আজ - সোমবার
০২ বৈশাখ,১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৫ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ
হাই! বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি হাড় কিপটে নাটক রিভিউ। আমরা জানি এই নাটকের ১০৫ পর্ব। আজ আমি ৩০ তম পর্ব আপনাদের মাঝে রিভিউ করে উপস্থাপন করব। চলুন আর দেরি না করে এখনই শুরু করি।
![Screenshot_20240415-171949.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmScEEi4tUpEAbs9N2kXUzTLyJCiQDHyULfndhP5xBM6nY/Screenshot_20240415-171949.jpg)
স্ক্রিনশট: ইউটিউব
নাটকের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যঃ |
নাম | হাড় কিপটে |
রচনা | বৃন্দাবন দাস |
পরিচালক | সালাউদ্দিন লাভলু |
অভিনয়ে | আমিরুল হক চৌধুরী, চঞ্চল চৌধুরী, বৃন্দাবন দাস, মোশাররফ করিম, আ খ ম হাসান, শামীম জামান, শাহনাজ খুশি সহ আরো অনেকে। |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | আঞ্চলিক বাংলা |
ধরণ | কমেডি,ড্রামা |
পর্বের সংখ্যা | ১০৫ |
রিভিউ | ৩০ তম পর্ব |
দৈর্ঘ্য | ১৮ মিনিট |
প্ল্যাটফর্ম | ইউটিউব @cdchoicedrama চ্যানেল |
চরিত্রেঃ
- মোশাররফ করিম
- আমিরুল হক চৌধুরীর
- চঞ্চল চৌধুরী
- বৃন্দাবন দাস সহ আরো অনেকে
হাড় কিপটে নাটকের ৩০ তম পর্বে সবচেয়ে বেশি হাস্যরস লক্ষ্য করা গেল, কৃপণ হারাধন দত্তের বাড়িতে তার দুইটা কুটুম এসেছে কিন্তু হারাধন দত্ত রাত্রে তো ঘর খুলে নাই। দিনের বেলায় সে ঘর খুলে বের হচ্ছে না। সবকিছুর মূল উদ্দেশ্য আত্মীয় এসেছে তার চাল খরচ হবে বেশি। এই কারণে তার মন খারাপ। অতঃপর ঘর থেকে বের হয়েছে কিন্তু কারো সাথে কোন কথা বলছে না। মনে হচ্ছে জবান বন্ধ হয়ে গেছে।
![Screenshot_20240415-170313.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmSK9FdPwe3UVmKqwafJ9EdD2esXFLfLDMz5gM4uKfHiCg/Screenshot_20240415-170313.jpg)
🎆স্ক্রিনশট: ইউটিউব🎆
এদিকে প্রধান কৃপণ নজর আলী তার জামাইকে হাত ধরে বাড়ি থেকে বের করে এনে মাফ চাচ্ছেন যেন সে তার বাড়ি থেকে চলে যায়। রীতি মতো অবাক করা কাণ্ড এমন দৃশ্যপট মানুষকে না হাসিয়ে থাকতে পারে না। জামাই কিন্তু খুব কৌশলে বলার চেষ্টা করেছিল সে তো বাড়ি যেতে চাই কিন্তু তার শাশুড়ি যেতে দেয় না। যখন নজর আলী তার শাশুড়িকে তার বাড়িতে নিয়ে যেতে বলে তখন সে পাল্টা শশুরকে এটাই বোঝায় আপনার জন্যই শাশুড়ি যেতে পারে না। আপনাকে দেখাশোনা কে করবে কে খাওয়াবে। এদিকে নজর আলী কৃপণের কৃপণ ছেলে বহর আলী খুবই আনন্দিত এইজন্য যে, হারাধন দত্তের বাড়িতে দুইটা হাতির মতো কুটুম এসেছে। তার এখন থেকে অনেক চাল খরচ হবে, এই ভেবে। কিন্তু নিজের বাড়িতে ফুফাতো ভাই আর দুলাভাই এসে খাবার ধ্বংস করছে সেই কথা স্মরণে ছিল না।
![Screenshot_20240415-172631.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmcX9tNuyzEMEWSsPo96FkYRGTEsD6vfqFw87Li7wMAKAo/Screenshot_20240415-172631.jpg)
🎆স্ক্রিনশট: ইউটিউব🎆
নজর আলী যেমন কৃপণ, তার মেজো ছেলে ঠিক তেমনি কৃপণ। সে সবসময় চাই যে তার বাড়িতে আত্মীয়-স্বজন না আসুক। আর আসা মাত্র যেন চলে যায়। এদিকে তার দুলাভাই এসেছে বেশ অনেকদিন হয়ে যাচ্ছে। তাই বহর আলীর বাবা যেমন সহ্য করতে পারছে না। ঠিক তেমনি বহর আলী। তাই গোল্লা আর দুলাভাই একসাথে বসে গল্প করছে, এমন মুহূর্তে বহর এসে দুলাভাইয়ের হাত ধরে টেনে বাড়ির দিকে পাঠিয়ে দেওয়ার চিন্তাভাবনা। আর এরই পাশাপাশি বিভিন্ন প্রকার কৌশল আর খেদানোর কথাবাত্রা অবলম্বন করছে। কিন্তু এই বিষয়টা গোল্লা খুব ভালো করে জানে তাই কিছুতেই দুলাভাইকে খেদাতে দিলেন না।
![Screenshot_20240415-173451.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmQnF5BJ7sNhR1Pfj77d66mS5bjzQFtVD3L5GMyYbgRcwH/Screenshot_20240415-173451.jpg)
🎆স্ক্রিনশট: ইউটিউব🎆
শিবানীর দুই মামা গতবার এসেছিল তাই অনেক চাল খরচ হয়েছে। এবার সেই ভয়েতে চাল চুলা কোন কিছুই জ্বলছে না। নিজেরাও খাওয়া-দাওয়া বন্ধ রেখেছে আবার এদিকে মামাদের পানিটা পর্যন্ত খেতে দেয়নি বিভিন্ন ধর্মের ব্যস্ততা অজুহাত দেখিয়ে। বোঝাতে চাই সে আর তার বাবা উপসে রয়েছে তাই রান্নাবান্না করা যাবে না। কৃপণতার সীমা এতটাই ছাড়িয়ে গেছে, যে এই অংশটুকু না দেখবে সে বুঝবে না। দুই মামা আর ভাগিনার কথা কাটাকাটিতে এমন একটা পর্যায়ে আসলো শিবানী তাদের মামা বলে অস্বীকার করে ফেলল।
![Screenshot_20240415-173930.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWSghQwbtRYfKQwVWPE8mG4HZYvcUY5Jx1ToEh9QVu3sq/Screenshot_20240415-173930.jpg)
🎆স্ক্রিনশট: ইউটিউব🎆
এদিকে রেশমার বাবা যে কোন মুহূর্তে রেশমাকে বিয়ে দিয়ে ফেলতে পারে। তাই নজর আলীর ছোট ছেলের মাথায় অনেক চিন্তা। কারণ সে দীর্ঘদিন রেশমার সাথে প্রেম করে। রেশমা একদিন বলেছিল তার বাবার কাছে যেন সে ভালোবাসে এই বিষয়টা জানায়। কিন্তু এদিকে নহরের বাবা কিছুতেই কুলাঙ্গার দুই ছেলেকে বিয়ে দিবে না। তাই নহর তার বড় কুলাঙ্গার ভাইকে টানতে টানতে নিয়ে যাচ্ছে। বড় গার্জেন হিসাবে সে যেন রেশমার বাবাকে একটু বলে তাদের প্রেমের কথা। নাটকের এই অংশটুকু এতটা হাস্যরসাত্মক আর অসাধারণ কাহিনী যে দেখেছে সে বারবার দেখতে চাইবে। কারণ গ্রামীণ পরিবেশে এমন নিখুঁত অভিনয়ের সত্যি মন কেড়ে নেয়।
![Screenshot_20240415-174102.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRi1eUT75VNNwy9c6PFceBnHZRHtKTQbNBAtNUTYU6UHW/Screenshot_20240415-174102.jpg)
🎆স্ক্রিনশট: ইউটিউব🎆
এদিকে হারাধন কৃপণের বাড়িতে দুই কুটুম আসায়, নজর আলীর মেজ কিপটা ছেলে বহরের মনে ঈদ লেগে গেছে। কারন সে এতটাই আনন্দিত হয়েছে যে হারাধন দত্ত যখন তখন নজর আলীর বিপদে তামাশা করতো এখন তার দুই কুটুম এসেছে, হাড়ি হাড়ি ভাত খাবে, তার ক্ষতি হবে, এতে বহরের ভালো লাগবে। এজন্য সে আনন্দ করতে করতে হারাধন দত্তের বাড়িতে এসে উপস্থিত। আর এমন অবস্থায় ৩০ তম পর্বে সমাপ্তি হয়ে যায়।
পূর্বের পর্বগুলো যেমন কম বেশি হাস্যরসে ভরা ছিল। আজকের এই ৩০ তম পর্ব তার চেয়েও যেন অধিক পরিমাণ হাস্যরসে ভরা। সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে এই পর্বে বহরের আনন্দ দেখে। একদিকে বহরের মনে কষ্ট বাড়িতে দুলাভাই আর ফুফাতো ভাই বাড়ি ছাড়ছে না তাই তার বাবার অনেক চাল খরচ হচ্ছে। এই বিষয়গুলো একটা সময়ে হারাধন দত্ত ইজিলি মনে করত এবং নজর আলীকে মশকরা কথাবাত্রা বলতো। কিন্তু এখন তার বাসায় দুই কুটুম আশাতে সে যেন হতবাক হয়ে ঘর আটকে বসে রয়েছে। আর এই বিষয়টা জানতে পেরে বহরের মনে আনন্দ জোয়ারের পানির মতো বয়ে চলছে। এদিকে নহর প্রেম করেছে রেশমার সাথে কিন্তু মুখ ফুটে আজ পর্যন্ত রেশমার বাবাকে বলতে পারেনি। তাই বড় ভাইকে গার্জিয়ান হিসেবে রেশমার বাবার কাছে উপস্থিত করার জন্য টানতে টানতে নিয়ে যাওয়ার এক হাস্য রস অভিনয় এই পর্বের মধ্যে ফুটে উঠেছে। এ পর্বে প্রত্যেক জনের অভিনয় নিজ নিজ অবস্থান থেকে অসাধারণ ছিল। আর এই পর্বে নতুন মাত্রা যুক্ত হল শিবানীর দুই মামা এসে। আশা করি পরবর্তী পর্বে তাদের হাস্যরসাত্মক অভিনয় লক্ষ্য করব।
৯.২৫/১০
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এই হারকিপটে নাটকটা আমার খুবই ভালো লাগে। এই নাটকের অনেকগুলো পর্ব আমি দেখেছি। আজকে আপনি আমাদের মাঝে হার কিপটে নাটকের ৩০ তম পর্ব শেয়ার করেছেন। নাটক রিভিউ পড়ে খুবই ভালো লাগলো আমার।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
হাড়কিপটে প্রতিটা পর্ব আমার দেখা আছে। আর এই নাটকটি এতটাই হাসি নাটক বলে বোঝানো যাবে না। আরে নাটকগুলো দেখলে ইচ্ছা করে প্রতিটা পর্ব দেখেই যাই। তবে এ নাটকে প্রত্যেকজন নিজের জায়গা থেকে খুবই চমৎকার অভিনয় করেছেন। এত সুন্দর একটি পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আপনার মন্তব্য দেখে অনেক ভালো লাগলো
গ্রামীণ নাটকগুলো অনেক বেশি সুন্দর। বিশেষ করে এই নাটকগুলোর মধ্যে অনেক হাসির ঘটনা ঘটে। যেগুলো দেখতে আমার কাছে একটু বেশি ভালো লাগে। এ নাটক গুলো আগে দেখা হতো, তবে এখন দেখা হয় না। কিন্তু নাটকগুলোর রিভিউ আপনাদের মাধ্যমে পড়তে পারি এটা অনেক ভালো লাগে। দেখতে দেখতে হাড় কিপটে নাটকটার ৩০ টা পর্ব শেষ হয়ে গিয়েছে। আর আমার কাছে প্রত্যেকটা পর্বের রিভিউ ভালো লেগেছে। যদিও মাঝেমধ্যে কয়েকটা পর্ব পড়া মিস হয়েছে। এত সুন্দর নাটকের রিভিউ শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
চেষ্টা করব একের পর এক রিভিউ করতে
নাটক দেখতে আমি অনেক বেশি পরিমাণে পছন্দ করি। তবে এখন সময়ের অভাবের কারণে তেমন একটা নাটক দেখা হয় না৷ আপনার কাছ থেকে আজকে এই নাটক দেখে খুবই ভালো লাগছে৷ যেভাবে আপনি নাটকটির রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তা একেবারে অসাধারণ হয়েছে। একের পর এক পর্ব আপনি খুব সুন্দরভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করে আসছেন৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷
বাকিগুলো রিভিউ করতে চায়