দীর্ঘদিন পরে গ্রামের পথে
অসুস্থতার ধাক্কা কাটিয়ে, আমি মোটামুটি কিছুটা সুস্থতার মুখ দেখেছি। তবে বাবু ও বাবুর মা এখনো পুরোপুরি সুস্থ হয়নি। এমতাবস্থায় বাসায় সব থেকে বেশি সমস্যা হচ্ছে রান্না করে খাওয়ার।
মূলত, বাবুর মা অসুস্থ শরীর নিয়ে রান্না করতে গেলেই বাবু ভীষণ জ্বালাতন করে। তাই একপ্রকার সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেললাম, কয়েকদিনের জন্য গ্রাম থেকে ঘুরে আসার। অতঃপর যেমন ভাবনা তেমন কাজ। আজ বিকেল বেলার দিকে ব্যাগ গুছিয়ে অবশেষে গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে দিলাম।
যাই, কয়েকটা দিন গ্রামে গিয়ে থেকে আসি। বিকেলের দিকে যখন সিএনজিতে করে গ্রামের উদ্দেশ্য রওনা দিয়েছিলাম, তখন পারিপার্শ্বিক অবস্থা দেখে কিছুটা প্রশান্তি কাজ করছিল নিজের ভিতরে।
বিশেষ করে বেশি খুশি হয়েছে বাবু ও বাবুর মা। আসলে বন্দী জীবন থেকে মুক্তি পেয়ে ওরা যেন অনেকটাই সতেজ হয়েছে। যদিও ত্রিশ মিনিটের পথ, তারপরেও ওদের যেন খুশির কমতি নেই।
যাত্রাপথেই, মোটামুটি আত্মীয়-স্বজনের জন্য কিছু কেনাকাটা করা হল। কারণ দীর্ঘদিন পরে গ্রামে যাচ্ছি এই জন্য। তাছাড়া ভাতিজাদের জন্য বিভিন্ন রকম শুকনা খাবার কেনা হয়েছিল।
অবশেষে খানিকবাদেই এসে পৌঁছে গেলাম গ্রামীণ নিরিবিলি পরিবেশে। আহা কি শান্তি, এখানে নেই কোন যান্ত্রিক শব্দ ও কোলাহল। অনেকটা নিজের মতো করে থাকা যায় এখানে।
কয়েকটা দিন মানসিক ভাবে চাপমুক্ত থাকতে পারবো, এটা ভেবেই যেন খুশি লাগছিল। কেননা এখানে আমার পরিবারের লোকজনের দেখাশোনা করার কোন ত্রুটি হবে না। আশা রাখছি, বাবু ও বাবুর মা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে এবং আমিও নিজের মতো করে, কিছু ভালো সময় অতিবাহিত করতে পারব।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
শুভ দাদা একদম ঠিক কাজ টাই করেছেন ৷ যেহেতু শায়ন আর ভাবি অসুস্থ সে কারনে গ্রামে যাওয়া ৷ কারন অসুস্থ হলে কেমন লাগে সেটা বেশ ভালোই জানি ৷ আশা করি ভাবি শায়ন বাবু তারাতারি সুস্থ হয়ে উঠবে ৷ সবমিলে গ্রামের দিকে অগ্রসর হতে হতে বেশ সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি একদম গ্রাম বাংলার রুপ সৌন্দর্য ৷
আশা করি অনেক ভালো সময় কাটবে ৷
ধন্যবাদ শুভ দাদা ৷
আমিও চাই সময়টা ভালো কাটুক, ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ফাল্গুন মাস যেহেতু চলছে গ্রামের সৌন্দর্য ও অনেক পরিবর্তন হয়েছে। গাছে নতুন পাতা গজিয়েছে। গ্রামের সবুজ শ্যামল প্রকৃতি দেখলে এমনিতেই মন ভালো হয়ে যায়। আপুর দ্রুত সুস্থ্যতা কামনা করছি। যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ্য হতে পারে।
আমিও তেমনটাই ভেবেছি ভাই, এই জন্যই গ্রামে আসা।
শহরের বন্দী জীবন আসলে মানসিক অবস্থা খুবই খারাপ করে ফেলে। যদিও জীবিকার তাগিদে আমাদেরকে শহরে থাকতে হয়। তাছাড়া বাচ্চাদের পড়ালেখা নিয়ে একটু ভালো সুযোগ সুবিধা থাকে শহরে। কিন্তু যখন সময় সুযোগ হয় তখন গ্রামে গেলে বেশ ভালই লাগে। আপনি তো ভালোই যাত্রা দিলেন কয়েক দিনের জন্য। আর বাচ্চারা গ্রামে গেলে অনেক বেশি খুশি হয়। বিস্তারিত শেয়ার করলেন পড়ে অনেক বেশি ভালো লেগেছে।
ভাই প্রথমেই হীরা ভাবী এবং শায়ানের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। গ্রামে গিয়ে কয়েকদিন থেকে আসার প্ল্যানটা দারুণ হয়েছে। হীরা ভাবীর রান্নার ঝামেলাও থাকবে না,আবার শায়ানকে সামলানোর অনেক মানুষও রয়েছে সেখানে। এই সুযোগে আপনিও গ্রামীণ পরিবেশটা মন ভরে উপভোগ করতে পারবেন। গ্রামীণ পরিবেশ তো বরাবরই আপনি ভীষণ পছন্দ করেন। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে চোখ দুটি একেবারে জুড়িয়ে গিয়েছে ভাই। সবমিলিয়ে পোস্টটি দারুণ লেগেছে। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাই আমার মনে হয় বসবাসের জন্য গ্রামের পরিবেশ পারফেক্ট। কিন্তু তারপরেও এ জীবন যুদ্ধের জন্য শহরে থাকতে হয়। পরিবারের সবাই অসুস্থ নিজে কিছুটা সুস্থ হয়েছেন তবে তারপরেও ভাবি অসুস্থ রয়েছে আর তার জন্যই এক পর্যায়ে গ্রামে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
অসুস্থ হলে পুরো পৃথিবীটাই যেনো অস্থির লাগে তখন কোনো কিছুতেই যেনো মন বসে না।শরীর খারাপ নিয়ে রান্না করা খুবই কষ্টদায়ক তার মধ্যে বাচ্চাও যদি অসুস্থ থাকে তাহলে তো কষ্টের সীমা থাকে না।গ্রামে যাওয়ার সিদ্ধান্ত টা খুবই ভালো হয়েছে এতে করে ভাবি ও শায়ান খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে।গ্রামীণ পরিবেশে গেলে সত্যিই মানুষের শরীর ও মন প্রফুল্ল সজীব হয়ে উঠে।আপনাদের সকলের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।🙏🙏❤️❤️
আপনি সুস্থ হলেও হীরা আপু এবং বাবু এখনো পুরপুরি সুস্থ হয়নি।তাই বিকেলের দিকে গ্রামের বাড়ির দিকে যাত্রা করলেন।গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার জন্য সবাই খুশি কারণ বন্দী জীবন থেকে মুক্তি পেয়েছে সবাই।বাসার জন্য শুকনো খাবার নিয়ে সি এন জি তে করে বাড়িতে গেলেন।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
গ্রামের বাড়িতে ঘুরতে আসার সিদ্ধান্তটা নিয়ে বেশ ভালোই করেছেন দাদা। আপনাদের গ্রামটা বেশ সুন্দর। গ্রামের রাস্তাঘাট এবং গ্রামীণ পরিবেশ দেখে সেটা বোঝা যাচ্ছে। এখন কিছুদিন সবাই মিলে গ্রামে সময় কাটান, আশা করি মন ফ্রেশ হয়ে যাবে এবং কয়েকটা দিন মানসিক ভাবে চাপমুক্ত থাকতে পারবেন।