বিজয় দিবসে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
আমাদের মুক্তিযুদ্ধে শুধু যারা সম্মুখ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন তারাই যে যোদ্ধা তা নয়,পেছনে এমন অনেক মানুষ ছিল যারা আরো নানাভাবে যুদ্ধে ভূমিকা রেখেছে। এদের মধ্যে সাংস্কৃতি অঙ্গনের লোকজন অগ্রগণ্য। তাদের বলিষ্ঠ কন্ঠের রক্তে আগুন জ্বালনো গান বা কবিতা মুক্তিযোদ্ধাদের উৎসাহিত করত। তাই তাদের অবদান অনস্বীকার্য৷
আমাদের এখানে প্রত্যেকবারই বিজয় দিবসের সন্ধ্যায় আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের।সেই সাথে সকালে ডিসপ্লে বা কুচকাওয়াজে যারা ভাল করেছে তাদের কে দেওয়া হয় পুরস্কার।এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আমাদের এলাকার স্বনামধন্য সংস্কৃতি মনষ্ক প্রতিষ্ঠান গুলো অংশগ্রহন করে।
আগে যখন হাইস্কুলে থাকতাম তখন সব বন্ধুবান্ধব মিলে গিয়ে পুরো অনুষ্ঠান উপভোগ করে মধ্যরাত নাগাদ বাড়ি ফিরতাম। কিন্তু সময় পরিবর্তন হয়েছে,সবাই নিজ কর্মক্ষেত্রে ব্যস্ত। এলাকায় একমাত্র আমিই আছি৷ তাই আর এসব অনুষ্ঠানে যাওয়া হয়না।তার উপর ঠান্ডাটাও একটা প্রভাবক। এই শীতের দিনে সন্ধ্যার পর লেপের উষ্ণতা ছেড়ে আর বের হতে ইচ্ছা হয়না
কিন্তু গতদিন সন্ধ্যার পর থেকেই বোরিং লাগতেছিল,আসলে কর্মব্যস্ত মানুষ হঠাৎ করে বেকার হলে যা হয়। এই সময়ে টিউশন থাকত কিন্তু শীতকালীন ছুটির কারনে বর্তমানে সব বন্ধ তাই বর্তমানে কর্মশূণ্য। তাই ভাবলাম যাই ঘরে বসে না থেকে ঘুরে আসি। এতে সময় টাও কাটবে আবার সংস্কৃতিক কর্মকান্ডে অংশ নিলে একঘেয়েমি কাটবে এবং মন ভাল হবে।
অনুষ্ঠান শুরু হবার কথা সন্ধ্যা থেকেই,কিন্তু আমরা জানিই এটা বাংলাদেশ যা বলবে তার থেকে ঘন্টা খানেক পর শুরু হবে,তাই আমি দেড়ঘন্টা পরে গেলাম।কিন্তু গিয়ে দেখি অনেক লোকজন এসেছে৷ এত শীতের মাঝে এত লোক ভাবাই যায় না। কিন্তু লোকজন ভরে গেলেও অনুষ্ঠান শুরু হয়নি। আয়োজক দের হাবভাব দেখে মনে হচ্ছে না অচিরে শুরু হবেই। তাই বেশ খানিকটা বাদাম কিনে খাওয়া শুরু করলাম কিন্তু বাদাম শেষ হয়ে গেল কিন্তু অনুষ্ঠান আর শুরু হয়না।তাই আবার বাদাম কিনলাম।কিন্তু এবারো আগের ঘটনা।
এ তো ভারি মুশকিল হল,মন হালকা করতে এসে দেখি পকেট হালকা হয়ে যাচ্ছে। বাড়ি ফিরে যাব কিনা ভাবছি,এমন সময় আয়োজকরা বোধয় আমার মনের ভাব বুঝতে পেরেই অনুষ্ঠান শুরু করে দিল। প্রথমেই বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ করা হল,তারপর চলল নেতাদের ভাষণ। এরপর শুরু হল আসল অনুষ্ঠান।এর মাঝেই আমাদের কমিউনিটি মেম্বার বৃষ্টিচাকি কাকিমার সাথে দেখা হয়ে গেল। উনার বড় মেয়ে, আমার সুযোগ্য স্টুডেন্ট এর ও পার্ফমেন্স ছিল।
একটু পরেই ঐশীর পার্ফমেন্স শুরু হল,যদিও গ্রুপ পারফমেন্স তারপরেও বেশ ভাল লাগল।এর মাঝেই রাত ৯টা বেজে যায়। ৯টা থেকে আবার আমাদের কমিউনিটির স্পেশাল হ্যাংআউট ছিল তাই বেশি দেরি না করে তারাতারিই বাসায় চলে আসলাম।আসার সময় দেখি বেশ অনেক দোকান বসেছে আশেপাশে। সেখানে দেখলাম বড়বড় পাপড়। ছোট বেলায় খুব খেতাম এই পাপড়,তাই দেখা মাত্রই কিনে ফেললাম। এরপর বাসায় চলে আসলাম।
আমি বৃত্ত মোহন্ত (শ্যামসুন্দর)। বর্তমানে ছাত্র। নতুন কিছু শিখতে, নতুন মানুষের সাথে মিশতে আমার খুব ভাল লাগে। তেমনি বই পড়া আর ঘুরে বেড়ানো আমার পছন্দের কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম। মুক্তমনে সব কিছু গ্রহণ করার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি,"বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র"।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
বিজয় দিবস উপলক্ষে অনেক জায়গায় অনেক ধরনের অনুষ্ঠান হয়েছে। তবে দুঃখের বিষয় হলো আমি কোন অনুষ্ঠানে যাইনি ওরকম সময় হয়ে ওঠেনি। বেশ ভালো সময় পার করেছেন। আপনার অনুভূতি তুলেছেন বেশ ভালো লাগলো। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
এরকম অনুষ্ঠানে গেলে পকেট কিছুটা হালকা হওয়া বেশ স্বাভাবিক 😀 যাইহোক ছাত্রী বিশেষ কোন বায়না ধরেনি তাও রক্ষা, না হলে তো পুরাই খালি হতো পকেট।
যাইহোক এধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আমার ভীষণ ভালো লাগে, আমাদের এলাকাতেও প্রতিবছর করা হয়। তবে এখন তো বাড়ি থেকে অনেক দূরে আর এদিকে তেমন আয়োজন নেই। সবমিলিয়ে এরকম একটা অনুষ্ঠানে থাকতে পারলে নিজের কাছেও বেশ ভালো লাগে।
যদিও তুমি ঐদিন দ্রুত চলে এসেছিলে, তবে শেষ পর্যন্ত আমরা কিন্তু বেশ ভালোই মজা করেছিলাম। বেশ ভালো লাগলো তোমার লেখা পড়ে।
Mistake typing, several time drop comment for Network issue.