স্থিরতা
একটা সময়ের পরে এমনিতেই নিজের ভিতরে ভীষণ স্থিরতা চলে আসে। আসলে হয়তো সেটা বয়স বাড়ার সঙ্গে নতুবা পারিপার্শ্বিক অবস্থার কারণে। টিকে থাকাটাই যেখানে মুখ্য বিষয়, সেখানে চুপচাপ থাকাই শ্রেয়।
হয়তো জীবন এমনি, তাই সবকিছু মেনে নিয়ে চলতে হবে এবং নিজেকে সান্তনা দিতে হবে আর এগিয়ে চলার পথ খুঁজতে হবে।
ফেলে আসা জীবনের কথা বড্ড মনে পড়ছে, স্বাধীন স্বাধীন বলে গলা ফাটানো ছেলেটা, আজ তার নিজের স্বাধীনতা নিজেই বিসর্জন দিয়েছে। হয়তো চাইলেও সেভাবে আর আগের মত করে সবকিছু ফিরে পাওয়া সম্ভব না। সমস্ত রাস্তাগুলো যেন অন্ধকারে ঢেকে গিয়েছে।
জীবনের অভিজ্ঞতার ডায়েরি এখনো অনেকটা শুন্য বললেই চলে। তবে স্বল্প বুদ্ধিতে যতোটুকু বুঝি, বাঁকা লোহাকে কেউ সোজা করে কোন কাজে লাগায় না বরং তার থেকে সোজা লোহার উপর ক্রমাগত হাতুড়িপেটা করা হয়।
আজকাল সবকিছুই সহ্য হয়ে গিয়েছে। কিসের মোহে, কোথায় থেকে কোথায় যে ডুবে গিয়েছি,তার কিছুই জানি না। সবকিছুই যেন ক্রমাগত এলোমেলো লাগে। হতাশা আর অজানা ভয় যেন ক্রমাগত নিজেকে জড়িয়ে ধরছে।
বিষ খেয়ে বিষ হজম করার মত শক্তি যেন হয়ে গিয়েছে। আজকাল মানসিক যন্ত্রণার ব্যাপারগুলো অনেকটাই তুচ্ছ লাগে। সহ্যের নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে সবকিছু। প্রতিনিয়ত যে বারবার মার খাচ্ছে, তার কাছে মৃত্যু ভয় যেন এখন অনেকটাই হাস্যকর ব্যাপার।
এত রাতে তো কখনো ছাদ থেকে কান্নার আওয়াজ আসার কথা না। তবে আজ ছাদের কোনায় কে বসে আছে আর ঐ কালো মেঘের মাঝে জ্বলজ্বল করে ওঠা চাঁদটাকে কেনইবা সে দেখছে।
তার মাথায় কি চলছে, কে জানে। এই বিশাল পৃথিবীটা তার কাছে বড্ড নিশ্চুপ মনেহয় তার কাছে। এতো কথার ভিড়ে তার কথা শোনার কেউ নেই।
পিছুটান যদি আঁকড়ে ধরে জীবনের সঙ্গে না থাকতো, তাহলে হয়তো জীবনটা আজ আরও সহজ হতো। জানি একটা সময়ের পরে সব নিভে যাবে, তারপরেও নিজেকে উজ্জীবিত রাখতে সবার ব্যস্ততার যেন কোন কমতি নেই।
কান্নার আওয়াজ থেমে গেছে। কালো মেঘের মাঝে যদি ঐ চাঁদ একা জ্বলজ্বল করে জ্বলতে পারে এবং টিকে থাকতে পারে, তাহলে তার চেষ্টা করতে অসুবিধা কোথায় ।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আপনার কথাগুলো পড়লে ভীষণ ভালো লাগে। আসলে আপনি বাস্তবিক বিষয়গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করেন। ঠিকই বলেছেন আমরা যদি চুপচাপ থাকি তাহলে সেখানে কোন ধরনের সমস্যা হবে না। আর চুপচাপ থাকলেই প্রতিনিয়ত টিকে থাকা সম্ভব। আর পিছুটান সেটা আমাদের জীবনে থাকবেই। জীবনটা আসলে অতটা সহজ কখনোই হবে না। পিছুটান, সুখ দুঃখ সব কিছু নিয়েই বেঁচে থাকতে হয়। বাস্তবিক জীবন অনেক কঠিন।
মানুষের মুখে বলতে শুনেছি বুদ্ধিমানরা কম কথা বলে।আর বর্তমানে পারিপার্শ্বিক যা অবস্থা তাতে কম কথা বলাই উত্তম। আর এমনিতেই বয়সের সাথে সাথে মানুষের অনেক কিছু পরিবর্তন ঘটে। আল্লাহ মানুষ কেমন ভাবে সৃষ্টি করেছে প্রতিটি পদক্ষেপে যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলা করার মত ক্ষমতা মানুষের মধ্যে দিয়েছে। আর মানুষ যখন যে সমাজে থাকে তখন ওই সমাজের আবহাওয়া পরিস্থিতির উপর মানে নিতে সক্ষম হয়। পারিপার্শ্বিক যত কষ্টই আসুক না কেন যদি নিজে ধৈর্য ধরে থাকা যায় তাহলে একটা সময় যত কষ্টই হোক না কেন আর কোন কিছুই মনে হয় না। এই যে ঠিক বিষ খেয়েও হজম হয়ে যাওয়ার মত। আপনার লেখা গুলো পড়ে বেশ দারুন লাগলো ভাইয়া। আপনি এখানে বাস্তবতা তুলে ধরেছেন। আপনার জন্য দোয়া ও শুভকামনা রইল।
অনেক সময় যখন নিজের স্বাধীনতা বা মত প্রকাশ করাটা মূল্যহীন মনে হয় তখন হয়তোবা নিশ্চুপ হয়ে যাওয়াটাই শ্রেয়। তেমনি কারো মনে যদি অনেক রাগ অভিমান জমা থাকে তখনও হয়তো বা কেউ নিশ্চুপ হয়ে যায়। স্থিরতা চলে আসে মনের মাঝে। তবে আপনি আজকে যে লিখাগুলো লিখেছেন পড়ে খুবই ভালো লেগেছে। ছাদে বসে কান্না করা আর এই চাঁদটাকে দেখা হয়তো বা তার কষ্ট গুলো দেখার মত কেউ নেই। এত বড় পৃথিবী, এত মানুষজন কিন্তু দুঃখ ভাগ করে নেয়ার ক্ষেত্রে হয়তোবা কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। মানুষ নিজের নিয়মে নিজের গতিতে চলে। কেউ কখনো অন্যের জন্য সময় বের করে বসে থাকে না। লেখাগুলো পড়ে সত্যিই খুব ভালো লাগলো।
সময় মানুষের মানসিকতা বদলে দেয়। আসলে সময়ের সাথে সাথে আমাদের মানসিকতা বদলে যায়। একটা সময় অন্যের কথার আঘাত অনেক বিষাক্ত লাগতো। আর এখন সেই কথাগুলো কেন জানি হৃদয়ে খুব একটা আঘাত করে না। হয়তো সময় বদলেছে। তাই অনুভূতিগুলো বদলে গিয়েছে। ভাইয়া আপনার লেখাগুলো পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আপনি কিন্তু দারুণ লিখেছেন। দারুন একটি লেখা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য এবং আমাদেরকে পড়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।
ভাইয়া আপনি বাস্তবতা নিয়ে খুব সুন্দর করে লিখতে পারেন।বাস্তবতা এটাই বলতে হবে কম শুনতে হবে বেশি।তবে ই শান্তি। মানব জীবন মানেই সুখ,দুঃখ, পিছুটান। এসব নিয়েই লড়াই করে বেঁচে থাকা। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি ব্লগ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।