সিস্টেম || @shy-fox 10% beneficiary
মাঝে মাঝে কিছু বিষয় নিয়ে গর্ব করতে হয় এবং মাঝে মাঝে কিছু বিষয় থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে হয় এবং সেই শিক্ষা থেকে যা শিখলেন, সেইভাবে কাজ করতে হয় বরং তর্কে না জড়িয়ে কিছু কথা হজম করতে হয় এবং দূরে সরে আসতে হয় । যাইহোক গত হ্যাংআউটে আমি একটা গল্প বলার চেষ্টা করেছিলাম , যে মানুষ কিভাবে সুযোগ হাতছাড়া করে । সেই গল্পই আজকে বলার চেষ্টা করব । আশাকরি আমার পাঠকদের কাছে ভালো লাগবে ।
আহসান আমার বাল্যকালের বন্ধু। ছোটবেলা থেকেই সে আমার থেকে ভালো স্টুডেন্ট ছিল এবং মোটামুটি সে আমার থেকেও ভালো ভালো প্রতিষ্ঠানগুলোতে তার পড়ার সৌভাগ্য হয়েছিল । স্কুল জীবনে থাকতে আমি দেখেছি, যখন আমি প্রাইভেট পড়তে যেতাম বিভিন্ন স্যারদের কাছে, তখন বিশেষ করে আহসানের প্রশংসায় অনেক সময় স্যাররা বেশ পঞ্চমুখ হয়ে থাকতো । ব্যাপার গুলো নিয়ে আমার খুব একটা হিংসা হতো না বরং বন্ধু ভালো করছে দেখে, ব্যাপারটা খুব ভালোই লাগতো ।
দেখতে দেখতে স্কুল জীবন পাড়ি দিয়ে, কলেজ জীবন শেষ করে আহসান কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং এ ভর্তি হয়ে গেল আর আমি চলে আসলাম ডাক্তারি বিদ্যায় । বহু সময় বহু স্মৃতি বহু মুহূর্ত জমা হয়ে আছে আহসানের সঙ্গে। এমনিতেই বাল্যবন্ধু তারপর আলাদা একটা আগ্রহ বোধ কাজ করে ওর প্রতি আমার সর্বদাই । যাইহোক এভাবে একটা সময় দুজনার গ্রাজুয়েশন শেষ হয়ে গেল । যেহেতু ডাক্তারি বিদ্যায় আমার পড়াশোনা করা হয়েছে, তাই মোটামুটি পড়াশোনা শেষ করেই প্র্যাকটিসের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে গিয়েছিলাম।
যাইহোক মোটামুটি এই উর্ধগতির দ্রব্যমূল্যের বাজারে তাও জীবন আমার কেটে যাচ্ছিল। ঐদিকে আহসানও মোটামুটি চেষ্টা করছিল বিভিন্ন সরকারি চাকরির পরীক্ষা , বিসিএস ও অন্যান্য কাজের পিছনে ছোটাছুটি করতে । তবে আমার অবশ্য শুরু থেকেই লেখালেখির প্রতি আগ্রহ ছিল এবং চেষ্টা করতাম লেখালেখির দিকে একটু যত্নশীল হওয়ার জন্য। আমার যত সমস্যাই হোক না কেন, আমি লেখালেখি কখনো ছেড়ে দেইনি । আহসানের অবশ্য এইসব সরকারি চাকরির পেছনে দৌড়াদৌড়ি করতে গিয়ে, ও আসলে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর যা বেসিক শিখে ছিল, এই দুই তিন বছরের অমানবিক দৌড়ঝাঁপের কারণে তা একদম গিলে ফেলেছে । বলতে গেলে, একদম ও আউট অফ সিলেবাস ।
মাস তিনেক হলো লক্ষ্য করছিলাম, সে একটা রেস্টুরেন্টে জব করছে । যাইহোক এত ভালো মেধাবী একটা ছেলে কিন্তু বাস্তবতার করালগ্রাসে পড়ে, সে একদম কিছুটা গতিহীন হয়ে গিয়েছে । হাজার হলেও সে আমার বন্ধু , তার প্রতি আমার সহানুভূতি জাগা নিতান্তই স্বাভাবিক । কিন্তু আমার সহানুভূতি যে আমার অপমানের কারণ হয়ে দাঁড়াবে তা কিন্তু আমি কখনও কল্পনাও করিনি ।
আমি কোন জবকেই ছোট করে দেখছি না । আমি মনেকরি কাজ যেটাই হোক না কেন, সেটাই হচ্ছে উত্তম । তবে যেহেতু তার মোটামুটি একাডেমিক শিক্ষা ছিল কম্পিউটার সায়েন্সের উপরে , তাই আমি শুধুমাত্র তাকে একটা প্রপোজাল দিয়েছিলাম । কিরে আহসান তুইতো, জাভা-পাইথন-গ্রাফিক্সের কাজ জানিস, তুই একটু এদিক-সেদিক ঘাঁটাঘাঁটি করলেই অনেক ভালো ভালো অপারচুনিটি কিন্তু অনলাইনে পেতে পারিস । বিশ্বাস করেন,আমি যদি জানতাম তাকে কথাটা বলা আমার ভুল হবে , তাহলে আমি মনেহয় এই কথাটা তাকে ভুল করেও বলতে যেতাম না। কারণ আমি ভীষন ঠান্ডা মেজাজের মানুষ , তর্ক পছন্দ করিনা ।
জানিনা আহসানের সেই মুহূর্তে মাথায় কি চলছিল, সে আমাকে যা ইচ্ছা তাই বলে একদম ঝাড়লো । সত্যি বলতে কি, আমি একটা কথাও আর মুখ ফুটে দ্বিতীয়বার বলিনি । কারণ তার যে ব্যবহারটা আমি আজকে দেখলাম , সেটা দেখে আমি মোটামুটি মনেহয় নতুন করে আরেকবার আহসানকে ভিন্ন রুপে দেখলাম। আমি একটা ভালো প্রপোজাল দিলাম আর সে আমাকে যা ইচ্ছা তাই বলে ঝেড়ে দিল । কথায় কথায় তো আহসান আমাকে বলেই দিল, কিসব বালছালের কাজ করিস তুই আর আমাকে পাইথন-জাভা বুঝাইতে আসছিস। ঐসব বালছাল অনেক আগেই ছিঁড়ে আসছি ।
আমি আর একটা কথাও বাড়াইনি । কারণ যে সুযোগ নিতে জানে না , তাকে সুযোগ দিতে হয় না বরং দূরত্ব বজায় রাখতে হয় । যাইহোক ভরা সন্ধ্যায় একদম আহসানের কথাগুলো শুনে, আমি একদম কিংকর্তব্যবিমূঢ় সেজে গিয়েছি । আহসানের কথাগুলো এখনো আমার কানে ভাসছে । যাইহোক একটু আবেগপ্রবণ হয়ে গিয়েছিলাম। বাল্যবন্ধু তো, তাই তার হঠাৎ এমন আচরণ হয়তো আমি তাৎক্ষণিক সামলিয়ে নিতে পেরেছিলাম কিন্তু পরে আমার হৃদয়ে ভালোই রক্তক্ষরণ হয়েছিল । যদিও ব্যাপারটা তাৎক্ষণিক কাউকেই বুঝতে দেইনি।
বি:দ্র:
দোষটা আসলে আহসানের নাহ । দোষটা আসলে আমাদের সমাজ ব্যবস্থার । এক কথায় বলতে পারেন, এ সমাজ শুধু চাকরি বোঝে কিন্তু চাকরি ছাড়াও যে, অনেকভাবে এই উর্ধগতির দ্রব্যমূল্যের বাজারে অর্থনৈতিক ভাবে সফল হওয়া যায় এ ব্যাপারটা আসলে এখনো সমাজের মাথায় ঢুকেনি ।।
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
ভাইয়া প্রথমে মনে করেছিলাম গল্পটা খুব মজাদার এবং শিক্ষণীয় কিছু বিষয় থাকবে। তবেই এরকম শিক্ষা পেতে হবে সেটা আমি কল্পনাও করিনি। একটা কথা আছে আজকাল কাউকে ভালোর জন্য কিছু বললে তারা ক্ষতির দিক টাই বেশি চিন্তা করে। বন্ধু হিসেবে সে পারতো মজা করে দুই একটা কথা বলার জন্য, কিন্তু সে আপনার সাথে এমন ব্যবহার করল যা আমি নিজেও কল্পনা করতে পারেনি। আর আপনি কিভাবে হজম করেছেন একমাত্র আল্লাহই ভাল জানেন। তবে আমাদের সমাজের কিছু দোষ আছে, আর সেই সমাজের আচার বিধি এবং কালচারের কারণে হয়ত তার এমন পরিবর্তন। তবে আপনি ভালোর জন্য বলেছিলেন কিন্তু সে বুঝেছে উল্টো যাইহোক ব্যাপারটা আমার কাছে একদমই ভালো লাগেনি। আমি এই মুহূর্তে দুঃখ প্রকাশ করা ছাড়া আর কিছুই দেখছি না। যেহেতু আপনার বাল্যকালের বন্ধু এবং কি আপনি আপনার হৃদয় থেকে তাকে চেনেন জানেন এবং ব্যক্তিগতভাবে অনেক বেশি পছন্দ করেন। তবে আপনার বক্তব্য অনুযায়ী যা বুঝলাম সেই এক সময় গিয়ে পছে যাবে, তার শিক্ষা কোন কাজে আসবে না। যাইহোক ভাইয়া দুঃখ প্রকাশ না করে এটা মুছে ফেলেন। নিজেকে কষ্ট দিয়ে কি লাভ, গিয়েছিলেন উপকার করার জন্য, বিনিময়ে পেলে কি। যাই হোক আমাদের সাথে এত সুন্দর করে আপনি আপনার দুঃখের গল্প টা শেয়ার করার জন্য, আপনার প্রতি রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং ভালোবাসা অবিরাম।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল।
ভাইয়া আপনি একদম ঠিক বলেছেন আপনার বন্ধু আহসান ভাইয়ার মত হাজার হাজার মেধাবী জীবন এভাবেই চাকরির পিছনে ছুটতে ছুটতে ঝড়ে যাচ্ছে। হয়তো সে যদি তার মেধাকে কাজে লাগিয়ে অন্য কিছু করত তাহলে হয়তো আরো ভালো কিছু করতে পারত। কিন্তু আমাদের সমাজের মানুষগুলো এমনই হয় যাদের ভালো কিছু বলতে গেলেও অন্যায় হয়ে যায়। কারণ সবাই নিজেদেরকেই বড় মনে করে। আমার কিছু বন্ধু রয়েছে তারা যদি ভালো কিছু করে তখন আমি খুবই আনন্দিত হই এবং গর্বের সাথে বলি সে আমার বন্ধু। কিন্তু এমন কিছু মানুষ রয়েছে যাদের ভালো পরামর্শ দিলে বরং উল্টো আমাকে অন্য কিছু শেখাতে চাই। আসলে কারো ভালো কখনো বলতে নেই। যে যার মত নিজেকে বড় মনে। তবে যাই হোক আহসান ভাইয়া যদি আপনার কথা শুনতো তাহলে হয়তো উনার জীবনটা অনেক ভালো হতো এবং চাকরির পিছে ছুটে যে সময়টা নষ্ট করেছে সেই সময়ের ক্ষতিপূরণ খুব শীঘ্রই পেয়ে যেত। আপনার মত একজন বন্ধু যদি তার পাশে থাকতো তাহলে সে অবশ্যই সফলতা অর্জন করতে পারত। কারণ আপনি একজন মহৎ মানুষ এবং আপনি বন্ধুত্ব কে ভালোবাসেন। ভাইয়া আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল।
আসলেই ঠিক বলেছেন ভাইয়া।এই সমাজ শুধু চাকরি বোঝে আর কিছুই না।তাও আবার সরকারি চাকরি না হলেও নানান কথা!আসলে আমরা যারা এখানে আছি আশা করি আমরাই ধীরে ধীরে এই ধারণা গুলোকে পাল্টাতে পারবো।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল।
ভাইয়া আপনার ব্লগের কথা গুলো আমার মনে ধরেছে। অনেক মেধাবি ছাত্র বা ছাত্রী আছে যারা দিনের পর দিন একটি সরকারি চাকরি জন্য তাদের সময়টা পার করাচ্ছে।কিন্তু এটি তারা বুঝে উঠতে পারে না তাদের মূখের দিকে তাকিয়ে আছে তার পরিবার - সবাই সুযোগ কাজে লাগেতে পারে না এই কথাটি১০০% সত্য বলেছেন।অনেকে আছেন সুযোগ পাওয়ার পরে তা প্রত্যাখান করে এবং সে পরবর্তি সময়ে অফসোস করে আর বলে হায় হায় ।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল।
আপনি একদম ঠিক কথা বলেছেন ভাই মাঝেমধ্যে অনেক ছোট বিষয় থেকেও শিক্ষা গ্রহণ করতে হয় ।আমাদের সমাজ আসলেও শুধু সরকারি চাকরি বোঝে। সরকারি চাকরি ছাড়া আর কিছুই বোঝে না😅😅।
তারা ভাবে সরকারি চাকরি পেলেই লাইফ সেটেল আসলে কি তাই।।।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল।
শুভ ভাই আপনার পোস্টটি পড়ে কি মন্তব্য করব বুঝতে পারছি না। আমাদের প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থায় আমরা শুধু বড় বড় সরকারি কর্মকর্তাদেরই মূল্যায়ন করে থাকি। যদিও অসৎ পথ বাদ দিলে বেশির ভাগ সরকারি কর্মকর্তাদের অর্জিত অর্থের পরিমাণ আহামরি কিছু নয়। অন্যদিকে আপনি যেমন বললেন, চাকরির বাইরেও আরো অনেক ব্যবস্থা আছে যেখান থেকে বেশ ভালো সম্মানজনক অর্থ উপার্জন সম্ভব এবং আমি মনে করি এতে নিজের সম্মান ও থাকে অক্ষুন্ন। কথায় আছে কাউকে যেচে পড়ে উপকার করতে নেই। তাহলে সে উপকার এর মর্যাদা বোঝে না। আপনার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। বাল্য বন্ধুর প্রতি সহানুভূতি দেখাতে গিয়ে নিজেকে অপমানিত হতে হলো। যাই হোক, মাফ করে দিয়েন। শত হলেও বন্ধুতো।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল।
ভাইয়া আপনার এই লেখার মাঝে মিশে আছে অনেক আবেগ ও অনুভূতি। সত্যি কথা বলতে আমরা আমাদের বাল্যকালের বন্ধুদেরকে খুব আপন মনে করি। তারা যদি ভালো থাকে আমরা অনেক আনন্দিত হই। হয়তো আপনি তাকে আপন মনে করে তার ভালোর জন্যই তাকে ভালো কিছু করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু সে সেই ব্যাপারটি ভালোভাবে নেয়নি। হয়তো সে কোন কারণে মানসিকভাবে ভালো ছিল না। তাই হয়তো পুরো ব্যাপারটি তার কাছে অন্যরকম লেগেছে। তবে যাই হোক তবুও তো সে আপনার বন্ধু। হয়তো যেদিন তার ভুল বুঝতে পারবে। সেদিন ঠিকই পস্তাবে। আপনি যেমন সবার ভালোর কথা চিন্তা করেন সে হয়তো ভেবেছে আপনি তাকে অপমান করার জন্য কথাটা বলেছেন। কথাটি বোঝার মধ্যে হয়তো ভুল রয়েছে। আসলে কিছু কিছু মানুষ রয়েছে যারা সহজ ভাষা সহজ ভাবে নিতে পারে না। তবে যাইহোক ভাইয়া আমি আশা করছি সে যেদিন তার ভুল বুঝতে পারবে। সেদিন ঠিকই আপনার কথা মনে করবে। আমি বুঝতে পারছি আপনি অনেক কষ্ট পেয়েছেন। ব্যাপারটি আসলে আমার সাথে যদি ঘটত তাহলে আমিও কষ্ট পেতাম। কারণ ছোটবেলার বন্ধুদেরকে হৃদয়ের কোনে জায়গা দেই আমরা। তারা আমাদের অতি আপনজন। কিছু কিছু সম্পর্ক রয়েছে যেগুলো রক্তের বন্ধনের চেয়েও আপন। আপনার এই লেখাগুলো যখন আমি পড়ছিলাম তখন কেন জানি খুবই খারাপ লাগছিল বুকের মাঝে। মনে হচ্ছিল যেন এই ঘটনাগুলো আমার সামনে ঘটেছে ও আমি দেখতে পাচ্ছি। অনেক সুন্দর করে আপনার মনের আবেগ উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল।
ভাইয়া আপনি যে বিষয়টি নিয়ে পোস্টে আলোচনা করেছেন গত হ্যাংআউটে বলেছিলেন এটি আমাদের বাস্তব সমাজের আসল চিত্র। আপনি কাউকে সুযোগ দিতে যাবেন ,কাউকে ভাল পরামর্শ দিতে যাবেন সে আপনাকে ধমকের স্বরে পাল্টা জবাব দেবে। সে ভাববে আপনি তাকে জ্ঞান দিতে এসেছেন বা আপনার অহংকার আপনি কিছু করেন সেটা তাকে শোনাতে এসেছেন। কিন্তু বাস্তবিক পক্ষে সবাই এক না তারা তা মানতে চায় না। যদি তার একটা মিনিট সময় হত আর আপনাকে বলত আচ্ছা বল আমি কি কাজ করব শুধু এইটুকু কথা সে আপনাকে বলতো হয়তো তার অনেক কিছুই সুযোগে খুলে যেত ।কিন্তু আফসোসের বিষয় তার ভাগ্য পরিবর্তনে কোন ইচ্ছাই দেখা গেল না বরং সে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করল । তবে আমি বলব আপনি বন্ধুত্বের দিক থেকে তাকে সাহায্য করার চেষ্টা করেছেন বা পরামর্শ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন যা আপনার কর্তব্য ছিল। খুব কম মানুষই আছেন যারা এই কাজগুলো করে। সবথেকে বড় সমস্যা হচ্ছে আমাদের সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা আমাদের সৃজনশীলতাকে যেমন ধ্বংস করে দিচ্ছে সেই সাথে আমাদের সম্ভাবনা কেউ দুমড়ে-মুচড়ে ফেলে দিচ্ছে। তবে তাই হোক ভাইয়া কষ্ট পাইয়েন না আপনি তো আপনার চেষ্টা করেছেন সে যদি না নিতে চাই কি করার আছে বলেন।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল।
বুঝতে একটুও কষ্ট হয়নি যে আপনি বন্ধুর কথায় কষ্ট পেয়েছেন কারন আপনি সরল মনে তাকে বলেছিলেন সেদিন কিন্তু আপনার বন্ধু সেটি বুঝতে পারেনি হয়তো। এমন অনেক ঘটনা আমাদের জীবনে ঘটে যায় তখন চুপ করে থাকাটাই উত্তম আর সেটিই আপনি করেছেন। কারন রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন। সত্যি সুযোগ বার বার ফিরে আসে না তাই সুযোগের সদ্বব্যবহার করা উচিত । ধন্যবাদ ভাই ভাল থাকবেন।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল।
ভাই আমি আপনার পোস্ট পুরোটা পড়লাম। আপনার বাল্যবন্ধু আহসানের কাছ থেকে কতটা কষ্ট পেয়েছেন তা আপনার পোস্ট পড়েই বুঝতে পারছি। আসলে কি ভাই আপনি যখন কাউকে নিজে থেকে উপকার করতে যাবেন তখন তার ভাব বেড়ে যাবে। আপনার পেশা নিয়ে বাজে ভাবে বলছে এটা শুনে আমারই মেজাজ গরম হয়ে গেছে। আপনি তো কারো আন্ডারে রেস্টুরেন্টের কাজ করতে যান নাই। আপনি নিজের বিজনেস নিজে করেন। তাই বালছালের কাজ হলে রেস্টুরেন্টের কাজই হবে। এসব ফালতু লোক থেকে দূরে থাকাই ভালো।
আসলে সে ভাবছে স্কুল কলেজ জীবনে সে আপনার চেয়ে ভালো স্টুডেন্ট ছিলো। এখন আপনার কাছ থেকে তার সাজেশন শুনতে হচ্ছে এটা তার মেনে নিতে কষ্ট হইছে। সে বাস্তবতা ভুলে গেছে। আপনি তাও শান্ত থাকতে পারছেন আমি হলে পারতাম না। উল্টো তাকেও ঝাইড়া আসতাম। সরি ভাই লেখাটা পড়ে কিছুটা হাইপার হয়ে গেছিলাম। আসলে সাইধা সাইধা কারো উপকার করতে নেই।
আপনে ওয়েট করেন হয়তো আপনার পজিশন দেখে এক সময় নিজে থেকেই আপনার কাছে পরামর্শের জন্য আসবে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো প্রিয় ভাই। 💕
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল।