ঝাল ঝাল চিতই পিঠা খাওয়ার অভিজ্ঞতা
পোস্টের ক্যাপশন দেখে যদি ভাবেন যে এটা কোন রেসিপি পোস্ট, তাহলে আমি শুরুতেই বলে নিচ্ছি দুঃখিত। এটা কোন ভাবেই রেসিপি পোস্ট না। মূলত পিঠা খাওয়া কে কেন্দ্র করে আমি আমার নিজের কিছু মুহূর্ত ও মতামত আপনাদের সঙ্গে তুলে ধরছি।
উত্তরবঙ্গে বেশ ভালোই ঠান্ডা পড়েছে, এটা হয়তো সারা দেশের মানুষের বুঝতে আর বাকি নেই। তাছাড়াও দেশের অন্যান্য জায়গাতেও ধীরে ধীরে ঠান্ডার প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে, এটাও সত্য কথা। আমাদের জীবনযাপনে পরিবর্তন অনেকটাই এই সময়ে বেশ ভালোভাবে পরিলক্ষিত হয়। কেননা অন্যান্য ঋতুর থেকে এই শীতকাল অনেকের কাছে যতটা আনন্দের আবার তেমনটাই অনেকের কাছে ভীষণ কষ্টের।
যেহেতু দীর্ঘদিন গ্রামে ছিলাম সেখানকার এক রকম পরিবেশ ছিল, তবে শহরে ফেরার পরে সমসাময়িক সময়ে পরিবেশের যে খুব আহামরি পরিবর্তন হয়েছে, তা আমি বলবো না। এখানেও বেশ ভালোই ঠান্ডা। আজ বিকেলের দিকে বেড়াতে গিয়েছিলাম, ঝিলের পাড়ের ঐদিকটাতে। দীর্ঘ সময় বাবুকে নিয়ে হাঁটা-হাঁটি করেছি। ফেরার পথে লক্ষ্য করলাম মাঝ বয়সী এক নারী জীবিকার তাগিদে, ঝিলের পাড়ে পিঠার দোকান দিয়েছে।
অনেক রকম লোকজনের সমাগম সেখানে, মূলত কেউ কেউ দর্শনার্থী আবার কেউ কেউ ক্রেতা। সবাই খুবই স্বল্প দামে শীতকালীন পিঠা কিনে খাচ্ছে। বিশেষ করে চিতই পিঠার সঙ্গে কয়েক রকম ঝাল মিক্সড করে এই পিঠা বিক্রি করা হচ্ছে। আমি চেষ্টা করলাম কাছে গিয়ে সম্পূর্ণ ব্যাপারটা দেখার জন্য।
যে সময়টাতে গিয়েছে তখন লোকজনে সমাগম একটু কম ছিল, তবে দোকানদারের কাছ থেকে শুনলাম সন্ধ্যার পরে এদিকটাতে ভিড় নাকি বেশ ভালই হয়। অতঃপর দুটো চিতই পিঠার অর্ডার দিয়ে ফেললাম, একটাতে ঝালের পরিমাণ কিছুটা কম নিয়েছি আবার সঙ্গে মিষ্টি স্বাদের জন্য হালকা গুড়। অন্যটাতে ঝালের পরিমাণ বেশি ছিল।
গুড় দিয়ে নেওয়ার কারণ মূলত সেই পিঠাটা বাবুকে খাওয়ানোর জন্য। বাবু চেষ্টা করছিল নিজের হাতে একটু একটু করে খাওয়ার জন্য, খুব একটা বেশি খেতে পারিনি, ওর বাকি অংশটুকু আমিই খেয়েছিলাম। তবে আমার পিঠাটাতে ঝালের পরিমাণ বেশি থাকার কারণে, খাওয়ার পরে মনে হচ্ছিল, চোখ মুখ দিয়ে যেন গরম বাতাস বের হয়ে যাচ্ছিল।
এই পিঠাগুলো এমনিতেই যেমনটা লোভনীয়, তেমনটা কিন্তু অতিরিক্ত ঝাল দিয়ে খেলে খাওয়ার সময় মজাই লাগে, তবে খাওয়ার পরে চোখ মুখ লাল হয়ে যেতে পারে। তারপরেও খাদ্য রসিকদের কাছে শীতের দিনে এই পিঠা যেন অনেকটাই পছন্দের শীর্ষে থাকে। যদিও ঝালের পরিমাণটা আমি ইচ্ছাকৃতভাবে কিছুটা বেশি নিয়েছিলাম, তারপরেও খুব একটা খারাপ লাগেনি। বলা যায়, এই শীতের দিনে বিকেল বেলা অনেকটা আত্মতৃপ্তিতেই খেয়েছি এবং ভালোই উপভোগ করেছি, উন্মুক্ত পরিবেশে সময়টা।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
জী ভাইয়া শীত আসলে এই চিতই পিঠার কদর বেড়ে যায়। শহরের দিকে সারা বছর বিক্রয় করে তারপরও শীতের মৌসুমে ক্রেতা বেড়ে যায়। আমিও প্রায় সময় খেয়ে থাকি। ভালোই লাগে খেতে। আমি আবার ঝাল ভর্তার পরিবর্তে সরিষা বাটা খায়। শরীরের জন্য ভালো। ধারুন ছিল আপনার চিতই পিঠা খাওয়ার অনুভূতি। ধন্যবাদ।
ঝাল ঝাল ভর্তা দিয়ে চিতই পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা। আমার যখন বেশি সর্দি লেগে যায়, তখন চিতই পিঠা সরিষার ভর্তা এবং ঝাল ঝাল ভর্তা দিয়ে খেয়ে থাকি। এতে করে সর্দি যেন তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে যায়। যাইহোক কমবেশি সব জায়গায় শীত পরেছে ইতিমধ্যেই,আর শীতকালে বিভিন্ন ধরনের পিঠা খাওয়া হয়। আমি ইতিমধ্যেই ৫/৬ ধরনের পিঠা খেয়ে ফেলেছি। আপনি এবং শায়ান বিকেলে হাঁটাহাঁটি করে এবং চিতই পিঠা খেয়ে বেশ ভালোই সময় কাটিয়েছেন ভাই। যাইহোক এতো চমৎকার মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এটা সত্য যে আমাদের সময়টা সেদিন বেশ ভালোই কেটেছিল এবং আমরা বাপবেটা উভয়ই বেশ তৃপ্তি সহকারে পিঠা খেয়েছিলাম ভাই।
আমিও কিন্তু খেয়েছি সেদিনি। আশা করি বেশ তাড়াতাড়ি আপনার মত করে পোস্ট দিতে পারবো। হয়তো আপনার মত এত সুন্দর করে লিখতে পারবো না নিজের অভিজ্ঞতা। আমার বেশ ভালো লাগলো আপনার আজকের কুয়াশার ভিতর পিঠা খাওয়ার অভিজ্ঞতা পড়ে। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আপনি নিজেও কিন্তু অনেক সুন্দর লেখেন, অপেক্ষায় থাকলাম আপনার সেই পোস্ট পড়ার জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://twitter.com/sharifShuvo11/status/1734482414595109104?t=C17Df6impgL6dX4UTzFXOg&s=19
শীত মানেই হরেকরকম পিঠা-পুলির উৎসব, ঘরে এবং বাইরে। গ্রাম শহর একই চিত্র।রাস্তার মোড়ে নানা রকম অস্থায়ী পিঠার দোকান।মুলত: বিকেল থেকে রাত ১০/১১ টা পর্যন্ত দোকান গুলো চলে। সে রকম একটি দোকানে চিতই পিঠা খাওয়ার অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।ছবি গুলোও বেশ সুন্দর হয়েছে।শুভ কামনা আপনার জন্য
একদম ঠিক বলেছেন আপু, এই পিঠার দোকানগুলো জমে উঠে বিকাল থেকে মাঝরাত পর্যন্ত।
আহা ভাই শীতের সময় চিতই পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা। শীতের বেশি ঝাল খাইলে চোখ মুখ দিয়ে গরম বের হবে এটাই তো স্বাভাবিক। আমিও মাঝেমধ্যেই এই পিঠা খেয়ে থাকি বেশ ভালো লাগে। আপনার বাচ্চার জন্য মিষ্টি পিঠা আপনারও কিছু পরিমাণে খাওয়া হয়ে গেলো। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
এটা সত্য এই পিঠা অতিরিক্ত ঝাল দিয়ে খেলে একদম চোখমুখ গরম হয়ে যায়, তারপরেও কিন্তু খেতে বেশ ভালো লাগে ।
আমাদের এদিকটাতেও অনেক ঠান্ডা পরেছে আসলে। আর এ সময়টাতে রাস্তার পাশেই চিতই পিঠার ছোট ছোট দোকানগুলো দেখা যায়। আমি নরমালি চিতই পিঠা আর সরিষা ভর্তা দিয়ে খেতে পছন্দ করি। চ্যাপা ভর্তা খেলে অবস্থা শেষ। অনেক ঝাল হয়ে থাকে ভর্তা টা
আপনার ব্যাপারটা জেনে বেশ খুশি হলাম ভাই।
শীতকালীন পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা।তবে শুধু চিতই পিঠা খাওয়া হলেও ঝাল দিয়ে কখনো খাওয়া হয় নি।ভাইয়া এখানে পিঠার উপরে চারটি আচারের মতো যে ঝালগুলি দেওয়া হয়েছিল সেগুলোর নাম বলে দিলে ভালো হতো।আর ঝাল ঝাল পিঠা সায়ান বাবুকে না দেওয়াই ভালো, কারণ অতিরিক্ত ঝালে বাচ্চাদের সমস্যা হতে পারে।ভালো লাগলো পিঠা খাওয়ার অনুভূতি পড়ে,ধন্যবাদ আপনাকে।