হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি রাতে পুকুর পাহারা করতে যাওয়ার মুহূর্তে অন্ধকারে কিছু ফটো ধারণ করেছিলাম, সেই সমস্ত সুন্দর সুন্দর ফটো নিয়ে। আশা করি বিভিন্ন পর্যায়ে ফটোগুলো আপনাদের বেশ ভালো লাগবে।
আপনারা প্রথমে দেখতে পাচ্ছেন আমাদের কাঁঠাল গাছের কাঁঠালের চিত্র। কাঁঠাল গাছের পাশেই রয়েছে মাঠে মোটর লাইনের কাট-আউট লাইন। বাড়ি থেকে পুকুরে যাওয়ার পূর্বে এখানে কাট-আউট লাইন অন করে দিয়ে যায়, আর সাথে সাথে মাঠের পুকুরের কারেন্ট লাইন চালু হয়ে যায়। ঠিক সেই মুহূর্তে ফটো ধারণ করেছিলাম পাশের কাঁঠাল গাছ থেকে। দেখতে পাচ্ছেন আমাদের গাছের কাঁঠালগুলো বেশ মোটা হয়ে গেছে।
এরপর বড় ভাইয়ের পাশের রুমে ছিল আমাদের লিচু গাছটা। লিচু গাছে বেশ অনেক লিচু ধরেছে। বিশেষ প্রয়োজনে ভাইয়ের সাথে কথা বলতে এসেই সেই রাতের অন্ধকারে ফটো ধারণ করলাম নিচুর। এগুলো চায়না থ্রি লিচু। খেতে খুবই সুমিষ্ট ও সুস্বাদু হয়ে থাকে।
এরপর রাতে রাস্তার দিকে যেতে সামনে আমাদের আম গাছে আম ঝুলে ছিল। তাই মনে হল যেহেতু ফলের ফটো ধারণ করছি আম কেন বাদ যাবে। তাই সেই মুহূর্তে মোবাইলের টর্চ জ্বালিয়ে ফটো ধারণ করলাম আমাদের এই আমের।
এরপর আরো একটু সামনের দিকে এগিয়ে যেতেই রয়েছে আমাদের লেবু গাছের লেবু। এই গাছটাতে এবার প্রথম অনেকগুলো লেবু ধরেছে। লেবু গাছটা আমি কলম আকারে তৈরি করেছিলাম একটি গাছের ডাল কেটে। খুব সহজে লেবু গাছ থেকে বেশি বেশি লেবু গাছ তৈরি করা যায় গুটি কলম করে।
এরপর আমাদের লেবু গাছের পাশেই ছিল তুহিন ভাইদের ডালিম গাছ। সেই ডালিম গাছে দেখলাম বেশ কিছু ডালিম ধরেছে এবং চোখের সামনে ঝুঁজে। ফটোগ্রাফির পাশাপাশি তুহিন ভাইদের ডালিম গাছ থেকেও ডালিমের ফটো ধারণ করে ফেললাম। সত্যিই এই সময় বিভিন্ন প্রকার ফলের দেখা যায়। কাজের মধ্যে ফটো ধারণ করতে গিয়ে অনেকগুলো ফল চোখের সামনে দেখতে পেলাম।
এরপর কিছুটা রাস্তার দিকে এগিয়ে যেতেই ছিল আকন্দ ফুল। রাস্তার পাশে খুবই সুন্দরভাবে ফুটে রয়েছে এই ফুলগুলো। রাতের আঁধারে বেশ ভালো লাগলো ফটো ধারণ করতে।
এরপর কিছুটা পথ যেতে দেখা হয়ে গেল একটি ব্যাঙের সাথে। বাগানের মধ্যে ব্যাঙটি পুকুর থেকে উঠে এসেছে পোকামাকড় শিকার করার জন্য। ঠিক আবার মোবাইলের টর্চ জ্বালানো দেখে সে যেন আরো একটু এগিয়ে আসলো আমার দিকে। কিছুটা সময়ে তার ফটো ধারণ করলাম আর ভালো করে দেখলাম ব্যাঙের চেহারা।
এরপর রাতে দুইবার মোটর চালু করলাম পুকুর পাড়ে উপস্থিত হয়ে। পাইপ দিয়ে দূরের পুকুরে পানি দিলাম। বেশ কয়েক জায়গায় পাইপ কানা থাকায় খুব সুন্দর করে পানি বের হচ্ছিল সেই লাইন দিয়ে। ফটো ধারণ করার চেষ্টা করেছি একাধিকবার।
এরপর বাড়ি চলে আসার আগ দিয়ে কিছুটা সময় পুকুর পাড়ে অবস্থান করলাম। তারপর ফসলের মাঠের কিছু ফটো ধারণ করেছিলাম। প্রচন্ড গরমের দিনে রাত্রিবেলায় হালকা ঝিরিঝিরি বাতাস হয়েছিল। আর সেই মুহূর্তে ফসলের মাঠ থেকে কিছু ফটো ধারণ করলাম। এরপর আস্তে আস্তে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম।
| বিষয় | রাতের ফটোগ্রাফি |
|---|
| ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Infinix Hot 11s |
| লোকেশন | গাংনী-মেহেরপুর |
| ব্লগার | @sumon09 |
| দেশ | বাংলাদেশ |
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
| পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকুন সবাই। আল্লাহ হাফেজ। |
|---|
রাতের বেলা খুব সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। তবে আপনার রাতের বেলা ফটোগ্রাফি গুলো সত্যি অনেক সুন্দর হয়েছে। আসলে আপনার ফলের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো। এবং আকন্দ ফুল ও ব্যাঙের ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে। সত্যি ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর করে বর্ণনা দিয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
ব্যাঙটা একদম সামনে বসে ছিল।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
রাতের বেলায় পুকুর পাহারা দেওয়ার পাশাপাশি বেশ সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন দেখছি। তাছাড়া চায়না থ্রি লিচুগুলো খুব সুন্দর লাগছে দেখতে। পানির পাইপ দেখছি বেশ কয়েক জায়গায় ফুটো হয়ে গিয়েছে। সেই ফটোগ্রাফিও করে নিয়েছেন। সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে আমার কাছে ধানের ফটোগ্রাফিগুলো। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু যাওয়ার পথে সব ফটো ধারণ করেছিলাম
রাতের ফটোগ্রাফিগুলো তো অসম্ভব সুন্দর লাগে। যেটা আপনার ফটোগ্রাফি গুলো না দেখলে বুঝতেই পারতাম না। প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি এত সুন্দর এবং ক্লিয়ার হয়েছে যে দেখেই মুগ্ধ হয়ে গিয়েছি।রাতের বেলায় পুকুর পাহারা দিতে গিয়ে এত চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি তুলেছেন এবং এগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করে নিয়েছেন এজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই ভাইয়া।
রাতের অভিজ্ঞতা আপনাদের মাঝে তুলে ধরেছি আপু।
কমিউনিটির মধ্যে রাতের বেলার ফটোগ্রাফী খুবই কম শেয়ার করা হয়। আজকে আপনি রাতের বেলা বেশ কয়েকটি ফলের ফটোগ্রাফী আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার মোবাইল ক্যামেরার মাধ্যমে ধারণ করা রাতের অন্ধকারে করা ফটোগ্রাফী গুলো আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
ভাই আপনি কি দিনের বেলায় প্রখর রোদের জন্য বাইরে বেরোতে পারেন না বলে কি রাত্রে ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার তোলা ফটোগ্রাফি গুলো ভিন্ন ছিল, আর ভিন্ন ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে সব সময় ভালো লাগে। আপনাকে ধন্যবাদ এই ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এখানে আপনাদের গাছের ডালিম এর ফটো ছিল ভাইয়া।
ভাই, আমিও রাতের বেলায় ফটোগ্রাফি করতে ভীষণ পছন্দ করি। এর আগে আমি কয়েকবার সুন্দর সুন্দর কিছু ফুলের ফটোগ্রাফি করেছিলাম রাতের বেলায়, যার কারনে ফুলগুলো দেখতে খুবই সুন্দর লেগেছিল। আজ আপনার ফটোগ্রাফিতে রাতের বেলার ভিন্ন ভিন্ন ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মন ছুঁয়ে গেল।
হ্যাঁ ভাইয়া যেতে পথে হঠাৎ মনে হল রাতের ফটো গুলো কেমন হয় তাই ধারণ করেছিলাম।
রাতের বেলাতেও বেশ সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করেছেন ভাইয়া। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে খুবই ভালো হয়েছে। খুবই নিখুঁত ভাবে ফটোগুলো তুলেছেন। প্রত্যেকটা ফটো দেখতে দুর্দান্ত হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
প্রশংসা করার জন্য ধন্যবাদ আপু
দেশীয় ফলমূলসহ আপনার পোস্টকৃত, রাতে ধারণ করা ছবি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। ছবির পাশাপাশি বর্ণনাও তুলে ধরেছেন বেশ গুছিয়ে। প্রতিটি ছবি সুন্দর হলেও ডালিমের ছবিটি সবথেকে বেশি ভালো লেগেছে। ফটোগ্রাফি পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম ডালিম টা তুহিন ভাইদের গাছে।
রাতের বেলা পুকুর পাহারা দিতে যাওয়ার সময় খুব সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার তোলা ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে সত্যি খুব ভালো লাগছে। অন্ধকারের মধ্যে তোলা আম, কাঁঠাল, লিচুর ফটোগ্রাফি গুলো খুবই দারুণ লাগছে। আর পানির পাইপের ফুটোগুলো দিয়ে পানি বের হওয়ার ফটোগ্রাফিটিও বেশ চমৎকার লাগছে। এত চমৎকার চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
পানি বের হওয়া টা আমার কাছে খুব ভালো লাগছিল তাই ফটো তুলেছি