হরিবাসরে কিছু সময়।

হ্যালো আমার বাংলা ব্লগবাসী। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি।আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব হরিবাসরে কাটানো কিছু সময়।

হরিবাসর জিনিসটা কি বস্তু অনেকেই জানেন। আবার অনেকেই জানেন না। যারা জানেন না তাদের জন্য বলি, এটি ধর্মীয় আলোচনার জায়গা।সনাতন ধর্ম সম্পর্কে আলোচনা চলে হরিবাসরে। হরিবাসর একদিন থেকে শুরু করে সাত আটদিন ব্যপি চলতে পারে।অনেক জায়গায় হরিবাসর উপলক্ষে মেলা বসে।

হরিবাসর সাধারণত শীতকালেই বেশির ভাগ হয়। কারন গরম কালে সবাই গরমে এতটাই কাহিল থাকে যে আলোচনায় মনযোগ দিতে পারবে না৷ তাই সাধারণত হেমন্তের শেষে থেকে বসন্তের শেষ পর্যন্ত চলে হরিবাসর। হরিবাসরের আয়োজন করা হয় এলাকাবাসীর সম্মিলিত চাদায়।

আশা করি মূল বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।আমাদের পাশের মহল্লা হল ঠাকুরবাড়ি। পাশে বললাম ঠিকই,কিন্তু তারপরেও আমাদের বাড়ি থেকে ঠাকুরবাড়ি যেতে ১০মিনিট সময় লাগে। এই ঠাকুরবাড়িতেই আমারের এলাকার কেন্দ্রীয় মন্দির অবস্থিত। এই মন্দিরেই দুইদিন যাবৎ হরিবাসর হচ্ছে।

আমি জ্ঞানপিপাসু ব্যক্তি।তাই এমন জায়গায় আমার যেতে ইচ্ছা হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বাধ সাধল পরীক্ষা। ঠিক হরিবাসরের শুরুর দিন থেকেই আমার টেস্ট পরীক্ষা শুরু হয়ে গেল। একে পড়াশুনার চাপ,তারউপর মন পড়ে আছে হরিবাসরে ফলে মনোযোগের অভাব। পড়াও হচ্ছিল না,মনের ইচ্ছাও পূর্ণ হচ্ছিল না।

শেষে বিরক্ত হয়ে ভাবলাম ধুর পড়া হবে না।তার থেকে যাই ঘুরে আসি। এতে মনোযোগ ফিরবে পড়াতেও মন বসবে। মা কে বলতে মা ও রাজি হল যেতে। ফলে মা ছেলে মিলে গুটি গুটি পায়ে রওনা দিলাম। গিয়ে মা মহিলাদের সারিতে বসল,আর আমি বসার জায়গা খুজছি তখন দেখলাম উৎস মানে আমাদের কমিউনিটির মেম্বার ovoy sarker কে। উৎস ও সপরিবারে এসেছে।

কুশল বিনিময়ের পর, বসে শুনলাম অনেকক্ষণ। এরপর রাত বাড়ার সাথে সাথে পেটে ক্ষুধা বাড়তে লাগল। তখন জানলাম,শুধু জ্ঞান নয়। প্রসাদ বিতরণের ব্যবস্থা আছে। পরের দিন পরীক্ষা তাই বেশি রাত জাগা ঠিক হবে না।এই ভেবে ওখানেই প্রসাদ খেয়ে বাসায় চলে আসলাম।

আজকের পোস্ট এপর্যন্তই।ভুল ত্রুটি মার্জনীয়। সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

_{Posted using SteemPro Mobile}