পরীক্ষা শেষের খাওয়াদাওয়া
"ছাত্রজীবন সুখের জীবন, যদি না থাকত এক্সামিনেশন"। জানিনা কোন মহৎ ব্যক্তি এই কথাটি বলেছেন।কিন্তু কথাটা একদম খাটি। অনার্স জীবন পড়তে পড়তে পেরেশান।তারপরেও পরীক্ষার মাঝে হাজার ঝামেলা,রুটিন পরিবর্তন সব মিলিয়ে জীবন শেষ।
আপনারা তো জানেন পরীক্ষা কতটা চাপের।তারপরেও যদি আমার মত দিনে ৪টা টিউশন কমপ্লিট করে পড়াশোনা করে পরীক্ষা দিতে হয় তবে আরো বেশি কষ্ট।তাই পরীক্ষার পরে একটা পার্টির প্ল্যান আমরা প্রতি পরীক্ষার পরেই করতাম।বিষয়টা অনেকটা রিয়ালিটি থেকে পালানোর মত। যেদিন পরীক্ষা খারাপ হত সেদিন আরো বেশি করে প্ল্যান করা হত।
অবশেষে সেই কাঙ্খিত দিন চলে আসল। পরীক্ষা শেষ হল। কিন্তু আমরা যে ধুমধাম পার্টির কথা কল্পনা করেছিলাম তা আর হলো না। কারন প্রায় সবারই পকেট গড়ের মাঠ।কিন্তু তাই বলে মুক্তির আনন্দ কে যে ফিকে করা যায় না।তাই সিদ্ধান্ত হল কোথাও গিয়ে খাওয়াদাওয়া করেই না হয় পরীক্ষার সমাপ্তি উদযাপন করা হোক।
বগুড়ায় মোটামুটি সব বড় বড় রেস্টুরেন্ট এর শাখা আছে।সব অপশন নিয়েই এক এক করে আলোচনা করা হল।কিন্তু কোনটা বাজেটের বাইরে আবার কোনটার খাবার মনমত নয়।তাই সেগুলো বাতিল করা হল।শেষ পর্যন্ত সিলেক্ট করা হল চুন্নুর চাপে যাওয়া হবে। এর আগেও হয়ত আপনারা আমার পোস্টে চুন্নুর চাপের কথা শুনেছেন।
এখন ভার্সিটিতে আমরা মোটামুটি খুব কাছের বন্ধু তিনজন।আমি,নুর, নাহিদ।তিনজন মিলে রওনা দিলাম আজিজুল হক কলেজ থেকে। পথে আবার নুর তার তার ভাগীনাদের সাথে দেখা করল।তারপর আমরা গিয়ে বসলাম চুন্নুর চাপে। আগেই বিল পে করতে হয়,তাই বিল পে করে গিয়ে আমরা গেলাম টেবিলের খোজে।মজার ব্যপার হল আপনি চুন্নুর চাপে গিয়েই বসতে পারবেন না। এখানে এত ভিড় হয় যে আপনাকে গিয়ে টেবিল এর পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে।
দাঁড়িয়ে না থাকলে আপনি জায়গা পাবেন না।কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর অবশেষে জায়গা পেয়ে বসে পড়লাম আমরা।এর মাঝে খাবার ও চলে আসল।আমরা আর বেশি অপেক্ষা না করে খাওয়া শুরু করলাম। খাবার মুখে যেতেই সব অপেক্ষার কষ্ট ভুলে গেলাম।অবশ্য এর মাঝে একটি মজার ঘটনা ঘটে। আমরা যে টেবিলে বসেছিলাম সেখানেই এক ভাই এসে বসেন। আমরা তিনজন মিলে হাফ মুরগী অর্ডার দিয়েছিলাম।আর সেই ভাই একাই পুরো মুরগী অর্ডার দিয়েছিল।
আমরা তিনজন একে অপরের মুখ চাওয়াচাওয়ি করলাম,কিন্তু অভদ্রতা হয় তাই কিছু বললাম না।কিন্তু ভাইটি অনেক মজার।উনি নিজেই বললেন, ধুর ভাই আপনারা তিনজন মিলে হাফ খাচ্ছেন।ছ্যা ছ্যা আপনারা মানসম্মান ডুবাইলেন। খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারে এমন ভয় পাওয়া আমার পছন্দ না। আমরাও হার মেনে নিয়ে নিজেদের খাওয়ায় মন দিলাম।তবে সেই ফাকে ফাকে সেই ভাইয়ের সাথে মজা করছিলাম। এরপর খাওয়াদাওয়া শেষে আমরা চলে আসলাম।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলে লেখাপড়া জীবনে পরীক্ষা যেটা সবার মধ্যেই অস্থিরতা এনে দেয়। টেনশন আবার পরীক্ষা কখন শেষ হবে সেই চিন্তা লেখাপড়ার চাপ। আপনি টিউশনি করার মাধ্যমে অনেক সময় দিয়ে থাকেন। যাইহোক, পরীক্ষা শেষে বন্ধুদের সাথে একটু সুন্দর মুহূর্ত যেটা সত্যি তৃপ্তি দেয়। সবাইকে একসঙ্গে দেখে ভালো লাগলো । আমাদের সাথে সেই মুহূর্ত এবং গল্প তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
শুধু ছাত্র জীবন না জীবনের প্রত্যেক পরীক্ষাই একটা টেনশন। যখন কর্মজীবনে কোন ভাইবা পরীক্ষা দিতে যাবেন তখন এটা উপলব্ধি করতে পারবেন। তারপরও আপনার পরীক্ষাটি সহজসাধ্য ছিল না কারণ চার চারটি টিউশনি করার পরে নিজে প্রিপারেশন নিয়ে পরীক্ষা দিয়েছেন। আপনার জন্য অনেক দোয়া এবং শুভকামনা রইল সমস্ত পরীক্ষার রেজাল্ট যেন আপনার ভালো হয়। আমি যখন চাকুরি জীবনে বগুড়াতে ছিলাম তখন প্রায়ই চুন্ন চাপ খেতে যেতাম। তবে ওইখানে এত পরিমাণে ভিড় রাস্তা পর্য্যন্ত্য সিরিয়াল দিয়ে বসে থাকে। যাইহোক পরীক্ষা শেষের অনেক সুন্দর একটি মুহূর্তের অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আপনার দোয়া কবুল হোক। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহিত করার জন্য।
মাঝেমধ্যে এরকম ভাবে খাওয়া দাওয়া করতে খুব ভালো লাগে। আপনি দেখছি অনেক ভালো মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। পরীক্ষার শেষে খাওয়া-দাওয়া বেশ ভালোভাবে করেছেন। খাবার দেখে মনে হচ্ছে অনেক বেশি মজাদার ছিল। পুরো মুহূর্তটাকে সুন্দর করে সবার মাঝে ভাগ করে নিয়েছেন দেখে ভালোই উপভোগ করলাম। নিশ্চয়ই তৃপ্তি সহকারে খেয়েছিলেন। আপনাদের খাওয়া দাওয়া করার পুরো মুহূর্তটাকে এত সুন্দর করে সবার মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো।
ভাই চেষ্টা করুন জাস্টিফাই মার্ক ডাউন অবশ্যই ব্যাবহার করতে।
এবার যেহেতু অনেক ঝামেলা গেল তাই আপনাদের কেউ ঝামেলায় পড়তে হয়েছে। পরীক্ষা আর রুটিন চেঞ্জ সব মিলে বেশ অবস্থা খারাপ। অবশেষে পরীক্ষা শেষ হয়েছে এটাই ভালো লাগার বিষয়। পরীক্ষা শেষ করে দারুন সময় কাটিয়েছেন এবং খাওয়া দাওয়া করেছেন দেখে ভালো লাগলো ভাইয়া।
পড়ার মাঝে রুটিন পরিবর্তন করলে খুবই চাপের হয়ে যায়।আর আপনাদের এক্সাম শেষ মানেই মুক্তি পেয়েছেন।আসলেই এক্সাম মানেই ঝামেলার,যাইহোক খাওয়া দাওয়ার মাধ্যমে দারুণ সময় উপভোগ করেছেন আপনারা।ভালো লাগলো দেখে, ধন্যবাদ আপনাকে দাদা।