নাটক রিভিউ || হাড় কিপটে || ৪০ তম পর্ব
আজ - সোমবার
হাই! বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি অনেক অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম হাড় কিপটি নাটকের ১০৫ পর্বের মধ্য থেকে ৪০ তম পর্ব রিভিউ করে শেয়ার করার জন্য। আশা করি আমার এই রিভিউ পোস্ট আপনাদের অনেক অনেক ভালো লাগবে।
নাম | হাড় কিপটে |
---|---|
রচনা | বৃন্দাবন দাস |
পরিচালক | সালাউদ্দিন লাভলু |
অভিনয়ে | আমিরুল হক চৌধুরী, চঞ্চল চৌধুরী, বৃন্দাবন দাস, মোশাররফ করিম, আ খ ম হাসান, শামীম জামান, শাহনাজ খুশি সহ আরো অনেকে। |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | আঞ্চলিক বাংলা |
ধরণ | কমেডি,ড্রামা |
পর্বের সংখ্যা | ১০৫ |
রিভিউ | ৪০ তম পর্ব |
দৈর্ঘ্য | ১৮ মিনিট |
প্ল্যাটফর্ম | ইউটিউব @cdchoicedrama চ্যানেল |
চরিত্রেঃ
- মোশাররফ করিম
- আমিরুল হক চৌধুরীর
- চঞ্চল চৌধুরী
- বৃন্দাবন দাস সহ আরো অনেকে
অনেকদিন পর হারাধন দত্তের কুটুমরা এসেছে কিন্তু তাদের সাথে ভালো ব্যবহার চলছে না। ইতোমধ্যে অনেক কাহিনী হয়ে গেছে তাদের বাড়িতে। এদিকে শিবানীর বিয়ে দেওয়ার জন্য পাত্রপক্ষ এসে ঘুরে গেছে। এমন বিষয়টা বেশ লক্ষ্য করছে নজর আলী কৃপণের মেজো ছেলে বহর আলী। আর বিস্তারিত বিষয়গুলো তার বাবার সাথে সেসব কিছুই বলে থাকে। এদিকে হঠাৎ করে নজর আলী কৃপণের বাড়িতে হারাধন দত্তের কুটুম এসে উপস্থিত হওয়া দেখেই নজর আলী কৃপণ জ্বলে উঠলো। সে খুব সুন্দর ভাবে কথা বলার চেষ্টা করল তারপরেও নজর আলী যেন তাকে খেদিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। আর ইতিমধ্যেই জানতে পারলো নজর আলী কৃপণের স্ত্রী তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে। এই বিষয়টা শোনার পর হারাধনের কুটুম আশ্চর্য হল। সে আরো দেখতে পারলো যে নজর আলী কৃপণ এবং তার মেজো ছেলে বহর আলী গোপন আলোচনা করবে তাই তাকে বাড়ি থেকে চলে যেতে বলছে।
এদিকে গোল্লা হারাধন দত্তের একমাত্র ছেলে ভূবেনকে সুন্দর পরামর্শ দিচ্ছে মামারা থাকতে থাকতে এই চান্সে যেন সে বিয়ে করে ফেলে। কারণ মামারা চলে গেলে তো এত সুন্দর সুযোগ কেউ সৃষ্টি করে দেবে না তার বিয়ে করার জন্য। কিন্তু কিছুতেই ভূপেন রাজি হতে পারছে না। একদিকে তার নেই কোনো কর্ম, আরেকদিকে তার বাবা কেমন মানুষ সে খুব ভালো করে জানে।
এদিকে শিবানীর মুখ দেখতে আশায় তাকে তিনটা একশ টাকার নোট দেয়া হয়েছিল। সেই টাকাটা প্রথম হাতে নিতে গিয়েছিল চুমকি কিন্তু ছো মেরে কেড়ে নিয়েছিল শিবানী। এখন সেই টাকার বিষয়টা শিবানির বাবা হারাধন দত্ত জানতে পেরেছে। জানতে পারার পরে শিবানীর কাছে সে প্রশ্ন করেছে তাকে কত টাকা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সে তার বাবার কাছে মিথ্যা বলে বলল মাত্র দুইটা ১০০ টাকার নোট দেয়া হয়েছিল। কিন্তু পূর্বেই তার বাবা হারাধন দত্ত কত টাকা দেয়া হয়েছে না হয়েছে জেনে ফেলেছে। তাই শিবানী মিথ্যা বলে তার বাবার কাছে ধরা পড়ে গেল। এদিকে সে জানালো টাকা তার মামা কাছে দিয়েছে, কারণ পাত্র পক্ষের খাওয়ানোর জন্য যত খরচ করা হয়েছিল, এই জন্য মামারা টাকাটা হাতে নিয়ে নিয়েছে।
হারাধন দত্ত তার মামাদের কাছে টাকাটার বিষয়ে উপস্থিত হলো কিন্তু দেখা গেল শিবানীর মামা বড় একটা লিস্ট দেখিয়ে দিল,পাত্র আসায় কত খরচ হয়েছে। দেখা যাচ্ছে হারাধন দত্ত শিবানীর মামার কাছ থেকে টাকা বের করতে গিয়ে উল্টায় টাকার কথা বলে বসলো সিবানীর মামা। কারণ তার অধিক টাকা খরচ হয়েছে এই টাকা তো অবশ্যই শিবাদীর বাবার দেয়ার প্রয়োজন, সে কেন পাত্র দেওয়া সেই টাকার হিসাব নিতে এসেছে। যখনই উলটা খরচ ধরিয়ে দেওয়া হলো শিবানির বাবাকে, তখন শিবানির বাবা সেখান থেকে পালিয়ে গেল।
এদিকে কমলাবানু কোথায় গেছিল,সেটা তো তার স্বামীকে বলে যায়নি। এজন্য বেশি রেগে রয়েছে নজর আলী কৃপণ। নজর আলী কৃপণতার মেজো ছেলের মাধ্যমে যখন জানতে পারল জাব্বার চাচার বাড়িতে তার মা এবং ছোট ভাই গিয়েছে। তখন তারা সন্দেহ করল হয়তো জাব্বারের কাছ থেকে যত জমি জায়গা কেনা হয়েছে এ তো করবে সেগুলো হয়তো ষড়যন্ত্র করে জাব্বার নিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে মেয়ের মাধ্যমে। কারণ জব্বার চাচার ছোট মেয়ে নজর আলী কৃপণের ছোট ছেলের সাথে প্রেম করে। তারা ভাবলে হয়তো এই প্রেম কোন ছলনাময়ী ও নিশ্চয়ই এর ভেতরে কারণ আছে।
এদিকে নজর আলী কৃপণের বড় কুলাঙ্গার ছেলের প্রেমিকা চুমকি তাকে একটি লুঙ্গি উপহার দিয়েছে, তাই বড় কুলাঙ্গার মনের আনন্দে লুঙ্গিটা হাতে নিয়ে বাড়ির দিকে আসছে। কিন্তু পথে মধ্যে তার মেজো ভাই সন্দেহ করে লুঙ্গিটা কেড়ে নিল জোরাজোরি করার মাধ্যমে। সে মনে করেছিল হয়তো তার বাবার টাকা চুরি করে লুঙ্গি কিনে আনন্দ করছে বড় ভাই। ভুল করে সে তার বড় ভাইয়ের মুখে শুনতে চাইলো না লুঙ্গিটা কোথা থেকে পেয়েছে। লুঙ্গিটা কেড়ে নিল এবং আরো হুমকি দিতে থাকলো তার বাবা কাছে বিষয়টা জানিয়ে, তার শাস্তির ব্যবস্থা করবে।
হাড় কিপটে নাটকের চল্লিশ তম পর্বে লক্ষ্য করা যায় যে হারাধন দত্তের একমাত্র মেয়ের শিবানী এর মুখ দেখতে এসে পাত্র-পক্ষরা ৩০০ টাকা দিয়েছিল। সেই টাকা নিয়ে বাবা মায়ের মধ্যে বেশ মনোমালিন্য। কারণ হারাধন দত্ত চাই সেই টাকাটা নিজের হাতে নিতে। এদিকে হারাধন দত্তের কুটুম সেই টাকাটা আগেই খরচ করে ফেলেছে। এদিকে নজর আলী কৃপণ রয়েছে মহা বিপদে, কারণ চারিদিক থেকে তার শুধু ষড়যন্ত্র চলছে। ভাগ্নে গোল্লা এসে একের পর এক কাণ্ড ঘটিয়ে চলছে, এদিকে তার নিজের স্ত্রী আজ সংসারে আগুন ধরাতে জব্বার এর সাথে হাত মিলিয়েছে। ঠিক এমনটাই মনোভাব তার মধ্যে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে সত্য বিষয় তার স্ত্রী জাব্বারের কাছে গিয়েছিল, ছোট ছেলের প্রস্তাব নিয়ে। তবে হারকিপটে নাটকের চল্লিশ তম পর্বের সুন্দর অভিনয় লক্ষ্য করা গেছে বহর আলীর মধ্যে। নজর আলী হারাধন দত্ত বেশ দারুণ অভিনয় করেছে। তবে সেই নাটকের সৌন্দর্য সৃষ্টি করেছে বহর আলী। হয়তো আগামীতে লুঙ্গির বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আরো কিছু দেখতে পারবো এবং আনন্দ উপভোগ করতে পারব।
সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন নাটক রিভিউতে, ততক্ষণ ভালো থাকুন। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আজকের পর্বে কমলা বানু ও জাব্বার চাচার বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাবে গিয়েছিল এই বিষয়টুকু আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। দেখতে দেখতে আপনি আজকে হাড়কিপটে নাটকের ৪০ তম পর্ব শেয়ার করলেন। আপনার পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
হার কিপটে খুবই চমৎকার একটি নাটক।প্রতিটি অভিনেতার অভিনয় অসাধারণ বিশেষ করে চঞ্চল চোধুরির এই নাটক দেখেই আমি ফ্যান হয়ে গেছিলাম।অসম্ভব দারুন একটি নাটক রিভিউ করেছেন আপনি।
সিরিয়াল নাটকগুলো এখন আর আগের মতো দেখা হয়না। তবে ভাইয়া এই নাটকটা আমি অনেক আগে একবার দেখেছিলাম। নাটকটি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। এই নাটকে সবাই খুব অসাধারন অভিনয় করেছে। আর এই নাটকের সবার অভিনয় আমার ভালো লাগে। আজ আপনি এই নাটকের রিভিউটি খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন।