তামাক পাতা
মাথা ঝাকিয়ে উচ্চস্বরে গলা মিলিয়ে গান গাওয়াটা হয়তো সমসাময়িক সময়ে নিজের কাছে স্মার্টনেস মনে হতে পারে। রক্তের তেজে হয়তো, শোরগোল পাকানো কিংবা জটলা বেঁধে হৈহুল্লোড় করা কে অনেকটা স্বাভাবিক মনে হতে পারে।
তবে ভাই, এই বিনোদনটা হয়তো খুবই স্বল্প সময়ের জন্য। যা হয়তো তোমার আগ্রাসী মনকে কিছুটা ক্ষেপিয়ে তুলে প্রশান্তি দেবে, তবে তারপরেও তুমি দিনশেষে নিতান্তই শূন্য। বলতে গেলে অনেকটা মরীচিকার মতো।
এই যে দৃঢ় বন্ধন, গলা ফাটিয়ে চেঁচানো, সবকিছুই একটা সময় ঠান্ডা হয়ে যায়। মানিয়ে নিতে হয় চিরন্তন বাস্তবতাকে। কেউ কারো পাশে থাকে না, অনেকেই ব্যবহার হয় আবার অনেকেই ব্যবহারযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয়।
ক'টা বছর যাক না, এমনিতেই সবকিছু স্বচ্ছ পানির মতো টলটলে পরিষ্কার হবে। হাস্যকর লাগছে ব্যাপারগুলো তাই না। লাগাই স্বাভাবিক, তবে ৩২ বছর কাটিয়ে তারপর দুটো কথা লেখার ক্ষুদ্র চেষ্টা করছি এই আরকি।
এর আগে কেউ করতে পারেনি, ভবিষ্যতেও পারবে না, যা করার আমরাই করব বা ইতিহাস হয়ে থাকবে, এ ধরনের আত্মবিশ্বাসী কথাবার্তা গুলো কে সাধুবাদ জানানো যায়, তবে কাজগুলো যদি আরো সৃষ্টিশীল বা গঠনমূলক হয় তাহলে সেখানে সর্বপরিসরে আরও গ্রহণযোগ্যতা বাড়ে।
প্রতিটা প্রজন্মই নিজেকে সর্বসেরা ভাবে, তাই হয়তো মাঝপথেই অনেকে হারিয়ে যায়। গলা ফাটিয়ে চেঁচিয়ে একত্রে আগ্রাসী মেজাজে গান গাওয়া যদি, এলাকায় চিহ্ন রেখে যাওয়ার মত কার্যক্রম হয়, তাহলে সেই এলাকার পরবর্তী প্রজন্ম আরো কি শিখবে, সেটা ভাবতেই যেন মগজটা গুলিয়ে যায়।
কিংবদন্তিরা আর নতুন করে আগমন ঘটায় না, তারা দূর থেকে সব দেখে আর মুচকি মেরে হাসে। সস্তা বিনোদনে যে প্রজন্ম নিজেদের সঁপে দিয়েছে, সেখানে গুণী আবৃত্তিকার, সংগীত শিল্পী কিংবা যারা প্রকৃত অর্থেই শিল্পীসত্তা নিজের ভিতরে লালিত করে, তারা এমনিতেই পিছু হটে।
বড্ড আফসোস হয়,
এ প্রজন্ম সহজে তামাক পাতা কে গ্রহণ করে,
তবে
বজ্রকন্ঠে সাম্যের গান গাইতে পারে না।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ ashes নামে নাকি একটা মিউজিক ব্যান্ড ঈদের পরে আমাদের এলাকায় কনসার্ট করতে আসবে, তার জন্য এলাকায় উঠতি বয়সী তরুণ প্রজন্মের এখন থেকেই হা-হুতাশ শুরু হয়ে গিয়েছে।
কি একটা অবস্থা ?
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ওই যে আপনিই মাঝে মধ্যে বলেন না জীবন যেখানে যেখানে যেমন ৷ যা হোক লেখা গুলো বেশ ইউনিক আর গোছানো ছিল বলতেই হবে ৷ তবে ঠিক বলেছেন কারন বাইরে আপনি যতই প্রায়োরিটি তবুও নিজের কাছে নিজেকে শুন্য মনে হয় ৷ তবে হয়তো জীবন চলার পথে এসবের প্রয়োজন হয়তো ৷ জীবন তো ভালো মন্দ সবমিলে হযতো বা ৷
যা হোক অনেক ভালো লাগলো আজকের লেখা কথা গুলো ৷
এটা ঠিক জীবন যেখানে জীবন, তবে আমার আপনার জীবনকে কেন্দ্র করে, অন্যজন কি শিখবে সেটাও তো ভাবা উচিত।
আসলে ভাই প্রত্যেকটা প্রজন্মই নিজেদেরকে সেরা মনে করে। যার কারণে তারা বেশি দূরে এগিয়ে যেতে পারে না। আর এলাকার ভিতরে দেখা যায় অনেক গলা চেচিয়ে গান গায় আর এই গান গাওয়াতেই তারা কিছুই করতে পারবে না। শুধু আরো পরিবেশ নষ্ট। যাই হোক তারা নিজেদেরকে অনেক বড় গায়ক মনে করে। এই কথাগুলো অনেক ভালো বলেছেন। প্রত্যেকটা এলাকায় যেন এরকম প্রজন্ম দেখতে পাওয়া যায়। তারা নিজেদেরকে অনেক বড় মনে করলেও প্রকৃতির কাছে তারা কিছু না।আগামী প্রজন্ম কি যে হবে বলা যাচ্ছে না।
রক্তের জোরে নিজেকে প্রমাণ করা কখনো সঠিক হয়ে এটা হতে পারে না। উচ্চাঙ্গসরে গান গেয়ে যাওয়া মেজাজে উচ্চসর যুক্ত করা এগুলো কখনোই মানুষের কাছে ভালো মানসিকতার পরিচয় হতে পারে না। যে যতই বাহাদুরি করুক না কেন একটা সময় এসে অবশ্যই তাকে প্রকৃতির নিয়মের কাছে হার মানতে হয়। যথার্থ একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাইয়া আমাদের মাঝে।ashes এই ব্যান্ডকে নিয়ে যেহেতু আপনার এলাকায় এত হইহুল্লোড় শুরু হয়ে গিয়েছে তাই আমি মনে করি এই জাতীয় বিষয়গুলোকে গ্রামীন নেতৃস্থানীয় লোকেদের সহযোগিতা নিয়ে বানচাল করে দেওয়া। যাইহোক ভাইয়া আপনি আমার থেকে অনেক ভালো জ্ঞানী তাই আপনার মেধা থেকে এত সুন্দর একটি পোস্ট দেখতে পারলাম। ধন্যবাদ একটি শিক্ষামূলক পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বানচাল করে তো আর কাউকে শিক্ষা দেওয়া যায় না, ওদের মস্তিষ্কে সুবাতাস লাগুক এই কামনা করি।
সত্যি বলতে ভাই Ashes এর গানগুলো আমারও ভালো লাগে। তবে এগুলো আমি একান্তই একা একা নীরবে শুনতে পছন্দ করি। আর আপনি যেটা বললেন ঐরকম উচ্ছস্বরে তামাক পাতা বা অন্য গান গাওয়া কখনো স্মার্টনেস হতে পারে না। ওটাকে আমি সোজা বাংলা ভাষায় অপসংস্কৃতি বলি। তবে একটা ভালো দিক কী জানেন আমাদের এলাকায় সামাজিকভাবে উচ্ছস্বরে গান বাজানো নিষেধ।
সবারই স্বাধীনতা থাকা উচিত, তবে কাউকে বিরক্তি করে নয়।
ভাই কনফিডেন্স থাকা ভালো, তবে ওভার কনফিডেন্স কখনোই ভালো নয়। যে বা যাদের ওভার কনফিডেন্স থাকে,তারা কখনোই বেশি দূর যেতে পারে না। যাইহোক প্রায় প্রতিটি এলাকায় কিছু কিছু ছেলে থাকে, যারা কানে বড় হেডফোন লাগিয়ে, রাস্তা দিয়ে গান শুনতে শুনতে যায় এবং নিজেও উচ্চস্বরে গান গায়। তারা নিঃসন্দেহে নিজেদেরকে অনেক স্মার্ট মনে করে। প্রকৃতপক্ষে বিনোদন কি জিনিস,তারা সেটা বোঝে ই না। তারা যদি গুণী শিল্পীদের ভক্ত হতো,তাহলে কখনোই এমন উগ্র ভাব দেখাতো না। অ্যাশেজ মোটামুটি পুরনো একটা ব্যান্ড। যতটুকু জানি বিশ্বের মোটামুটি বেশ কয়েকটি দেশে গিয়েও তারা কনসার্ট করেছে। যাইহোক সবার শুভবুদ্ধির উদয় হোক সেই কামনা করছি।
বর্তমান প্রজন্মের কাছে, আমরা মনেহয় অনেকটাই অসহায় হয়ে গিয়েছি।
অ্যাসেজ ব্রান্ডের নাম শুনলেই তরুণ প্রজন্মের মাঝে আলাদা উন্মাদনা কাজ করে। অথচ বর্তমান প্রজন্ম সঠিক সংস্কৃতি চর্চা করছে তো? হয়তো না। কারণ কিংনদন্তীরা কখনো মরে না। আর তারাঁ সবসময় দূর থেকেই দেখে, হয়তো পর্দার আড়ালে থেকে যায়। তরুণ প্রজন্মের ব্যাপক পরিবর্তন দরকার।
তরুণ প্রজন্মের এমন উন্মাদনা আমাকেও বেশ ভাবায় ভাই।
আমি নিজেও এটা মনে করিনা দাদা যে, গলা ফাটিয়ে চেঁচিয়ে একত্রে আগ্রাসী মেজাজে গান গাওয়া হলো স্মার্টনেস। বর্তমান প্রজন্মের ইয়াং ছেলে গুলো এটাই মনে করে যে, এইভাবে ভালো থাকা যায়। তবে এই ক্ষণিকের আনন্দ যখন শেষ হয়ে যায় তখন কিন্তু সে আবার একা। আপনার এই কথাটা আমার অনেক বেশি ভালো লাগল যে, বর্তমান প্রজন্ম তামাক পাতা গ্রহণে যতটা আগ্রহী, বজ্রকণ্ঠের সাম্যের গান গাইতে তারা ঠিক তার উল্টোটা।