কোরবানির ঈদের আগের রাতে জাহাঙ্গীরনগরে ঘোরাঘুরি
হাই বন্ধুরা!
কেমন আছেন সবাই? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাই-বোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি দারুন একটি ভ্রমণ কাহিনী নিয়ে। যেখানে বেশ কিছু জানতে পারবেন এবং অনুভূতি সম্পর্কে ধারণা পাবেন। তাহলে চলো আর দেরি না করে এখনি ভ্রমন সম্পর্কে ধারণা অর্জন করি।
Huawei P30 Pro-40mp
আমরা সকলে কমবেশি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। পরিচিত জায়গাতেও অপরিচিত জায়গায় ঘোরাঘুরি করতে এবং সেই জায়গা সম্পর্কে ধারণা নিতে ভালো লাগে। আর যদি সেখানে দেখার কিছু থাকে তাহলে তো অবশ্যই মন চাই মোবাইলে ফটো ধারণ করে রেখে দেই। তবে আমার এই বিষয়টা ছিল একটু ব্যতিক্রম। দিনটা ছিল এবার কোরবানি ঈদের আগের রাতের সন্ধ্যা কালে মুহূর্ত। আমার অপারেশনের জন্য দীর্ঘদিন ঢাকায় ছিলাম। কোরবানির ঈদে বাড়িতে আসা সুযোগ হয়নি। তবে একটু একটু অনুভব করেছিলাম ঢাকা শহরে ঈদের দিন টা অতিবাহিত করব। বেশ কিছু জায়গায় ঘোরাঘুরি করতে যাওয়ার ইচ্ছা ছিল কিন্তু সেভাবে হয়ে ওঠেনি। তবে যাই হোক ঈদের আগের রাতে একটু ঘুরাঘুরি করার জন্য বের হয়েছিলাম ঢাকা সাভারের জাহাঙ্গীরনগর এরিয়ার পান ধোয়া বাজারের দিকে। খালাম্মাদের বাসা থেকে এক কিলো দূর। মেইন উদ্দেশ্য ছিল আমার কাছে তখন দেড় হাজারের বেশি টাকা ছিল না,তাই বাড়ি থেকে টাকা দিতে হবে। আর টাকার বিষয়টা ভাই কে বলেছে ছিলাম। ভাই বলেছিল ব্যস্ততার মধ্যে জিনে দেয়া সম্ভব না রাতে হলে ভালো হয়। এদিকে আমিও বলেছিলাম আজ ঈদের রাত বাইরের দিকে একটু ঘুরাঘুরি করতে যাব তাহলে রাতে দিলে পরে আমার নেয়া সুবিধা হবে। ঠিক এভাবেই ভাই টাকা দেওয়ার জন্য বিকাশের ঘরে যাই, এদিকে আমিও বাজারের দিকে ঘুরতে চলে আসি। যে কয়দিন ঢাকা শহরে ছিলাম সেই কয়দিন এই বাজারের বেশ কিছু দোকানদারদের সাথে আমার পরিচয় ও সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। তার মধ্যে ছিল এই বিকাশের ঘরটা।
Huawei P30 Pro-40mp
কিছুটা সময়ের জন্য এদিকে সেদিকে ঘোরাঘুরি করে এ দোকানটা এসে বসা হলো। ওদিকে ভাই 5000 টাকা বিকাশ করল। আমি এখান থেকে রিসিভ করলাম। তবে ওই মুহূর্তে নতুন একটা স্থানে ঈদের আগের রাতের অনুভূতি বেশ ইন্টারেস্টিং ছিল। কারণ সেখানে আমি একটা জিনিস বেশি লক্ষ্য করে দেখলাম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা এই বাজারে বেশ ঘোরাঘুরি করছে কেনাকাটা করছে চলছে ইত্যাদি। আর যত রাত হতে থাকলো তত যেন মানুষজন ঘর ছেড়ে বাইরের দিকে বেশি চলাচল করছে। এক কথায় ঈদের আনন্দ বলে কথা। বাজারে জায়গায় জায়গায় মিষ্টির দোকান গড়ে উঠেছে ঈদ উপলক্ষে। যেন অন্যরকম এক ফিলিংস নিয়ে আমিও সবার মাঝে চলতে থাকলাম এবং এখানকার মানুষের চলাচল আনন্দ উপভোগ করতে থাকলাম। আর এভাবে কিছুটা পথ অতিক্রম করে রাঙ্গামাটি প্লেগ্রাউন্ডে এসে উপস্থিত হলাম। যেটা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তর পাশের গেট থেকে বের হয়ে ক্যান্টনমেন্টের দিকে। সেখানে একটি স্তম্ভ রয়েছে। এ প্লে গ্রাউন্ডে জায়গায় জায়গায় মানুষের আনাগোনা উপস্থিতি। কয়েক জায়গায় ছোট ছোট চায়ের দোকান বসেছে, সিগারেট বিক্রেতা, পান বিক্রেতা, ফল বিক্রেতা সহ আরো অনেক বেচাকেনা চলছে এই প্লে গ্রাউন্ডে। সবকিছুই যেন দুচোখ ভরে শুধু দেখতে থাকলাম আর উপভোগ করলাম নতুন ও অচেনা কিছু।
Huawei P30 Pro-40mp
এরপর সেখান থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু এরিয়া ঘোরাঘুরি করলাম। হালকা ঠান্ডা খাবার খাওয়ার চেষ্টা করলাম গরমের মুহূর্তে। এরপর ঘোরাঘুরি করলাম প্রান্তিক এরিয়া। তারপর চলে আসলাম বিশমাইল প্রিয় ফ্লাইওভারের কাছে। সেখানে রয়েছে পান ধোয়া গামী গেট। গেটের পরেই রয়েছে বা হাতে একটু ফাঁকা এরিয়া। যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু গণ্যমান্য ব্যক্তিদের আড্ডা খানা মত। উপস্থিত অনেক মানুষকে লক্ষ্য করলাম বেশ আনন্দের মেতে আছে। বেশি উপভোগ করতে থাকলাম ঈদের মুহূর্তে এই জায়গার মানুষগুলো কেমন ভাবে উপভোগ করে সে চিত্র। এছাড়া সেখানে কিছুটা সময়ের জন্য শীতল হলাম। এরপর আরো ঘোরাঘুরি বাজারের মধ্যে। ঠিক এভাবেই অনেকটা সময় যেন মানুষের মধ্যে আনন্দের সাথে ঘোরাঘুরি করেছিলাম। তবে একটা জিনিস লক্ষ্য করছিলাম ঢাকা মুখে গাড়ি চলাচল খুবই কম ছিল। আবার ঢাকার বাইরে মানিকগঞ্জ অথবা চান্দুরার দিকেউ গাড়ি চলাচল কম করছিল। আচ্ছা বুঝতে পারছেন ঈদ উপলক্ষে মানুষজন যে যার মত বেশিরভাগ নিজ নিজ এলাকায় চলে গেছে তাই গাড়ি ঘোড়া চলাচল কমে গেছে। শুধু স্থানীয় মানুষগুলো অটো রিক্সায় ঘোরাঘুরি করছে এ রাতে। অন্যান্য সকলে মনের মত আনন্দ করে বেড়াচ্ছে ঈদের আগের রাত বলে। ওই মুহূর্তে আমার হাতের ব্যবহার করা ভালো মোবাইলটা নষ্ট থাকায় বিশেষ বিশেষ স্থানের কেমন ফটো ধারণ করার সুযোগ পায় নাই। তারপরেও এ মোবাইল থেকে যতটা সম্ভব করেছি কিছুটা ফটো দেখে স্মৃতি ধরে রাখতে এবং আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। এটাও দামি সেট কিন্তু সেভাবে রাতের ফটো ধারণ করা সম্ভব হয়ে ওঠেনা। যাই হোক অবশেষে খালাম্মার বাসায় ফিরে আসার আগ মুহূর্তে ফলের দোকানে উপস্থিত হলাম এবং কিছু লিচু কমলা লেবু সহ কেনাকাটা করে সোজা বাসার দিকে রওনা দিলাম। আর এভাবে ঈদের আগের রাতটা আমি উপভোগ করেছিলাম বিশ্বমাইল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও পান ধোয়া বাজারে আনন্দঘন মানুষের আনন্দের মাঝে কিছুটা সময়।
Huawei P30 Pro-40mp
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পোস্ট বিবরণ
ব্লগার | sumon09 |
---|---|
ডিভাইস | Huawei P30 Pro-40mp |
লোকেশন | What3words |
Camera | 50mp |
দেশ | বাংলাদেশ |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন ভ্রমণ বিষয়ক পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকবেন সবাই। সকলের জন্য শুভকামনা রইল,আল্লাহ হাফেজ। |
---|
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাইয়া আপনার মায়ের অসুস্থতার কারণে আপনি অনেকদিন ঢাকায় ছিলেন আমরা সবাই জানি। ঈদের আগের রাত্রে ঘোরাঘুরি করেছেন আর প্রয়োজনীয় বাজার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো।
হ্যাঁ আপু, তাই তখনই ঘোরাঘুরি করতাম।