কেনা কাটা ও শীতের পিঠা
শীতকাল বাংলাদেশের ষড়ঋতুর মাঝে অন্যতম।শীত ঋতু অতি শুষ্ক, নিরস।ঠিক আমার মত। সেজন্য শীত আমার বেশ পছন্দ।পছন্দ হবার আরেকটি কারন হল শীতের পিঠা।আমি ভোজন রসিক মানুষ,খাওয়াদাওয়া করতে বেজায় পছন্দ করি।খুব বেশি খেতে না পারলেও অল্প আধ স্বাদ পরিবর্তন করতে পারলেই খুশি।
আর শীতকাল এজন্য একদম আদর্শ। কারন শীতকালে পাওয়া যায় খেজুর রস,আর খেজুর গুড়। তাই দিয়েই তৈরি হয় নানা রকম পিঠা পায়েস মিষ্টান্ন।
যদিও বেশি মিষ্টি জিনিস আমার পছন্দ না,কিন্তু ঐযে বললাম স্বাদ পরিবর্তনে তো আর কোন দোষ নেই। যাই হোক আমার বন্ধু শিমুল চাকুরিস্থল থেকে বাড়ি এসেছে গতপড়শু। নির্বাচন উপলক্ষে ছুটি।জার্নির জন্য এসে বের হতে পারে নি,গতকাল ভোট দেওয়ার পর বের হতে চেয়েছিল কিন্তু আমি ব্যস্ত থাকায় সেটা আর হয়ে ওঠে নি৷ অবশেষে আজ সন্ধ্যার পর বের হলাম দুই বন্ধু।
বের হবার আরেকটা কারন জুতা কিনতে হবে।শিমুলের একজোড়া কেডস দরকার,আর আমার দরকার একজোড়া স্যান্ডেল।তাই বেরিয়ে পড়লাম বিকেল বেলা। খানিকক্ষণ হাটাহাটি করলাম।হরতাল এর কারনে যানবাহন বন্ধ থাকায় শব্দ দুষণ ছিল না,ফলে হাটতে বেশ ভালই লাগছিল। হাটাহাটির পর জুতার শোরুম গুলোর দিকে রওনা দিলাম। মনে সন্দেহ হচ্ছিল হরতাল এর জন্য হয়ত শোরুম গুলো বন্ধ থাকবে,তারপরেও চেষ্টা করতে দোষ নাই।তাই প্রথমেই গেলাম লোটো শোরুমে,কিন্তু শোরুম অফ।
এরপর দেখলাম বিপরীত দিকেই একটা নতুন শোরুম হয়েছে,আর একমাত্র এটাই খোলা তাই ওখানেই চলে গেলাম।
শোরুম টা নতুন কালেকশন ভালই। কিন্তু আমার বন্ধু শিমুল অন্য ধাতুর জিনিস। প্রত্যেকটারই কিছু না কিছু ভুল ধরছিল। শেষে আধা ঘন্টা ধরে দেখার পর অবশেষে একটা পছন্দ করল।তবে এজন্য সেলস বয় এর জায়গায় আমাকে সেলস বয় হতে হয়েছিল। আমিও একজোড়া স্যান্ডেল কিনে নিলাম সেই শোরুম থেকেই। হাটাহাটি আর সেলসবয় হবার পরিশ্রমে বেশ ক্ষুধা পেয়ে গেছিল।
শিমুলের জুতা জোড়া বেশ পছন্দ হয়েছিল বুঝি তাই ট্রিট দিতে চাইল,কি খাওয়া যায় ভাবছিলাম তখন দেখি আশেপাশে অনেক পিঠার দোকান বসেছে, মূলত দুধরনের পিঠা বিক্রি হচ্ছে চিতই পিঠা আর ভাপা পিঠা।চিতই পিঠার কাটতিই বেশি। শীতের সন্ধ্যায় ঝাল ঝাল ভর্তার সাথে চিতই পিঠা খুবই মজার। তবে ঐ পিঠা খেলে আমার প্রচুর এসিডিটি হয় তাই আমি অর্ডার করলাম ভাপা পিঠা,আর শিমুল খেল চিতই পিঠা।বেশ মজাই লাগছিল খেতে। আর খেতে খেতে আমি বিজনেস টা নিয়ে ভাবছিলাম।একপর্যায়ে তো ভাবলাম সব ছেড়ে দিয়ে শীতের সিজন টা পিঠাই বিক্রি করি।
এরপর খাওয়াদাওয়া শেষ করে বাড়ি ফিরে আসলাম।
OR
আমি বৃত্ত মোহন্ত (শ্যামসুন্দর)। বর্তমানে ছাত্র। নতুন কিছু শিখতে, নতুন মানুষের সাথে মিশতে আমার খুব ভাল লাগে। তেমনি বই পড়া আর ঘুরে বেড়ানো আমার পছন্দের কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম। মুক্তমনে সব কিছু গ্রহণ করার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি,"বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র"।
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
হাহা করো করো শীতের পিঠার ব্যাবসা শুরু করো আর কিছু হোক না হোক পিঠে খাওয়া হবে মজা করে আমাদের ।তোমার বন্ধুর কেডস আর তোমার স্যান্ডেল কেনার মুহূর্তের ফটোগ্রাফি সুন্দর করে শেয়ার করেছো।আসলে শীত কালে পিঠা দারুণ একটা জিনিস। তবে চিতই পিঠায় এসিডিটি হলেও খেতে কিন্তুু দারুণ বিশেষ করে ভর্তা গুলো খেতে কি যে মজা। তুমি তো দেখছি নরম তুলতুলে গুড় দিয়ে দারুণ মজার ভাপা পিঠা খেয়েছো মজা করে।ধন্যবাদ সুন্দর মজাদার পিঠা খাওয়ার পোস্ট টি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ভাবছি বিয়েশাদি করে তবে ব্যবসা করব,বউ ভাজবে আমি বেচব। হাহাহা। ধন্যবাদ মামি সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
এবিবি-ফানে তোমার মজার মজার উত্তরগুলো দেখলে তোমাকে তো নিরস বলবে কে! যাই হোক, বন্ধুর আর নিজের জন্য জুতোও কেনা হলো, সাথে পিঠের ট্রীটও! শীতকালের আসলেই খাওয়া দাওয়ার জন্যই মজা! খেজুর রস, গুড়, নানা রকমের সবজি আর নানান রকমের পিঠাপুলির উৎসব লেগেই সাথে শীত জুড়ে! এমনকি আমার নিজেরও আজকে বিকেলেই চিতই পিঠা খাওয়া হয়েছে!
কি যে মানুষ তো আমাকে নিরস ই বলে মাসি।যাই হো ধন্যবাদ মাসি সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।