ঈদের ঘোরাঘুরি-২
গত পর্বে তো আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি সকালে বান্ধবীদের সাথে ঘোরাঘুরির মুহুর্ত গুলো। বান্ধবীদের সাথে ঘোরাঘুরি করে বাড়ি চলে আসলাম। তার আগে ওদের সাবধানে ওদের বাড়িতে পৌছে দিয়েছি।বাড়ি আসতে আসতে দুপুর হয়ে গিয়েছিল।তাই আরেকবার স্নান সেরে খাওয়াদাওয়া টাও সেরে নিলাম।তারপর ঘড়িতে দেখলাম আরো খানিকটা সময় বাকি। তাই একটু ভাতঘুম দিলাম।
তারপর ঘুম ভাঙল ফোনের ভাইব্রেশনে। দেখলাম তানভীরের কল,ফোন ধরতেই দুই চারটা গালি খেলাম আগে। তারপর শুনলাম সবাই এসে হাজির,খালি আমি সময়ে হাজির হইনি। যাই হোক রেডি হয়ে চলে গেলাম। গিয়ে দেখি আসলেই সবাই হাজির। এবার গন্তব্য ঠিক করা। ভাবছেন এরা কেমন ঘোরাঘুরি করে যে গন্তব্যই ঠিক নেই। আসলে আমাদের ঘোরাঘুরিই এমন।
অনেক ভোটাভুটির পর ঠিক হল সেই পুরোনো জায়গাতেই যাওয়া ঠিক হল,অর্থাৎ মহিমাগঞ্জ। মহিমাগঞ্জ আমাদের মেইন শহর থেকে একটু বাইরে৷আমাদের শহরের একমাত্র রেলস্টেশন মহিমাগঞ্জে। সবাই রেলস্টেশনে যায়,তবে আমরা যাই রেলস্টেশন থেকে একটু দূরে নদীর পাড়ে।
যাই হোক রওনা দিলাম,আবহাওয়া টাও পারফেক্ট ছিল।আকাশ মেঘলা থাকায় রোদের দাপট ছিল না। ফলে অতটা গরম না। বেশ হাওয়া দিচ্ছিল।তাই সিএনজি না নিয়ে অটো ভ্যানে রওনা দিলাম।হালকা বাতাসে বেশ ভালই লাগছিল। ফুর্তিতে সবাই গান ও শুরু করছিলাম।যদিও পরে অটোওয়ালা মামার ধমক খেয়ে গান থামাতে হয়েছিল।
গন্তব্য পৌছে দেখি লোকে লোকারণ্য।প্রতিবার ভিড় হয় ঠিকই,তবে এত বেশি ভিড় কোনদিনই ছিল না। এত বেশি লোক দেখে মনটাই খারাপ হয়ে গেল। শান্তিমত কোথাও বসে আড্ডা দেবার ও যো নেই। বাদাম কিনতে গিয়ে আরেক বিপদ।এত লোকজন হয়েছে যে বাদামওয়ালাদের বাদাম ই শেষ। দুই একজনের কাছে আছে তারা দ্বিগুণ দামে বিক্রি করছে।তাও বাধ্য হয়ে কিনলাম।কারন বাদাম ছাড়া আড্ডা জমে না।
OR
আমি বৃত্ত মোহন্ত (শ্যামসুন্দর)। বর্তমানে ছাত্র। নতুন কিছু শিখতে, নতুন মানুষের সাথে মিশতে আমার খুব ভাল লাগে। তেমনি বই পড়া আর ঘুরে বেড়ানো আমার পছন্দের কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম। মুক্তমনে সব কিছু গ্রহণ করার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি,"বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র"।
হ্যাঁ গত পর্ব পড়েছিলাম বান্ধবীদের সাথে দারুন সময় কাটিয়ে ছিলেন । এই পর্বে বন্ধুদের সাথে কাটানো মুহূর্ত শেয়ার করলেন যেখানে ঘুরতে যাওয়ার ভোটাভুটি র বিষয়টি অনেক ভালো লেগেছে। কারণ আমরাও এইরকম সিদ্ধান্ত নিতে না পেরে ভোটাভুটি করি। যাইহোক, মহিমা গঞ্জে রেলস্টেশনে গিয়ে দারুন সময় কাটিয়েছেন। তার পাশাপাশি সেখানকার দৃশ্য খুব সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আমাদের সাথে শেয়ার করলেন ভালো লাগলো।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ঈদ মানুষের জীবনে আনন্দ বয়ে নিয়ে আসে। আর এই মুহূর্তটা আপনজনদের সাথে বন্ধুদের সাথে ঘোরাঘুরি করতে যেতে খুবই ভালো লাগে। আর সত্যি বলতে কি ভাইজান এবার ঈদের দিনগুলা এত সুন্দর আবহাওয়া গেল আমিও ইচ্ছে মতো ঘোরাঘুরি করেছি। যাহোক এই মুহূর্তে দারুন অনুভূতি গুলো আমাদের মাঝে ব্যক্ত করেছেন এবং ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো।
আপনার ঈদের ঘুরাঘুরি করার প্রথম পর্বে দেখেছি আপনি আপনার মেয়ে ফ্রেন্ডদের সাথে সকালে ঘুরতে গিয়েছিলেন। যদিও একটু ঘুমিয়ে ছিলেন রিল্যাক্সে কিন্তু বন্ধুদের জন্য আর পারলেন না। বন্ধুদেরকে বিকেল বেলায় সময় দিয়েছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। আমার কাছেও এটা ভালো লাগে কোন ডিসিশন ছাড়া কোথাও যেতে। তবে যেখানে গিয়েছেন সেখানে তো দেখছি অনেক মানুষের ভিড়। বাদামের কথা শুনে তো আমার আমার অনেক হাসি পেল। বাদাম শেষ হয়ে গিয়েছে কথাটা শুনে একটু বেশি হাসি পেয়েছে। বাদামওয়ালারা তো বাদামের দাম বেশি করবেই, কারণ বেশি হলেও মানুষ তো কিনতেছে। যাই হোক বাদাম কিনে নিশ্চয়ই ভালো আড্ডা দিয়েছিলেন পরবর্তীতে।
ঈদের সময় যদি ঘুরাঘুরি করাই না হয়, তাহলে ঈদটাই তো অসম্পূর্ণ থেকে যায়। আমরাও বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করে থাকি ঈদের সময়। গতকালকে আপনার একটা পোস্টে দেখেছিলাম আপনি আপনার বান্ধবীদের সাথে ঘুরাঘুরি করেছিলেন সকাল বেলায়। বিকেলে আবার বন্ধুরা ঘুম থেকে জাগিয়ে দিয়েছিল, না হলে তো আরো কথা শুনতে হতো আপনাকে। বিকেল বেলায় বন্ধুদের সাথে আনন্দঘন মুহূর্ত কাটিয়েছেন। যদিও চেয়েছিলেন একা একা নির্জন জায়গায় আড্ডা দিতে, কিন্তু অনেক মানুষ চলে গিয়েছিল। যেহেতু ঈদের সময় এরকম জায়গায় মানুষ তো যাবেই।
যদিও গতপর্ব টা আমার দেখা হয়নি। তবে আজকের পর্ব টা দেখে বেশ ভালো লাগলো। লেট হয়ে গেলে বন্ধুদের কাছে এরকম দুই চারটা গালি খাওয়া কোন ব্যাপার না। তবে যাই হোক বন্ধুদের সাথে সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন। ঈদের দিনটা ভালোভাবে উদযাপন করেছেন সবার সাথে। তবে হ্যাঁ আপনাদের ওদিকে আবহাওয়া টা ভালোই ছিল। কিন্তু আমাদের এখানে ঈদের দিন অনেক রোদ ছিল। ভালো লাগলো আপনার সুন্দর মুহূর্ত গুলো দেখে।
যাক, তাহলে শেষ পর্যন্ত বন্ধুদের সাথে ঘুরাঘুরির পর্ব পাওয়া গেল। হা হা হা... তবে আমি কিন্তু মোটেই ভাবছি না যে, আপনারা ঘুরাঘুরি করবেন আর আপনাদের গন্তব্যের কোন ঠিক নেই। আমাদের নিজেদের ক্ষেত্রেও এরকম হয়। বাইক নিয়ে বেরিয়ে যাই, কোথায় যাই জানিনা। তারপর ঘুরে বাড়ি চলে আসি। যাইহোক, অন্য জায়গা থেকে বাদাম কিনে নিয়ে যেতেন, তাহলে আর দ্বিগুণ দাম দিয়ে বাদাম কিনতে হতো না। ভালো লাগলো ভাই আপনার পোস্ট টি পড়ে।
ঈদ উপলক্ষে আনন্দ করা ঘুরে বেড়ানোর সুন্দর মুহূর্তটা আপনি আমাদের মাঝে সুন্দরভাবেই উপস্থাপন করেছেন। খুবই ভালো লাগলো আপনার এই ঈদ উপলক্ষে তোমার কাটানোটা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন দেখে। আশা করি ঈদের দিন গুলো বেশ ভালো কেটেছে আপনার। আর মহিমাগঞ্জ নামটাও কিন্তু প্রথম জানলাম। যাইহোক ভালো লাগলো ভাইয়া।
ঈদ উপলক্ষে ঘোরাঘুরি করার খুবই সুন্দর একটি মুহূর্ত শেয়ার করেছেন আপনি। আসলে ঈদ উপলক্ষে আমাদের সকলেরই ঘোরাঘুরি করা উচিত। আপনি আজকে সেরকমই ঘোরাঘুরি করার মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন যা দেখে খুবই ভালো লাগছে৷ অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটা মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।