পুকুরের পরিবেশ ভিডিওগ্রাফি
আসসালামু আলাইকুম
হাই! বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজকে আমি আপনাদের ধারণা দিতে চলেছি পুকুরে মাছের খাবার দেওয়ার মুহূর্তে তার পরিবেশ কেমন হয়ে থাকে। হয়তো এই ভিডিওগ্রাফির মাধ্যমে কিছুটা দেখার সুযোগ মিলবে এবং ধারণা পাবেন।
Photo Editing by PicsArt app
Infinix Hot 11s
বড় পাঙ্গাস মাছের খাবার দেওয়ার মুহূর্তটা বেশ আনন্দদায়ক হয়। কারণ মাছগুলো যখন খাবার খায় তখন প্রচন্ড গতিতে শব্দ হতে থাকে পানি। আর হঠাৎ যখন সব লাফ মারে তখন বেশ অনেক দূর থেকে শব্দ শোনা যায় মাছ লাফ দিয়ে পালিয়ে। আবার খাবার খাওয়ার সময় যখন ভাসমান খাবার গুলো কাড়াকাড়ি করে খায় তখনও দেখতে ভালো লাগে। আর এভাবে প্রতিনিয়ত চলতে থাকে আমাদের এই মাঠের পুকুরগুলোতে পাঙ্গাস মাছ চাষ ও তার খাবার দেওয়ার প্রতি মুহূর্ত। প্রত্যেকটা দিন পাঙ্গাসের পুকুরে দুই থেকে তিন বেলা এভাবে খাবার দেওয়া চলে। বিক্রয়ের আগ মুহূর্তে অনেকেই ভাত রান্না করে খাওয়ান যেন দ্রুত চর্বি বেড়ে যায় এবং ওজন বেড়ে যায়। এই মুহূর্তে আপনারা যে পাঙ্গাস মাছ লক্ষ্য করছেন তা বড় সাইজের। এই মাছগুলোকে ভাসমান খাবার দেওয়া হয় একবেলা আর ডুবা খাবার দেওয়া হয় আরেক বেলায়।
Photography device: Infinix hot 11s
location
ভাসমান খাবারগুলো এমন ভাবে তৈরি করা হয় যেখানে খাবারগুলো রাখা হয় আশেপাশে বেশ বাস না ছড়ায়। আর এই খাবার খাওয়ার জন্য বন জঙ্গল থেকে গাছ-গাছালি থেকে শালিক পাখি ছুটে আছে খাবার দেওয়ার জায়গায়। যখনই পুকুরে খাবার ফেলা হয় তখন এই শালিকের পাল ছুটে আসে। পুকুরের ধারে যদি খাবার ভেসে বেড়াই, শালিক পাখিগুলো উড়ন্ত অবস্থায় সে খাবার মুখে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে। এখানে অনেক পুকুর রয়েছে তাই দেখা যায় সবাই তো একটা পুকুরের পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না দ্রুত খাবার গুলো ফেলে আরেক পুকুরে চলে যায়। তাই অনেক ভাসমান খাবার পুকুরের ঘাড়ে ভেসে থাকে, বড় বড় পাঙ্গাস মাছগুলো একটা একটা করে ধরে খায়। ঠিক পুকুরের ধারে ভেসে থাকা শত শত খাবার গুলো দেখে শালিক পাখিরা এসে ভিড় জমিয়ে ফেলে। আর তারা উপরেও যেভাবে খুঁজতে থাকে কোথাও খাবার পড়ে আছে কিনা, পুকুরে ভাসমান খাবার গুলো ঠিক সেভাবেই দেখে খাওয়ার চেষ্টা করে। আর এমনও পরিবেশ পরিস্থিতিতে যদি ঝিরিঝিরি বাতাস ভয় মাছের খাবার খাওয়ার শব্দ আর পাশের পুকুরে জেলে ভাইয়েরা মাছ ধরে। আর এভাবেই সুন্দর মনোরম পরিবেশ সৃষ্টি হয় পুকুরগুলোতে। জানিনা এমন পরিবেশ অন্য কোন এলাকায় আছে কিনা তবে আমাদের এখানে সারা মাঠ জুড়ে শুধু পুকুর। যেমন কৃষি জমি লক্ষ্য করা যায় এক বিঘা দুই বিঘা করে জমি তারপর আইল বা বাদ দেওয়া রয়েছে ঠিক এখানে পুকুর আর তার পুকুরপাড় নেই কোন কৃষি ক্ষেত। প্রতিনিয়ত এখানে এই সমস্ত কার্যক্রম চলতেই থাকে একদিকে মাছের খাবার দেওয়া আর একদিকে পুকুর সংস্কার আবার আরেক দিকে মাছ ধরা। তাই মাছের খাবার যেমন পড়ে থাকলে পাখিগুলো খেয়ে যায় আবার পুকুর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন সময় অনেক পোকামাকড় দেখে পাখিরা খেতে আসে। আর এভাবেই পাকপাখালিতে মুখরিত হয়ে থাকে সব সময় আমাদের এলাকার পুকুরপাড় গুলো।
Video device: Infinix hot 11s
location
পুকুরের এমন দৃশ্য উপর ভোগ করার জন্য বেশ দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ ঘুরতে আসে আমাদের এই স্থানগুলোতে। আবার আত্মীয়-স্বজন এসে পুকুর পাড় গুলো দেখে বেড়ায়। তবে যাই হোক বিভিন্ন কারণে পুকুরপাড়ে বসার জায়গা তৈরি করা হয়। একদিকে নিজেরা বসা বা সকালে পাখি তাড়ানোর জন্য আসতে হয় তাই রেস্ট নেয়া যায়। আবার দিনের বেলায় যখন মাছ ধরার সময় কিছুটা মুহূর্ত বসতে হয়,এজন্য জায়গায় জায়গায় মাচা তৈরি করা হয়। তবে পুকুরে মাচা দুই ধরনের তৈরি করা হয়। একপ্রকার মাচা তৈরি করা হয় এভাবে গাছের পাশে বসে থাকার জন্য, আরেকটা বাসা তৈরি করা হয় একদম পুকুরের ধার থেকে খাবার দেওয়ার জন্য। আমি চেষ্টা করব আমার ব্লগের মাধ্যমে আপনাদের মাঝে সব কিছু কম বেশি তুলে ধরতে। হয়তো মাঝেমধ্যে এই সমস্ত বিষয়ের পোস্ট নিয়ে উপস্থিত হব ভিডিও ও ফটোর মাধ্যমে।
Photography device: Infinix hot 11s
location
ভিডিও বিষয়ক | তথ্য |
---|---|
বিষয় | পুকুরের পরিবেশ |
ভিডিও ডিভাইস | মোবাইল ফোন |
ভিডিও ম্যান | @sumon09 |
Editing app | PicsArt & inshot |
YouTube channel | সোর্স |
লোকেশন | গাংনী-মেহেরপুর |
আমার বাংলা ব্লগের সদস্য,সুমন। থানাঃ গাংনী, গাংনী-মেহেরপুর বাংলাদেশ। দৈনন্দিন জীবনে আমার পথ চলার প্রতিপাদ্য বিষয়: সততা সচেতনতা সাহসিকতা যার মধ্যে ন্যায় নীতি নিহিত।
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ।
মাছের খাবার দেওয়ার দৃশ্য গুলো খুবই ভালো লাগে। মাছগুলো যখন ভেসে ওঠে তখন আরো বেশি ভালো লাগে ভাই। অসাধারণ মুহূর্তগুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার সবজির বা পুকুর পারের মাছের ভিডিওগ্রাফিগুলো সবসময় আমার ভালো লাগে। আজও আপনার পুকুর পারের ভিডিওগ্রাফি ভালো লেগেছে। কি সুন্দর দুপাশে দুটো পুকুর পরিবেশটা চমৎকার। আর মাঝে পেতে রাখা মাচার মধ্যে মনে হচ্ছে গিয়ে বসি থাকি আর এই সৌন্দর্য অনুভব করি।
আপনার মন্তব্য দেখলে আমার অনেক ভালো লাগে আপু।
আপনার এই ভিডিও ধারণের দিন তো আমিও ছিলাম ভাইয়া। খুবই সুন্দর মুহূর্ত ছিল তখন মাছের খাবার দেওয়া, সবজি উত্তোলন করা। মিয়া ভাইয়ের মাছের খাবার দেওয়া শালিক পাখির ঝাঁক এসে খাবার খোজা। এই সমস্ত জিনিস গুলো খুবই ভালো লাগে আমার এবং সেদিন উপভোগ করেছিলাম পুকুর পাড়ে। ভিডিওটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
হ্যাঁ একসাথে পুকুরে যাওয়া প্রাকৃতিক পরিবেশ উপলব্ধি করা ভালো লাগে।
গ্রামীন পরিবেশের এই ধরনের ভিডিও গুলো অনেক বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে পুকুরে মাছকে খেতে দেওয়ার যে মুহূর্ত, ওটা তো অসাধারণ হয়। অনেকদিন পর আসলে সেরকমই একটা ভিডিওগ্রাফি দেখলাম। আমি যখন গ্রামে থাকতাম তখন এইভাবে পুকুরে মাছদের খেতে দেওয়া হতো আর আমি দাঁড়িয়ে দেখতাম। যাইহোক, খুব সুন্দর হয়েছে ভাই ভিডিওগ্রাফিটা। আর ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকটাও বেশ ভালো ছিল।
হ্যাঁ ভাই ঠিক বলেছেন
পুকুরের মাছের খাবার দেওয়ার দৃশ্য গুলো দেখে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল ভাইয়া। আমাদের গ্রামের বাড়ীতে পুকুর ছিল। আর সকালবেলায় দাদুকে দেখতাম এভাবে খাবার দিতেন। আপনার পোস্ট দেখে ভালো লাগলো।
তখন দাদুকে দেখেছেন এখন ভাইকে দেখবেন