর্তি যেমন আঁশে ভরা, তেমন ছোট ছোট অনেক কাঁটাও রয়েছে। খেতে কিন্তু দারুণ মজা, অনেক স্বাদের এই মাছটি। প্রায়ই বাসায় রান্না করা হয়, আমার হাজবেন্ডের অনেক পছন্দের একটি মাছ। আশা করি আমার এই রেসিপিটি আপনাদের ভালো লাগবে। চলুন চলে যাওয়া যাক তাহলে মূল পর্বে।
চলুন দেখে নেয়া যাক রেসিপি টা তৈরি করতে আমাদের কি কি উপকরণ এবং কতটুকু পরিমান লাগবেঃ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
মাছ | ১ টি |
পিঁয়াজ কুচি | দেড় কাপ |
কাঁচা মরিচ | ২/৩ টি |
টমেটো কুচি | হাফ কাপ |
হলুদ | হাফ টেবিল চামচ |
কারিপাউডার | ২ টেবিল চামচ |
লবন | পরিমান মতো |
মরিচের গুড়া | ১ টেবিল চামচ |
জিরা গুড়া | হাফ টেবিল চামচ |
তেজপাতা | ১ টি |
সয়াবিন তেল | দুই টেবিল চামচ |
কার্যপদ্ধতিঃ
প্রথমেই পেঁয়াজ টমেটো কুচি কুচি করে কেটে নিয়েছি, এরপর কাঁচা মরিচ লম্বা করে কেটে নিয়েছি। এরপর একটি কড়াইতে তেল গরম করে নিয়েছি।
এরপর তেলের মধ্যে পিয়াজ, কাঁচা মরিচ, টমেটো ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে অল্প আঁচে সিদ্ধ হয়ে যাওয়ার জন্য রেখে দিয়েছি। এরপর মাছটি কেটে আশ ফেলে ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছি।
এরপর মাছগুলো হলুদ ও লবণ দিয়ে মাখিয়ে তেলে ভেঁজে নিয়েছি।
পেঁয়াজ সিদ্ধ হয়ে গেলে সব মশলা গুলো দিয়ে দিয়েছি।
এরপর অল্প আঁচে ৪/৫ মিনিটে রেখে কষিয়ে নিয়েছি। এরপর মাছ গুলো দিয়ে মাখিয়ে ২/৩ মিনিট রেখে দিয়েছি।
এরপর দেড় কাপ পানি যোগ করে ৬/৭ মিনিট ফুল আঁচে রেখে দিয়েছি। হয়ে গেল আমার মজাদার কাংলা মাছের রেসিপি।
পরিবেশনের জন্য এনেছি।
Photographer | @tangera |
---|---|
Device | I phone 13 Pro Max |
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে।
পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
নাম-না-জানা কাংলা মাছের
রেসিপি টা বেশ,,
খেতে নাকি দারুন মজা
বলে হবে না শেষ।
কাঁটা একটু বেশি থাকলেও
সমস্যা নাই তাতে,
মজা করে খাওয়া যায়
যখন আসে পাতে।।
এই মাছটা দুলাভাইয়ের
দারুণ পছন্দের,
মাঝে মাঝে রান্না-খাওয়া
বেশ আনন্দের।
♥♥
আপু দারুণ একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন ৷ আসলে মাছে ভাতে বাঙ্গালী আমরা , মাছ বেশ প্রিয় আমার ৷ মাছের ঝোল রেসিপিটা অসাধারণ ভাবে করেছেন ৷ তরকারির কালারটা বেশ চমৎকার হয়েছে ৷ যদিও মাছটা দেখে আমি চিনতে পারছি না ৷ সিলেট অঞ্চলে মাছটি কাংলা নামে চিনলেও আমাদের এদিকে কি নাম জানি নাহ ৷ তবে কাংলা মাছের নাম প্রথম শুনলাম ৷
কাংলা মাছের নামটা আজকেই এই প্রথম আপনার থেকে জানতে পারলাম এর আগে কখনোই দেখা হয়নাই। আপু আপনার এই রেসিপি দেখে তো মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে অনেক মজা করে খেয়েছেন। আপু আপনার এই পোস্ট থেকে এই মাছটা প্রথম দেখলাম দেখেও খুবই ভালো লাগলো যে নতুন একটা মাছের সাথে পরিচিত হলাম অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
আপু কাংলা মাছ আমি চিনিনা তবে কুমিল্লার এদিকে এই শেপের একটি মাছ পাওয়া যায় যাকে হয়লা মাছ বলে। বেশি আশযুক্ত মাছ কাটা অনেক ঝামেলার। আর ছোট কাটা মাছে বেশি থাকলে সেই মাছের কাটা বাছার ভয়ে অনেকে খেতে চায় না। তবে যদি মাছ রান্নার পর মজার হয় সেক্ষেত্রে আশ বা কাটা কোন ফ্যাক্টর না। ভাইয়া পছন্দ করে এবং আপনাদেরো খেতে ভাল লাগে বলে আপনি প্রায়ই বাসায় রান্না করেন। আপনি কাংলা মাছ অনেক যত্ন সহকারে আশ ছাড়িয়ে কেটে তারপর অনেকগুলো ধাপ অবলম্বন করে রান্না করেছেন। খুব সুন্দর হয়েছে রান্না। খেতেও নিশ্চয়ই মজার ছিল। আপু কারি পাউডার দিয়ে তরকারি আমি খাইনি। তবে কখনো সুযোগ হলে ব্যবহার করে দেখব। ধন্যবাদ আপু।
আমাদের এলাকায় ফলি নামে একটা মাছ পাওয়া যায়।সেটা অনেকটা এই কাংলা মাছের মতো দেখতে। তবে ঐ ফলি মাছটা খুব একটা স্বাদের না।
মাছের রেসিপি টা বেশ দারুণ তৈরি করেছেন আপু। ভালো ছিল এবং সুন্দর পরিবেশন করেছেন। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
কাংলা মাছ নামে এই প্রথম একটি মাছের নাম জানতে পারলাম আপনার মাধ্যমে। সত্যিই নতুন একটি মাছ এটি আমার কাছে। এটি ভাইয়ার খুবই পছন্দের এবং আপনি খুবই চমৎকার করে রান্নাও করেছেন। টমেটো দিয়ে রান্না করলে যে কোন মাছ আমার কাছে খুবই সুস্বাদু লাগে। আর আপনি খুবই চমৎকার করে মাছটি রান্না করেছেন , দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ সুস্বাদু হয়েছে । মাছটি ভেজে নেওয়ার কারণে খেতে মনে হয় আরো বেশি ভালো হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
সিলেটের অঞ্চলে মাছটি কাংলা নামে পরিচিত হলেও আমাদের এলাকায় এই মাছটি চিতল মাছ বা ফলি মাছ নামে পরিচিত। রেসিপির ঝোলের কালার দেখে বেশ সুস্বাদু মনে হচ্ছে আর আমিও এই মাছের রেসিপি একবার শেয়ার করেছিলাম আর খেয়েও দেখেছিলাম বেশ সুস্বাদু হয় নিজের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। এমন লোভনীয় একটি মাছের রেসিপি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপুমনি।
এই কাংলা মাছের নাম অনেক আগে একবার শুনেছি এবং আপনার কাছ থেকেই শুনেছি। এই মাছটি ভাইয়ার অনেক পছন্দ তাহলে তো আপনি খুব মজা করে রান্না করেন ভাইয়ার জন্য। আপনার মাছ রান্না দেখেতো আমারই খেতে মন চাইছে সত্যি সত্যি জিভে পানি চলে এসেছে। কাংলা মাছ কেমন লাগবে খেতে জানি না তবে আপনি রান্না কিন্তু খুব চমৎকার ভাবে করেছেন। প্রথমে মাছ ভেজে বেশি করে মসলা দিয়ে খুব সুন্দর করে রান্না করেছেন।
আপনার এই মাছটি আমাদের এলাকায় ফলি মাছ বলে থাকে। এই ফলি মাছ খেতে খুবই মজাদার। আপনার রেসিপির পরিবেশন দেখেও অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে।