মুখোশ ||স্বরচিত কবিতা
কবিতা অনেক সেন্সিটিভ একটি বিষয়,কারন কবিতার পাঠকরা আলাদা লেভেলের হয়। তাদের রুচিবোধ অনেক উচ্চমার্গের। তাই কবিতার নামে যা তা লেখলে গালি খেতে হবে ফ্রি ফ্রি। এজন্য আমি কবিতা খুব কম লেখি। প্রথমত আমার মাথায় কবিতার প্লট আসে না,দ্বিতীয়ত প্লট আসলেও সেই অর্থ প্রকাশ করার সঠিক শব্দ পাই না।তাই লেখা হয়ে ওঠে না। গতকাল রাতে তারাতারি ঘুমানোর চেষ্টা করছিলাম, কিন্তু ঘুম কিছুতেই আসছিল না। তখনই কবিতাটি মাথায় আসে,লিখে রাখব ফোনে চার্জ ছিল না,আবার ঠান্ডায় লেপের নিচে থেকে উঠে খাতা কলম আনতেও ইচ্ছা করছিল না। কিন্তু প্লটটি বেশ পছন্দ হয়েছিল তাই কষ্ট করে খাতা কলম এনেই লেখা শুরু করলাম।ভাবলাম লিখে যখন ফেলেছিই আপনাদের সাথেও শেয়ার করি। ভাল খারাপ যেটাই হোক,ভুল গুলো তো আপনারব ধরিয়ে দেবেন।আর সেগুলো থেকেই পরবর্তীতে উন্নতি করা যাবে।
মুখোশ
কি জানি কি হয়েছে আজ কাল
চারদিকে শুধুই মুখোশ দেখতে পাই
হাসছ? ভাবছ পাগল হয়েছি?
না তা নয়,একদম সত্য বলছি।
হাত পা সব ঠিক আছে,
খালি মুখের জায়গায় মুখোশ আটা,
জানিনা কেন এমন হচ্ছে,
কোন পাপের পাচ্ছি সাজা.
কোন অভিশাপে
নিজের দুচোখ দিচ্ছে ধোকা?
কি বুঝলে না এখনো আমার রোগ?
সবুর করো, সব বলছি খুলে।
এইতো সেদিন এলো এক বাবু
গায়ে সফেদ পাঞ্চাবি,
কি অমায়িক ভদ্র ব্যবহার
সবাই প্রশংসায় পঞ্চমুখ
কিন্তু আমি দেখছি,ওমা মানুষ কোথায়?
এ তো রক্ত লোলুপ নেকড়ে,
শিকারের আগে শিকার নিচ্ছে মেপে।
কি বুঝেছ তো আমার সমস্যা?
আছে কোন সমাধান?
এক এক করে হারাচ্ছি সব প্রিয়জন
সবার মুখোশে বোঝা যায়,
আমি তাদের শুধু প্রয়োজন।
একেক জন একেক মুখোশে ঢাকা
কেউবা নেকড়ে,কেউবা হায়েনা
স্বার্থের জন্য একে অন্যকে
ছিড়ে খেতে যাদের বাধে না।
আমি মুক্তি চাই এই অভিশাপ থেকে
চাইনা কারো মনের ভাব,
মুখের মুখোশে ফুটে উঠুক,
চাই মানুষ মুখোশ ছেড়ে
সত্যকারের মানুষ হয়ে উঠুক।
ব্যাক্তিগত ব্যাখ্যা :
আমার মনে হয় আমরা কমবেশি সবাই একটা মুখোশের আড়ালে ঘুরে বেড়াই। আসল মনের কথা আর মুখের কথা আমাদের সব সময় এক হয়না। নিজের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য আমরা অন্যায় গুলোকেও মেনে নেই,সারা বছর অপরাধ করার পরেও এক শ্রেণীর লোক ভাল মানুষের মুখোশ এটে ঘুরছে চারপাশে। আরেকশ্রেণীর লোক উচ্ছিষ্টভোগী হায়েনার মত তাদের পিছে ঘুরছে ভাগ পাবার লোভে। বন্ধুর মুখোশ পড়ে বন্ধুকে ধোকা দিচ্ছে,উপকারীর ছদ্মবেশে লুটে নিচ্ছে সর্বস্ব।অনেকেই মনে করেন মন বুঝতে পারা বড় ধরনের আশীর্বাদ,কিন্তু বিশ্বাস করেন এর থেকে বড় অভিশাপ নেই। আপনার নিজের অনেক মানুষএর প্রতিও সেদিন ঘৃণা জন্মে যাবে।তখন পুরোপুরি একা হয়ে যাবেন। এটাই এই কবিতায় ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
মুখোশ এই কবিতাটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আপনি খুবই সুন্দর একটি কবিতা লিখেছেন। কবিতার ভাষাগুলো অসাধারণ। এত সুন্দর একটি কবিতা শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ এটি ঠিক আমরা সবাই কমবেশি একটা মুখোশের ভিতর ঘুরে বেড়ায়।মুখোশ কবিতাটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আসলে কবিতার মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করা যায়। তবে আপনার কবিতাটি পড়ে সত্যি অসম্ভব ভালো লাগলো। কবিতার প্রতিটি লাইন পড়ে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। খুব সুন্দর করে কবিতাটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তাই আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
বেশিরভাগ মানুষ এর মুখের মধ্যে মুখোশ থাকে। আর সেই মুখোশের আড়ালে থাকে তার আসল পরিচয়। অনেক মানুষের মুখোশের পেছনে অনেক সত্য লুকিয়ে রয়েছে। প্রিয় জনরাও মুখোশ পরে ঘুরে এখন। আমরা শুধু তাদের প্রয়োজনই আছি। যাইহোক অবশেষে তাহলে লেপের নিচ থেকে উঠে, খাতা কলম নিয়ে এসে লিখে ফেলেছিলেন এই কবিতা। অনেক বেশি ভালো লেগেছে কিন্তু আপনার লেখা কবিতাটা পড়তে। বাস্তবিক টপিক তুলে ধরার কারণে বেশি ভালো লেগেছে।
বাহ আপনি তো বেশ চমৎকার কবিতা লিখেছেন। আপনার মুখোশ কবিতাটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আর আমরা যদি চেষ্টা করি কবিতা লেখা তাহলে আস্তে আস্তে কবিতা লেখাগুলো অনেক ভালো হয়। তবে এটি ঠিক আমরা সবাই কোন না কোন মুখোশের আড়ালে আছি। তবে আপনার কবিতা লাইনগুলো অসাধারণ হয়েছে। এত সুন্দর করে কবিতাটি উপস্থাপনা করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।