জামাই বরণ || @shy-fox 10% beneficiary
বয়স শুধুমাত্র একটা সংখ্যা । এটা আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি । হয়তো আমার যে বয়স, তার থেকেও খুব কম বয়সের মানুষজনের সঙ্গে আমার বেশ আত্মীয়তাপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে । এটা অবশ্য নতুন কিছু না । কারণ পারিপার্শ্বিক অবস্থার কারণে প্রতিনিয়ত এসব হয়েই থাকছে ।
তবে একটা জিনিস যখন গভীরভাবে চিন্তা করে দেখি, তখন মাঝে মাঝে বেশ কিছু প্রশ্ন নিজের মধ্যে জাগ্রত হয় । একটা সময় শুধুমাত্র আমি একাই ছিলাম । তারপর সেই আমিই বাবা হয়ে গেলাম , তারপরে কাহারো আঙ্কেল কাহারো খালু কাহারো চাচু বা কাহারো মামা । এভাবে দিন যত যাচ্ছে, সম্পর্কের বিভাজন শুধু বেড়েই যাচ্ছে । এখনতো আমার জামাই হয়ে গিয়েছে ।
আমার আসলে শ্বশুরবাড়ির আত্মীয় স্বজনদের বয়স আমার বয়সের খুবই কাছাকাছি । বলতে গেলে আমার শাশুড়ির খুবই কম বয়সে বিয়ে হয়েছিল । যার কারণে হীরার জন্ম গ্রহণটা একটু তাড়াতাড়ি হয়েছিল । আমি হিসাব করে দেখলাম, হীরা ওর মায়ের থেকে ষোল বছরের ছোট আর ওর মা আমার থেকে ছয় বছরের বড় , ব্যবধান এতোটুকুই ।
বেশি বিপত্তিতে পড়ে যাই, যখন হীরার অন্যান্য খালা মনিদের সঙ্গে আমি যখন বেড়াতে হই। কারণ হীরার মা সবার থেকে বড় তাদের পরিবারে । আর তাদের পরিবারের সদস্যরা মোটামুটি কমবেশি সকলেই আমার সমবয়সী বা আমার থেকে অনেকটাই বয়সে ছোট হবে । তাই মাঝে মাঝে অনেকটাই ইতস্ততঃ লাগে নিজের কাছে । তবে সেগুলো আমি মানিয়ে নিয়েছি, সময়ের ব্যবধানে ।
গ্রাম অঞ্চল এলাকায় বিশেষ করে মেয়েদের খুব অল্প বয়সেই আগে বিয়ে হয়ে যেত । তবে সময়ের ব্যবধানে যদিও এই নিয়ম-নীতি গুলোতে একটু পরিবর্তন এসেছে । তবে এই রকম আমার মত জটিলতা সম্পন্ন অবস্থায় মনেহয়,এখনো অনেকজনকেই পড়তে হয় । যাইহোক হীরার ছোট নানীর বয়স আর আমার শাশুড়ির বয়স একদম কাছাকাছি । তার যে মেয়ে ছিল, সে সম্ভবত কলেজ পড়ুয়া ।
আমি একবার সম্ভবত লিখেছিলাম যে, আমি জয়পুরহাটে বেড়াতে গিয়েছিলাম বিয়ে খেতে এবং সেই সময়ে নতুন জামাইকে দাওয়াত করে এসেছিলাম । মূলত আমার নানি শাশুড়ির মেয়ে জামাইকে দাওয়াত করে এসেছিলাম । জামাইয়ের বয়স কতোই হবে চব্বিশ থেকে পঁচিশ হয়তোবা আরেকটু কম । যেহেতু নতুন মানুষ, তাই দাওয়াতটা বেশ ভালোভাবেই দিয়েছিলাম এবং খুবই অনুরোধ করেছিলাম আমাদের বাসায় আসার জন্য ।
আসলে জামাই বাবাজি এই বয়সেই মোটামুটি ঠিকাদারি কাজের সঙ্গে সংযুক্ত। তাই খুব একটা বেশি ফাঁকা সময় হাতে পায় না বললেই চলে । আমার মতোই ব্যস্ত । যাইহোক অতঃপর তারা কথা দিয়েছিল, এইবার ঈদের পরে আমাদের বাসায় বেড়াতে আসবে । অবশেষে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ ।
হীরা তো বেশ খুশি কারণ নিজেদের লোকজন বাড়িতে আসছে এইটা ভেবে তার আসলে খুশির মাত্রাটা একটু বেড়ে গিয়েছিল। যাইহোক আগে থেকেই রান্নাবান্না করা শুরু এবং জামাইয়ের পছন্দ অনুযায়ী খাবারের বন্দোবস্ত করা এবং সেগুলো একটার পর একটা রান্না করে পুরো টেবিল সাজিয়ে ফেলেছিল । আসলে যেদিন তারা এসেছিল ঠিক সেদিন ।
সত্যি বলতে কি, বাড়ীতে মেহমান আসলে ভালই লাগে । কারণ গল্প করা যায় । বাস্তব জীবনে তো খুব একটা বেশি মানুষের সঙ্গে মেশার সুযোগ হয়ে ওঠে না । তাই মূলত বাড়ীতে মেহমান আসলে তাদের সঙ্গে অনেকটাই গল্পে মেতে উঠি । আমার সময়টা ঠিক এভাবে কেটে ছিল এবং মোটামুটি জামাইয়ের সঙ্গে গল্প করে, সেই দিনটা কাটিয়ে দিয়েছিলাম । সর্বোপরি বেশ ভালো একটা সময় ছিল ঐদিন ।
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
সত্যি ভাইয়া সময়ের সাথে সাথে অনেক সম্পর্কের মাঝে আমরা আটকা পড়ে যাচ্ছি। আমার জীবনেও এমনটি হয়েছে। আমার অনেক ফুপি রয়েছে যাদের অল্প বয়সে বিয়ে হয়েছে। এখন দেখা যায় যে আমার ফুফাতো বোন গুলোর মেয়েদেরকে বিয়ে দিয়ে দিয়েছে। আসলে এতো কম বয়সে শ্বশুড় হয়ে গিয়েছি সেটা ভাবতেই মাঝে মাঝে কেমন যেন লজ্জা লাগে। তবে যাই হোক জামাই আদরের মুহূর্ত এবং অনুভূতি অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন এজন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ। আসলে বাসায় মেহমান আসলে সত্যি অনেক ভালো লাগে। কারণ তাদের সাথে অনেক সুন্দর সময় কাটে। ভাইয়া আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো।♥️♥️♥️
আপনার ব্যাপারটা জেনে বেশ ভালই লাগলো । তবে হয়তো জীবনটা এমনই।
আপনার কথাগুলোর সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত ভাই। বয়সটা আসলে কিছুই না, মনের মিল হলে যে কারো সাথে ভালো একটা সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। বাড়িতে আত্মীয় স্বজন বেড়াতে আসলে সত্যিই অনেক ভালো লাগে। আমার তো বেশি ভালো লাগে অনেক ধরনের রান্না বান্না হয় সেজন্য 😅। আপনার লেখাগুলো পড়তে বেশ মজা পাচ্ছিলাম ভাই। আগের দিনের মানুষ গুলো একটু তাড়াতাড়ি বিয়ে করত। আমার মায়ের থেকে আমার মাসির যে ছেলে মেয়ে আছে তাদের বয়স বেশি , এমন ঘটনাও আছে। তবে সবকিছুর আগে সম্পর্কের একটা আলাদা মর্যাদা আছে। এই সামাজিকতার জন্যই আমরা বাঙালিরা সবাইকে আত্মার বন্ধনে বেঁধে রেখে এক সাথে থাকতে পারি।
একদম ঠিক বলেছেন কিন্তু ভাই । তবে আমিও বেশ মজাই পাই , কারণ আমি ভাবি বয়স শুধুমাত্রই সংখ্যা ।
ভাইয়া আপনার শাশুড়ি আপনার চেয়ে মাত্র ছয় বছরের বড় এটা জেনে একটু বিস্মিত হলাম। দ্বিধা দ্বন্দ্বে পড়ে গেলাম খুশি হব নাকি আশ্চর্য হব। পরক্ষনেই আমার বড় মামার জীবনের ঘটনাটি মনে পড়ে সবকিছু স্বাভাবিক মনে হল। আমার বড় মামার শেষ সন্তান ও তার প্রথম নাতি মাত্র কয়েকদিনের ছোট-বড়। আসলে আগে গ্রামে মেয়েদের খুব তাড়াতাড়ি বিয়ে দেয়া হতো তাই এ ধরনের ঘটনা সচরাচর সব জায়গায় ঘটতো। যাই হোক বাড়িতে নতুন জামাই বরণ করে সেদিনটা খাওয়া-দাওয়া ও অনেক গল্প-গুজব করে বেশ ভালই কেটেছে আপনার মনে হচ্ছে। আসলে আমাদের ব্যস্ততম এই জীবনে খুব একটা আত্মীয়দের বাসায় গিয়ে গল্প-গুজব করার সময় হয় না। তাই মাঝে মধ্যে বাসায় মেহমান আসলে বেশ ভালই লাগে। শশুর তো হয়েই গেলেন এখন খুব তাড়াতাড়ি নানা ডাক শোনার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রাখেন হা হা হা।
একদম ঠিক বলেছেন ভাই, আসলে গ্রামীণ অবস্থায় আগে এটা খুবই স্বাভাবিক একটা ব্যাপার ছিল । তবে এখন কিছুটা পরিবর্তন এসেছে । হ্যাঁ এটা ভালো সময় ছিল আমার জন্য , কারণ মেহমানদের সঙ্গে বেশ ভালই সময় কাটিয়েছি ।
আমিও আপনার সাথে একমত ভাইয়া,,ষ বয়স শুধুমাত্র একটি সংখ্যা। মনের বয়সই আসল বয়স।
আপনার শাশুড়ি তো আপনার চেয়ে ৬ বছরের বড়, আমাদের গ্রামের বাসায় একজন মামা আছে যার শাশুড়ি তার চেয়ে বয়সে ছোট। আসলে গ্রামের দিকে মেয়েদের কম বয়সে বিয়ে হয়ে যাওয়ার কারণে এই ঝামেলার সৃষ্টি হয়।
এখন তো কেউ কারো বাসায় বেড়াতে যাবে এই সময়টায় পাওয়া যায় না তবে, বাসায় মাঝে মাঝে মেহমান আসলে ভালই লাগে। বাসায় নতুন জামাই বরণ করলেন ও বেশ ভালই খাওয়া-দাওয়া , গল্পগুজবের মধ্যে দিনটি অতিবাহিত করলেন।
আপনার আনন্দের মুহূর্তের এই অনুভূতিগুলো ও ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া। ভালো থাকবেন।
আসলে এসব নিয়ে আমি এখন আর তেমন কিছু ভাবিনা । দিন শেষে সবার সঙ্গে আত্মীয়তা ঠিক আছে, এটাই আমার কাছে বেশ ভালো লাগার একটা ব্যাপার ।
ভাই আসলে গ্রামের দিকে এ ধরনের সম্পর্কের অদ্ভুত বেড়াজাল লক্ষ করা যায়। আপনার খালু শশুর দেখা যাচ্ছে আপনার চাইতে বয়সে ছোট। আসলে অল্প বয়সে বিয়ে হবার কারণেই এ ধরণের অদ্ভুত সম্পর্ক তৈরি হয়। যাই হোক একসময় অতিথি ছিল নারায়ন কিন্তু এখন অতিথিদের দেখলে অনেকেই বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। সেখানে এমন আপনজনদের সঙ্গে মাঝে মাঝে আড্ডা দিতে পারলে ভালোই লাগে। ধন্যবাদ সুন্দর কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য।
আমার কিন্তু অতিথি বাসায় আসলে, ভালই লাগে । আর আমি বাহিরে খুব একটা বেশি ঘোরাফেরা করি না । তাই বাড়িতে মানুষজন আসলে তাদের সঙ্গে বেশ ভালই গল্প করা যায় ।
মাত্রতো শুরু ভাইয়া। এরপরে ছেলের বিয়ে দেবেন শশুর হবেন, দাদা হবেন আরো কত দূর যেতে হবে।
আগেকার সম্পর্কগুলো এমন ছিল মা এবং প্রথম সন্তানের বয়সের পার্থক্য খুব কম ছিল। আগেকার দিনে এবিষয়টি খুব দেখা যেত। এখন অবশ্য অনেকটাই কমে এসেছে। যাই হোক বাসায় আত্মীয় আসাতে খুব ভালো একটি সময় কাটিয়েছেন দেখে বোঝা যাচ্ছে।
তাইতো আপু , আমিও একদিন শশুর হব এইটা একদম সঠিক । ছেলেকে বিয়ে দিতে হবে, যাইহোক আপনার ভাতিজার জন্য এখন থেকেই পাত্রী খোঁজেন ।
আমার ভাতিজার কপাল খারাপ আমার একটা মেয়ে নেই😜। তাহলে আর কষ্ট করা লাগত না।
হাহাহা , যাইহোক আন্টিরা তার ভাতিজাকে নজরে নজরে রাখলেই হবে । দোয়া করবেন আপু আপনার ভাতিজার জন্য।
অবশ্যই ভাইয়া। ভালো মানুষ হোক। আল্লাহ নেক হায়াৎ দান করুক।
বাড়ির মেহমান গুলো এভাবে আসলে সত্যিই খুব বেশি ভালো লাগে। আসলে সুন্দর মুহূর্ত কাটানো আমাদের সকলের জন্যই খুবই আনন্দের।
একদম ঠিক কথা বলেছেন আপু, বাড়ীতে মেহমান আসলে বেশ ভালই লাগে । বিশেষ করে তাদের সঙ্গে গল্প করতে, অনেকটা সময় কেটে যায় ।
গ্রামের দিকে এই বিষয়গুলো বেশি লক্ষ্যনীয়। আমার নানীর বিয়ে হইছিলো ১২ বছর বয়সে। আমার আম্মুর ও ঐরকমই। এটা এক দিক থেকে ভালোই আবার অন্য দিক থেকে খারাপ। ভালোর দিক হচ্ছে, এমন অনেকেই আছেন যারা তাদের দাদা দাদীকে দেখে নাই। তবে কম বয়সে বিয়ে হলে নাতি নাতনির বিয়ে খেয়ে যেতে পারে দাদা দাদী অথবা নানা নানী।
আপনার মতো আমারও বাসায় আত্মীয় আসলে অনেক ভালো সময় কাটে। বিশেষ করে আমার মামাতো ভাইরা যখন কছে খুব ভালো সময় কাটাই।