আজ - সোমবার
০৯ বৈশাখ,১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২২ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ
হাই! বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজ আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি নাটক রিভিউ নিয়ে। আশা করি এই নাটকটি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে যদি আমার রিভিউ পড়ে থাকেন এবং নাটকটি দেখেন। আমরা জানি হাড় কিপটে নাটক ১০৫ পর্ব। আজ আমি ৩১ তম পর্ব আপনাদের মাঝে রিভিউ করে তুলে ধরতে যাচ্ছি। চলুন আর দেরি না করে এখনই শুরু করি।
![Screenshot_20240422-140621.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmTaDBZdACbSwE3tQ1hLXHVf2m5EvK32X1XWyNy2PWvwK9/Screenshot_20240422-140621.jpg)
স্ক্রিনশট: ইউটিউব
🤔নাটকের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যঃ🤔 |
নাম | হাড় কিপটে |
রচনা | বৃন্দাবন দাস |
পরিচালক | সালাউদ্দিন লাভলু |
অভিনয়ে | আমিরুল হক চৌধুরী, চঞ্চল চৌধুরী, বৃন্দাবন দাস, মোশাররফ করিম, আ খ ম হাসান, শামীম জামান, শাহনাজ খুশি সহ আরো অনেকে। |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | আঞ্চলিক বাংলা |
ধরণ | কমেডি,ড্রামা |
পর্বের সংখ্যা | ১০৫ |
রিভিউ | ৩১ তম পর্ব |
দৈর্ঘ্য | ১৮ মিনিট |
প্ল্যাটফর্ম | ইউটিউব @cdchoicedrama চ্যানেল |
চরিত্রেঃ
- মোশাররফ করিম
- আমিরুল হক চৌধুরীর
- চঞ্চল চৌধুরী
- বৃন্দাবন দাস সহ আরো অনেকে
হাড় কিপটে নাটকের ৩১ তম পর্বের লক্ষ্য করা যায় নজর আলী কৃপণের মেজো ছেলে বহর আলী বেশ আনন্দে আত্মহারা। কারণ তার হারাধন কাকা ডাব চুরির অপবাদ দিয়েছিল, এতে সে অনেক কষ্ট পেয়েছে। এই মুহূর্তে তার বাসায় দুই কুটুম এসেছে, তারা দেখতে ইয়া মোটা মোটা। হয়তো এখন হারাধন কাকার অনেক ভাত খরচ হতে পারে, আর সেই আনন্দে বহর আত্মহারা। আনন্দ করতে করতে এসে গেছে হারাধন কাকার বাড়িতে এবং হারাধন কাকার মেয়ে শিবানির কাছে খোব প্রকাশ করছে। তবে যাই হোক বহর মানুষ ভালো, সে জেনে গেছে কারা ডাব চুরি করেছে, সেটাই বলতে চাচ্ছে। কিন্তু তারা ভুলক্রমে জোড়া পাঁঠা মান্নত করে ফেলেছে তাই চাচ্ছে না চোর ধরতে। চোর ধরা পড়লে বড় ক্ষতি হয়ে যাবে। তাই শেষমেষ শিবানীকে বলল কাকাকে ডাক দাও, আমি তাকে একটু সান্তনা দিয়ে যায়।
🎆স্ক্রিনশট: ইউটিউব🎆
এদিকে নজর আলী কৃপণের দুই কুলাঙ্গার ছেলে প্রেম করে তো বসে আছেই, কিছুতেই তারা বাড়িতে রাজি করাতে পারে না বিয়ে করবে এই কথা। তাই ছোটটা খুব জোর জবরদস্তি করে বড় ভাইকে নিয়ে গেছে প্রেমিকার বাবার কাছে বিয়ের সম্বন্ধ নিয়ে। প্রেমিকা রেশমার আব্বা জব্বার আলী পরিষ্কারভাবে বলে দিয়েছে তাদের গার্জেন কে নিয়ে আসুক তখনই বিয়ের বিষয়ে কথা হবে। ছেলের বাবা না আসলেও মা আসলে তিনি কথা বলবেন।
🎆স্ক্রিনশট: ইউটিউব🎆
এদিকে গোল্লা কথায় কথায় মামার জমিতে ভাগ পায় বলে বসে। এই কথাটা বহর তার বাবাকে বলে দিয়েছে। তাই নজর আলি ক্ষিপ্ত হয়ে ভাগ্নেকে নির্জন স্থানে ডেকে এনে এই বিষয়ে প্রশ্ন করে। তবে গোল্লা তার চতুর বুদ্ধি দিয়ে খুব কৌশলে বুঝিয়ে দিল কেন সে এই কথা মুখ ফসকে বের করেছে। কারণ মাঝেমধ্যে বহর তার দুলাভাই এর সাথে খারাপ আচরণ করে আর সেই প্রেক্ষিতে গোল্লা এমন কথা বলেছে। আর এভাবেই মামাকে ভুলিয়ে-ভালিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করল এবং আরো মামার মনে সন্দেহ ধরিয়ে দিল বহরের টাকার তোবিল রয়েছে।
🎆স্ক্রিনশট: ইউটিউব🎆
জাব্বার চাচা যতই রাজি হয়ে থাক না কেন, তবুও জাব্বার চাচার মেয়ে রেশমার মনে ভয় রয়ে গেছে। তার প্রেমিক একজন কুলাঙ্গার, সে ভুল করে বাড়িতে বলতে পারে না বিয়ের কথায়। এজন্য রেশমা তার প্রেমিক নহর কে বলল আগে বাড়িতে ভালো করে রাজি করাও, আনন্দ করে কোন লাভ নেই। তোমার আগাগোড়া সবই আমার জানা। তবুও নজর আলীর ছোট কুলাঙ্গার ছেলে নহর খুবই আনন্দিত, কারণ রেশমার বাবা তো রাজি হয়েছে। এদিকে সে তার মাকে বুঝিয়ে সুজিয়ে জাব্বার কাকার কাছে নিয়ে যাবে। ঠিক এমনই আশাতে তার মনে আনন্দের শেষ নেই।
![Screenshot_20240422-213357.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmXw8HjJ5VvgaSdLxNRXg5CNASNhioC14sC26eNSZBVGnd/Screenshot_20240422-213357.jpg)
🎆স্ক্রিনশট: ইউটিউব🎆
হারাধনের বাড়িতে যখন দুই কুটুম এসে বিপদ সৃষ্টি করেছে, সেই মুহূর্তে হারাধনের ছেলে নতুন শার্ট-প্যান্ট গায়ে দিয়ে বাবুগিরি করে বেড়াচ্ছে। পথের মধ্যে প্রথম তো তার এমন বাবুগিরি ভাব দেখে বহর ভূপেনকে চিনতেই পারে নাই। পরবর্তীতে তাকে দেখে চিনতে পারল। সে খুবই আর্তনাদ করে বুঝালো তুই আনন্দে রয়েছিস কিন্তু তোর বাবা আমার হারাধন কাকা মনে কষ্ট নিয়ে বাড়িতে বসে রয়েছে, সেটা তুই বুঝিস না। এই মুহূর্তে তার বাড়িতে হাতির মতো দুইজন মানুষ এসে তার অন্নো ধ্বংস করছে এটা যে কত টেনশনের বিষয়ে যদি ভূপেন জানতো। তাহলে বাপের দুঃখে মর্মাহত হত। এদিকে বহর যে বুঝে ফেলেছে ভূপেনরা ডাব চুরি করে খেয়েছিল। একথা বহরের মুখে শুনে ভূপেনের বেশ মুখ শুকিয়ে গেল।
🎆স্ক্রিনশট: ইউটিউব🎆
বাংলাদেশের বহুল আলোচিত ও জনপ্রিয় একটি নাটক হাড় কিপটে। এ নাটকটা আমার খুবই ভালো লাগে। তাই ৩১ তম পর্ব আপনাদের মাঝে রিভিউ করে দেখালাম। এ নাটকের সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে আমার বহরের চরিত্র। কারণ ডাব চোর সে সন্ধান করে ফেলেছে কিন্তু এই মুহূর্তে যার ডাব তার কোন মাথা ব্যাথা নেই। কারণ শিবানী ভুল করে ডাব চোর ধরতে পারলে দুইটা পাঠা বলি দিবে বলে ফেলেছিল। আর এতে বড়ই ক্ষতিগ্রস্ত হবে তারা, এই কারণে আর দরকার নেই ডাব চোর ধরার। কিন্তু বিষয়টা বহরের জানা নেই। এই জন্য সে বেশ অবাক হচ্ছে। ডাব চোর ধরার জন্য হারাধন কিনা করেছে। আর এখন বহর চোরের সন্ধান পেয়ে হারাধন কাকা এবং তার মেয়ে এড়িয়ে চলছে। এরপর গোল্লার অভিনয়টা ছিল চমৎকার। সে এখনো কিন্তু তার আগের মত প্যাচ লাগিয়ে চলছে। নতুন করে মামার কানে বহরের নামে প্যাচ লাগিয়ে দিল। এদিকে নজর আলীর ছোট কুলাঙ্গার ছেলে নহর তো বেশ আনন্দে রয়েছে, কারণ তার প্রেমিকার বাবা বলে দিয়েছে তার গার্জেন নিয়ে এসে কথা বলুক তাহলে বিয়ের বিষয়ে সে মুখ খুলবে। ঠিক এমনই হাস্য রসাত্মক অনুভূতি নিয়ে প্রত্যেক জনার সুন্দর পারফরমেন্স। বেশ ভালো লেগেছে এই পর্বের সকলের অভিনয় গুলো।
৯/১০
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
অনেক সুন্দর লাগে যখন এই নাটকগুলোর রিভিউ পোস্ট পড়ি। গ্রামীণ নাটকগুলো আগে বেশি দেখা হলেও এখন দেখা হয় না। এখন খুবই কম নাটক দেখা হয়। আপনি অনেক সুন্দর একটা নাটকের রিভিউ শেয়ার করেন প্রতিনিয়ত, যেটা আমি বেশিরভাগ সময় পড়ার চেষ্টা করি। দেখতে দেখতে কিন্তু হাড় কিপটে নাটকটা 31 টা পর্ব শেষ হয়ে গিয়েছে। এ নাটকের বেশিরভাগ পর্ব আমার পড়া হয়েছে। রিভিউ গুলো সত্যি অনেক ভালো লাগতেছে। অনেক সুন্দর করে কাহিনীটা রিভিউর মাধ্যমে তুলে ধরতেছেন আপনি।
ধন্যবাদ ভাই, সুন্দর মন্তব্য করেছেন।