কাকাবাবু ও চন্দন দস্যু||বই রিভিউ
অনেক দিন পর ফেরৎ আসলাম আপনাদের মাঝে। পরীক্ষার চক্করে এতদিন আপনাদের থেকে দুরে ছিলাম।থিউরি পরীক্ষা শেষ,এখন সামনে প্র্যাকটিক্যাল বাকি। কিন্তু বেশিদুর কমিউনিটি থেকে দূরে থাকা যায় না তাই ফিরে আসলাম আপনাদের মাঝে। যেহেতু পরীক্ষা নেই সেজন্য পড়াশুনাও নাই। তাই সময় ও কাটছিল না।এজন্য সময় কাটানোর জন্য পড়া শুরু করলাম গল্পের বই।সেই বইয়ের রিভিউ শেয়ার করব আপনাদের সাথে।
সংক্ষিপ্ত বর্ণনা:
বইয়ের নাম | কাকাবাবু ও চন্দনদস্যু |
---|---|
লেখক | সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় |
জনরা | রহস্য,অ্যাডভেঞ্চার |
রেটিং | ২/৫ |
কাহিনী সংক্ষেপ:
প্রথমেই কাকাবাবুর একটু পরিচয় দিয়ে নেই।কাকাবাবুর আসল নাম রাজা রায় চৌধুরি। কাকাবাবু ভারতের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের একজন বড় কর্মকর্তা ছিলেন। কিন্তু আফগানিস্তানে একটি বড় দূর্ঘটনায় তার দুইটি পা নষ্ট হয়ে যায়।তারপর থেকে উনি বাড়িতেই থাকেন।তবে মাঝে মাঝে উনি কিছু অ্যাডভেঞ্চারে যান।সাথে থাকে তার ভাইপো সুনন্দ রায় চৌধুরি যে সন্তু নামে পরিচিত। তবে এই গল্পে একজন নতুন ক্যারেক্টার আছে,জোজো।জোজো সন্তুর বন্ধু।
প্রথমেই আমরা দেখি কাকাবাবু আর জোজো গল্প করছে। এর মাঝে জোজো জানায় সন্তু একটি মেডেল পেয়েছে। কাকাবাবু অবাক হয়,কারন সন্তু তাকে জানায় নি।মেডেল পাওয়ায় কাকাবাবু সন্তুদের সাথে নিয়ে ঘুরতে যেতে চান। লটারির মাধ্যমে ঠিক করা হয় কোথায় যাওয়া হবে। লটারি তে নাম ওঠে কলিকট। কলিকট সেই জায়গা যেখানে পর্তুগীজ জলদস্যু ভাস্ক-ডা-গামা প্রথম পা রাখেন। এর মাঝেই বিমানের টিকিট চলে আসে,এতে সন্তু আর জোজো অবাক হয়ে যায়।কারন সিদ্ধান্ত মাত্র হল,এর মাঝে টিকিট ও চলে আসল।
তখন কাকাবাবু জানায় উনি একটি ম্যাজিক ট্রিক্স এর মাধ্যমে সন্তুদের বাধ্য করেছেন লটারিতে কলিকট তুলতে। সন্তুরা সেদিনই রওনা দেয় কলিকটের উদ্দেশ্যে।এর মাঝেই সন্তুদের পেছনে লোক লাগে।কিন্তু কাকাবাবু বিষয়টাকে কাকতালীয় বলেন।কলিকটে পৌছানোর পর কাকাবাবু বলেন কেন উনি কলিকটে আসলেন।কিছুদিন আগে কাকাবাবু ভাস্কো-ডা-গামা কে নিয়ে একটি প্রবন্ধ লিখেছিলেন।তারপর থেকে তার কাছে চিঠি আসা শুরু হয় কলিকট থেকে। অনেক গণ্যমাণ্য ব্যক্তি চিঠি লিখে জানান যে এখনো নাকি কলিকটে ভাস্কো-ডা-গামা কে দেখা যায়।
এতেই কাকা বাবু উৎসাহিত হয়ে কলিকটে পৌছে যান। কিন্তু ওখানে গিয়ে খোজ নিয়ে দেখেন তাকে যারা চিঠি লিখেছেন তাদের কোন অস্তিত্বই নেই। কাকাবাবু দ্বিধায় পড়ে যান। কিন্তু তারপরেও ঠিক করেন তিনি এই ঘটনার শেষ দেখে ছাড়বেন।তাই তিনি রাতের বেলা সেই জায়গায় যান যেখানে ভাস্কো-ডা-গামা কে দেখা যায়।কিন্তু সেখানে নামা মাত্রই বন্দুকের মুখে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় একটি অজানা জায়গায়।
কারা এরা? ভাস্কো-ডা-গামা র ভূতের রহস্যের পেছনে আসল ঘটনা কি? কাকা বাবু কি মুক্ত হতে পারবেন?
ব্যক্তিগত মতামত:
কাকাবাবু মানেই প্রাচীন কোন রহস্য আর অ্যাডভেঞ্চার।সেই আশা তেই বইটি হাতে নেওয়া।কিন্তু একটু যেন হতাশ হয়েছি।কারন তেমন রহস্যই ছিল না। বইটি কাকাবাবুর নামের সুবিচার করতে পারে নি।তবে যে একদম অখাদ্য ছিল তা নয়। তবে সুখপাঠ্যও নয়। সময় কাটানোর জন্য পড়তে পারেন।তবে হাতে ভাল অপশন থাকলে না পড়াই ভাল।
আমি বৃত্ত মোহন্ত (শ্যামসুন্দর)। বর্তমানে ছাত্র। নতুন কিছু শিখতে, নতুন মানুষের সাথে মিশতে আমার খুব ভাল লাগে। তেমনি বই পড়া আর ঘুরে বেড়ানো আমার পছন্দের কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম। মুক্তমনে সব কিছু গ্রহণ করার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি,"বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র"।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বই পড়তে বরাবরই আমার অনেক ভালো লাগে।কাকাবাবু সমগ্রর এক, দুই, তিন ও চার নম্বর পার্ট পড়া হয়েছে কিন্তু ৫ নম্বর পার্টটি এখনো পড়া হয়নি তোমার পোস্টটি পড়ে গল্পটি সম্পর্কে অনেকটা ধারণা পেলাম।পরবর্তী পার্ট পড়ার জন্য খুব আগ্রহ বেড়ে গেল।তোমাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আমাদের মাঝে এত সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ কাকিমা সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।