শেষরাতের বৃষ্টি
এমনিতেই রোজার মাস, তার ভিতরে দিনের বেলা অসহ্য গরম। এমন অবস্থায় অনেকের জন্য রোজা রাখাও বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে যায়। যদিও কষ্ট করে হলেও সবকিছু ঠিকঠাক মতো করা যায়, তবে আবার রাত্রিবেলা ঘুমানোর সময় লোডশেডিং এর ফাঁদে পড়তে হয় । সব মিলিয়ে দেখা যায়, জীবন একদম তেজপাতা।
এমন অবস্থায় অনেকে তো অসুস্থ হয়ে পড়েছে, শারীরিক দুর্বলতা, জ্বর সর্দি এসব যেন লেগেই আছে । যদিও আমি ও আমার পরিবার এসবের ভুক্তভোগী ছিলাম, তবে আপাতত সুস্থ। তবে মাত্রা অতিরিক্ত গরমে অনেকটাই কাহিল হয়ে গিয়েছি।
গতরাতেও ঠিক একই অবস্থা প্রচুর গরম ছিল, তবে মুহূর্তের মধ্যেই যেন সবকিছু শীতল হয়ে গিয়েছিল। তখনও জেগে ছিলাম, ইচ্ছে করেই ঘরের দরজাটা খুলে একটু বাহিরে উঁকি দেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। ঠান্ডা বাতাসে শরীরটা যেন মুহূর্তেই হালকা হয়ে গেল ।
তবে এ বাতাস যে বড্ড সুবিধের তা আর বুঝতে বাকি রইল না। ভ্যাপসা গরমে জনজীবনে যেন মুহূর্তেই প্রশান্তির ছাপ ফেলেছে এই সেহরির সময়ে। ইচ্ছে করেই আরো কিছুটা সময় দাঁড়িয়ে রইলাম বারান্দাতে। বাতাসের বেগ যেন ক্রমেই বাড়ছিল আর সঙ্গে টিপ টিপ বৃষ্টি।
খানিকবাদেই যেন ঝড়ো হাওয়া বইতে শুরু করলো। সেকি বৃষ্টি, বলতে গেলে মুষলধারে বৃষ্টি। ইচ্ছে করেই হাতটা বাড়িয়ে দিয়ে শরীরে কিছুটা বৃষ্টি মাখিয়ে নিলাম। অদ্ভুত এক শিহরণ কাজ করে গেল শরীরের ভিতরে।
এ শহরের ক্লান্তিকে যেন মুহূর্তেই ধুয়ে মুছে পরিচ্ছন্ন করে ফেলল এক পশলা বৃষ্টি। সবকিছু যেন চকচকে হয়ে গিয়েছে, তবে এখানে কোন প্রকৃতির ছোঁয়া নেই, তাই হয়তো মৃদু ল্যাম্পপোস্টের আলোতে, ধুলোয় মাখা জরাজীর্ণ কংক্রিটের ভবনগুলোকে অনেকটাই সতেজ লাগছিল দেখতে।
সময় বিলম্ব করে আর লাভ নেই। সেহেরি দ্রুত করতে হবে, তারপর প্রশান্তির ঘুমে নিজেকে সঁপে দিতে।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
শেষ রাতের বৃষ্টি, হালকা ঝড় হাওয়া। ব্যাপারটা সত্যিই অনেক প্রশান্তির।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
গতকাল থেকে ঢাকায়ও বৃষ্টি।মূষুল্ধারে নয়, গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি ছিল।চৈত্রের বৃষ্টি প্রকৃতিকে সতেজের ছোঁয়া দিয়ে গেছে। আপনি ঠিকেই বলেছেন ভাইয়া, এসময়ে মানুষ সর্দি-জ্বরসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।তবে তেজপাতা জীবনে ঢাকায় আপাতত একটু স্বস্তি, বিদ্যুৎ যায় না বললেই চলে।আর এসময়ের বৃষ্টি মানেই ঝর ও বজ্রপাত।সবমিলে এসময়ে একটু সবসইকে বেশি সচেতন থাকা দরকার। সুন্দর পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
জীবন সুন্দর হোক, নিজ নিজ অবস্থানে থেকে, শুভেচ্ছা রইল।
বেশ শীতলময় করে তুলেছিলো খানিক সময়ের জন্য আগত বৃষ্টি, আমাদের এদিকে খুব একটা বেশী সময় ছিলো না। তবে যতটা সময় ছিলো বেশ দারুণভাবে উপভোগ করেছিলাম, দূষিত পরিবেশে আচ্ছন্ন এই শহরের মাঝে একটু বৃষ্টিপাত সত্যি বেশ আশির্বাদের মতো।
যথার্থ বলেছেন ভাই, দারুণ উপভোগ করেছি গতকালের মুহূর্তটা।
গত রাতের বৃষ্টি আসলে উপভোগ করার মতোই ছিলো ৷ টিপ টিপ বৃষ্টি সাথে হালকা ঠান্ডা বাতাস , নিমিশেষই পরিবেশটাকে পাল্টে দিয়েছে প্রকৃতি ৷ যাই হোক , প্রকৃতির এমন সৌন্দর্য্য উপভোগ করেছেন জেনে ভালো লাগলো ৷ ধন্যবাদ ভাইয়া
পুরো প্রকৃতিই যেন ভিন্ন রূপ নিয়েছিল, দারুণ উপভোগ করেছিলাম সময়টা।
আসলে ভাই গতকাল রাতে একটু গরম ছিল গরমের ভিতরে যখনই শীতল হাওয়া পেলেন তখন এই ঘরের দরজাটা খুলে দিলেন এবং শীতল বাতাস উপভোগ করতে পারলেন। তারপরে বারান্দায় আসলেন এবং দেখতে পেলে গুড়ব গুড়ি বৃষ্টি শুরু হল তার ওপরে মুষলধারে বৃষ্টি আর আপনি এই বৃষ্টিতে বারান্দা দিয়ে হাত বাড়িয়ে বৃষ্টির ফোঁটা অনুভব করলেন শরীর যেন শীতল হয়ে গেল। সত্যি আপনার এই অনুভূতি জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো।
আমাদের দিকেও শেষ রাতে বৃষ্টি হলো। সারাদিন বলতে গেলে ভ্যাপসা গরম ছিল। তবে শেষ রাতে বৃষ্টির জন্য আরামছে খানিকটা সময় ঘুমানো গেল। এখন মনে হচ্ছে ওয়েদার কিছুটা মেঘাচ্ছন্ন থাকবে।
আমারও গত রাতে বেশ ভালই ঘুম হয়েছে ঠান্ডা ঠান্ডা আবহাওয়ায়।
বৃষ্টির পূর্বের ধুলোমাখা শহর এবং বৃষ্টির পরের প্রাণবন্ত শহরের মধ্যে অনেক পার্থক্য ভাই। এই ব্যাপার টা আপনার পোস্টেও ফুটে উঠেছে। কিছুদিন তীব্র গরমের পর এইরকম বৃষ্টিতে যেন সবকিছুই প্রাণ ফিরে পেয়েছে। আমাদের দিকেও এইরকম অবস্থা । সত্যি বলতে বৃষ্টির শব্দ পেয়ে আমার মনটা যেন নেচে উঠেছিল। আপনার মতো আমিও বাইরে চলে গিয়েছিলাম।
দারুণ বলেছো ভাই, আমার অনুভূতি বুঝতে পারার জন্য ধন্যবাদ।
বর্তমান সময়ে সারাদিনে প্রচন্ড রকম গরম থাকে এবং রাতের বেলা তাপমাত্রা একটু কম থাকে জন্য এরকম সর্দি কাশির কবলে সবাইকে পড়তে হচ্ছে। আমরাও এর কবল থেকে মোটামুটি সুস্থ হয়েছি। গতকাল আমাদের এখানেও সন্ধ্যার সময় প্রচন্ডরকম বৃষ্টি হয়েছে। মনে হলো বৃষ্টির সঙ্গে কিছু শিলাও পরেছে। অনেকদিন পর এরকম বৃষ্টিগুলো আসলেই বেশ প্রশান্তি এনে দেয়।
রোজার সময় বৃষ্টি বেশি হলে রোজা রাখতে অনেক সুবিধা হয়। আমাদের এখানে বেশ কয়েকদিন বৃষ্টি হলো এবারের রোজায়। গতকালকে তো মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছিল রাতে এবং এক প্রকার ভিজে ভিজেই তারাবির নামাজ পরতে গিয়েছিলাম। যাইহোক শেষ রাতের বৃষ্টি কিন্তু দারুণ লাগে ভাই। বেশ আরাম করে ঘুমানো যায়। রোজার মাসে এভাবেই বৃষ্টি হোক বেশি বেশি, সেই কামনা করছি। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।