সাবীরের সঙ্গে কাটানো মুহূর্ত
যেহেতু অনেকটা দিন ধরে সাবীরদের বাসায় যাওয়া হয়না, তাই মোটামুটি আজ পরিবারের সঙ্গে সাবীরদের বাসায় গিয়েছিলাম। সাবীর আমার চাচাতো ভাই, একদম ছোট চাচার ছেলে। ও আমাকে এমনিতেই ভীষণ পছন্দ করে, তার হয়তো প্রধান কারণ, ওর প্রতিনিয়ত মোবাইল, কম্পিউটার বা ইন্টারনেট নিয়ে আগ্রহকে বরাবরই আমি প্রাধান্য দিয়ে থাকি এজন্য।
তবে ওর সঙ্গে আমার যখনই দেখা হয়, তখনই ওকে বলার চেষ্টা করি, ভাইয়া তুমি যে মোবাইলে বা কম্পিউটারে গেম খেলছো, এই গেম যদি তুমি নিজে তৈরি করতে পারো তাহলে কেমন লাগবে। ও যদিও প্রথমের দিকে এই ব্যাপারটাকে খুব একটা গুরুত্ব দিত না। তবে আজ যখন দীর্ঘদিন পরে ওদের বাসায় গিয়েছিলাম, তখন ও আমাকে নিজের থেকেই বলল, ভাইয়া গেম বানাতে তো কোডিং প্র্যাকটিস করতে হয়।
যাক এই অল্প বয়সেই যে, ওর মাথায় কম্পিউটারের কোডিং জ্ঞান ঢুকেছে, এটা কে এক প্রকার সাধুবাদ জানানোই যায়। শেষ যে বার এসেছিলাম, তখন ওকে গেম কিভাবে বানানো যায় সেই বিষয়গুলো নিয়ে কিছু কথা বলেছিলাম, তখনই মূলত ওর আগ্রহ কাজ করেছিল এবং ও অনেক ভিডিও দেখেছিল ইউটিউবে, যার পরিপ্রেক্ষিতে আজ যখন দীর্ঘদিন পরে ওদের বাসায় গিয়েছিলাম, তখন ও অকপটেই ওর মনের ইচ্ছার কথাগুলো বলে দিল।
যেহেতু বিকেল বেলার দিকে ওদের বাসায় গিয়েছিলাম আর আমার কাছে সময়টাও বেশ একঘেয়েমি লাগছিল, তাই চেষ্টা করছিলাম ওকে নিয়ে এদিক-সেদিক ঘুরে বেড়ানোর জন্য। ওদের বাড়ির সামনেই হাইস্কুলের যে মাঠটা আছে, সেটা অনেকটাই দখল হয়ে গিয়েছে। তারপরেও মাঝ বয়সী ছেলেরা বাকি ফাঁকা জায়গাটুকুতেই, রোজ বিকেল বেলা করে ফুটবল খেলে। অনেকটা সময় ধরে আজ তাদের খেলা দেখছিলাম আর সাবীরের সঙ্গে গল্প করছিলাম।
সাবীর আসলে ছোটবেলা থেকেই অনেকটা একাকী বড় হয়ে উঠেছে, যার কারণে খুব একটা মানুষের সঙ্গে বেশি মিশতে পারে না। তবে আমাকে পেলে, ও মনে হয় অনেকটা স্বাধীন রাজ্য পেয়ে যায়, যা ওর আচার-আচরণ দেখলে তাৎক্ষণিক বোঝা যায়। আসলে ওর এই একাকী বেড়ে ওঠার জীবনটা কিছুটা কষ্টকর ছিল তা হয়তো পারিপার্শ্বিক বা পারিবারিক অবস্থার কারণে। তবে যখনই সুযোগ পায় অনেকটা মুক্ত বিহঙ্গের মতো যেন ছোটাছুটি করে।
এই যেমন আজ বিকেলে, দীর্ঘ সময় মাঠের মধ্যে এদিক সেদিক দৌড়াদৌড়ি, আমাকে ওদের বাসার চারিপাশে ঘুরে নিয়ে বেড়ানো, ওর অব্যক্ত কথাগুলো আমার কাছে প্রকাশ করা বা ওর স্কুলের ঘটে যাওয়া গল্প গুলো বলা, এই কথাগুলো না ছোটরা আসলে সবাইকে খুব সহজে বলতে পারেনা বা সবাই তাদের কথাগুলো শোনার আগ্রহ রাখে না। যেহেতু আমি সকলের সঙ্গেই মিশতে স্বাচ্ছন্দবোধ করি, তাই হয়তো সাবীর আমার কাছে তার কথাগুলো বলে শান্তি পায়।
হয়তো এই জন্যই মাঝে মাঝে ও আমাকে ফোন করে আর বলে, ভাইয়া তুমি সুযোগ পেলেই আমার বাসায় চলে আসবে, আমার এখনো অনেক গল্প করা বাকি তোমার সঙ্গে।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
https://twitter.com/sharifShuvo11/status/1714198737910952043?t=z7zES-8GWBOE-_7__u_FxQ&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনি আসলেই ভাই একজন ভালো মনের মানুষ আপনি সব কিছু পজিটিভলি নেন। এমন অনেক মানুষ আছে যদি কোন বাচ্চা মোবাইল, কম্পিউটার, ইন্টারনেট ব্যবহার করে। অনেক ভয় দেখায়। অনেক কিছু বলে সেই বাচ্চারা ভয়ে আর তার কাছে আসতে চায় না। আস্তে আস্তে মানুষও ডিজিটাল এ পরিণত হচ্ছে। এখন নতুন কিছু শিখতে হবে । গ্রাম বাংলার এই পরিবেশ গুলি খুবই ভালো লাগে। বাড়ির পাশে ফিল্ড থাকবে। সবাই খেলা করে খেলা উপভোগ করে। অনেক ভালো লাগে।যার সাথে যার মনের মিল। আপনাকে পেয়ে আসলেই মনটা ভরে যায় তার। দোয়া করি ভাইয়া যদি সুযোগ হয় আপনি তার মনের আশাটা পূরণ করবেন। মাঝে মাঝে তার সাথে গল্প করবেন। আপনার মধ্যে হয়তো সে তার প্রশান্তি খুঁজে পায়।ভালো লাগলো ভাইয়া
যেহেতু যুগ ডিজিটাল হয়ে যাচ্ছে, তাহলে বাচ্চাদের চিন্তা ধারাতেও কিছুটা পরিবর্তন হওয়া নিতান্তই স্বাভাবিক বলে আমি মনে করি।
এত ছোট মানুষ এখনই গেমস বানানোর প্রতি আগ্রহ দেখিয়েছে ব্যাপারটা সত্যি ভীষণ ভালো লাগলো আর ছোটরা বড়দের সঙ্গে খুব সহসা মিশতে চায় না বড়রা একান্তই বেশি আন্তরিকতা না দেখালে ।যেহেতু আপনি ওকে গুরুত্ব দিয়েছেন ,ওর কথাগুলোকে প্রাধান্য দিয়ে কথাগুলো শুনেছেন, যার কারণে ও আপনাকে বন্ধুর মত মনে করেছে। আর অকপটে নিজের মনের সকল কথা আপনার সঙ্গে শেয়ার করেছে। ধন্যবাদ।
আসলে আপু, কার মাঝে কোন ব্যাপার লুকিয়ে আছে তা তো বলা যায় না। যেহেতু আমি তথ্যের ফেরিওয়ালা, তাই আসলে সবার সঙ্গে সহজে মিশতে বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।
এই বয়সে কোডিং এর কথাটা যে মাথায় ঢুকেছে এ ব্যাপারটা ভালো লেগেছে ভাইয়া। এখন থেকে যদি প্র্যাকটিস করতে থাকে তাহলো ফিউচারে ভালো কিছু হবে আশা করছি। সাবিরকে নিয়ে বিকেলের সময়টা ভালোভাবেই কাটিয়েছেন। আপনাকে পেয়ে সাবির তার অব্যক্ত কথাগুলো বললো, যা সহজে অন্য কারো সাথে এতো সখ্যতা না থাকলে প্রকাশ করে না
কোডিং এর ব্যাপারটা ওর মুখ থেকে শোনার পরে, আমি নিজেও কিছুটা অবাক হয়েছিলাম। এটা একদম সত্য ভাই।
আপনি যে কারো সাথে অনায়াসে মিশে যেতে পারেন এবং আপনার এই গুণটা আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। ছোটদের কথাগুলো আগ্রহ নিয়ে শুনলে তারা বেশ খুশি হয় এবং আরো অনেক কিছু বলার আগ্রহ সৃষ্টি হয় মনের মধ্যে। যাইহোক বিকেল বেলা মাঠে গিয়ে সাবীরের সঙ্গে বেশ ভালোই সময় কাটিয়েছেন আপনি। আশা করি সাবীর বড় হয়ে নিজেই গেম তৈরি করতে পারবে। পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাই। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ ভাই আমার অনুভূতি বুঝতে পারার জন্য। শুভেচ্ছা রইল।