GIC এর পুণর্মিলনী
আপনাদের এর আগে GIC নিয়ে বলেছি।GIC হলো গোবিন্দগঞ্জ ইনফরমেশন সেন্টার এর সংক্ষিপ্ত নাম।এটি আমাদের প্রাণের শহর গোবিন্দগঞ্জবাসীদের নিয়ে একটি ফেসবুক গ্রুপ যা অনলাইনে গোবিন্দগঞ্জ সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য দিয়ে সাহায্য করা ছাড়াও অফলাইনে নানা রকম সমাজসেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।
করোনা মহামারির সময় থেকে আমাদের এই গ্রুপের যাত্রা শুরু। জন্মলগ্ন থেকেই আমাদের এই গ্রুপ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। আমি খুব বেশিদিন হল এই গ্রুপের পরিচালনা পরিষদে যোগ দেইনি। তবে যোগ দেওয়ার সাথে সাথেই GIC এর সাথে একটি প্রোগাম করার অভিজ্ঞতা অর্জন করি। যা এর আগে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি।
অনুষ্ঠান মোটামুটি ভালভাবেই সম্পন্ন হয়।তবে যেখানে ১০মায়ের দশজন সন্তান সেখানে একটু মতের অমিল হবেই। আর তাছাড়া যদি গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানে স্বৈরাচার চলে তবে সমস্যা দেখা দেবেই। আমি নতুন তাই প্রথমে ব্যাপার গুলো অতটা বুঝতে পারিনি। কিন্তু তারপর আস্তে আস্তে দেখলাম সব ক্ষমতা দুজনের হাতে। তারা দায়িত্ব ভাগ করে না দিয়ে নিজেদের মত করে চালাচ্ছে সব।
এতে কাজ সুষ্ঠভাবে হবার বদলে সবটাতেই দেরি হচ্ছে।কারন সব কিছুতেই তাদের নির্দেশ এর জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে।আবার দেরি হলেও তারা চিল্লাচিল্লি করছে।তৎক্ষণাৎ কেউ প্রতিবাদ না করলেও সবাই মনে মনে রাগ হচ্ছিল।অনুষ্ঠান যত এগিয়ে যাচ্ছিল উনাদের আচরণ ততই খারাপ হচ্ছিল।শেষ পর্যন্ত পুরাতন সদস্যরা প্রতিবাদ করে। এবং শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হয় নেক্সট পুণর্মিলনীতে এগুলো নিয়ে আলোচনা করা হবে।
প্রোগাম এর পরের দিন ই ছিল পুণর্মিলনী। প্রথমে প্ল্যান ছিল রান্না করে পিকনিক এর মত করে পুণর্মিলনী আয়োজন করা হবে। কিন্তু পরে সিদ্ধান্ত হল যে কোন রেস্টুরেন্ট এ বসা হবে। সেই অনুযায়ী আমরা "চাটনি" রেস্টুরেন্ট এ বসলাম ঈদের দুইদিন আগে বিকাল বেলা। অল্প সময়ের মাঝেই সবাই চলে আসল। হাল্কা আড্ডার পর সবাই আসল আলোচনায় চলে আসে।
যে দুইজন এর বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা নিজেদের ভুল বুঝতে পারে। এবং তৎক্ষণাৎ সিদ্ধান্ত হয় কার্যক্রম ভাগ করে দেওয়া হবে। তবে একটি কমিটি না করে ছোট ছোট কয়েকটা দল থাকবে।প্রত্যেকটা দলের ভিন্ন ভিন্ন দায়িত্ব থাকবে। এতে কাজ খুব সহযে আর স্মুথভাবে করা যাবে।আলোচনার শেষ এ খাওয়াদাওয়ার পালা।সবাই মিলে আরো খানিক ছবি তোলা আর আড্ডা চলল। এর মাঝেই খাবার চলে আসল। সবাই খাওয়াদাওয়া করে বাড়ি চলে আসলাম।
আমি বৃত্ত মোহন্ত (শ্যামসুন্দর)। বর্তমানে ছাত্র। নতুন কিছু শিখতে, নতুন মানুষের সাথে মিশতে আমার খুব ভাল লাগে। তেমনি বই পড়া আর ঘুরে বেড়ানো আমার পছন্দের কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম। মুক্তমনে সব কিছু গ্রহণ করার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি,"বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র"।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.