হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি বামুন্দি বাজার থেকে শীতের সময় ভাপা পিঠা খাওয়ার অনুভূতি নিয়ে। আশা করি আমার এই অনুভূতি আপনাদের ভালো লাগবে অনেক।
দীর্ঘদিনের সুপরিচিত বামুন্দী বাজার। কেনাকাটা উদ্দেশ্য হোক অথবা ভাজাপোড়া জাতীয় জিনিস খাওয়ার উদ্দেশ্যে হোক উপস্থিত হয়ে যায় সেই বাজারে। বাজারটা আমাদের বাড়ি থেকে ৮-১০ কিলো দূরে হলেও গ্রামীণ ফাঁকা পথ দিয়ে যেতে বেশ ভালো লাগে। বিকাল অথবা সন্ধ্যার সময় বেশি চলাচল সেখানে কিছুটা সময় অতিবাহিত করার জন্য। হাট-বাজার করা ছাড়াও কিছুটা সময় প্রশান্তির খোঁজে এই বাজারে সময় পার করি। শীতের সময় ভাপা পিঠা গরম ডিম ঝাল মুড়ি সহ বিভিন্ন খাবারের যেন মেলা বসে এই জায়গায়। তাই বামুন্দি বাস স্ট্যান্ড বাজার হয়ে ওঠে জাঁকজমকপূর্ণ ছোট ছোট দোকানে। ঠিক তেমনি বিভিন্ন উদ্দেশ্যে আমরা উপস্থিত হই খাওয়া-দাওয়া, কেনাকাটা অথবা ঘোরাফেরার জন্য।
এক সন্ধ্যায় ওষুধ কেনার জন্য উপস্থিত হলাম বামুন্দি বাজারে। আমি আর আপনাদের সুপরিচিত ইমন ভি একসাথে ছিলাম। উদ্দেশ্য ছিল কিছু খাওয়া দাওয়া করার এই জন্য সন্ধ্যাকালীন মুহূর্তে বের হয়েছিলাম। সেখানে উপস্থিত হয়ে দেখতে পারলাম পূর্ব দিনগুলোর মত আজকেও জানো ছোট ছোট বিভিন্ন খাবারের দোকান ভ্যান গাড়িতে করে উপস্থিত। পাশাপাশি আমাদের মত অনেক মানুষ এসে উপস্থিত হয়েছে যে যার ইচ্ছেমতো খাবার খাওয়ার উদ্দেশ্যে। যেহেতু এখানেই স্কুল কলেজ গেট রয়েছে তাই স্টুডেন্ট টাইপের মানুষের সংখ্যারো কম থাকে না। যাইহোক একটি ভাপা পিঠা তৈরি করা ভাইয়ের কাছে উপস্থিত হলাম। এদিকে এমন উপস্থিত হলো ডিমসিদ্ধর কাছে। এরপর ভাপা পিঠা তৈরি করা আমি সুন্দর করে ফটো ধারণ করছিলাম। কয়েকজন মানুষ প্রশ্ন করে বসলো আপনি কি সাংবাদিক। আমি বললাম না ভাই সাংবাদিক হলে সাংবাদিকের কার্ড থাকতো কাছে। সুন্দর পিঠা তৈরি করছে ভাইজান এ জন্য ফটো ধারণ করছি অনলাইনে ছাড়বো।
এরপর ভাপা পিঠা তৈরি করা ভাই বলল তোলেন ভাই কোন সমস্যা নেই,আমার আমি গরিব মানুষ খেটে খায়। আমি বললাম ভাই আপনি ভীত হবেন না আমি কোন সাংবাদিক নই। আপনার সাথে সেলফি ও নেব সেগুলো অনলাইনে দিবো। এগুলা ঐতিহ্য ধরে রাখার। ইতোমধ্যে তাকে বললাম আমার জন্য চারটা ভাপা পিঠা দ্রুত তৈরি করে দিন। অনেক মানুষের সিরিয়াল ছিল তখন। উনি ভাপা পিঠা তৈরি করে অসুমর হয়ে পড়ছিলেন। উনার সাথে বেশ অনেকক্ষণ কথা হলো, নাম পরিচয় জানলাম। উনিও আমাদের ঠিকানা জানেন। আর এভাবে পরিচিত হয়ে তারপরে বেশ অনেকদিন তার কাছে ভাপা পিঠা খেয়েছি।
খেজুরের পাটালি গুড় দিয়ে এই ভাপা পিঠা প্রস্তুত করত তাই খেতে খুবই ভালো লাগে। শীতকাল চলে গেছে, তবে সেই সুন্দর মুহূর্তটা এখনো স্মৃতি হয়ে রয়েছে। এখনো যেন মনের মধ্যে সেই ভাপা পিঠা খাওয়ার স্বাদ লেগে রয়েছে। আজ শুক্রবার বামুন্দির হাট-বাজারের দিন। আজকের সন্ধ্যাবেলায় একই জায়গায় উপস্থিত হয়েছিলাম কিন্তু শীত চলে যাওয়াই আর সে ভাপা পিঠা দেখা যায় না। বড় মিস করছিলাম মুহূর্তটা। দেখলাম হাইরোড নতুন করে সংস্কার চলছে তাই সেখানে কোন খাবারের দোকানের চিহ্ন নেই। যেন কিছুটা অসহায় মত অনুভূতি হল আমার। এরপর বাজার থেকে ফিরে এলাম। শুধু মনে মনে ভাবলাম ফটো ধারণ করেছিলাম ওই দিনের কথা।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
বিষয় | কেনাকাটা |
লোকেশন | Location |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Infinix hot 11s |
ফটোগ্রাফার | @sumon09 |
দেশ | বাংলাদেশ |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকুন সকলে। আল্লাহ হাফেজ। |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
শীতের এক সন্ধ্যায় বামুন্দি বাজারে ভাপা পিঠা খাওয়ার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনি। আমি আপনার পোস্ট পড়ে মুগ্ধ হলাম। শীতের সময় ভাপা পিঠার মজাই আলাদা। সঙ্গে যদি খেজুরের পাটালি গুড় দিয়ে এই ভাপা পিঠা প্রস্তুত করা হয় খুবই ভালো লাগে। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে সব কিছু পরিবর্তন হয়ে যায়।
হ্যাঁ ভাই হয়ে জাতীয় পিঠাগুলো খুব ভালো লাগে