আপাতত বিদায়
দীর্ঘ অনেকদিন পরে গ্রামে এসেছিলাম এটা যেমন সত্য কথা, তারথেকেও বড় বিষয় হচ্ছে যে কাজগুলোর জন্য এসেছিলাম সেগুলো মোটামুটি করেছিলাম এবং আবহাওয়া জনিত কারণে কিছু কাজ বাকিই থেকে গিয়েছিল। তারপরে তো আবারো আবহাওয়া কয়েকদিন পরে ঠিক হলো এবং সবকিছু নিয়ন্ত্রণে চলে আসলো। বাকি কাজগুলোও বেশ ভালোভাবেই সম্পন্ন হয়ে গেল।
এ যাত্রায় বেশ ভিন্নরকম অভিজ্ঞতা হয়েছে, এমনিতেই এই কাজগুলো ভীষণ কায়িক পরিশ্রমের, তারপরে আবার অনেক কিছুই বুঝতে হয়, যেমন ধান বাজারে তুললে কিরকম পয়সা পাওয়া যেতে পারে বা এই ধানগুলোকে মাড়াই করে চালে পরিণত করা কিংবা বস্তা ভর্তি করে করে নিজের বাড়িতেই রেখে দেওয়া, মানে যেটাই করুন না কেন, সেটাই খুব ধৈর্য্য নিয়ে করতে হয় এবং ভাবনা চিন্তার বিষয় তো আছেই।
গতকাল বিকেল পর্যন্ত বেশ চিন্তাভাবনার ভিতরে ছিলাম, তবে আপাতত কিছুটা চিন্তাভাবনা কমেছে কেননা সব কাজ গুছিয়ে নিতে গতকাল বিকেল পর্যন্ত সময় লেগেছিল। তবে ভালই ভালো সব কাজ হয়ে গিয়েছে এবং এখন কিছুটা আমি চিন্তামুক্ত। শহরের বাসা থেকে প্রায় ৭-৮ দিন আগে এখানে চলে এসেছিলাম, ধানের কাজগুলো স্বচক্ষে দেখা-করা এবং কিছুটা অভিজ্ঞতা নেওয়ার জন্য। মোটামুটি বেশ ভালই অভিজ্ঞতা হয়েছে, তবে হালকা কায়িক পরিশ্রম করে শরীরের অবস্থা কিছুটা নাজুক।
আপাতত এবারের মত এখানেই বিদায়, কেননা ফিরে যাব আজ সেই যান্ত্রিক শহরে, এবারের এই দীর্ঘ সময়ের সফরে এসে মোটামুটি ভালোই সময় কেটেছে, অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে এবং অনেক সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছি। তবে যেতেই যেহেতু হবে তাই এত পিছুটান রেখে লাভ নেই।
এখানে থাকলে আমার সময়গুলো যে কখন কিভাবে চলে যায়, তা যেন বুঝে উঠতেই পারি না। এত আতিথেয়তা এবং খাতির-যত্নের মাঝে থাকি যে, নিজের কাছেই নিজেকে অনেকটা ধন্য মনে হয়। কতশত গল্প ও তথ্য যে সঙ্গে করে নিয়ে যাচ্ছি, তা বলে বোঝাতে পারবো না। হয়তো মাঝে মাঝে লেখার মাধ্যমে তা প্রকাশ করতে পারি।
বিদায় কিছুটা আবেগঘন, বিশেষ করে আমার পরিবারের জন্য। তবে কিছু করার নেই, হয়তো আবারও আসবো, সময় সুযোগ পেলে।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://twitter.com/sharifShuvo11/status/1733770341351330160?t=Lbfa7V4q0KQptmKaw_0u1A&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ধান থেকে চাল তৈরীর এই প্রসেসটা খুবই জটিল। যখন সামনাসামনি দেখা যায় তখন বিষয়টি বোঝা যায়। আমরা তো বাজার থেকে খুব সহজে চাল কিনে নিয়ে আসি। আমিও যখন গ্রামের বাড়িতে যাই ধান কাটার মৌসুমে তখন এই প্রসেস গুলো দেখতে পারি। যখনই দেখি তখনই মনে হয় যে এগুলো কত পরিশ্রমের কাজ। যাই হোক ভাইয়া ভালোমতো কাজগুলো শেষ করতে পেরেছেন জেনে ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ আপু আমার অনুভূতি বুঝতে পারার জন্য এবং আপনার সুন্দর সাবলীল মতামতের জন্য।
আমরা তো ঘরে বসে রেডিমেড খাবার খাই কিন্তু এগুলো ধান থেকে চল পর্যন্ত রূপান্তরিত করতে যে কতটা কষ্টকর হয় তা নিজের চোখে না দেখলে আসলেই বিশ্বাস করা যায় না । আপনি ধানের কাজগুলো সচক্ষে দেখে এবং কিছুটা পরিশ্রম করেছেন সেটা সত্যিই ভালো লাগলো শুনে ।আসলে যেখানে বেশি আদর যত্ন পাওয়া যায় সেখানে বারবার আসতে ইচ্ছা করে এবং নিজেকে ধন্য মনে হয় । আর যেহেতু আমরা সবাই কাজের মানুষ সেহেতু তো নিজের গন্তব্যে ফিরে যেতেই হবে একটা নির্দিষ্ট সময়ের পরে ।
এটা ঠিক বলেছেন আপু, সেখানে গেলে আসলেই আমার আদর যত্নের পরিমাণ কিছুটা বেশিই হয়। তাই বারবার যেতে ইচ্ছে করে, এটা একদম সত্য কথা।
আবার আসিবো ফিরে এই কবিতাটি মনে পরে গেলো।বিদায় সত্যি ই খুব আবেগঘন মূহুর্তের সৃষ্টি করে।যাই হোক আপনি কাজ গুলো চমৎকার ভাবে শেষ করলেন জেনে ভীষণ ভালো লাগলো। আসলে আমরা চাল কিনে নেই।তাই এই চাল করতে কতো যে পরিশ্রম করতে হয় তা আমাদের অজানাই থেকে যায়।এই কাজটি খুবই পরিশ্রমের কাজ।ফটোগ্রাফি গুলোও চমৎকার লেগেছে।
আসলে ভাই গ্রামে গেলে আর এই যান্ত্রিক শহরে ফিরতে কখনোই মন চায় না। সত্যি বলতে গ্রামের প্রকৃতি সবার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। গ্রামে থাকলে কিভাবে যে সময় চলে যায় টেরই পাওয়া যায় না। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই মনের অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য।
আসলেই ভাই দশটা দিন যে কোন দিক দিয়ে চলে গেল বুঝে উঠতে যেন পারলাম না।
আমি মনে মনে সেটাই ভাবছিলাম ভাইয়া আপনি হয়তো গ্রামে এসেছেন ধান সংগ্রহ করার জন্য । কিন্তু বৃষ্টির কারণে আসলে সবকিছু এলোমেলো হয়ে গেছে । আর ধান সংগ্রহ করা মোটেও সহজ কাজ নয় এটি যথেষ্ট কায়িক পরিশ্রমের একটি কাজ । আপনার কাজ সম্পন্ন করে শহরের দিকে চলে যাচ্ছেন আমাদের ব্যস্ততম নগরীর দিকেই চলে যেতে হয় আসলে জীবিকার জন্য হলেও ।
কমপক্ষে দীর্ঘ ১০ দিন এবার ছিলাম গ্রামে এবং যে অভিজ্ঞতাগুলো হয়েছে তা ভোলার মত নয়। তবে ভালোই ভালো সব কাজ শেষ হয়েছে, এটাই অনেক আত্মতৃপ্তির ।
বেশ অন্য রকম একটি জীবন কাটালেন ভাইয়া। এমন জীবন অনেকেই উপভোগ করতে পারে না। আমার মতে মানুষকে সব কাজের অভিজ্ঞাই গ্রহণ করতে হয়। তবে আপনি যে খুব সুন্দর ভাবে সব কাজ শেষ করতে পেরেছেন এই অনেক বেশী। এত এত আতিথিয়তায় আপনি মুগ্ধ হয়ে শত শত গল্প সঙ্গে করে নিয়ে যাচেছন সেই যান্ত্রিক শহরে। অপেক্ষায় রইলাম আপনার কাছে হতে গল্প শোনার।
অবশ্যই আপু চেষ্টা করব বাকি গল্পগুলো পরবর্তী সময়ে তুলে ধরার জন্য।
ধান রোপন থেকে শুরু করে ঘরে তোলা পর্যন্ত কষ্টের শেষ থাকে না। একটা কৃষকের জীবনের আত্মকাহিনী ধানের মধ্যে লুকিয়ে থাকে। তবে আপনার অভিজ্ঞতাটা বেশ ভালোই হলো বুঝতে পেরেছি। অনেক ভালো লাগলো এ ধরনের কাজ গুলো আমার খুবই ভালো লাগে। যেহেতু গ্রামের পরিবেশে বড় হয়েছি। এ ধরনের কাজ গুলো গ্রামের মানুষেরা ঘরের লক্ষী বলে থাকেন। তো শেষমেষ আপনি সবকাজ সম্পন্ন করে শহরে চলে আসলেন। আমাদের সাথে বিস্তারিত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
এটা আসলেই গ্রামের মানুষের কাছে বেশ কষ্টের কাজ, তবে তারপরেও তারা আনন্দ পায় এই কাজ করে। ধন্যবাদ ব্যাপারটা বুঝতে পারার জন্য।
আমাদের দেশের কৃষকেরা আসলেই প্রচুর পরিশ্রম করে থাকে। কিন্তু তারা বেশ অবহেলিত এবং ন্যায্য মূল্য পর্যন্ত পায় না। যাইহোক গ্রামে গিয়ে এবার বেশ ভালোই অভিজ্ঞতা হয়েছে আপনার। হঠাৎ করে কায়িক পরিশ্রম করলে শরীর ব্যথা করে। ধানগুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। যাইহোক দুই দিন টানা বৃষ্টি হওয়ার পরও যে সব কাজ ঠিকঠাক মতো সম্পন্ন করতে পেরেছেন, এটা আসলেই অনেক খুশির একটি ব্যাপার। যাইহোক এতো চমৎকার মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এটা আসলেই বেশ ভালো ছিল যে,সব কাজ ঠিকঠাক মতো করতে পেরেছি এবং ভালোভাবে বাসায় ফিরে আসতে পেরেছি।