মায়ের অপারেশনের জন্য ঢাকা জাহাঙ্গীরনগরের পান-ধোয়া গ্রামে অবস্থান
হাই বন্ধুরা!
কেমন আছেন সবাই? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাই-বোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। দীর্ঘ এক সপ্তাহ হতাশার পর আবারও পুনরায় কাজ করতে পেরে বেশ অন্যরকম ভালোলাগা ফিরে পেয়েছি। তাই আবারও আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম মায়ের অপারেশন করতে নিয়ে যেয়ে, ঢাকায় অবস্থান করার প্রাথমিক পর্যায়ের কিছু বিষয় উপস্থাপন করার জন্য। আশা করব এই পোস্ট পড়ার মধ্য দিয়ে বেশ অনেক কিছু জানার সুযোগ পাবেন।
Infinix Hot 11s
ঢাকা সাভারের বিশমাইলে বাস থেকে নেমে পড়লাম। এরপর ফ্লাইওভার অতিক্রম করে জাহাঙ্গীরনগরের পান ধোয়া বাজার গামী গেটে প্রবেশ করলাম। মূলত এটা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের লাস্টের গেট। আর ক্যান্টনমেন্টের দিক থেকে ফাস্টের গেট। যায়হোক এরপর সোজা বিশ্ববিদ্যালয়ের এরিয়া অতিক্রম করে পান ধোয়া বাজার। তাই এখান থেকে একটি অটো রিক্সা ভাড়া করে এগিয়ে যেতে থাকলাম।
Infinix Hot 11s
এটাই মূলত পান ধোয়া গ্রাম। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী সহ বিভিন্ন চাকরিজীবী এই গ্রামে বাসা ভাড়া করে থাকেন। আর পুরো পরিচিত এই পথ ধরেই পান ধোয়া গ্রামের বাজার। এরপর বাজার অতিক্রম করে কিছুটা এগিয়ে গেলে পারে খালাম্মাদের বাসা। আমার খালাম্মাদের বাসাটা কবরস্থান রোডের দিকে। এক কথায় বলতে গেলে কবরস্থান দক্ষিণপাড়া। কিছুটা গলি অতিক্রম করতে হয়। যারা গলির পথ মনে রাখতে পারেন না তাদের জন্য বেশ ঝামেলার। কারণ আমার খালাতো ভাই প্রথম যেদিন গিয়েছিলাম আমাকে বলেছিল ভাইয়া আপনি বাজার থেকে একলা আমাদের বাসায় যেতে পারবেন। এটা সম্ভবত ২০১৮ সালের কথা। আমি তাকে বলেছিলাম তুমি পিছু পিছু আসতে থাকো আমি আগে হাঁটি সোজা তোমাদের বাসার গেটে পৌঁছে যাব। ঠিক সেভাবেই তাকে সাথে নিয়ে তাদের গেটে পৌঁছে গিয়েছিলাম। কারণ যেদিন এসেছিলাম সেদিন সন্ধ্যাবেলায় খালাতো ভাইয়ের সাথে বাজারে গেছিলাম এরপর এই পরীক্ষাটা। তবে সেই পরীক্ষায় আমি তার কাছে জয়ী হয়েছিলাম। সে বলেছিল ভাইয়া আমাদের বাসার গলি চিনছি আমার বেশ অনেকদিন সময় লেগেছে। যাইহোক বেশ পরিচিতি লাভ করেছিল এই জায়গাটা।
Infinix Hot 11s
এরপর সোজাসুজি খালাম্মাদের বাসা। খালাম্মাদের বাসায় উপস্থিত হয়েই আমার তো একটা আলাদা রুম প্রয়োজন। মোটামুটি অনলাইনে কাজ করতে হয়, আর আমার মত মানুষ একলা রুম ছাড়া তো চলতেও পারব না। তাই খালাম্মারা নির্ধারণ করে দিল যে কয়দিন থাকবো এই রুমটার মধ্যে যেন থাকি। আমার খালার তিনটা ছেলে কোন মেয়ে নেই। বড় আর মেজো ছেলের বিয়ে হয়ে গেছে। খালাতো বড় ভাইয়ের নাম রাকিবউদ্দিন চঞ্চল। সে একটি ব্যাংকের চাকরি করেন, ওই মুহূর্তে বউ বাচ্চা নিয়ে টাঙ্গাইলে থাকেন। তাই তার রুমটা আমার থাকার জন্য খালাম্মা নির্ধারণ করে দিলেন। বাড়ি থেকে আশা করে গিয়েছিলাম হয়তো পাঁচ থেকে সাত দিন থাকবো, এর মধ্যে আম্মার অপারেশন সাকসেস হবে তারপর আবার ফিরে আসবো। কিন্তু ভাগ্যক্রমে প্রায় 35 দিন অবস্থান করেছিলাম এই রুমের মধ্যে। আর যখন জেনারেল চ্যাট কমেন্ট পোস্ট করতাম,ঠিক জানালার দিকে তাকিয়ে পাশের কাঁঠাল গাছের এই কাঁঠাল গুলোই দেখা লেগেছে এতদিন। ঢাকায় অবস্থানকালীন মুহূর্তে প্রচন্ড ঝড় রেমাল বয়ে গেছে। তখনো এখানে এই রুমে অবস্থান করেছিলাম। এখানে বেশ লোডশেডিং হয়। যে কয়দিন অবস্থান করেছি হাতপাখাটা ছিল সঙ্গী। পাশাপাশি আমার কারেন্টের লাইন তো নিজের মত সেটাপ করে রেখেছিলাম মোবাইল চার্জ রাখার জন্য। ভাগ্যিস পাওয়ার ব্যাংকটার সাথে নিয়ে গিয়েছিলাম। কারণ রেমালের তান্ডবের মুহূর্তে বেশ কয়দিন কারেন্ট ছিল না।
Infinix Hot 11s
এদিকে প্রথম দিন থেকে শুরু করে অর্থাৎ ১৯ শে মে থেকে শুরু করে পুরো ৩৫ টা দিনের সন্ধ্যার সময় বার হয়েছি, এই বাজারে বেশ কয়টা দোকান দারদের সাথে পরিচিত হয়ে উঠেছিলাম। যেমন একটি আইসক্রিমের দোকান, একটি ফার্মেসি, একটি বিকাশের ঘর। এছাড়াও এক সবজি বিক্রেতার সাথে বেশ কথা হতো। কারণ প্রথম দিন অবস্থান করেই পান ধোয়া বাজারের এক সবজি বিক্রেতার কাছ থেকে শসা কিনেছিলাম সালাদ করে খাওয়ার জন্য। কারণ দীর্ঘ জার্নির পর খাবারের শসা না থাকলে শরীর ভালো হয় না। আর এভাবেই ঢাকায় অবস্থান করে এই জায়গাগুলো আমার হয়ে উঠেছিল অতি পরিচিত,আর এখানেই আমার অবস্থান। আর এখান থেকেই আম্মার অপারেশন করার জন্য আমার চলাচল, ঢাকা ধানমন্ডি ৩২ পান্থপথ ইত্যাদি জায়গায়। ইনশাল্লাহ পরবর্তীতে বিস্তারিত আরো অনেক দেখতে পারবেন।
Infinix Hot 11s
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পোস্ট বিবরণ
ব্লগার | sumon09 |
---|---|
ডিভাইস | Infinix Hot 11s |
লোকেশন গাংনী | What3words |
ক্যামেরা | 50mp |
দেশ | বাংলাদেশ |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন ভ্রমণ বিষয়ক পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকবেন সবাই। সকলের জন্য শুভকামনা রইল,আল্লাহ হাফেজ। |
---|
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার এই পোস্ট করে মনে হলে যেন আমিও আপনাদের সাথে ছিলাম। ওই মুহূর্তে আপনি মোবাইলে যোগাযোগ রাখতেন অনেক কিছু জানতাম তবে সরাসরি তো দেখা হয়নি তবে কিছুটা ফটোর মাধ্যমে দেখা শুরু হলো। পরবর্তী পোস্ট দেখার আশায় থাকলাম।
নতুন একটি জায়গার নাম আপনার পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম। পান ধোয়া নামটা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। আপনি ঠিকই বলেছেন গলি চিনে না রাখতে পারলে নানা রকম সমস্যায় পড়তে হয়। আমি শহরে অলি-গলি খুব একটা চিনে রাখতে পারি না যার কারণে আমাকে নানা রকম সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। পরবর্তী পোস্টে আপনার বিস্তারিত তথ্য জানার অপেক্ষায় রইলাম ধন্যবাদ ভাই।