পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে কিছু সময়
মাধ্যমিকের পরে থেকে সেভাবে আর স্কুলের বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হয়ে ওঠেনি । দিন যত গড়িয়ে গিয়েছে বরং ততই দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে । এতটাই দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে যে, অনেকের যেন চেহারা ভুলেই গিয়েছি। দীর্ঘ সময় তো অতিক্রম হয়ে গিয়েছে, সবার চেহারায় পরিবর্তন আসা নিতান্তই অস্বাভাবিক কিছু না।
এখন কি আর সেই আগের মতো স্কুলের দিন আছে, যে প্রতিনিয়ত বিকেল বেলা করে স্কুলের মাঠে গিয়ে সকলের সঙ্গে দেখা হবে ! কতগুলো বসন্ত হারিয়ে গিয়েছে, সে খবর কে রাখে !
এখন সবাই ব্যস্ত, আপন কর্মে আপন ভুবনে।চাইলেও আর পিছনে ফিরে যাওয়ার সুযোগ নেই। সবাই যেন পালিয়ে বাঁচার চেষ্টা করে। সংসার-পরিবার,কর্ম আর দায়িত্ব সবাইকে পিষে জর্জরিত করে ফেলেছে । স্কুল জীবনের সেই ফেলে আসা দিনগুলো এখন শুধুই স্মৃতি।
এতকিছুর পরেও এই আয়োজনটা শুধু সম্ভব হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে। সোশ্যাল মিডিয়ার যুগ না হলে হয়তো, বর্তমান সময়ে এসে বিগত সময়ের বন্ধুদের সঙ্গে কোনোভাবেই দেখা হওয়া সম্ভব হয়ে উঠতো না। ভাগ্যিস সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে সবাই টুকটাক যুক্ত ছিল।
বিগত কয়েকদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায়, পুরনো বন্ধুর মাধ্যমে সংবাদ পেয়েছিলাম, আবারো স্বল্প সময়ের জন্য হলেও স্কুলের বন্ধুরা সবাই একত্রে মিলিত হতে চায়। সংবাদটা আমাকে বেশ আনন্দিত করেছিল। অতঃপর চেষ্টা করেছিলাম সোশ্যাল মিডিয়াতেই নির্মিত গ্রুপের মাধ্যমে সকলের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য।
আজ সেই বহুল প্রতীক্ষিত কাঙ্ক্ষিত দিন। সন্ধ্যার ভিতরেই সবাই চলে এসেছিল স্কুল মাঠে, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে যেমনটা কথা হয়েছিল তেমনটাই আয়োজন চলছিল ক্রমাগত। গল্প হাসি ঠাট্টায় কখন যে সময়টা কেটে গেল, তা যেন কোনভাবেই বুঝে উঠতেই পারলাম না।
দীর্ঘদিন পরে সবার সঙ্গে দেখা হয়ে বেশ ভালোলাগা কাজ করছিল নিজের মাঝে। মনে হচ্ছিল যেন স্বল্প সময়ের জন্য হলেও ফিরে গিয়েছিলাম স্কুল জীবনে। যেমনটা জমিয়ে আড্ডা দেওয়া হয়েছিল এবং তেমনটা সবার বর্তমান অবস্থা নিয়েও খোঁজখবর নেওয়া চলছিল ।
এমন ঘটা করে আয়োজন আবার কবে হবে, তা বলা মুশকিল। তবে আজকের কাটানো সময়টার কথাই হয়তো হৃদয়ে ছাপ ফেলে যাবে বহুদিন অবধি।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এটা ঠিক বর্তমানে সবাই এতটাই ব্যস্ত থাকে যে, সোশ্যাল মিডিয়া না থাকলে কারো সাথে যোগাযোগ করা হতোই না। পুরনো বন্ধু বান্ধবদের সাথে দেখা হলে ভীষণ ভালো লাগে। আপনারা তো দেখছি চমৎকার আয়োজন করেছেন। সবাই মিলে আড্ডা দেওয়ার পাশাপাশি বেশ ভালোই খাওয়া দাওয়া করেছেন। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। সবমিলিয়ে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন আপনারা। যাইহোক এতো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
যদিও স্বল্প সময়ের ভিতরে সব কিছু আয়োজন করা হয়েছিল, তবে মানতেই হবে, সময়টা বেশ ভালো কেটেছিল।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যেন সব বন্ধন কেমন ফিকে হয়ে যায়।সবাই এখন নিজ কর্মে ও নিজ পরিবারকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।সোশ্যাল মিডিয়ার ভালো কল্যাণে আপনারা পুরোনো বন্ধুরা একত্রে জড়ো হয়ে মজার পিকনিক করেছেন, এটা আসলেই অনেক আনন্দের।হয়তো এটাও স্মরণীয় হয়ে থাকবে আপনাদের সুন্দর মুহূর্তটি,ধন্যবাদ ভাইয়া।
এমন আয়োজন হয়তো শুধুমাত্র সম্ভব হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে। এটা সত্য সময়ের সঙ্গে সবকিছুই হালকা হয়ে যায়।
স্কুল লাইফের মতো বেস্ট সময় আর কখনো মনে হয় না পাওয়া যায় না। স্কুল লাইফের প্রত্যেকটা বন্ধুই অনেক আপন মনে হয়! সুদীর্ঘকাল পরে দেখা হলেও অপরিচিত লাগে না, ঠিক আগের মতোই সব! আমাদের সৌভাগ্য হবে ঈদের পরে সবাই একসাথে হওয়ার! যাইহোক, আপনারা সব বন্ধুরা মিলে ভালো সময় কাটিয়েছেন অল্প সময়ের জন্য হলেও। বন্ধুদের সাথে কাটানো মোমেন্ট সবসময় অন্যরকম হয়, অন্যরকম একটা অনুভূতি থাকে।
একদম ঠিক বলেছেন ভাই, আপনার কথার সঙ্গে আমি সহমত পোষণ করছি।
কথাটা যেন একেবারে কলিজায় গিয়ে লাগল ভাই। সবাই এখন যে যার মতো ব্যস্ত। চেষ্টা করলেও এইরকম এক হওয়া হয়ে উঠে না। এক্ষেত্রে স্যোসাল মিডিয়া অসাধারণ একটা ভূমিকা পালন করে থাকে। সবাইকে একটা গ্রুপে যোগ করে দেয় পৃথিবীর যে কোণায় থাক না কেন। দারুণ ছিল আপনাদের স্কুলের পুরানো বন্ধুদের সাথে কাটানো মূহুর্ত টা ভাই। এমন মূহূর্ত ফিরে আসুক বার বার সেই কামনা করি।