রবিবারের আড্ডা-৫০ || ABB Stage Show: Episode-50
ব্যানার ক্রেডিট @hafizullah
সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি আমার বাংলা ব্লগের নতুন আয়োজন রবিবারের আড্ডা-৫০ তম পর্বে। আমরা শুরু হতেই বার বার বলে আসছি আমার বাংলা ব্লগ ব্যতিক্রম কমিউনিটি এবং আমাদের চিন্তাধারাও ব্যতিক্রম, তাই সব ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন নিয়ে আমার বাংলা ব্লগকে সাজানোর চেষ্টা করি। নতুন এই আয়োজনটি নিয়ে আমরা এখনো চিন্তা করছি, কাংখিত ক্ষেত্রে আরো কি কি পরিবর্তন আনা যায়, আশা করছি সময়ের সাথে সাথে কাংখিত পরিবর্তনগুলো ঠিক দেখতে পাবেন।
আমাদের এই আয়োজনটি চারটি সেগমেন্টে ভাগ করা হয়েছে, প্রথম সেগমেন্টে আমরা আমাদের অতিথির সাথে পরিচিত হবো এবং তার নিকট হতে আমাদের পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর জানার চেষ্টা করবো। এ সম্পর্কে আপনাদের কোন প্রশ্ন বা কিছু জানার আগ্রহ থাকলে সেটা আমরা দ্বিতীয় সেগমেন্টে জানার চেষ্টা করবো। অর্থাৎ আমাদের দ্বিতীয় সেগমেন্টেটি আপনারা যারা দর্শক সারিতে রয়েছেন তাদেরকে নিয়ে। আপনারা নিজেদের কৌতুহল কিংবা আগ্রহ থেকে প্রশ্ন করতে পারবেন এবং সেখান হতে অতিথি নিজে তিনজন সেরা প্রশ্নকারী নির্বাচন করবেন। যাদের জন্য থাকছে বিশেষ পুরস্কার।
এরপর আমার নিজের পছন্দের একটা গান শুনবো, তারপর শুরু হবে তৃতীয় সেগমেন্ট ঝটপট রাউন্ড, এখানে কমপক্ষে পাঁচটি প্রশ্ন করা হবে, অতিথি এক কথায় ঝটপট উত্তরগুলো দেয়ার চেষ্টা করবেন। সবশেষে আমরা যাবো চতুর্থ সেগমেন্টে অর্থাৎ শেষ পর্বে, যেখানে আমরা অতিথির নিকট হতে আমার বাংলা ব্লগের ব্যাপারে কিছু পরামর্শ বা দিক নির্দেশনা শুনতে চাইবো। এই হলো আমাদের রবিবারের আড্ডার টোটাল প্যাকেজ।
স্ক্রিনশট ক্রেডিট @rupok
আসুন আমরা আমাদের অতিথির নিকট যাই এবং তার সাথে পরিচিত হই, তার সম্পর্কে কিছুটা জানি। স্বাগতম @hafizullah ভাই কে,তিনি আমার বাংলা ব্লগের সম্মানিত এক্সিকিউটিভ এডমিন । সংক্ষেপে যদি নিজের সম্পর্কে কিছু বলতেন? তারপর হাফিজ ভাই তার সম্পর্কে সংক্ষেপে কিছু পরিচিতিমূলক কথা বলেন এবং এরপর আমরা শুরু করি প্রথম পর্বের পাঁচটি প্রশ্ন যা নিচে তুলে ধরা হলো।
প্রশ্নঃ স্টিমিট প্লাটফর্মের সঙ্গে আপনার পরিচয় হয় কি হবে।
উত্তরঃ পৃথিবীতে যত সফল মানুষ আছে, তাদের প্রত্যেকের পিছনে কিছু কালো অধ্যায় থাকে, তা হয়তো হঠাৎই প্রকাশ পায় না। কেননা তারা তাদের মুখের হাসি দিয়ে সবকিছু ব্যাপারকে বেশ সাবলীল ভাবে উপস্থাপন করে, যার কারণে তাৎক্ষণিক কোন কিছু প্রকাশিত হয় না। তবে যে যত বেশি সফল, তার অভিজ্ঞতা তত বেশি। তবে আমি বরাবরই নিজেকে ব্যর্থ তালিকায় রাখতে পছন্দ করি। আমি মূলত ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত হই ২০০৩ সালে। সেই সময় ইন্টারমিডিয়েট পাশ করে, ইকোনমিক্স সাবজেক্টে অনার্সে ভর্তি হই। যদিও সেই সময় আমি অনার্স সম্পন্ন করতে পারিনি। তখন আমার জন্য পরিস্থিতি একটু ঘোলাটে ছিল। তখনই আমি জব সেক্টরে চলে যাই এবং কম্পিউটারের উপর একটা শর্ট ডিপ্লোমা করি। আমি জীবনে এখন পর্যন্ত পাঁচটা জব করেছি, তবে সবগুলোই মিরাকল ভাবে হয়েছে। আমি কখনো জবের জন্য কখনো কোন তদবির করিনি, অনেকটাই মিরাকল ভাবেই হয়েছে জবগুলো। সেই সময় আমি ব্রিটিশ টোব্যাকো তে প্রথম জব শুরু করি এবং অনলাইনে মূলত যুক্ত হয়, আমার যন্ত্রণাযুক্ত সময় গুলোকে ভুলে থাকার জন্য। তখন আমি কাজের ফাঁকে ফাঁকে চেষ্টা করতাম জনপ্রিয় সোশ্যাল সাইট গুলোতে যুক্ত থাকার জন্য। যদিও সেই সময় ব্রিটিশ টোব্যাকোর কর্মকর্তা, আব্বাস উদ্দিন ভদ্রলোক আমাকে বেশ সহযোগিতা করেছিল এ ব্যাপারে। তিনি বলেছিল, তুমি ইন্টারনেটে যুক্ত থাকো, গান শোনো এবং নিজের মতো করে সময় কাটাও তাহলে দেখবে তোমার বিনোদনের ভিতরে থাকলে অনেকটাই প্রশান্তি কাজ করবে। তবে কখনোই আমার সেই সময় ইনকামের ধান্দা ছিল না অনলাইন থাকে, কেননা ইনকামের ধান্দা থাকলে আসলে বিনোদন আমি সেই ভাবে পেতাম না এবং লোভ বেড়ে যেত। আমি মজার ব্যাপার হচ্ছে আমি যেখানেই জব করতে যেতাম,সেখানেই কেন জানি সবাই আমার প্রতি ভীষণ আন্তরিক হয়ে যেত এবং অফিস ম্যানেজারের দায়িত্ব ও প্রশাসনিক দায়িত্ব গুলো আমার কাঁধে চলে আসতো। এভাবে যখন দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হয় এবং আমি চারটা জব ছেড়ে দেই, তার পরবর্তীতে ২০০৭ সালে আমি এখন যে কোম্পানিতে যুক্ত আছি সেখানে যুক্ত হয়ে যাই। এবং সেই সময় আমি জনপ্রিয় যে সকল সোশ্যাল সাইট ছিল সেগুলো তো বেশ ভালোভাবে যুক্ত হয়ে যাই। বিশেষ করে টার্গেট, দাদা ডট নেট এবং হাইফাই। আমি সব সময় বাঙালি কমিউনিটি খুঁজতাম, কেননা ইংরেজি কমিউনিটির থেকে বাঙ্গালীদের সঙ্গে কাজ করে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতাম। বিশেষ করে হাইফাই তে কাজ করে আমি বেশি মজা পাই, কেননা ওখানে সব বাঙালি এডমিন মডারেটর ছিল এবং সব প্রবাসী ভাইদের সঙ্গে কাজ করে অনেকটাই আনন্দিত হয়েছিলাম এবং নিজেকে পপুলার হিসেবে জাহির করতে পেরেছিলাম। ওখানে থাকতেই পরবর্তীতে আমি আরো দুটো সোশ্যাল সাইটের সন্ধান পাই, একটা হচ্ছে আওয়াজ আর অন্যটা হচ্ছে বেশতো। বেশতো থাকতেই আমি সেই সময় সোশ্যাল মিডিয়াতে বেশ অনুপ্রাণিত হয়েছিলাম। বেশতো এর কর্ণধার ছিলেন বেসিস এর ফাহিম মাশরুর।উনি সেই সময় বেশ পপুলার একজন মানুষ ছিলেন । তিনি বিডিজবস এর কর্ণধারও ছিলেন। পরবর্তীতে ওনার সান্নিধ্যে এসে আমি অনেকগুলো সেমিনারে অংশগ্রহণ করেছিলাম এবং বাংলাদেশের অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ পেয়েছিলাম বেশতোর মাধ্যমে। এবং আমি বহুবার গিয়েছি বিডিজবসের অফিসে। বেশতো তে একটিভ থাকতেই আমার দুটো নাম খুবই পপুলার হয়, একটা কমেডিয়ান আর একটা রসিকচান। যেহেতু আমি বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনেও জব করতাম তখন ফেডারেশনের আন্তর্জাতিক কাজগুলো ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট এর মাধ্যমে হত। পরবর্তীতে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট এর এক ভদ্রলোকের সঙ্গে আমার বেশ ভালোভাবে সম্পর্ক হয়ে যায় এবং উনি সেই সময় ওনার নিজস্ব কিছু প্রোগ্রামে আমাকে আহ্বান জানায়, যার মধ্যে ছিল টিএসসিতে সেরা ফুচকা খাদক। মানে কে কত বেশি ফুচকা খেতে পারে। এইভাবে যখন ওনার কাছাকাছি চলে যাই, তখন উনিই আমাকে প্রথম প্রস্তাব দেয়, যে আমরা সবাই মিলে ইন্টারনেটে কাজ করতে যাচ্ছি, তুমি তো ইন্টারনেটেই থাকো তুমি চাইলে কাজটা আমাদের সঙ্গে করতে পারো। সেখানে বিনোদনও থাকবে পাশাপাশি অর্থ উপার্জনের ব্যবস্থাও থাকবে। যদিও সেই সময় আমি ব্যাডমিন্টনের টুর্নামেন্টের কাজে ঢাকার বাহিরে ছিলাম। তখন সম্ভবত পাবনাতে টুর্নামেন্ট হচ্ছিল, তখন আমি তাকে বলেছিলাম ঠিক আছে। আমি তো ঢাকার বাহিরে আছি, ঢাকায় গিয়ে আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করব। সেই সময় তিনি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ছাত্র-ছাত্রী ম্যানেজ করে টিম তৈরি করে এবং আমিও তখন তাদের মাঝে যুক্ত হয়ে যাই। পরবর্তীতে ভদ্রলোক, একটা স্কুলের দুটো রুম নিয়ে টানা দুই সপ্তাহ আমাদের সবাইকে নিয়ে ক্লাস করে এবং স্টিমিট ব্যাপারে বিষয়ে আমাদেরকে জানানোর চেষ্টা করে এবং এটার সঙ্গে ডিসকর্ডের সম্পর্ক কি তা পর্যন্ত বোঝানোর চেষ্টা করে। তবে এখানে ওনার একটা উদ্দেশ্য ছিল, সেটা হচ্ছে আমরা যদি স্টিমিটে ভালো কিছু করতে পারি, তাহলে উনাকে কিছু একটা পারসেন্টেন্স দিতে হবে। এটা মূলত ২০১৮ সালের ঘটনা। মানে দীর্ঘ ১১ বছর আমি বেশতো নিয়েই পড়েছিলাম। এই ১১ বছরের মাঝে আমার বেশ ভালো কিছু লোকের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল, তার মাঝে বুয়েটের একজন ভদ্রলোক ছিল, সে সেই সময় একটা সার্কিট আবিষ্কার করেছিল এবং সেটার প্যাটার্নের জন্য আবেদন করেছিল এবং আমাকে বলেছিল যদি এটা মন্জুর হয় তাহলে আমার সাতপুরুষ বসে খেয়ে চলতে পারবে। যাই হোক পরবর্তীতে সেই লোক সিঙ্গাপুর থেকে যখন বাংলাদেশে এসেছিল, তার সঙ্গে আমার সাক্ষাতে দেখা হয়েছিল। অবশেষে ২০১৮ সালের দিকে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট এর কর্মকর্তা ভদ্রলোকের সঙ্গে আমার পরিচয় ঘনিষ্ঠ হওয়াতে, উনি আমাকে প্রথম স্টিমিট এর ব্যাপারে জানিয়েছিল। ওনার নাম ছিল শূন্য এবং বাবা আর্মির উচ্চপদস্থ রিটায়ার্ড কর্মকর্তা ছিল। উনার যখন আমি দুটো ক্লাস করি, তখন আমার বেশ ভালো লাগে। এবং সেই সময় এপ্লিকেশন করলে আইডিগুলো দ্রুত আসতো না অনেক সময় লাগতো। যখন আমার ১৪ দিনেও আইডি আসেনি, তখন উনি আমাকে বলেছিল তোমাকে আপাতত একটা আইডি দিচ্ছি তুমি এটা দিয়ে কাজ কর। তখন আমার কোন নিজস্ব ল্যাপটপ ছিল না এবং জমানো কোন টাকাও ছিল না, আমি আসলে এই জন্য নিজেকে ব্যর্থ মনে করি সব সময়, কারণ আমি কখনো ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করি না। তখন আমি আপনাদের ভাবির কাছে বলেছিলাম ব্যাপারটার কথা, আপনাদের ভাবি প্রথমে আমার উপর বিশ্বস্ত হচ্ছিল না এবং আমাকে বলেছিল দীর্ঘ এত বছর ইন্টারনেটে অহেতুক সময় দিয়েছো আর এখন এসে বলতেছো ইন্টারনেট থেকে ইনকাম করা যায়। যাইহোক পরবর্তীতে আপনার ভাবি তার বন্ধুবান্ধবদের মাধ্যমে খোঁজ নেয় যে, আসলেই কি কোন সাইট আছে যেখান থেকে ইনকাম করা সম্ভব। পরবর্তীতে যখন আপনাদের ভাবি আশ্বস্ত হয়, তখন তার জমানো ত্রিশ হাজার টাকা আমাকে দিয়েছিল ল্যাপটপ কেনার জন্য । অবশেষে ল্যাপটপ কেনার পরে স্টিমিট এবং ডিসকর্ড কেবল বুঝতে শুরু করেছি, তখনই আমাদের গ্রুপটা ভেঙ্গে যায়। যেহেতু আমি ভাগ্যের উপর বেশি বিশ্বাসী, তাই পরবর্তীতে একাই কাজ শুরু করার চেষ্টা করি, এবং টিউটোরিয়াল ভিডিও দেখি ইউটিউবে এবং সেগুলোর অনুবাদ করার চেষ্টা করি এবং একাধিক কমিউনিটির সঙ্গে যুক্ত হই এবং একাধিক কমিউনিটির ফাউন্ডারদের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। সেই সময় ডিটিউবে এক ভদ্রমহিলার রেসিপি ভিডিও দেখতাম আর আমি ভাবতাম উনি যেহেতু ভিডিও করতে পারে তাহলে আমার তো গ্রামীণ পরিবেশ আছে, তাহলে আমিও পারবো। অবশেষে কাজ করা শুরু হয়ে যায়, এবং একটা সময়ে গিয়ে ডিটিউবে আমার বেশ ভালো পরিচয় ঘটে। তখন বাংলাদেশি টাকায় ১ এসবিডির দাম ছিল এগারোশো টাকার মত। আমরা শূন্য ভাইয়ের কাছেই ডলার কেনাবেচা করতাম। উনি এক ডলার ৭০০ টাকায় কিনতো। পরবর্তীতে এক বছর পরে আমি জানতে পারি, এই ডলারগুলো বাইরে কেনাবেচা করা যায় এবং এ গুলোর নির্দিষ্ট ভ্যালু সম্পর্কে। যখন দেখলাম টাকা বের করা যায়, তখন আমি দীর্ঘ এক বছরের মত কাজ করেছি এবং পাওয়ার জমিয়েছি। তো এর পরের থেকেই স্টিমিটে ধারাবাহিকভাবে পথ চলা।
প্রশ্নঃ আমার বাংলা ব্লগের প্রশাসনিক দায়িত্ব পাওয়ার, পিছনের গল্পটা যদি বলতেন।
উত্তরঃ সত্য কথা বলতে কি এটা আমি জানিনা। আমাকে কেন দাদা এত পছন্দ করেছেন এই কাজের জন্য বা কেন নিয়োজিত করেছেন, সত্যিই তা আমি জানিনা। যখন প্রথম দিকে দেখলাম আমার নামের পাশে মডারেটর রোল দেওয়া তখন আমি দাদাকে বলেছিলাম, আমি হয়তো এই কাজের জন্য উপযুক্ত না। পরবর্তীতে যখন এডমিন হলাম, তখনও দাদাকে একই কথা বলেছিলাম তারপর যখন এক্সিকিউটিভ এডমিন হলাম, তখনো একই কথা বলেছিলাম। সত্য কথা বলতে এটার পিছনে কোন গল্প নেই, দাদার ব্যক্তিগত কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে।
প্রশ্নঃ নিজেকে একজন যোগ্য লিডার হিসেবে গড়ে তোলার মূলমন্ত্রটা যদি বলতেন।
উত্তরঃ আমি নিজেকে কখনোই যোগ্য হিসেবে মনে করি না, কেননা যোগ্য হিসেবে মনে করলেই আপনি সেখানে আটকে থাকবেন, সেখান থেকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা পাবেন না। তাই যতক্ষণ পর্যন্ত নিজেকে ব্যর্থ ভাববেন, ততক্ষণ পর্যন্ত আপনি নতুন করে নিজেকে মেলে ধরার কার্যক্রম শুরু করতে পারবেন। তবে একটা কথা আছে, কখনোই নিজের নীতির সঙ্গে আপোষ করা যাবে না বা স্বজন প্রীতি করা যাবে না। প্রত্যেকরেই নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য আছে, কাজের জায়গায় নিজের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য গুলোকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া জরুরি। হ্যাঁ, আপনি কারো কাজে অনুপ্রাণিত হতে পারেন, তবে নিজের চিন্তা ধারাকে নিজের জায়গা থেকে প্রমাণ করার চেষ্টা করাটা বুদ্ধিমানের কাজ। আপনি যদি আপনার নীতিতে অটল থাকেন, তাহলে ভালো কিছু করতে পারবেন। এখানে আমার পরিচিত অনেক লোকজন এসেছিল, তাদের শুধুমাত্র একটা কথাই বলেছি, তোমরা এখানে এসেছো কোন সমস্যা নেই, যা করবে নিজের চেষ্টায় করো। আমি কোন তোমাদের সঙ্গে স্বজন প্রীতি করতে পারব না। আমার নিজের বড় ভাই আমাকে বলেছিল, তুমি এখানে একটা টিম তৈরি কর, যেটা তোমার বলয় হিসেবে কাজ করবে, তখন আমি তাকে বলেছিলাম, আমি এখানে আমার কাজের মাধ্যমেই এগিয়ে যেতে চাই,কোন স্বজন প্রীতি করে নয়। এটাই আমার মূল মন্ত্র।
প্রশ্নঃ ব্লকচেইনকে ঘিরে যদি তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা আমাদের সঙ্গে শেয়ার করতেন।
উত্তরঃ এই প্রশ্নের উত্তর দিতে আমি কিছুটা অপ্রস্তুত। তারপরেও দুটো কথা বলছি, যেহেতু দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করছি, তাই বহু কমিউনিটির লিডার, ফাউন্ডার এবং উইটনেসের সঙ্গে আমার সুসম্পর্ক আছে। তাই অহেতুক কাদা ছোড়াছুড়ি করার কোন মানেই হয় না। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির এক বছর পূর্তিতে, দাদা সেই সময় ব্যাপারটি নোটিশ করতে পেরেছিল কিছু সদস্যের আক্রমাত্মক ব্যবহারের মাধ্যমে। তখনই দাদা কমিউনিটিতে নতুন রুলস জারি করে যে, আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে অন্য কোন কমিউনিটি নিয়ে কোন সমালোচনা করা যাবে না। তবে আমি বিশ্বাস করি, আমাকে কোন কাজ থেকে যদি কেউ বঞ্চিত করে, তাহলে তাকেও কোন না কোন ভাবে এই ফল ভোগ করতে হবে। তাই মূলত তিক্ত অভিজ্ঞতা নেই বললেই চলে।
প্রশ্নঃ পছন্দের একটি গানের নাম বলুন, যেটা সব সময় শুনতে ইচ্ছে করে।
উত্তরঃ গান মূলত বিনোদনের খোরাক, নিজেকে সতজ করার একটা মাধ্যম, তাই এই গানটা মাঝে মাঝেই শোনা হয়।
সে মানুষ চেয়ে চেয়ে ফিরিতেছি পাগল হয়ে
সে মানুষ চেয়ে চেয়ে ফিরিতেছি পাগল হয়ে
মরমে জ্বলছে আগুন আর নিভে না
সে মানুষ চেয়ে চেয়ে ফিরিতেছি পাগল হয়ে
মরমে জ্বলছে আগুন আর নিভে না
আমায় বলে বলুক লোকে মন্দ
বিরহে তার প্রাণ বাঁচে না
বলে বলুক লোকে মন্দ
বিরহে তার প্রাণ বাঁচে না
দেখেছি
দেখেছি রূপসাগরে মনের মানুষ কাঁচা সোনা
দেখেছি রূপসাগরে মনের মানুষ কাঁচা সোনা
পথিক কয় ভেবো নারে ডুবে যাও রূপসাগরে
পথিক কয় ভেবো নারে ডুবে যাও রূপসাগরে
বিরলে বসে করো যোগ-সাধনা
পথিক কয় ভেবো নারে ডুবে যাও রূপসাগরে
বিরলে বসে করো যোগ-সাধনা
এরপর শুরু করা হয় প্রশ্নোত্তর পর্ব, অর্থাৎ দর্শকসাড়িতে যারা রয়েছেন তাদের নিয়ে এই সেগমেন্ট। অতিথিকে সরাসরি প্রশ্ন করার এবং উত্তর শোনার দারুণ একটা সুযোগ। আমরা ইউজারদের বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন এবং তার উত্তরগুলো অতিথির নিকট হতে শুনি। মোট ২২ টি প্রশ্ন করা হয়েছিলো আজ এবং সবগুলো প্রশ্নের উত্তর দেন হাফিজ ভাই । তারপর বিজয়ী নির্বাচনের জন্য কিছুটা সময় দেয়া হয় অতিথিকে এবং সেই ফাঁকে আমার পছন্দের একটা গান সবাই মিলে উপভোগ করি।
এরপর আমরা হাফিজ ভাইয়ের কাছে জানতে চাই আজকের প্রশ্ন-উত্তর পর্বে সেই ভাগ্যবান বিজয়ী কারা? তার বিবেচনায় বিজয়ীরা @rme @rex-sumon @maksudakawsar @monira999 @mohinahmed @samhunnahar
অভিনন্দন আপনারা যারা প্রশ্ন করে বিজয়ী হয়েছেন এবং যথা নিয়মে আপনাদের ওয়ালেটে পুরস্কার পাঠিয়ে দেয়া হবে। হাফিজ ভাই নিজের অতিথির পুরস্কার নেননি সেই পুরস্কার সকলের মাঝে দিয়েছেন। এবং যারা প্রশ্ন করেছিল তাদেরকে তার নিজের পক্ষ থেকে পুরস্কারিত করেছেন।
রবিবারের আড্ডার প্রাইজ পুলের পৃষ্ঠপোষক @rme দাদা, ফাউন্ডার-আমার বাংলা ব্লগ।
সবশেষে আমরা আমাদের অনুষ্ঠানের একদম শেষ পর্যায়ে চলে যাই অর্থাৎ চতুর্থ সেগমেন্টে। ঝটপট রাউন্ডে এখানে আমরা অতিথির সঙ্গে বেশ ভালোই মজা করি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের মাধ্যমে। তারপর আমরা হাফিজ ভাইয়ের কাছে জানতে চাই আমার বাংলা ব্লগের ব্যাপারে কিংবা এই শো'র উদ্দেশ্যে উনার পরামর্শ বা সাজেশন। হাফিজ ভাই বলেন, এই কমিউনিটির সবকিছুই হচ্ছে বেশ সাজানো গোছানো । তিনি বিশেষ করে কৃতজ্ঞতা বোধ প্রকাশ করেছেন, প্রতিষ্ঠাতা, সহকারী প্রতিষ্ঠাতা, এডমিন ও মডারেটর প্যানেল এর প্রতি। এমন একটা পরিবার তৈরি করার জন্য।
সবশেষে আজকের এই বিশেষ আয়োজন রবিবারের আড্ডায় যারা উপস্থিত ছিলেন সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ, তবে যাওয়ার আগে আরো একটা বিষয়ে সবাইকে অনুরোধ করবো, এই শো’টি সম্পর্কে আপনাদের কোন আইডিয়া কিংবা পরামর্শ থাকলে অবশ্যই আমাকে অথবা মডারেটরদের ডিএম করবেন, আমরা চেষ্টা করবো শো'টিকে আরো সুন্দর এবং প্রাণবন্ত করে তোলার, আপনাদের কাংখিত পরামর্শগুলো নিয়ে। তারপর সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে শো সমাপ্ত ঘোষণা করি। পরবর্তী পর্বে আমাদের অতিথির নাম ঘোষণার মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
এবারের রবিবারের আড্ডা আমি মনে করি অনেক অনুপ্রেরণাময় ও শিক্ষনীয় ছিল। বিশেষ করে হাফিজ ভাইয়ের কথা গুলো ছিলো বাস্তবতাকে বিশ্লেষিত কথা, তাই আমার বেশি ভালো লেগেছে।আর প্রশ্ন-উত্তরগুলোও আসলে সবাইকে সন্তুষ্ট করেছে এবং আমরা অনেক উপভোগ করেছি। ধন্যবাদ।
আমি মনে করি যারা জীবনে সফল হতে চায় তাদের কাছে এই রকম কথাগুলো অনেকটাই অনুপ্রাণিত হতে পারে।
ঠিক বলেছেন ভাই।
এবারের রবিবারের আড্ডায় অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছি। আমাদের সকলের প্রিয় হাফিজ ভাইয়ার সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পেরেছি। আর অতিথি সম্পর্কে অজানা অনেক তথ্য জেনে সত্যিই ভালো লেগেছে। প্রশ্ন পর্বে বিজয়ী হতে পেরে অনেক ভালো লেগেছে।
আপনার প্রশ্নটা বেশ ভালো ছিল, তাই সহজেই বিজয়ী হতে পেরেছেন আপু।
https://twitter.com/sharifShuvo11/status/1736681552871113147?t=ZDlr1IXjI93ulUIymKEG_A&s=19
ভাই গতকালকের রবিবারের আড্ডাটা সেরা ছিলো। সত্যি অতিথি হিসেবে শ্রদ্ধেয় এডমিন মোঃ হাফিজুল্লাহ ভাইকে রবিবারের আড্ডাতে পেয়ে আমরা অনেক বেশি খুশি ছিলাম। এই আড্ডা তে আমি শুধুই হাফিজুল্লাহ ভাইয়ের কথার গভীরতা খোঁজার চেষ্টা করেছি। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
এটা সত্য হাফিজুল্লাহ ভাই অনেক যুক্তিযুক্ত কথা বলেছে।
গতকালকের রবিবারের আড্ডাটা খুবই ভালোভাবে উপভোগ করেছিলাম। বিশেষ করে হাফিজুল্লাহ ভাই হওয়ার কারণে বেশি ভালো লেগেছিল। হাফিজুল্লাহ ভাইয়াকে গতকালকের রবিবারের আড্ডায় পেয়ে সত্যি অনেক ভালো লেগেছিল আমার কাছে। ওনার সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে পেরেছিলাম গতকালকের প্রশ্ন গুলোর মাধ্যমে। সবাই অনেক সুন্দর সুন্দর প্রশ্ন করেছিল। আর তিনি সাজিয়ে গুছিয়ে খুব সুন্দর ভাবে সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিল এই বিষয়টা আরো বেশি দারুন ছিল।
পারিবারিক অসুস্থতার কারণে আড্ডা প্রোগ্রামটি আমি মিস করেছি কিন্তু তারপরও আপনার রিপোর্টটি পড়ে মনে হচ্ছে আড্ডার অনুষ্ঠানটি আমার চোখে ভাসছে। তবে বুঝতে পারছি আমি অনেক মিস করেছি কালকের আড্ডাটি অনেক জমজমাট হয়েছিল। আড্ডা মিস করেও আপনার রিপোর্টটি পড়ে একটু হলেও আড্ডার প্রোগ্রামটি উপভোগ করতে পারলাম। অনেক ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি রিপোর্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
রবিবারে আড্ডা আমাদের অনেক আনন্দ বয়ে আনে। এবার হাফিজ ভাইকে পেয়ে সত্যি অনেক ভালো লেগেছে। আসলে কিভাবে জীবনে সফলতা আনতে হয় হাফিজ ভাই আমাদের সুন্দর ভাবে বুঝিয়ে দিয়েছে।ধন্যবাদ ভাইয়া পুরো রিপোর্ট সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
কালকে আমাদের ছেলে সন্তান হয়েছে তাই প্রচুর পরিমাণে ব্যস্ত ছিলাম এজন্য রবিবারের আড্ডা তে যুক্ত হতে পারিনি। যদিও ব্যস্ত ছিলাম তারপরও ইচ্ছা হচ্ছিল যুক্ত হব কিন্তু সময় এবং সুযোগ করে তুলতে পারেনি। আপনার পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে সব কিছু জানতে পারলাম খুবই ভালো লাগলো।
আপনার বাচ্চার জন্য শুভেচ্ছা রইল ভাই। আর আগামী দিনগুলো ভালো হোক এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।
রবিবার মানেই জমজমাট আড্ডা ৷ এই আড্ডা ভীষণ ভালো লাগে আমার ৷ তবে গতকাল রাতের এই আড্ডা ছিলো আরো বেশি আনন্দের এবং মজার ৷ কারণ আমাদের সকলের প্রিয় হাফিজ ভাইয়া ছিলো অতিথির আসরে ৷ অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছি , বিশেষ করে ভাইয়ার ব্যাপারে এতো কিছু জেনে ভীষণ ভালো লেগেছিলো ৷ সাথে আপনার সুন্দর উপস্থাপনা সব মিলিয়ে ভীষণ সুন্দর হয়েছে রবিবারের এই আড্ডা ৷
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.