পরীক্ষা শেষের আনন্দ
আমার এবার এর ssc ব্যাচে ছাত্রছাত্রী ছিল সর্ব সাকুল্যে ২জন। আসলে আমি হোম টিউটর ব্যাচ পড়াই না।তাই ছাত্রছাত্রী কম।দেখতে দেখতে সেই ছাত্রছাত্রীদের ও ssc শেষ। মনে হচ্ছে এইতো সেদিন পড়ানো শুরু করলাম মাত্র। এর মাঝেই বিদায় ও হয়ে গেল। যাই হোক ওদের মেইন বিষয় গুলোর পরীক্ষা শেষ।এখন শুধু প্র্যাকটিক্যাল বাকি।
গতকাল গিয়েছিলাম সেই প্র্যাকটিক্যাল গুলোতে হেল্প করতে। কারন ওরা বিষয়টা নিয়ে একটু চিন্তিত ছিল। তাই শিক্ষক হওয়ার খাতিরে দায়িত্ব ছিল ওদের চিন্তামুক্ত করা।সেজন্য ওদের বুঝাতে গেলাম। দুই জনেরই ছিল জীব বিজ্ঞান প্র্যাকটিক্যাল।
দুইজন রে প্র্যাকটিক্যাল বুঝিয়ে দিয়ে চলে আসব এমন সময় দুজন বলল দাদা চলেন পড়াশোনা তো অনেক হল আজ একটু মজা করা যাক সবাই মিলে। আমিও রাজি হয়ে গেলাম। তখন আবার কি ভাবে মজা করা যায় তা নিয়ে চিন্তা। পরে ঠিক হল সবাই মিলে উনো কার্ড খেলা হবে।
উনো কার্ড বেশ মজার একটি খেলা। সাধারণ কার্ডের মতই।পার্থক্য এই যে এখানে পয়েন্ট দিয়ে নয় বরং যার কার্ড আগে শেষ হবে সেই জিতবে। আর এখানেই মজা। কারন সবার কাছেই এমন কিছু কার্ড থাকে যা দিয়ে অপরজনকে বাধ্য করা যায় নতুন করে কার্ড তুলে নিতে৷ তাই যে সবার আগে কার্ড শেষ করতে যায় তখন বাকিরা সবাই তাকে আক্রমন করে। ফলে তার আবার অনেক গুলা কার্ড নিতে হয়।
এই আক্রমনের শিকার হয় প্রথমে রৌদ্র। বেচারা খুব খুশি, কিন্তু পর পর সবাই মিলে +২ কার্ড ফেলে। ফলে বেচারার আবার আটটা কার্ড তোলা লাগে।এরপর তো নীলাক্ষী কার্ড তুলতে তুলতে এমন অবস্থা হয় যে বিরক্ত হয়ে সব কার্ড এলোমেলো করে খেলাই ভন্ডুল করে দেয়। এভাবে বেশ মজাই লাগতেছিল। এর মাঝে আবার কাকিমা নাস্তা হিসেবে চানাচুর মাখা নিয়ে হাজির৷ কাকিমার চানাচুর মাখা অসাধারণ হয় বরাবরই। ফলে আমাদের আনন্দে আবার চারটা চাঁদ লেগে যায়। এভাবে খেলতে আর আড্ডা দিতে দিতে কখন যে রাত হয়ে যায় বুঝতেই পারি নি।
বাসায় চলে আসতে যাব,এমন সময় কাকিমা বলল একবারে ডিনার করে যেতে৷ ডিনার দেখে তো আমার চক্ষুচড়কগাছ। আমার প্রিয় খিচুড়ি, বেগুনভাজি,আর ডিমভাজি। কাকিমার সব রান্নাই তো সুস্বাদু। কিন্তু কাকিমার খিচুড়িটার আলাদা একটা জাদু আছে। একদিন খেলে বার বার খেতে চাইবেন। অবশেষে পেট পুরে খাওয়াদাওয়া করে বাড়িতে চলে আসলাম।
আমি বৃত্ত মোহন্ত (শ্যামসুন্দর)। বর্তমানে ছাত্র। নতুন কিছু শিখতে, নতুন মানুষের সাথে মিশতে আমার খুব ভাল লাগে। তেমনি বই পড়া আর ঘুরে বেড়ানো আমার পছন্দের কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম। মুক্তমনে সব কিছু গ্রহণ করার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি,"বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র"।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আরে বাহ! পরীক্ষা শেষ হতে না হতেই দারুণ মজা শুরু হয়ে গেছে দেখছি!! উনো কার্ড খেলা, মজাদার মুড়ি মাখা সব মিকিয়ে দারুণ বিকেল/সন্ধ্যা পার করা হয়েছে সকলে মিলে। উনো কার্ড খেলা টা এখনকার বাচ্চাদের মাঝে বেশ জনপ্রিয়। যদিও আমি জানি না এটি কিভাবে খেলে। তুমি লিখে দিয়েছো বটে, তবে কি অদ্ভুত মজার নিয়ম! আর দিদিভাই এর রান্না বরাবরই ১০০ তে ২০০!! তার উপর পছন্দের খিচুড়ি! উফফ...😋😋
মাসি এবার এদিক থেকে বেড়িয়ে যান বিয়ে শেষে।সবাই মিলে অনেক মজা হবে। কার্ড ও খেলা যাবে।
শিক্ষক সাহেব খুব ভালো করেছেন প্রাকটিক্যাল গুলো বুঝে দিয়ে ৷ সেই সাথে দারুন খেলা খেলেছেন অনেক সুন্দর একটি অতিবাহিত করেছেন ৷ আবার দেখি ডিনার বাহ!!! অনেক ভালো লাগলো দাদা ৷
খিচুড়ি ডিম ভাজি বেগুন ভাজি এর চেয়ে ভালো খাবার আর আছে নাকী হা হা। ইউএনও এইটা দেখি অনেকেই খেলে। আমি খুব একটা বুঝি না। কিন্তু আপনার পোস্ট টা পড়ে খেলার মেইন থিমটা ধরতে পেরেছি। নিজের শিক্ষার্থীদের সাহায্য করে বেশ ভালো করেছেন দাদা। আসলে ব্যাপার টা আমি নিজেও জানি এই প্রাকটিক্যাল একটা সময় বেশ ভালোই পেইন দিয়ে থাকে।
উনো কার্ড আমার ভীষণ পছন্দের একটি খেলা। আমরা সব কাজিনরা একত্রিত হলে এই উনো কার্ড অনেক বেশি খেলা হয়ে থাকে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর তাদের সাথে খুব সুন্দর কিছু সময় কাটিয়েছেন। খাওয়া দাওয়াও ভালোই হয়েছে। ডিনারে আপনার পছন্দের আইটেম খেয়েছেন। আপনাদের আনন্দের মুহূর্ত গুলো শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো।
আপনি আপনার ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষা শেষে তাদের সাথে আনন্দ করেছেন যা দেখে বেশ ভালো লাগলো। আপনার মত এরকম খোলা মনের শিক্ষক পাওয়া তো খুব মুশকিল ব্যাপার ভাই! যাইহোক, বিকেলে মুড়ি মাখা আর রাতের ডিনারে খিচুড়ি, বেগুন ভাজা আর ডিম ভাজা দিয়ে বেশ ভালই খাওয়া-দাওয়া হলো যা দেখছি। ওভারঅল ভালো লাগলো ভাই আপনার এই পোস্টটা পড়ে ।
আমি এখনো বাচ্চাই রয়ে গেছি তাই মনে হয় খোলা মনে মিশতে পারি দাদা।যদিও এতে কিছুটা সুবিধা হয়। ধন্যবাদ দাদা সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
মনের দিক থেকে বাচ্চা থাকা ভালো ভাই, খুশি থাকা যায় অনেক বেশি।