হ্যালো আমার বাংলাব্লগবাসী।আশা করি সবাই ভাল আছেন।আমিও ভাল আছি।আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব প্যারেন্টিং নিয়ে কিছু কথা।

সোর্স

গত পর্বে:

অভাব আপনাকে দ্বিতীয় যে জিনিসটি দেয় সেটা হল ধৈর্য। প্রথম প্রদত্ত জিনিসটির সম্পূর্ণ বিপরীত। লোভ যখন আপনাকে নানা রকম ভাবে কাবু করার চেষ্টা করবে তখন এই ধৈর্যই আপনাকে রক্ষা করে যাবে। লোভ যখন আপনাকে পাকে নামানোর চেষ্টা করবে তখন যদি আপনি ধৈর্য ধরতে পারেন,তবে আপনি হয়ে উঠবেন খাট সোনা।পেটে ভাত না থাকার পরেও যদি আপনাকে কোটি টাকা পাহাড়া দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয় তারপরেও সে টাকার প্রতি আপনি বিন্দুমাত্র লোভ অনুভব করবেন না।এজন্যই দ্বিতীয় প্রবাদ সত্য। অর্থাৎ অভাবের থেকে বড় পরশ পাথর আর নেই।কারন ধৈর্য ধরতে পারলেই অভাব আপনাকে করে তুলবে খাটি সোনা।

বর্তমান পর্বে:

আসলে অভাব অভিজাত্য জীবনের অঙ্গ। কখনো জীবনে অভাব আসে কখনো জীবনে আভিজাত্য আসে। দুইটার দুইরকম প্রভাব আমাদের জীবনে পড়ে।দুইটারই ভাল দিক খারাপ দিক আছে। কোন সিদ্ধান্তে আসার আগে দুইটি সাবজেক্টেরই দুইটি দিক ভালোভাবে আলোচনা করে নিতে হবে। তারপর সব দিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এখন এই দুইটির মাঝে যে একটি কে বেছে নিতেই হবে এমন নয়।গত পর্বে আলোচনা করেছি অভাব নিয়ে। আজ আলোচনা করব আভিজাত্য নিয়ে

আভিজাত্য বিষয়টা একদিনে আসে না। আভিজাত্যের জন্য দরকার হয় ধনসম্পদ। অবশ্য ধনসম্পদ ছাড়াও অনেকে আভিজাত্য প্রকাশ করে তবে সেটাকে ঠিক আভিজাত্য বলে না।বলে গরীবের ঘোড়া রোগ হওয়া৷ ওটা প্রকৃত অভিজাত্য নয়।

আপনার যখন প্রচুর ধনসম্পদ থাকবে আর আপনি সেই ধন সম্পদ ইচ্ছামত খরচ করবেন,রাজার হালে দিনকাটাবেন, তখন সেটাকে আভিজাত্য বলে।আমাদের চারপাশে এমন অভিজাত লোকজনের অভাব নেই৷ এখন এই আভিজাত্যও আমাদের দুইটি জিনিস দেয় সহমর্মিতা ও অহংকার।

প্রথমেই আসি অহংকার এর ব্যপারে। যেখানে বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ বাস করে দারিদ্র সীমার নিচে সেখানে যার টাকা পয়সা আছে সে অটোমেটিক নিজেকে সর্বশ্রেষ্ঠ ভাবতে শুরু করে। এই ভাবনাই তার মাঝে টেনে আনে অহংকার। সে ভাবতে শুরু করে আমি বাকি সবার থেকে ভাল,আমি অনেক উচু পর্যায়ের লোক।আমি সব সময়ই ঠিক, বাকিরা ভুল।এভাবেই তার মন জর্জরিত হয় অহংকার নামের বিষে।

এরপর চলে আসে সহমর্মিতার উপর। এই গুণটা খুব বিরল ভাবে আসে,বাচ্চাদের শেখাতে হয় এটা। কারন আপনি যখন চাওয়ার সাথেই সব পাবেন তখন আপনি অভাবি মানুষের দুখ বুঝতে পারবেন না। ক্ষুধার জ্বালা বুঝতে পারবেন না।তাই খুব সহজে সহমর্মিতা গুণটা তখন তার মধ্যে আসবে না। এজন্যই অতীতের বেশিরভাগ জমিদার বেয়াস অত্যাচারী হত। বা বর্তমানের অধিক সম্পদশালী ব্যক্তিরা গরীবের দু:খ দুর্দশা নিয়ে ভাবেন না।

অভিজাত্যের যেমন খারাপ দিক দেখলাম তেমনি অভাবের ও বেশ কিছু খারাপ দিক আছে। যেসব শিশু ছোট থেকেই অভাবের মাঝে বড় হয় তাদের অধিকাংশেরই কিছু সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যা ও সঠিক পন্থা নিয়ে আলোচনা করব আগামী পর্বে।

আজকের পর্ব এপর্যন্তই।বাকি অংশ আগামী পর্বে।ততক্ষণ পর্যন্ত ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন।আর আপনার মতামত কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ।

VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy


_{আমি বৃত্ত মোহন্ত (শ্যামসুন্দর)। বর্তমানে ছাত্র। নতুন কিছু শিখতে, নতুন মানুষের সাথে মিশতে আমার খুব ভাল লাগে। তেমনি বই পড়া আর ঘুরে বেড়ানো আমার পছন্দের কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম। মুক্তমনে সব কিছু গ্রহণ করার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি,"বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র"।}