মেয়াদ বিড়ম্বনা
মুঠোফোনে খুব একটা বেশি টাকা তোলা হয় না, দেখা যায়, যাদের সঙ্গে কথা বলবো তারা কম বেশি সকলেই ইন্টারনেটে সংযুক্ত আছে। যা প্রয়োজনীয় কথা, ইন্টারনেটের মাধ্যমেই সেরে নেই।
তবে তারপরেও, অনেক সময় দেখা যায় কিছু মানুষকে মুঠোফোনের মাধ্যমে টাকা খরচ করে ফোন দিতে হয়। এটা নিতান্তই স্বাভাবিক কেননা সবাই তো আর ইন্টারনেটে সংযুক্ত নেই। তাছাড়া প্রয়োজনীয় কল যখন তখন যে কাউকে দিতে হতে পারে।
আমি মূলত মুঠোফোনে সিম কার্ড গুলোতে যথেষ্ট টাকা তুলে রাখি হয়তো সেটা প্রয়োজনীয় কল আদান-প্রদান করার জন্য। তবে আজকে যে বিষয়টি ঘটেছে, সেটা হচ্ছে মেয়াদ বিড়ম্বনা নিয়ে। আমি জানি,যে পরিমাণ টাকা আমি ফোনে ফোনে তুলি, তাতে কোন অবস্থাতেই হুটহাট টাকা শেষ হওয়ার কথা নয়।
কিন্তু সিম কোম্পানিগুলো যে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন নিয়ম সংযোজন করে, তা হয়তো আমার জানা ছিল না। যার কারনে আজ এই সকালবেলা এমনটা তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন আমাকে হতে হয়েছে।
মুঠোফোনে আমার এক আত্মীয়র কল এসেছিল সকাল বেলা, তবে আমি সেই কলটা রিসিভ করতে পারিনি। খানিকবাদেই আমি যখন তাকে কল করতে যাব, ঠিক তখনই খেয়াল করলাম আমার ফোন থেকে তাকে কোনোভাবেই কল করতে পারছিনা। ব্যাপারটা নিয়ে কিছুটা আমি চিন্তিত হয়ে পড়লাম, কেননা আমি তো কয়েকদিন আগেই ফোনে টাকা উঠিয়েছি আর হঠাৎই টাকা শেষ না হতেই এমনটা ঘটেছে, বিষয়টা আমি একটু বোঝার চেষ্টা করলাম।
অতঃপর মুঠোফোন যখন ভালোভাবে ঘাঁটাঘাঁটি করার চেষ্টা করলাম তখন দেখলাম, টাকা পয়সা আমার সবকিছু ঠিকঠাক আছে,তবে মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছে। যদিও পরবর্তীতে আমি, অন্য একটা ফোন দিয়ে সেই আত্মীয়র সঙ্গে কথা বলে নিয়েছি, তবে সিম কোম্পানির এই বিষয়টাতে আমি ভীষণ বিব্রতবোধ করেছি।
সিম কোম্পানির এমন কর্মকান্ডগুলো নতুন না, তবে কিছু কিছু বিষয় এমনভাবে গ্রাহককে হয়রানি করে তোলে, যা আরকি মেনে নেওয়া কিছুটা কষ্টসাধ্য।
কিছু উদাহরণ দেওয়ার চেষ্টা করছি, ধরুন তারা আপনাকে দশ জিবি ইন্টারনেট দিয়েছে আর শর্ত দুইদিনে শেষ করতে হবে কিংবা দুইশো মিনিট দিয়েছে, মেয়াদ তিন দিন। এইরকম অসংখ্য উদ্ভট শর্ত সাপেক্ষ নিয়মকানুন তো আছেই।
এইতো কয়েকদিন আগেও এক সিম কোম্পানির রিচার্জ সংক্রান্ত কর্মকাণ্ড নিয়ে, সারাদেশ জুড়ে গ্রাহকদের মাঝে ভিন্ন রকম প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। যদিও তারা গ্রাহকদের চাপে পড়ে সেই ব্যাপারটি সমাধান করেছে, তবে মেয়াদের দিকের অবস্থা নাজুক করেছে।
আগে যেখানে সর্বনিম্ন যেকোনো পরিমাণ টাকা রিচার্জ করলেই, দেড় থেকে দুই মাস মেয়াদ পাওয়া যেত, এখন সেটা কমিয়ে দশ দিনে নিয়ে আসা হয়েছে। মানে আমার ফোনে টাকা ঠিকই ছিল, তবে মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে সেই সময় প্রয়োজনীয় কল করতে পারিনি। এখন আমাকে মেয়াদ বাড়াতে গেলে, পুনরায় আবার টাকা রিচার্জ করতে হবে। এই হচ্ছে অবস্থা, কি আর করার।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলে সিম কোম্পানি গুলো নিজেদের বাড়তি মুনাফার উদ্দেশ্যে, কাস্টমারদেরকে বিড়ম্বনায় ফেলে দেয়। মাত্র দশ দিনের মেয়াদ কোনো ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। সর্বনিম্ন রিচার্জ করলেও মিনিমাম ১ মাস মেয়াদ দেওয়া উচিত। সিম কোম্পানির কিছু কিছু অফার দেখলে আমার হাসি পায়। তখন মনে হয় যে তারা মজা নিচ্ছে আমাদের সাথে। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
কি আর বলবো ভাই, এমন ভুক্তভোগী আসলে আমরা দিন শেষে সবাই।
মোবাইল অপারেটরদের কাছে আমারা যারা গ্রাহক তারা একপ্রকার জিম্মি। সরকারের পক্ষ্য থেকে যাদের দেখভাল করার দায়িত্ব, তারা একপ্রকার নাকে তেল দিয়ে ঘুমায়। যার ফলে মোবাইল অপারেটর গুলো, যখন খুশি তখন তাদের নতুন নতুন নিয়ম কানুন নিয়ে হাজির হয়। আর আমরা গ্রাহকরা বিব্রতকর অবস্থায় পড়ি।যেমন, আপনি আজ পড়েছিলেন। প্রয়োজনীয় পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
এটা সত্য যে, তাদের কাছে আমরা এক প্রকার জিম্মি।
কিছু করার নেই ভাই সিম কম্পানি গুলোর বারতি মুনাফার জন্য এমন ৷ তবে আমার ও এরকম হয় ৷ আমিও ফোনে খুব একটা টাকা লোড করি না ৷ কিন্তু মাঝে মধ্যে বিপদের কথা বলা তো যায় না ৷ঠিক তখনি যদি এমন হলে সত্যি বিষয়টা দুঃখজনক ৷
আপনার তিক্ততার ব্লগটি পড়ে আমারও খারাপ লাগলো বিষয়টা ৷
তবে এই মেয়াতের নিয়ম টা না থাকলে সবার জন্যই ভালো৷ তবে আমার বললে তো হবে না ভাই৷তাই দিনশেষে মেনে নিতে হবে ৷
সিম কোম্পানি জ্বালায় আর সিম ই চালা হবে না ৷ এদের এতো নতুন নতুন নিয়ম গ্রাহকদের অবস্থা শেষ করে দিচ্ছে ৷ একদিকে গ্রাহকদের টাকা লুটেপুটে নিচ্ছে আবার গ্রাহকদের বিভিন্ন ভাবে হয়রানিরও করছে ৷ মাঝে মাঝে মন খুলে তাদের কিছু বলতে ইচ্ছে হয় ৷ কিন্তু বলা হয় না ৷ আসলে আমরা তো আবার গ্রামে থাকি, ব্যালান্সের পাশাপাশি ডাটা প্যাকেরও যত ঝামেলা ৷ যাই হোক ভাইয়া , কিছুই বলার নেই ৷ মেনে নিতে হচ্ছে ৷ হবেও বোধহয় ৷
বিটিআরসি প্রতিনিয়ত সিম কোম্পানিগুলাকে নতুন রোলস দিতে বলছে! গ্রাহকরা এক প্রকার হতাশ বলতে গেলে। এই কলরেট বাড়িয়ে দেয়, এই কম দিনের জিবি বা মিনিট অফার! হুটহাট সার্ভিস বন্ধ। সমস্যার আগাগোড়া নেই। ফোনে টাকা থাকলেও দেখি টাকা কেটে নিয়ে যায়। প্রমোশনাল মেসেজ তো আছেই। সবমিলিয়ে সাধারণ পাবলিকের কিছুই করার নেই। সিম ছাড়া আবার এক মুহূর্ত ও চলবে না
সব মিলিয়ে আমরা সিম কোম্পানিগুলোর কাছে জিম্মি হয়ে গিয়েছি।
ভাইয়া আপনার সঙ্গে আমার আজকে একদমই মিলে গিয়েছে। বাচ্চাকে নিয়ে স্কুলে গিয়েছি। ড্রাইভারকে ফোন দিতে গিয়ে দেখি আর ফোন দিতে পারছি না। বুঝতে পারলাম যে মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। তারপর অন্য এক ভাবীর কাছ থেকে ফোন নিয়ে হাজবেন্ডকে বলার পর সেই রিচার্জ করে দিয়েছে। ইদানিং মেয়াদ একদমই কমিয়ে দিয়েছে তার জন্য এরকম বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে সবাইকেই।
এমন অবস্থা সত্যিই বেশ বিরক্তিকর আপু।