ডাক্তারের রোগ সারাবে কে?
কিছুদিন আগে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেখছিলাম,পোস্ট টা এমন
একজন ব্যক্তি মানসিক ডাক্তারের কাছে গেছেন। গিয়ে ডাক্তার কে বললেন, "ডাক্তার বাবু আমি খুব মানসিক পীড়ায় আছি।সারাদিন মন খারাপ থাকে৷ কি করব বলেন? তখন ডাক্তার বলেন, "আপনি ভাল সময়ে এসেছেন। আমাদের শহরে বিখ্যাত কমেডিয়ান মকবুল সাহেব এসেছে। আপনি তার শো দেখুন।মন এমনি ভাল হয়ে যাবে।" তখন লোকটি বলল, "ডাক্তার বাবু আমিই জনাব মকবুল সাহেব"।
পোস্টটি অনেকের কাছে মজার মনে হবে।অনেকে পোস্টের হিডেন মিনিং টা বুঝতে পারবেন না। তবে আমি পারি। খুব ভালভাবে অনুভব করতে পারি। এখানে একজন কমেডিয়ান এর কথা বলা হয়েছে।কিন্তু এটা কিন্তু খালি কমেডিয়ান দের জন্যই প্রযোজ্য নয়। এটা সেই সব মানুষের জন্য প্রযোজ্য যারা অন্যকে খুশি রাখতে পছন্দ করে।
একটা উদাহরণ দেই। কিছুদিন আগে আমার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুষ্ঠান ছিল। অনেক আগে থেকেই উত্তেজিত ছিলাম অনুষ্ঠান নিয়ে। সব আয়োজন সব কিছু নিজ হাতে করেছি। অনুষ্ঠানে অনেক হাসাহাসিও করলাম।কিন্তু শেষে কি যে হল,মুড এত টা খারাপ হয়ে গেল যে মনে হচ্ছিল এই দুনিয়া স্বার্থপর। দুনিয়ার সবাই খালি নিজের স্বার্থ দেখে। দুনিয়ায় আমি সম্পূর্ণ একা। আমার কেউ নাই।
৫মিনিট আগের আমির সাথে এই ৫মিনিট পরের আমির রাত দিনের পার্থক্য। এটা কেন হয়েছে তা কিন্তু নিজেও বলতে পারব না৷ এই মুহুর্তটা খুব সেন্সিটিভ। অনেকেই এই মুহুর্তে সুইসাইড পর্যন্ত করে ফেলে।অনেকেই জি বাংলায় মীরাক্কেল দেখেছেন। মীরাক্কেল এর উপস্থাপক মীরের একটি ইন্টারভিউ তে তাকে বলতে শুনেছি এমন এক পরিস্থিতি তে তিনবার সুইসাইড করার চেষ্টা করেছিলেন।
কারন এই সময়টায় মনে খালি নেগেটিভ চিন্তা আসে। নিজের অস্তিত্বের উপর সন্দেহ জাগে। কে আমি? কেন এসব করছি?
আমি কোন বড় মনোবিদ নই। তবে আমি এর একটা কারন খুজে পেয়েছি। এটা সেসব মানুষের সাথেই হয় যারা সারাদিন সবাইকে মাতিয়ে রাখতে পছন্দ করে। যারা সবার সুখ দুখ শোনে।কিন্তু তারা কারো সাথে কিছু শেয়ার করতে পারে না।তাদের কথা গুলো চাপা থেকে যায়। আবার কখনো যদি কারো সাথে শেয়ার করতে যায়,তখন মানুষ বলে ধুর তোর আবার কিসের দু:খ। ফলে তার কথা রার মনেই থেকে যায়।
এই চাপা কষ্ট গুলোই কিছু সময় হঠাৎ মাথা চাড়া দেয়। আটকে রাখা জলকে ছেড়ে দিলে যেমন প্রচন্ড বেগে বের হয়,তেমন এই কষ্ট গুলোও বের হয় একসাথে,প্রচন্ড বেগে।ফলে সামলানো কঠিন হয়ে যায়।
যাই হোক অনেক আবোলতাবল বললাম। শেষে কয়েকটি কথা বলি। আপনার যদি এমন কোন বন্ধু থাকে যে হাসতে হাসতেই হঠাৎ গম্ভীর হয়ে গেছে।তবে তার সাথে কথা বলুন। শেয়ার করতে বলুন তার সমস্যা। তার পাশে দাড়ান। তার সমস্যা হেসে উড়িয়ে দেবেন না। হয়ত এটাই হতে পারে তার শেষ কথা।তাই আশেপাশের মানুষ গুলোর খেয়াল রাখুন বেশি দেরি হবার আগেই।আর নিজের সাথে এমন হলে কারো সাথে শেয়ার করুন। এমন কাউকে খুজে বের করুন যে আপনার কথা শুনবে।দরকার পরলে প্রফেশনাল মনোবিদ এর সাহায্য নিন। মনে রাখবেন মানসিক স্বাস্থ অবহেলার মত ছোট বিষয় না।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
টুইটার লিংক
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
কথাগুলো আবোল তাবোল না ভাই। সত্যি এমনটা করে কখনো তো ভাবিনি। যে সবার সুখ দুঃখের কথা শোনে সবাইকে হাসায় কিন্তু তার খবর কে রাখে। তাদের জীবন টা একেবারে বিষাদময় হয়ে যায়। আর কারো মনে যদি হঠাৎ এই চিন্তা আসে আমি কে কেন বেঁচে আছি এতে লাভ কী তাহলে মুশকিল। এসব চিন্তা সুইসাইড প্রবণতা বাড়িয়ে দেয়।
তোমার পোস্ট টি পড়ে যতোটুকু বুঝতে পেলাম নিজের সাথে ঘটে যাওয়া এবং নিজের মনের কিছু চিন্তা ভাবনা এখানে তুলে ধরেছো।আসলে পরিবেশ পরিস্থিতিতে কখনো কখনো এমন কিছু পরিস্থিতিতে পড়তে হয় যে তা মেনে নেয়ার ক্ষমতা সবার থাকে না।এটুকুই বলবো মানুষের কথা উড়িয়ে দিয়ে সামনে এগিয়ে চলতে হবে।সুইসাইডের চিন্তা মাথায় না এনে তাতে জব্দ করার জন্য নিজেকে প্রতিষ্ঠত করে তার কিংবা তাদের সার্থপর তার জবাব দিতে হবে।
আপনি মোটেই আবোলতাবল বলেন নি ভাই, আপনার প্রত্যেকটা কথাই মূল্যবান ছিল। এটা একদম সত্যি কথা, যে মানুষটা সবাইকে খুশি রাখার চেষ্টা করে, দিন শেষে দেখা যায় সেই মানুষটাই অনেক বেশি দুঃখী এবং তার এই দুঃখ বা তার কথা শোনার মত আসলেই কেউ নেই। তবে আমার আসলে মনে হয় না এরকম কোন বন্ধু-বান্ধব আছে। তারপরেও আমি চেষ্টা করব আমার আশেপাশের এই মানুষগুলোকে ভালো রাখার জন্য। বেশ শিক্ষামূলক একটা পোস্ট ছিল ভাই।