টিনএজ মিউট্যান্ট নিনজা টার্টল||মুভি রিভিউ

in আমার বাংলা ব্লগlast year

গতকাল শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন। সারা সপ্তাহ অপেক্ষা করি, কবে শুক্রবার আসবে? কবে শুক্রবার আসবে?আর শুক্রবার আসলে সারাদিন কাজ কর্ম নেই কিছুটা বোরিং লাগে। এলাকায় ছেলেপেলে থাকলে তাও খেলাধুলা করে দিন কাটানো যেতো। যাই হোক দুপুরে কিছুতেই আর কর্মশূণ্যতা মানতে না পেরে ভাবলাম মুভি দেখি। ওয়েবসাইটে ঢুকে প্রথমেই এই মুভিটি পেয়ে গেলাম।সাথে সাথে ডাউনলোড করে ফেললাম।কারন এটার আগের পর্ব গুলো দেখেছি। অনেক মজার ছিল। এখন সেটার রিভিউ দেব আপনাদের মাঝে।

হ্যালো আমার বাংলা ব্লগবাসী।আশা করি সবাই ভাল আছেন।আমিও ভাল আছি। আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব একটি মুভি রিভিউ
মুভির নামমিউট্যান্ট টিনএজ নিনজা টার্টল
জনরাঅ্যানিমে,অ্যাকশন কমেডি
ডিরেক্টরজেফ রো,কাইলার স্পেয়ার
রিলিজ ডেটখুজে পাইনি
অভিনয়েমিকাহ অ্যাবি,স্যামন ব্রাউন জুনিয়র,নিকোলাস ক্যান্টু,ব্র‍্যাডি নুন
ভাষাহিন্দি,ইংরেজী

মুভি প্লট

প্রথমে একটু মিউটেশন নিয়ে কথা বলি,কারন এটাই মেইন ভিত্তি। আমাদের সবার কোষেই একটু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান আছে।এই উপাদান ছাড়া আমাদের বংশগতির ধারা নষ্ট হয়ে যাবে। এটিকে বলে ডিএনএ। এখন এই ডিএনএ নানা কারনে পরিবর্তিত হয়,আর ডিএনএ পরিবর্তনের কারনে আমাদের শরীরে পরিবর্তিত হয়। এই পরিবর্তন সব সময় ভাল নয়। আর এই পরিবর্তন কেই বলে মিউটেশন।

এখন গল্পে ফিরে আসি। মুভির প্রথমেই আমরা দেখতে পাই চারটি মানুষের মত কচ্ছপ যারা মানুষের মতই দৌড়াচ্ছে আবার নিজেদের মধ্যে কথাও বলছে। তারা বের হয়েছে মুদি বাজার করতে,নির্ভুল ভাবে বললে চুরি করতে। তাদের কথাবার্তা থেকে বুঝতে পারবেন এরা চার ভাই। এরা থাকে ম্যানহোলের মাঝে।তবে এদের মাঝে মানুষের সাথে মেশার প্রবল আকুতি,তারা চায় ম্যানহোলের থেকে বের হয়ে মানব সমাজে মেশার জন্য।

এদের মধ্যে যে লিডার তার নাম লিও,বাকিরা হল রাফায়েল,ডোনাটেলো,মাইকেল অ্যাঞ্জেলো।বাজার শেষে লিও আবার ম্যানহোলে ফিরে যেতে চায়।কিন্তু বাকিরা বেকে বসে। তারা চায় সিনেমা দেখতে। পাশেই একটি খোলা মাঠে বায়স্কোপ দেখানো হচ্ছিল। তারা বায়োস্কোপ দেখে ফিরে যায়,কিন্তু ততক্ষণে অনেক হয়ে যায়। ফলে তারা বাড়ি ফেরার পর তাদের বাবা যে কিনা একজন ইদুরের মিউট্যান্ট দেরির কারন জানতে চায়।তখন লিও বলেই ফেলে তারা বায়োস্কোপ দেখতে গিয়েছল।

তখন তাদের বাবা তাদের বলে,আমি জানি তোমরা মানুষের সাথে মিশতে চাও।কিন্তু তোমরা তো জানই,কেন মানুষের সাথে আমাদের কোন দিনও মিলবে না। আমি একবার তোমাদের নিয়ে গিয়েছিলাম মানুষদের সাথে মিশতে। কিন্তু তারা যখন বুঝতে পারে আমি ইদুর আর তোমরা সত্যই কচ্ছপ তখন তারা আমাদের মারতে চেষ্টা করেছিল। আর এজন্যই তো আমি তোমাদের নিনজাদের মত লড়াই করতে শিখিয়েছি। তোমাদের একমাস বাইরে যাওয়া বন্ধ।

এখানেই আমরা একটা ফ্ল্যাশব্যাক দেখতে পাই। আমরা দেখি একজন সাইনটিস্ট তার ল্যাবে কাজ করছে।তার কথা থেকে আমরা বুঝি সে চেষ্টা করছে নানা প্রাণির উপর গবেষণা করে তাদের মিউট্যান্ট বানানোর। আর সে এতে সফল হয়েছে। সে এমন একটি তরল মিশ্রণ তৈরি করেছে যা কোন প্রাণীর উপর পরলেই সেই প্রাণীটি মিউট্যান্ট হয়ে যায়। আর তখনই বিপক্ষ দলের একদল মার্সেনারি আক্রমন করে সেই বিজ্ঞানীর উপর।
তারপর সেই বিজ্ঞানীর একটি মিউট্যান্ট আক্রমন করে সেই মার্সেনারীদের হত্যা করে।

কিন্তু ডাক্তার পালানোর সময় তার সেই স্পেশাল মিশ্রণ ড্রেনে পড়ে যায়। আর সেখানেই ছিল এই কচ্ছপ গুলো,আর সেই ইদুর টাও যারা বর্তমানে মিউট্যান্ট। বর্তমানে আসি।একমাস পর আবার কচ্ছপ রা বের হয়েছে বাইরে। বের হয়ে তারা নিজেদের স্কিল নিয়ে ফ্লেক্স করছে।এমন সময় রাফায়েল ওর ছোড়া একটা নিনজা স্টার,একটি মেয়ের হেলমেট এ গিয়ে লাগে। মেয়েটি পড়ে যায় আবার সে কচ্ছপদের দেখতেও পায়। এদিকে লিও মেয়েটির উপর ক্রাশ খেয়েছ। মেয়েটি লিও দের গালাগালি করছে।এই সুযোগে একটি চোর মেয়েটির স্কুটি চুরি করে।

লিও সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে মেয়েটির হেল্প করবে সে। সে তখনই তার ভাইদের নিয়ে রওনা দেয় চোর দের শায়েস্তা করতে। তারা চোরদের সাথে মারামারি করছিল ঠিক তখনই সেখানে মেয়েটি চলে আসে।কচ্ছপরা তখন লুকিয়ে যায়। মেয়েটি তখন বলে আমি বুঝেছি তোমরা কি।তোমাদের ভয় নেই বের হয়ে এসো। এরপর আস্তে আস্তে আস্তে মেয়েটির সাথে তাদের ভাল বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে লিও তার মনের ইচ্ছা জানিয়ে ফেলে,যে তারা মানুষের সাথে মিশতে চায়। তখন মেয়েটি বলে তারও একটি ইচ্ছা আছে। মেয়েটির নাম এপ্রিল।সে একটু লুজার টাইপের। তার সাথেও কেউ মিশতে চায় না৷

সে সাংবাদিক হতে চায়। কিন্তু একবার সংবাদ পড়তে গিয়ে সে নার্ভাস হয়ে বমি করে দেয়,তাই সবাই এখন তাকে ইগনোর করে। তাই সে একটা কেস নিয়ে কাজ করছে। কেসটা হলো শহরে সুপার ফ্লাই নামে একটি অপরাধীর আগমন ঘটেছে। সে শহরে চুরি করছে।তখন লিও আর এপ্রিল মিলে প্ল্যান করে লিও রা সুপার ফ্লাই কে আটকাবে আর সেগুলো ভিডিও করে সংবাদ বানাবে। এতে মানুষরা লিওদের মেনে নেবে আর এপ্রিল ও তার মর্যাদা ফিরে পাবে। সেই অনুযায়ী লিও সুপার ফ্লাই এর সাথে বন্ধুত্ব করতে যায়।গিয়ে দেখে সেও একজন মিউট্যান্ট। আর তার সাথে আরো কয়েকজন আছে। লিও কথায় কথায় তার প্ল্যান জেনে নেয়।

সুপার ফ্লাই ও চায় মুক্ত জীবন, কিন্তু লিও রা যেমন শান্তি পূর্ণ উপায় বেছে নিয়েছে সে তা করে নি। তার প্ল্যান সব পশুপাখি কে মিউট্যান্ট বানানো আর মানুষদের মেরে ফেলা। এজন্য একটা গ্যাস বানিয়েছে সে। আর সেই গ্যাস বাতাসের সাথে মিশে গিয়ে সব প্রাণীকে মিউট্যান্ট বানাবে।

লিও রা কি পারবে সুপার ফ্লাই কে রুখতে? এপ্রিল কি পারবে হারানো সম্মান ফেরত পেতে? লিও রা কি মানব সমাজে মিশতে পারবে?

ব্যক্তিগত মতামত

আমার কাছে এক বাক্যে অসাধারণ লেগেছে। মুভির সব থেকে বড় যে বৈশিষ্ট তা হল কমেডি,হাসতে হাসতে পেট ব্যাথা হয়ে যাবে। অনেকেই কার্টুন বলে অবহেলা করতে পারেন,কিন্তু একবার দেখলে আর সেটা মনে হবে না। হিন্দি ডাবিং টা দেখার চেষ্টা করবেন। যাদের মন খারাপ তাদের জন্য দেখা ফরজ। মন সাথে সাথে ভাল হয়ে যাবে। তাই সময় পেলে পপকর্ণ নিয়ে বসে পড়ুন।হ্যাপি ওয়াচিং।

ট্রেইলার

VOTE @bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

banner-NEW.png
break2.jpg
আমি বৃত্ত মোহন্ত (শ্যামসুন্দর)। বর্তমানে ছাত্র। নতুন কিছু শিখতে, নতুন মানুষের সাথে মিশতে আমার খুব ভাল লাগে। তেমনি বই পড়া আর ঘুরে বেড়ানো আমার পছন্দের কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম। মুক্তমনে সব কিছু গ্রহণ করার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি,"বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র"।
break2.jpg

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

Coin Marketplace

STEEM 0.15
TRX 0.17
JST 0.028
BTC 68926.89
ETH 2474.86
USDT 1.00
SBD 2.38