আম্মুর জন্য সাভারে ওষুধ আনতে যাওয়া পূর্ব মুহূর্তের কিছু অনুভূতি
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি ঢাকা সাভারে ওষুধ কিনতে যাওয়ার পূর্বে পান ধোয়া ও বিশ মাইলে অবস্থানকালীন মুহূর্তের কিছু অনুভূতি শেয়ার করার জন্য, আশা করব এই পোস্ট পড়ার মধ্য দিয়ে বেশ অনেক কিছু বিষয়ে ধারণা পাবেন।
এখানে আপনারা তিনটি প্রেসক্রিপশনে দেখতে পাচ্ছেন বেশ কিছু ঔষধ এর নাম দেওয়া হয়েছে। ঢাকার ডাক্তার এবং কুষ্টিয়ার ডাক্তার এর ঔষধ গুলো দিয়েছিলেন। তবে বিশেষ প্রয়োজনের দুই ডাক্তারের ওষুধ গুলোই কিনতে হয়েছিল। কুষ্টিয়া ডক্টরের স্যালাইন ও মাল্টিভিটামিন আর ঢাকার ডাক্তারের মেডিসিন গুলো। আমি আমার আম্মার ওষুধ আনার জন্য পান ধোয়া বাজারের দিকে অগ্রসর হতে থাকলাম। দিনটা ঈদের আগ মুহূর্ত। সম্ভবত ঈদের ৩-৪ দিন আগে। একদিকে আম্মার অসুস্থতার কারণে মনের কষ্ট। আরেক দিকে ঈদে বাড়িতে যেতে না পারার কারণে খারাপ লাগা। তবুও মানিয়ে নিতে হয়েছিল পরিবেশটাকে। সৃষ্টিকর্তা যখন যেখানে যেভাবে রাখে সেখানেই সন্তুষ্টি থাকতে হবে। যা হোক প্রেসক্রিপশন গুলোর ফটো ধারণ করে পথের দিকে রওনা হলাম।
পান ধোয়া বাজার পার হয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের এরিয়ার এই স্থানটা কেমন জানি গাজার গন্ধ নাকে আসতে থাকলো। এ মুহূর্তে আমি পায়ে হেঁটে চেয়েছিলাম। আমার একটা স্বভাব রয়েছে বাইরে কোন শহরে যদি চলাচল করি সময় বুঝে গাড়িতে উঠার চেয়ে পায়ে হেঁটে দেখতে ভালবাসি এবং মনে রাখার জন্য ও চিনে রাখার জন্য কিছুটা সময়ের জন্য ধীরেসস্থে চলাচল করি। তাই ওই মুহূর্তে যখন আমি হাঁটছিলাম এই জায়গায়। এমন গন্ধটা বেশ আমাকে ভাবিয়ে তুলছিল। এখন হয়তো অনেকেই বলতে পারেন আপনি এই গন্ধো চিনলেন কি করে। হ্যাঁ গাজার গন্ধটা আমি এর আগে বেশ কয়েকবার অনুভব করেছিলাম নিকটস্থ কিছু মানুষের কাছ থেকে। আর সেই থেকে গন্ধটা আমার কাছে পরিচিত। তবে এই জায়গাটাতে ঐদিন সহ ঈদের পরের বেশ কয়েকদিন আমি এমন গন্ধয় লক্ষ্য করলাম, তবে জানিনা এটা কি সত্যি গাজার গন্ধ নাকি ঈদ উপলক্ষে কোন সেন্ড এখানে কেউ ব্যবহার করত। তবে বলতে গেলে নিকটে রয়েছে বেশ জঙ্গল। ওখানে দাঁড়িয়ে ফুলের ফটো ধারণ করেছি এবং একটু ভালোভাবেই গন্ধটা অনুভব করার চেষ্টা করেছি কতদূর পর্যন্ত। খেয়াল করে দেখেছি জঙ্গল এরিয়াটার পাশেই এই গন্ধটা বেশি।
তার এপাশে খুব সুন্দর একটা বড় বিল্ডিং তৈরি হচ্ছে দেখলাম। প্রতিনিয়ত চলাচল এ রাস্তার দিয়ে। বিল্ডিং এর দিকে প্রায় চোখ পড়ে থাকে। তাই একটু কেন জানি গাজার গন্ধটা আমি খোঁজার চেষ্টা করছিলাম। আর একটা জিনিস ভালো লক্ষ্য করেছিলাম এখানে যে সমস্ত মিস্ত্রী ভাইয়েরা কাজ করে তারা সন্ধ্যাকালীন মুহূর্তে ওখানেই থাকে। তাই এই দিন বাদে অন্য একদিন এক ব্যক্তিকে প্রশ্ন করেছিলাম। এখানে যে গন্ধটা নাকে আসছে একটু দূরে গেলে গন্ধটা নাই, তবে এখানেই বেশি, ঈদের বেশ কিছুদিন আগে থেকেই আমি লক্ষ্য করছি,কিসের গন্ধ হতে পারে? পথচারী ব্যক্তি খুব সহজে উত্তর দিলেন এখানে অনেক ডালখোর আসে। আমার আর বুঝতে বাকি রইল না তাই দ্বিতীয় কোন প্রশ্ন করলাম না হাসিমুখেই একসাথে পথ চলতে চলতে বিশমাইলের দিকে চলে গেলাম।
এদিকে ঢাকা সাভার বিশ মাইলে এসে দোকান থেকে ঠান্ডা এরপর আইসক্রিম নিয়ে নিলাম। হালকা খাওয়া-দাওয়া করে উঠে পড়লাম ফ্লাইওভারের উপর আরো ঠান্ডা হওয়ার জন্য। উদ্দেশ্য যখন আম্মার জন্য ঔষধ নিয়ে আসা তাহলে আর দেরি কিসের। তবে মনটাকে কিছুটা ফ্রেশ রাখতে আনমনা হওয়ার চেষ্টা ছিল বেশি, কারণ আম্মুর অসুস্থতা চোখের সামনে দীর্ঘদিন, খুব কষ্ট দিতে আমাকে। তবে এখানে এসে মানুষজন যেন একটু কেমন কেমন মনে হয়েছিল আমার কাছে। এখানে বাজারের লোকজন দোকানদারদের ব্যবহারটা জানি একটু অন্যমানুষের মত। তবে যাই হোক কিছুটা সময়ের জন্য ফ্লাইওভারে ঠান্ডা শীতল বাতাস অনুভব, দীর্ঘ রাস্তার দিকে চেয়ে থাকা,মানুষের চলাচল এক অন্যরকম ভালোলাগা যেন মনকে ফ্রেশ করে তুলেছিল। পথের দিকে চেয়ে দেখেছি ঈদের আগে অনেক মানুষ ঈদ উদযাপন করার জন্য বাড়ির দিকে ছুটছে। গ্রাম থেকে অনেক মানুষ গাড়িতে গাড়ি বোঝাই করে গরু নিয়ে ঢাকার দিকে যাচ্ছে। কত মানুষ তার নিজ নিজ দায়িত্বে ছোটাছুটি করছে ফ্লাইওভার এর উপর দিয়ে। ঠিক আমিও তাদের মধ্যে একজন,আমার ছুটে চলা আম্মার ঔষধ আনতে ঢাকা সাভারের দিকে। এরপর গাড়িতে উঠে চলে গেলাম ঔষধ আনতে ঢাকা সাভারে।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
বিষয় | ঔষধ আনতে যাওয়ার পূর্ব মুহূর্ত |
---|---|
লোকেশন | Location |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Huawei P30 Pro-40mp |
ফটোগ্রাফার | @sumon09 |
দেশ | বাংলাদেশ |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকুন সকলে। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার আম্মার জন্য ওষুধ কিনতে যাওয়ার অনুভূতি গুলো পড়ে ভালো লাগলো। তবে ওষুধ কিনতে যাওয়ার সময় গাঁজার গন্ধ পাওয়ার তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল দেখছি আপনার। যাই হোক ধন্যবাদ ভাই সব মিলিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ভালো লাগছে যেন খুশি হলাম