নাটক রিভিউ || হাড় কিপটে || ৩৯ তম পর্ব
আজ - সোমবার
হাই! বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি অনেক অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম হাড় কিপটি নাটকের ১০৫ পর্বের মধ্য থেকে ৩৯ তম পর্ব রিভিউ করে শেয়ার করার জন্য। আশা করি আমার এই রিভিউ পোস্ট আপনাদের অনেক অনেক ভালো লাগবে।
নাম | হাড় কিপটে |
---|---|
রচনা | বৃন্দাবন দাস |
পরিচালক | সালাউদ্দিন লাভলু |
অভিনয়ে | আমিরুল হক চৌধুরী, চঞ্চল চৌধুরী, বৃন্দাবন দাস, মোশাররফ করিম, আ খ ম হাসান, শামীম জামান, শাহনাজ খুশি সহ আরো অনেকে। |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | আঞ্চলিক বাংলা |
ধরণ | কমেডি,ড্রামা |
পর্বের সংখ্যা | ১০৫ |
রিভিউ | ৩৯ তম পর্ব |
দৈর্ঘ্য | ১৮ মিনিট |
প্ল্যাটফর্ম | ইউটিউব @cdchoicedrama চ্যানেল |
চরিত্রেঃ
- মোশাররফ করিম
- আমিরুল হক চৌধুরীর
- চঞ্চল চৌধুরী
- বৃন্দাবন দাস সহ আরো অনেকে
হারাধন দত্তকে নজরবন্দী করে রেখেছে তার দুই কুটুম। লোকজনের কাছে পাগল সাব্যস্ত করেছে। দুই কুটুমের উদ্দেশ্য বোনকে তারা হারিয়েছে হারাধনের দোষে। তারা এখন চায় না তার ভাগ্নে দুইটার জীবন নষ্ট হোক। কারণ শিবানীর বিয়ের বয়স পার হয়ে গেছে। বোনকে বিয়ে না দেয়া হলে এদিকে ভূপেন বিয়ে করতে পারছে না। তাই সেই সমস্ত বিষয়গুলো মাথায় রেখে দুই মামা উঠে পড়ে লেগেছে যে করে হোক আগে শিবানীকে বিয়ে দিতে হবে। তাই বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছে গোল্লার বুদ্ধিমত। এদিকে হারাধন দত্ত জোর করেও বাইরে বের হতে চাইলে কিছুতেই ভূপেনের মামা যেতে দিল না। কারণ পাগল নাম নিয়ে কিছুদিন ঘরে থাকতে হবে তার মেয়েটার বিয়ে আগে হয়ে যাক।
এদিকে নজর আলীর স্ত্রী তাকে না জানিয়ে ছোট ছেলের সাথে বাইরে কোথায় যেন গেল। এ বিষয়টা তদন্ত করার জন্য একমাত্র হাতিয়ার হিসেবে কাজ করবে নজর আলী কৃপণের মেজো ছেলে বহর আলী। তাই সে তার ছেলেকে খুঁজে বেড়ায়। এদিকে বহর খোঁজ নিতে গিয়েছিল হারাধন আঙ্কেলের বাসায়। তাদের বাড়ির সর্বশেষ খবরা খবর নেওয়ার জন্য। কিন্তু এদিকে নিজের বাড়িতে যে নতুন কোন কাহিনী ঘটতে যাচ্ছে সেটা সে জানে না। যখনই তার বাবার মুখে জানতে পারলো ছোট ভাই আর মা কোথায় যেন বের হয়ে পড়েছে প্রথমেই তার মাথায় চিন্তা আসলো বাবার দবিল। তাই বহর আলী তার বাবাকে বলল আব্বা আম্মা আর ভাইদের বাইরের দিকে গেছে তোমার টাকার প্রবলেম ঠিক আছে তো। ঠিক এমনই টেনশন মাথায় প্রবেশ করল নজর আলী কৃপণের। সে এতক্ষণ চিন্তায় ছিল তার পরিবার আর ছেলে কোথায় যাচ্ছে কিন্তু তার মাথায় এটা খেলছিল না, তারা যে বাইরে গেল তার তবিলের টাকাগুলো নিয়ে গেল কিনা।
এদিকে গোল্লা খুব সুন্দরভাবে পরামর্শ দিতে থাকলো ভূপেন এবং ভূপেনের মামাদের। পরবর্তীতে কি করলে ভালো হবে না হবে সেই বিষয়গুলো সুন্দরভাবে বুঝাতে থাকলো গোল্লা। তাই এক্ষেত্রে আমরা লক্ষ্য করলে একটা জিনিস ভালো করে বুঝতে পারি হারাধন দত্তের বাড়িতে আবার নজর আলীর বাড়িতে যত প্রকার কৌশল অবলম্বন করা হচ্ছে কৃপণদের বিপরীতে সব কিছুই গোল্লার পরামর্শ মত চলছে। মাঝে মধ্যে ভূপেন গোল্লার সাথে একমত পোষণ করতে পারে না কিন্তু খুব সুন্দর করে গোল্লা বুঝিয়ে দেয়। প্রথমত তার মামাদের মাথায় ভালোভাবে বিষয়গুলো ধরিয়ে দেয় তাই মামারাও সুন্দর করে ভূপেন কে বোঝানোর চেষ্টা করে।
এদিকে নজর আলী কৃপণের মেজো ছেলের বহর আলী ঠিকই খুঁজতে খুঁজতে মা এবং ছোট ভাইকে পেয়ে গেছে। সে এসে দেখতে পারলো ছোট ভাইয়ের প্রেমিকা চুমকির বাড়িতে মা আর ছোট ভাই এসে উপস্থিত। তাই বহর এর আর বুঝতে বাকি রইল না তার মা সম্বন্ধ নিয়ে এসেছে ছোট ভাইয়ের প্রেমিকার বাড়িতে। তাই বহর মনে মনে ভাবল তার পরিবার ধ্বংসের অন্যতম কারণ এখন মা। আর এই সমস্ত বিষয়গুলো সে তার বাবার কানে খুব ভালোভাবে দেবে এমনটাই আশা ব্যক্ত করল। কিন্তু দেখা যাচ্ছে আরেক দিকে বড় ভাইয়ের প্রেমিকা চুন কি বড় ভাইকে একটি লুঙ্গি উপহার দিচ্ছে। এই বিষয়টা যদি বহর জানতে পারেন না জানে আরো কি মনে করবে সে। বহর যতই দুই ভাইকে বোঝানোর চেষ্টা করে না কেন কোন কিছুতেই লাভ হয় না। তাই দুই ভাইয়ের প্রেম করা বিষয় নিয়ে বহর বেশ ক্ষিপ্ত।
নজর আলীর স্ত্রী ছোট ছেলের সম্বন্ধ নিয়ে জাব্বার কাকার বাড়িতে এসেছে সত্য কিন্তু জাব্বার কাকার কিছু কথাবার্তা মোটেও পছন্দ হয়নি নজর আলীর স্ত্রীর। উনি মনে করেছিলেন এত করে জব্বার তাকে ডাকতে পাঠিয়েছে অবশ্যই সে ভালো কিছু বলবে এবং সুন্দর ব্যবহার তার থেকে পাবে। তবে কিছু কিছু কথা রয়েছে যেগুলো অপমানজনক হয়ে থাকে মন থেকে মেনে নেওয়া যায় না ঠিক তেমনি কিছুটা হলে অপমানিত হলেন নজর আলীর স্ত্রী। তাই তাকে একটা কথাই বলে আসলেন যার সাথে যার বিবাহ হবে তা কেউ দূর করতে পারবে না।
এদিকে ভুপেনের মামারা অনেকদিন হলো তাদের গ্রামে বেড়াতে এসেছে কিন্তু নজর আজির সাথে দেখা হয় না। তাই ভূপেনের মামাদের মধ্যে একজন এসেছে নজর আলীর বাড়িতে বেড়াতে নজর আলীর সাথে কথা বলতে। কিন্তু নজর আলী শুরুতেই তার সাথে কথা কাটাকাটির মধ্যে চলে গেছে। মনে হচ্ছিল যেন তাদের দেখলেই ২ কৃপণের বেশ রাগ হয়। যখনই সে বলেছিল তাদের বোনটার সাথে একটু দেখা করে যায় কিছুতেই নজর আলী তাদের বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করতে দেয়নি। তিনি এখানে এই কথার সমাপ্ত করে চলে যাওয়ার মত ব্যবস্থা করায়। কারন সে জেনেছে পূর্বেই গোল্লার দেওয়া মুড়ি গুড় খেয়ে তারা সবার করেছে। না জানি তারা আবার কি খাওয়া দাওয়া করে ক্ষতি করে নজর আলীর।
হাড় কিপটে নাটকের ৩৯ তম পর্বের লক্ষ্য করা গেছে নজর আলী কৃপণকে না জানিয়ে তার পরিবার ছোট ছেলের বিয়ের সম্বন্ধের জন্য জব্বারের বাড়িতে গেছে। কিন্তু নজর আলী কৃপণ বিষয়টা না জানায় তার মেজো ছেলেকে গোয়েন্দা হিসেবে পাঠিয়েছে মা এবং ছোট ভাই কোথায় গেল দেখার জন্য। এদিকে হারাধন দত্তকে গৃহবন্দী করে রাখার মতো রেখেছে তার দুই কুটুমে। গোল্লা আগের মতই এখনো বুদ্ধি তৈরি করে দুই কৃপণ বাড়ির মধ্যে প্যাচ লাগিয়ে চলেছে সর্বদা। তবে এক্ষেত্রে বলতে পারি যে যার নিজ নিজ অবস্থানে রয়েছে সুন্দর অভিনয় ধরে রেখেছে। তবে আজকের এই পর্বে বেশ লক্ষনীয় ছিল বহর আলী আর তার পিতা নজর আলীর মানসিক টেনশনের বিষয়গুলো। কারণ তারা খুবই পেরেশানের মধ্যে রয়েছে নজর আলীর স্ত্রী এবং ছোট ছেলে কোথায় গেল কেন গেল কিছু না জানতে পেরে। আর এখানেই অভিনয়ের সৌন্দর্য ফুটে উঠেছে আরো। তাই আমি মনে করি আমিও যেমন এই অভিনয়ে বেশি আনন্দিত হয়েছি পাশাপাশি অন্যান্য দর্শকেরাও খুবই উৎসাহ ও আগ্রহের সাথে পরবর্তী পর্ব দেখার চেষ্টা করেছে বা করবে।
সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন নাটক রিভিউতে, ততক্ষণ ভালো থাকুন। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বৃন্দাবন দাসের লেখা এই নাটকটা আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। সে যতটা সুন্দর ভাবে নাটকটা লিখেছে সাথে সাথে নিজেও অনেক সুন্দর অভিনয় করেছে। এই নাটকটা ভালো লাগে না এমন মানুষ হয়তোবা খুঁজে পাওয়া যায় না।
অনেক অনেক ভালো লাগলো এত সুন্দর মন্তব্য পড়ে।
ভাই অনেক সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ করলেন। বৃন্দাবন দাসের নাটকগুলো আমার অনেক ভালো লাগে।আর এই নাটকটি তো অনেক সুন্দর নাটক।এই নাটকে প্রত্যেকেই অসাধারণ অভিনয় করেছে। অনেক আগে দেখেছিলাম একবার নাটকটি। আজ আবার আপনার নাটকের ভিডিওটি দেখে নাটকটি দেখতে ইচ্ছে করছে।
বেশ দারুন মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
এ নাটকটি গ্রাম বাংলার পরিবেশে নির্মিত নাটকগুলোর মধ্যে একটি অন্যতম জনপ্রিয় নাটক। যারা বাংলা নাটক পছন্দ করে, তারা এটি না দেখে থাকতে পারেন না।
হাড়কিপটে যদিও একটি শতাধিকের বেশি পর্বে বিভক্ত ধারাবাহিক নাটক, তবুও এটি একটানা দেখতে বসলে দেখা হয়ে যায়।
আজকের যে পর্বের রিভিউ দিলেন,সেটি আমার দেখা আছে। হারাধন দত্তের ঘরবন্দী অবস্থা দেখে বেশ হাস্যরস সৃষ্টি হয়, সাথে কলকাতা থেকে ফেরত শিবানির মামাদের গুন্ডাগিরিও নজরকাড়া।
সবার অভিনয় দারুণ এ নাটকে। এক কথায় অনবদ্য। মোশাররফ করিম ও চঞ্চল চৌধুরীদের মতো জাত অভিনেতা বেরিয়ে এসেছে এ নাটকের হাত ধরে।
যা হোক, খুব ভালো বর্ননা দিলেন। হাড়কিপটে একটি অবশ্যই যেকোন বাঙালির জন্য দেখার মতো একটি নাটক।
ধন্যবাদ।
অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাই আপনি আজ আমাদের মাঝে হাড কিপটে নাটক রিভিউ করেছেন। এই নাটকটি আমি অনেক আগে দেখেছিলাম কিন্তু ঠিকঠাক মনে নেই। কিন্তু এই নাটকের প্লেয়ার গুলো সব অনেক অভিজ্ঞ মোশারফ করিম আখম হাসান চঞ্চল এই নায়ক গুলোর নাটক আমার কাছ থেকে অনেক বেশি ভালো লাগে। আশা করি সময় করে দেখে নেব ভাই আপনি আজ আমাদের মাঝে নাটক রিভিউ করেছেন ধন্যবাদ।
অনেক অনেক ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য দেখে।
খুব সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ করেছেন ভাইয়া। আসলে নাটকটি অনেক মজার অনেক হাসির। নাটকটি আমি অনেকবার দেখেছি এবং হাসতে হাসতে পেট ব্যথা হয়ে যায়। হারকিপটা লোক ছেলে মেয়ের বিয়ে দিতে চায় না ,ভাবে টাকা পয়সা সব শেষ হয়ে যাবে, আসলে আগে কার যুগে মানুষ একটু অন্য রকমই ছিল এই নাটকটি দেখলে একটু বোঝা যায়। অনেক সুন্দর একটি নাটক আমাদের মাঝে ডিভিউ করার জন্য ধন্যবাদ।
এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
হাড় কিপটে নাটকটি অসাধারণ একটি নাটক। এই নাটকটি আমি পুরোপুরি দেখেছি। প্রতিটা অভিনেতার অভিনয় অনেক ভালো লেগেছে। আমার প্রিয় নাটকের মধ্যে এই নাটকটি অন্যতম একটি নাটক। আজকে আপনার কাছে এই নাটকটির রিভিউ দেখে খুবই ভালো লেগেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ এমন একটি নাটকের ধারাবাহিক রিভিউ দেওয়ার জন্য।
হ্যাঁ ভাই আমিও দেখেছি অনেকবার। আমারও খুব ভালো লাগে