অভিনব টোপ
গতরাতে ভিন্নরকম একটা অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছিলাম,তাও সেটা পরিচিত এক বাল্যবন্ধুর মাধ্যমে। মানুষের যে দিন দিন, মানসিক বিকৃতি হয়ে যাচ্ছে , তা যেন কোন অবস্থাতেই সহজে বোঝার উপায় নেই । যুগের যেমন পরিবর্তন হয়েছে, তেমনটা মানুষের প্রতারণার কৌশলেও পরিবর্তন এসেছে।
আমার সাথে যেটা ঘটেছে, সেটা আমি নিতান্তই স্বাভাবিকভাবে প্রথমে দেখার চেষ্টা করেছিলাম। তবে যখন ব্যাপারটা নিয়ে আরো দু-একজনের সঙ্গে কথা বলেছিলাম, তখনই মূলত আসল তথ্যগুলো জানতে পেরেছিলাম। পরিস্থিতি মানুষকে কিভাবে ভিন্ন পথে নিয়ে যায়, তার যেন আরো একটা প্রমাণ স্বচক্ষে পেয়ে গেলাম।
আমার সেই বাল্যবন্ধু ছোটবেলা থেকেই বড্ড মেধাবী ছিল, তবে দীর্ঘদিন তার সঙ্গে সেভাবে আর আলাপচারিতা হয়নি। মেধাবী মানুষগুলো অনেক সময় পরিস্থিতির কারণে হুটহাট বিপথে চলে যায়। তবে পরিস্থিতি যতই কঠিন হোক না কেন, প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত থাকার ব্যাপারটা মেনে নেওয়া খুব কষ্টসাধ্য হয়ে যায়।
এর আগে সম্ভবত একবার লিখেছিলাম যে, মাঝরাতে আমার এক বাল্যবন্ধু খুব স্বল্প পরিমাণ টাকা মেসেঞ্জারে আবদার করে বসে ছিল। সেই যাত্রায় বলেছিল, তার শালীর বিয়েতে গিয়ে সে ঝামেলায় পড়েছিল, তাই তাকে বাধ্য হয়ে রাত্রিবেলা অনেক কষ্ট করে, আমি তার কাঙ্ক্ষিত আবদার পূর্ণ করেছিলাম। যেহেতু ছোট পরিমাণ অর্থ ছিল, তাই সেভাবে আর পরবর্তীতে তা ফেরত নেওয়ার জন্য গুরুত্ব দেইনি।
মাসখানেক যেতে না যেতেই, আবারো গতরাতে ঠিক একই রকম বার্তা পেয়েছিলাম সেই বন্ধুর কাছ থেকে, তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে, সে মেসেজ দিয়েই খানিকবাদে মেসেজটা মুহূর্তেই ডিলিট করে দিয়েছিল। মূলত তখনই আমার খটকা লাগে।
অতঃপর তার সঙ্গে ইচ্ছে করে আর যোগাযোগ করিনি। আজ যখন আমার অন্যান্য বাল্য বন্ধুদের সঙ্গে ব্যাপারটা শেয়ার করেছিলাম, তখন মুহুর্তেই তারা আমাকে বলল, আমার সেই বাল্যবন্ধুর বর্তমান অবস্থা, আসলে সে একজন প্রতারক।
শুনে কিছুটা ব্যথিত হলাম, মেধাবী ছেলেটা সময়ের পরিক্রমায় হঠাৎই বিপথে চলে গেছে, জড়িয়ে গিয়েছে অনলাইন প্রতারণায়। মূলত সে একই মেসেজ প্রতিনিয়ত তার সোশ্যাল মিডিয়ার ফ্রেন্ডলিস্টের সবাইকে পাঠিয়ে থাকে, যারা আবেগপ্রবণ হয়ে টাকা পাঠায়, তারাই মূলত ধরা খেয়ে যায়। যেহেতু তার চাহিদা খুবই সীমিত পরিমাণ থাকে, তাই অনেকেই সৌজন্যতার খাতিরে এই বিষয় নিয়ে পরবর্তীতে তেমনটা মুখ খুলতে চায় না।
বাল্য বন্ধুর এহেন অবস্থার প্রমাণ পেয়ে নিজেই বিব্রতবোধ করছি। অবশেষে তাকে মেসেঞ্জারে খুদেবার্তা পাঠিয়ে দিলাম, তাতে স্পষ্ট লিখে জানালাম, ভিক্ষাবৃত্তি বাদ দিয়ে, ভালো কোন কাজে মনোনিবেশ করো, তাতে আর যাইহোক, সম্মানহানি হবে না।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
খুব বিশ্রী কান্ড! আসলে মেধাবী ছেলেগুলো এরকম যদি প্রতারক হয়ে যায় তখন চিন্তা হয় একটু। আবার আমার বাজেও লাগে একটু আফসো ও লাগে। অনেক সময় দেখা যায় পারিপার্শ্বিকতার কারণে এই মেধাগুলো নষ্ট হয়ে যায়। বিশেষ করে সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ একটা কথা আছে। এরকম হাজার হাজার মেধাবী স্টুডেন্ট দেখেছি যারা খুব মেধাবী কিন্তু চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছাতে পারেনা সেই মেধাগুলো নিয়ে। যাক আপনি অবশেষে বেঁচে গেলেন আবারও প্রতারণার হাত থেকে। বিষয়টি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আসলেই এবার প্রতারণার হাত থেকে বেঁচে গিয়েছি, ভাগ্যিস অনুসন্ধান করেছিলাম।
ভাইয়া আপনার বাল্যবন্ধুর এই পরিণতির কথা শুনে সত্যিই অনেক খারাপ লাগছে। আসলে মানুষ টাকার জন্য কতটা মিথ্যের আশ্রয় নিতে পারে এটা ভেবেই অবাক হচ্ছি। এসব মানুষদের জন্য যারা প্রকৃতপক্ষে বিপদে পড়ে তারাও সাহায্য চাইতে গিয়ে লজ্জায় পড়ে যায়।
পৃথিবীটাই এমন, কখন কার কি হবে তা বলা মুশকিল।
এই ম্যাসেজটা আপনার বাল্য বন্ধুর প্রাপ্য ছিলো। একসময়ের কাছের মানুষদের এমন কাজকর্ম দেখলে আসলেই অবাক হয়ে যাই। তাদের এমন অবনতির কথা শুনলে মনটাও খারাপ হয়ে যায়। আমার নিজেরও এমন ২/১ জন বন্ধু বান্ধব রয়েছে, যারা সঙ্গ দোষে মাদকাসক্ত হয়ে মানুষের সাথে এভাবে প্রতারণা করে। আসলে যারা মাদকাসক্ত, তাদের হাতে টাকা পয়সা না থাকলে একেবারে উন্মাদ হয়ে যায়। যাইহোক আপনার বাল্য বন্ধুর এমন অবস্থার কথা জেনে খারাপ লাগলো। অনলাইনের মাধ্যমে এভাবে প্রতারণা করে অনেকেই মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে থাকে, কিন্তু এভাবে বেশিদিন চলা যায় না। যাইহোক সবার শুভবুদ্ধির উদয় হোক সেই কামনা করছি। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এটা একদম ঠিক বলেছেন ভাই, আসলেই সুবুদ্ধির উদয় হওয়া বড্ড দরকার।
আপনার ম্যাসেজ টা ভালো ছিল। আশাকরি সেই মানুষটা নিজের ভুলটা শুধরে নেবে। এটা আসলেই দুঃখজনক এবং মেনে নেওয়া কষ্টকর ভাই। নিজের বাল্যবন্ধুর এইরকম অবস্থা। আপনার জায়গাই আমি থাকলেও এটা আমাকে গভীরভাবে ব্যথিত করত।
কিছুই করার ছিল না ভাই, কেননা তার মানসিক বিকৃতি হয়ে গিয়েছে ভাই।
অনলাইন প্রতারণা এখন সব জায়গাতেই ছড়িয়ে পড়েছে কমবেশি দাদা। তবে সব থেকে কষ্ট লাগলো এটা জেনে যে, আপনার বন্ধু এরকম একটা খারাপ কাজের সাথে জড়িত আছে । তবে আপনি যে ঠিক সময় ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছেন, এটাই অনেক বড় কথা। যাইহোক, তাকে পাঠানো আপনার গুরুত্বপূর্ণ মেসেজটা যদি সে সিরিয়াসলি নেয়, তাহলে হয়তো সে এই কাজের থেকে বিরত থাকবে, এটা আশা করা যায়।